শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

কিছুক্ষণ পর দূর থেকে ছুটে আসে পাকিস্তানি সেনাদের গুলি। অনেকের গায়ে গুলি লাগে। পড়ে যায় অনেকে। যাদের গায়ে গুলি লাগেনি তারা গড়াতে গড়াতে সীমান্তের এপাশে চলে আসে। একসময় গুলি থেমে গেলে উঠে দাঁড়ায় অনেকে। দেখতে পায় বেশ দূর থেকে গুলি আসছে। এখন ওরা থেমে গেছে। বোধহয় গুলি ফুরিয়েছে। যাদের গায়ে গুলি লাগেনি তারা উঠে দাঁড়ায়। দেখতে পায় পাকিস্তানি সেনারা অন্যদিকে যাচ্ছে। যারা আহত হয়েছে তাদের নিজ নিজ তাঁবুতে পৌঁছে দেয় সবাই। পাঁচ জন মারা গেছে। চারদিকে কান্নার ধ্বনি প্রবল শব্দে মিশে যায় বাতাসে। শরণার্থী শিবিরজুড়ে কান্নার শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নাই। আহতদের আর্তনাদ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেই জ্ঞান হারিয়েছে। বাকিরা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। থমথম করছে চারদিক। স্তব্ধ যশোর রোডের মাঝখানে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকে অঞ্জন। মনে হয় বুকের ভেতরে নিঃশ্বাসও পড়ছে না। পরক্ষণে মনে হয় কিছু ওষুধ আনার জন্য কাছের হাসপাতালে যাওয়া দরকার। অঞ্জন ছুটতে থাকে বনগাঁওয়ের দিকে। নিজেতো ডাক্তার, বনগাঁও হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ আনতে পারলে আহতদের সুস্থ করা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বনগাঁও পর্যন্ত যেতে পারে না অঞ্জন। মাথা ঘুরে ওঠে। পথের ধারে পড়ে যায়। ঘাস ও মাটির মাঝে পড়ে গেলে শরীরজুড়ে ময়লা ভরে যায়। উঠে বসে, কিন্তু হাঁটার জন্য দাঁড়াতে পারে না। কেমন অবশ লাগছে শরীর। হাঁটুর ওপর মাথা রেখে চুপচাপ বসে থাকে। একটুপরে মাথা সোজা করলে দেখতে পায় একটি মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে। কাছে এসে মুখোমুখি বসে বলে, আমি দূর থেকে আপনাকে পড়ে যেতে দেখেছি। আপনাকে ধরে ওঠাব?

-না, এখন না। আর একটুক্ষণ বসি। তোমার নাম কি?

-ছবিরাণী। আমি বড় হলে বাবা আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমার কাছে দেশের ছবি। সেজন্য তোমার নাম ছবি রেখেছি। বড় হয়ে সবসময় দেশের কথা মাথায় রাখবে। দেশের জন্য যা কিছু করা দরকার করবে। কখনো পিছিয়ে থাকবে না।

-ছবিরাণী তোমার বাবা একজন মহান মানুষ।

ছবিরাণী হাসতে হাসতে বলে, হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। আপনি কোথায় যাবেন? চলেন আপনাকে পৌঁছে দেই।

-না, আমাকে পৌঁছাতে হবে না। আমি চলে যেতে পারব।

-আবার যদি পড়ে যান?

-পড়ে গেলে আবার উঠব, আবার হাঁটব।

-আচ্ছা, তাহলে আমি যাই।

-হ্যাঁ, যাও। কোথায় যাবে?

-শরণার্থী শিবিরে যাব। দেখব কারো কিছু লাগবে কি না।

-তোমাকেতো আমি শরণার্থী শিবিরে আগে কখনো দেখিনি।

-আমি তিন-চার মাস আগে এসেছি। আপনাকেও দেখিনি। যে মায়েরা ভাতের অভাবে কেঁদেছে তাদেরকে চাল এনে দিয়েছি। বেশিজন না, কয়েকজনকে মাত্র। একটি মেয়ের জন্ম হলে মরে যায়। ওকে কোলে করে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার বাড়িতে। ভাইদের দিয়ে গর্ত খুঁড়ে ওকে মাটি চাপা দিয়েছি ধানক্ষেতের পাশে।

-ছবিরাণী তোমার মতো মেয়ে আমি দেখিনি। তুমি এত ভালো মেয়ে-

-চলেন আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আসি। আমি চাইনা আপনি আর একবার পড়ে যান।

ছবিরাণী দুহাত টেনে ধরে অঞ্জনের। অঞ্জন উঠে দাঁড়ায়। ছবিরাণী ওর হাত ধরে হাঁটতে শুরু করে। অঞ্জনের তাঁবুতে এসে দাঁড়ালে তার বাবা-মাকে দেখতে পায়। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে। বলে, মাসীমা আমার নাম ছবিরাণী। আমি দাদাকে পথে পড়ে যেতে দেখেছি।

-মাগো তোমাকে দেখে মন ভরে গেছে। তুমি লক্ষ্মী মেয়ে। তোমার বাড়ি কোথায়?

-চৌগাছায়।

-তোমার বাবা কি করে?

-আমার বাবা কৃষিকাজ করে। বাবাকে কৃষক বলতে পারেন। নিজের দেশ নিয়ে বাবা অনেক চিন্তা করেন। বলে, আমি অনেক ধান চাষ করব। আমার চারদিকের লোকজন যেন না খেয়ে থাকে। যার থালায় ভাত থাকবেনা আমি তার থালায় ভাত দিয়ে আসব।

-বাব্বা তোমার বাবাতো একজন মহান মানুষ। তুমিও বাবার মতো হয়েছ। আমাদের ছেলেকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছ।

-দিবইতো। রাস্তায় উপুড় হয়ে পড়ে গেলে আমি কি তাকে ছেড়ে দিতে পারি? আমিতো মানুষ, ব্যাঙ না।
হা-হা করে হাসে সবাই। ছবিরাণী নিজেও হাসে। তারপর বলে, এখন যাই। মাঝে মাঝে এসে আপনাদের খোঁজ করব।

-আমার ছেলে ডাক্তার। তোমার বাবা-মায়ের অসুখ হলে ওকে ডেকে নিয়ে যেও।

-হ্যাঁ, মাসীমা ঠিক বলেছেন। যাচ্ছি। দাদা, ভালো থাকুন।

ছবিরাণী শরণার্থী শিবির থেকে বের হওয়ার জন্য দৌড়াতে শুরু করে। অঞ্জন বাবা-মাসহ ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। ও দৌড়াচ্ছে দেখে অঞ্জন বলে, এই গতি শরণার্থী শিবিরের না। এখানে আছে দুঃখ-কষ্ট-মৃত্যু-কান্না। মায়ের দিকে ঘুরে ও বলে, ওর ছবি চোখে নিওনা মাগো। ও যাচ্ছে, যাক।

ওর বাবা ওর হাতে ট্রানজিস্টার দিয়ে বলে, নে বিবিসির খবর শোন।

-দাও ওই গাছের নিচে বসে খবর শুনব। যশোর রোডে এত গাছ দেখে আমি ভাবছি, গাছের ছায়ায় বেঁচে থাকব বলে এখানে এসেছি।

-থাক, এত কথা বলতে হবে না। মানুষের কষ্ট চোখে দেখিস না।

-শুধু কি চোখে দেখি? কান্নাকাটিও শুনি বাবা। সেটাতো বুক দিয়ে শুনি।

-চল, তোর সঙ্গে আমি যাব। দুজনে গাছের নিচে বসব। আমারও গাছের নিচে বসতে ভালোলাগে।
-মা যাবেন?

-নারে। আমি এখানে থাকব। জীবনে কখনো তাঁবুতে থাকিনি। এখন স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে তাঁবুতে থাকব।

-শুধু তাঁবুতে থাকলেতো হবে না। যুদ্ধ লাগবে মা।

-আমি কেমন করে যুদ্ধ করব? আমি কি অস্ত্র ধরতে পারি?

-আপনি যুদ্ধ করতে পারবেন না। যুদ্ধ আমাকে করতে হবে।

-না, তুই ডাক্তারী করবি। যারা যুদ্ধ করবে তাদের সেবা করবি।

-হ্যাঁ, তাই করব। এটাও যুদ্ধের একটা দিক।

-আর কথা বলতে হবে না। চল, চল।

বাবার হাত ধরে হাঁটতে শুরু করে অঞ্জন। অনেক তাঁবু থেকে কান্নার শব্দ আসছে। শুধু শিশুদের কান্না না, বড়দেরও। অঞ্জন থমকে দাঁড়ায়। বাবার দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলে, আমাদের কিছু করার আছে?

-আমরা কি করতে পারি? আমাদের চালের গুদাম থাকলে ঘরে ঘরে চাল পৌঁছে দিতাম।

-এমন কথা শুনলে আমার মন খারাপ হয়। যা পারব না-

-থাক, চুপ কর। একটা তাঁবু থেকে কান্না শুনলে নিজেদের তাঁবু থেকে চাল নিয়ে যেতাম।

-নিজেদের তাঁবুতে যে অল্প চাল আছে। সেখান থেকেতো দেয়ার মতো নেই বাবা।

-তা ঠিক। চল বুকের ভেতর কান্নার শব্দ নিয়ে হাঁটি।

শুনতে পায় কান্নার ধ্বনি বেড়েছে। মন খারাপ করে দুজনে যশোর রোডের গাছের নিচে এসে বসে। দুজনেই চুপচাপ বসে থাকে। কান্নার ধ্বনি বুকের ভেতর জমে আছে। একসময় দেখতে পায় মৃত শিশু দুহাতে ধরে এগিয়ে আসছে আমেনা বেগম। দুজনকে দেখে দ্রুতপায়ে কাছে এসে বসে পড়ে চিৎকার করে কাঁদে।

-মাইয়াটা মইরা গেল ভাত খাইতে না পাইয়া। আমিও মইরা যামু ওর লগে। আমি আর বাঁচমুনা।

অঞ্জন মেয়েটিকে নিজের কোলে তুলে নেয়। শীতল হয়ে গেছে মেয়েটির শরীর। নিষ্প্রাণ দেহটির স্পর্শ ওকে শীতল করে দেয়। ও মেয়েটিকে বুখে জড়িয়ে ধরে। আমেনা বেগম মেয়েটিকে অঞ্জনের কাছ থেকে টেনে নিয়ে বুকে জড়িয়ে হাঁটতে শুরু করে। কান্নার ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে শরণার্থী শিবিরে। জোর কান্নার ধ্বনিতে চারদিক থেকে লোক এগিয়ে আসতে থাকে। আমেনা বেগম দ্রুত হেঁটে ঝাঁপিয়ে পড়ে নদীতে। ডুবে যায় শরীর। চারদিকে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকে সবাই। অনেক মেয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। শরণার্থী শিবিরে পরিচিত হওয়া খালার জন্য কান্নার ধ্বনি আপনজনের আর্তনাদের বার্তা ছড়ায়। আমেনা বেগমের নিজের কেউ নেই। শরণার্থী শিবিরে আসার সময় পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হয় স্বামী আফজাল। মেয়েটিকে বুকে নিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নে মগ্ন ছিল। কিন্তু মেয়েটির মৃত্যু ওকে নিঃসঙ্গ করে দিলে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ফুরিয়ে যায়।

চলবে...

এমএমএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত