রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা


আরেফিন ঘুম থেকে উঠে অভ্যাস বসত খবরের কাগজ খোঁজেন। পত্রিকাটা সাধারণত দরজার নিচ দিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে না পেয়ে তিনি দরজা খুলে বাইরে যান। বাইরেও কোনো পত্রিকা নেই। তার মনে প্রশ্ন জাগে। কি হলো? পত্রিকা আজ দেয়নি?

আরেফিন রুমে এসে রুমকিপারকে ফোন দিয়ে পত্রিকার বিষয়ে জানতে চান। রুমকিপার তাকে জানায়, পত্রিকা আজ বের হয়নি। আগামী কয়েকদিন পত্রিকা বের হবে কি না সন্দেহ।

আরেফিন এর কারণ জানতে চাইলে রুমকিপার সরাসরি এর উত্তর না দিয়ে বলল, টিভি দেখুন না স্যার! টিভিতে খবর দেখুন।

টিভিতে চীনা ভাষার খবর হয় বলে আরেফিন টিভি ছাড়েন না। তিনি মনে মনে বিরক্ত হন। দেশ-দুনিয়ার কোনো খবর জানা যাবে না! এটা কী করে সম্ভব! সকালে পত্রিকা না পড়তে পারলে মনে হয়, কি যেন করা হয়নি। নিজেকে বড় অসম্পূর্ণ লাগে। মন খারাপ করে কিছুক্ষণ সোফায় বসে থাকে। মোহিনীর কথা তার খুব মনে পড়ে। তিনি ফোন হাতে নিয়ে মোহিনীকে ফোন করেন। না। মোহিনীকেও পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর তিনি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মোহিনীকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ম্যাসেঞ্জার খোলা যাচ্ছে না। উইচ্যাট ছাড়া অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাজ করছে না। হতাশ হয়ে আরেফিন বসে থাকেন। ঘড়ির দিকে তাকান। ঘড়ির কাঁটা তখন নটার ঘরে। সাড়ে নটায় নাস্তার সময় শেষ হয়ে যাবে।

আগে নাশতা করতে যাবে নাকি গোসল করবেন? এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে কিছুটা সময় পার হয়ে যায়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে আর মাত্র পনের মিনিট হাতে আছে। এখন গোসল করতে গেলে নাশতা পাওয়া যাবে না। তাই তিনি তাড়াহুড়া করে জামা-প্যান্ট গায়ে দিয়ে নাশতা করতে ছুটে যান। রেস্তোরাঁয় এসে তিনি বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকান। পরিবেশটা কেমন যেন অচেনা লাগে। চেনা মানুষগুলোও অচেনার মতো আচরণ করছে। দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। তিনি মনে মনে ভাবেন, হঠাৎ কি হলো? কেউ কাউকে যেন চেনে না। ফাঁকা ফাঁকা করে বসে আছে। কেউ কারো সঙ্গে কথা বলে না। গল্প করে না। একেকজন দূরে দূরে বসে রোবটের মতো খাবার খাচ্ছে। এ কী অবস্থা!

নাশতা করতে গিয়ে আরেফিন রীতিমতো গোলকধাঁধায় পড়ে। শত শত আইটেমের খাবার সাজানো। কিন্তু কোনটা তিনি নেবেন তা খুঁজে পান না। চীনে এসে তিনি প্রথম টের পেলেন তার জন্য খাবারের সমস্যা কতটা প্রকট।

আরেফিন দেখলেন, নাশতার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। অনেক চিন্তাভাবনার পর তিনি প্লেটে করে ডিম, রুটি, ফলের রস আর কিছু কাটা ফল নিলেন। অনেকটা নাকেমুখে দেওয়ার মতো অবস্থা। তৃপ্তি সহকারে খেতে পারলেন না।

যদিও সকালবেলাই আরেফিন সারাদিনের খাবার খান। সকালে যে আইটেমগুলো থাকে সেগুলো অন্তত মুখে দেওয়া যায়। দুপুরের এবং রাতের খাবারের কোনো আইটেমই তিনি ঠিকমতো খেতে পারেন না। সব খাবারেই তার সন্দেহ। সাপ, কেচো, বেজি, শুকর অথবা পোকামাকড় খেয়ে ফেলার ভয়। কোনো কিছু খেতে গেলেই শরীরের রোমকূপগুলো খাড়া হয়ে ওঠে। বমি বমি ভাব আসে। আজ সকালে যে নাশতা করেছে তা দিয়ে সারাদিন টেকা দায়। তাই তার মাথায় সারাদিনের চিন্তা।

অনেকটা হতাশা নিয়েই রিসিভশনের দিকে এগিয়ে যান আরেফিন। রিসিভশনে গিয়ে পত্রিকা না পাওয়ার বিষয়টি জানান। রিসিভশনিস্ট মুসকি হেসে বলল, দুঃখিত, আজ পত্রিকা দেয়নি।

বিষয়টা আরেফিনের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। বিস্ময়ভরা কণ্ঠে তিনি আবারও বললেন, পত্রিকা দেয়নি! না দেওয়ার কারণ কি জানতে পারি?

আপনি হয়তো জানেন না, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ব্যাপকভাবে বিস্তারলাভ করায় এখানে লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন মানে বুঝতে পারছেন তো? সবকিছু বন্ধ। কেউ কোথাও মুভ করতে পারছেন না। সব ধরনের চলাচল বন্ধ।

আরেফিনের চোখেমুখে বিস্ময়। তিনি কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। তিনি কিছুক্ষণ হাবাগোবার মতো দাঁড়িয়ে থেকে রুমের দিকে হাঁটা দিলেন। সকাল থেকেই হোটেলের পরিবেশটা কেমন যেন হয়ে গেল। হোটেলের প্রাণবন্ত পরিবেশে মলিনতা ভর করল। লিফটে একজন উঠলে দ্বিতীয়জন লাইনে অপেক্ষা করে। কেউ উঠতে গেলেও আরেকজন বলে, প্লিজ উঠবেন না।

আরেফিন রুমে গিয়ে সেভ করলেন। গোসল সারলেন। কর্মশালায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন। আরেফিনের রুম যে ফ্লোরে সেই ফ্লোরেই তাদের কর্মশালা। তিনি পায়ে হেঁটে সেমিনার কক্ষে গেলেন। সেখানে গিয়েও তিনি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। তিনি দেখলেন, সেমিনার কক্ষের চেহারা একদিনের মধ্যে পাল্টে গেছে। আরেকদিন আসনগুলো ছিল পাশাপাশি। একজনের খুব কাছাকাছি আরেকজন। আজ নিরাপদ দূরত্বে আসনগুলো সাজানো হয়েছে। একজন ভলান্টিয়ার দূরত্ব বজায় রেখে আরেফিনের সামনে এসে দাঁড়াল। তারপর বিনয়ের সঙ্গে বলল, আপনার আসনে নেমপ্লেট রয়েছে। আপনার নেমপ্লেট যেখানে রয়েছে আপনি সেখানেই বসবেন।
তারপর একে একে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সবাই এসে উপস্থিত হলেন। প্রশিক্ষকরাও এসে যার যার আসনে বসলেন। শুরুতেই আয়োজকদের একজন কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিষয়ে কথা বললেন। তিনি সবাইকে খুব সাবধানতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়ে বললেন, করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি হাজারজনকে সংক্রমিত করতে পারেন। সুতরাং খুব সাবধান! আর এখানে যারা প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণার্থী সবাই হোটেলেই অবস্থান করছেন। কাজেই বাইরে থেকে কারো আসার সুযোগ নেই। আপনারা বাইরের কারো সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করবেন না। কারো সঙ্গে করমর্দন করবেন না। দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে সাবধনতা।

আরেফিন দুশ্চিন্তায় পড়েন। তিনি জানতে পারেন, কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। প্রিয়জনরা দেখতেও পারে না। আরেফিনের ভেতরে ভয় ঢোকে। আক্রান্ত হওয়ার ভয়।

আরেফিন উহান শহর নিয়ে অনলাইনে কিছু পড়াশুনা করেন। এই শহর সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা করেন তিনি। উহান, হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর। এই শহরে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। ঢাকা শহরের মতোই ঘনবসতি। কিন্তু নিয়মশৃঙ্খলা মানার ব্যাপারে উহানবাসী খুবই সচেতন। লকডাউন ঘোষণার পর সবাই ঘরে ঢুকে যায়। বিশেষ প্রয়োজনেও কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। যদিও লকডাউনের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন ঘোষণা করল, কেউ বাড়ির বাইরে বের হবেন না। সবাই ঘরে থাকবেন। ব্যাস, সবাই পুলিশের ঘোষণা শতভাগ মেনে নিল।

সতের বছর আগে এই শহরে সার্স ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছিল। কিন্তু এবারের আক্রমণটা আরও বেশি ভয়ঙ্কর বলে ধারণা করছেন নগরবাসী। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সেই তথ্যও জানতে পারলেন তিনি। তার ভেতরে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অজানা ভাইরাস নিয়ে অজানা আতঙ্ক। এমন আতঙ্ক আগে কখনো সে অনুভব করেননি। এখন করছেন। রুমের মধ্যে তার কেবলই মনে হচ্ছে, চারদিক থেকে ভাইরাসগুলো জাতিসাপের মতো ফণা তুলে ধেঁয়ে আসছে।

আরেফিন ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠেন। চিৎকারের এক পর্যায়ে তিনি তার মাকে ডাকেন। মা বাঁচাও! অনেক দিন পর তার মা’র কথা মনে পড়ল। বিপদের সময় তার মা’র কথা খুব মনে পড়ে। আজও তার খুব মনে পড়ছে। মনে মনে তিনি ভাবেন, আমার মা কেমন আছেন গ্রামে? বাবা কি এখনো মাকে মারেন? তার বংশ তুলে গালি দেন? মা’ বাপের বাড়ির জমি বিক্রি করে টাকা আনতে বলে? বাবাটা এতো স্বার্থপর কেন? এই রকম একটা নীচুঘরে আমি কেন জন্ম নিলাম? কেন আমার উচুঘরে জন্ম হলো না? তাহলে আমার জীবনটা অন্য রকম হতে পারত। মোহিনীর সঙ্গে আমার জীবনটাকে অন্যভাবে সাজাতে পারতাম। উচু-নীচুর দ্বন্দে! না হলো সংসার! না হলো ভালোভাবে বেঁচে থাকা।

আরেফিন মোহিনীর কথা ভাবেন। এখন মোহিনী কি করছে? কোথায় আছে সে? সে কি তার বাপের বাসায় চলে গেছে? নাকি নিজের বাসায় আছে? ওই বাসাটিও তো ওর কেনা। কাজেই বাপের বাসা কিংবা নিজের বাসায় যাওয়া আসা কোনো কিছুই ম্যাটার করে না। কিন্তু সে আমার ওপর এতোটা রেগে গেল কেন? আমি তাকে চীনের আসার কথা আগে থেকে বলিনি। এটাই কি আমার অপরাধ? এর চেয়ে বড় অপরাধ তো আগেও করেছি। সেটাতে তো এতোবেশি রিঅ্যাক্ট করেনি! হ্যাঁ, আমি ওর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। ওর হাত ছুঁয়ে বলেছিলাম, আমি ভুল করেছি। ভবিষ্যতে আর ভুল হবে না। সেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছি। কাজটা আমার ভুলই হয়েছে। প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করা অপরাধ। আমার উচিত ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু আমার ফোন তো সে ধরছে না! কি করে ক্ষমা চাইব? দেখি তো আবার চেষ্টা করে!

আরেফিন মোবাইল ফোনে মোহিনীকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোহিনীকে পান না। একবার নয় দুইবার নয়, পাঁচছয় বার। তারপর তিনি মোবাইলটা বিছানার ওপর ছুড়ে ফেলেন। দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বলেন, দুর্ভাগ্য!

আরেফিন মনের অস্থিরতা দূর করার জন্য টিভি ছাড়েন। টিভিতে সিনেমা দেখবেন বলে রিমোটের বোতাম চাপতে থাকেন। একের পর এক চ্যানেলে যান। কোনোটাই যুৎসই মনে হয় না। তিনি রিমোট ছুড়ে ফেলে বিছানায় গা এলিয়ে দেন। বালিশে মুখ গুজে নিজের মনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ওই চেষ্টাই সাড়। মনের ছটফটানি কিছুতেই দূর হচ্ছে না। আরেফিন মনে মনে বলেন, ক্যারিয়ারের স্বার্থে কর্মশালায় এসে আমি কি সবই হারালাম!

চলবে…

আরও পড়ুন

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

Header Ad

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশি নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালানো একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে ভারতে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক কিশোরীসহ অন্তত ২৩ তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে এসব কাজ করছেন। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাজ্যটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তরুণীরা বৃহৎ মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। তাদের দৈনিক ২ হাজার রুপি বেতনের কাজের লোভ দেখিয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা শোষণ ও অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।

এই যৌনব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা দালালরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যখন কোনো খদ্দের আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন তাদের বাংলাদেশি তরুণীদের ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে কোনো একজনকে বেঁছে নেয় তারা। এরপর আগেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়। সবশেষে ওই খদ্দেরকে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হয় যেখানে নির্দিষ্ট তরুণী অপেক্ষা করেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোটাক থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধারের পর পুরো বিষয়টি সামনে আসে। ওই কিশোরীকে লিংক রোডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু হয় কীভাবে বাংলাদেশি তরুণীদের ওড়িশায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এক যৌনকর্মী জানান, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি এখানে আটকা পড়ে গেছেন। উদ্ধারকৃত ওই যৌনকর্মী জানান, পুরো বিষয়টি পরিচালনা করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারণার শিকার এই তরুণীদের কয়েক বছর ধরে আটকে রেখেছে চক্রটি। যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় যেসব দালাল এই ব্যবসা চালানোয় ভূমিকা রেখেছে তাদের শনাক্ত করতে সক্রিয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্রা ওড়িশাটিভিকে বলেছেন, “আমরা টুইন সিটিতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর দৃষ্টি রাখছে। আমাদের কাছে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad

ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। পেরুর লিমার ভিলা এল সালভাদর স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চাপে রেখে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পেরুর লিমাতে বসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যদিও ব্রাজিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। বিপরীতে আর্জেন্টিনা রার্নাসআপ হয়ে। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আর্জেন্টিনা জয় পায় দুইটিতে। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ঠিকই জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।

আগামীকাল সোমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়েকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।

Header Ad

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

নায়েব আলী জোয়ারদার এবং তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ২টি মামলায় ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৩টি মামলায় ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এমরান হোসেন চেীধুরী আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জামিন আদেশ দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নায়ের আলী জোয়ারদারকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা অগ্নিসংযোগের অভিযোগের মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরপপুরের জামতলা এলাকার বাড়ি থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করলে বিনাভোটে নায়েব আলী জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন।

এ দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গত ৬ অক্টোবর সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম হত্যা মামলা, জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জেলা বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে আসামির আইনজীবী আদালতকে জানান। তারপরও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ