শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

– বাব্বা অনেক কথা বললেন? আমি বাংলা বলতে পারিনা, তবে কিছু কিছু বুঝি। যাই আমি। ওই যে একদল শরণার্থী আসছে। ওদের ছবি তুলব।

রঘু রাই দ্রুতপায়ে হেঁটে যায় সীমান্তের কাছে। অঞ্জন দাঁড়িয়ে থাকে। ভাবে আমিয়া যদি ওর বাবা-মায়ের সঙ্গে আসত তাহলে ও শরণার্থী শিবিরের রাজপুত্র হয়ে যেত। পরক্ষণে নিজে নিজে হাসে। নিজেকে বলে, রাজপুত্র হওয়ার এত শখ কেন? ঢং দেখানোর জায়গা পাস না। হ্যাঁ, তাইতো। আমিও যাই। দেখি কারা এসেছে। পরিচিত কেউ থাকতেও পারে।

অঞ্জন এগিয়ে যেতে থাকে সীমান্তের কাছাকাছি। বুকের ভেতর প্রবল টান, যদি অমিয়া আসে ওর বাবা-মাকে নিয়ে। ওতো জানে অঞ্জন এখানে আছে। রঘু রাই শরণার্থীদের লম্বা সারির ছবি তোলে। চারপাশে ঘুরে অনেক ছবি তোলে। শরণার্থীদের অবস্থান ওর ক্যামেরায় ফুটে উঠতে থাকে। অঞ্জন খুব অনুপ্রাণিত হয়। ভাবে, মুক্তিযুদ্ধের দলিল হয়ে থাকবে এইসব ছবি। একসময় শরণার্থীর সারি যশোর রোডে ঢুকে যায়। অঞ্জন দেখতে পায় অমিয়া নেই। ওরা হয়তো ঢাকাতেই থেকে যাবে। শরণার্থী হবেনা।

বুকের ভেতর হাহাকারের ধ্বনি ওঠে। পরক্ষণে নিজেকে শাসায়। যুদ্ধের সময় প্রেমের বাতাস বুকে টানার দরকার আছে কি? কেন ওর মধ্যে এমন হাহাকার তড়পায়। নিজেকে শাসন করে ফিরে আসে সীমান্তের ভেতর। যারা এখানে নানা ধরণের কাজ করছে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করা দরকার। নানা মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য সহযোগিতা করা দরকার। নিজেকে শাসন করে রঘু রাইয়ের পেছনে হাঁটতে শুরু করে। রঘু রাই বলে, অনেক ছবি তুলেছি। কাল সকালে এখান থেকে চলে যাব। পত্রিকায় পাঠাব। ছাপা হবে। এসব ছবি দেখলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আরও সক্রিয় হয়ে উঠবেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করছেন। এসব ছবি দেখে খুশি হয়ে বলবেন, জয় বাংলা।

অঞ্জন হাসতে হাসতে বলে, রঘুদা, তুমি প্রধানমন্ত্রীর মনের কথা বলে ফেললে।

– ঐ যে দেখ কেমন হাঁ করে কাঁদছে একটি বাচ্চা। আমি ওর ছবিটা তুলে নেই। এটা শরণার্থী জীবনের কষ্ট।

– না, আমাদের কোনো কষ্ট নেই। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধের যোদ্ধা। শিশুরা আমাদের মাথার মণি।

রঘু রাই অঞ্জনের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে শিশুটির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ছবি তোলে। বিশাল হাঁ করে কান্নারত শিশুটির ছবি উঠিয়ে অঞ্জনকে দেখিয়ে বলে, এটা শরণার্থী জীবনের দুঃখ।

– আমি মনে করি দুঃখ না। এটা বেঁচে থাকার সত্য।

– বাব্বা, তুমি কি কবি নাকি? কতগুলো কবিতা লিখেছ?

– সত্যি কথা বলার জন্য কবি হতে হবেনা। যে কেউ বলতে পারে।

– হ্যাঁ, ঠিক। তোমার কথা শুনে আমার মন ভরে গেছে। যাই আরও ছবি তুলি।

রঘু রাই একদিকে চলে যায়, তখন দূর থেকে কান্নার ধ্বনি ভেসে আসে। অঞ্জন শব্দ শুনে সেদিকে এগিয়ে যায়। তাঁবুর কাছে গিয়ে শুনতে পায় বয়সী জয়নুল মারা গেছে। ওরা পাঁচজন এসেছিল শরণার্থী হয়ে। ছেলে ইমরুল কাঁদতে কাঁদতে অঞ্জনের কাছে এসে দাঁড়ায়। দুহাতে চোখ মুছে বলে, বাবাকে তাঁর নিজ দেশে কবর দিব। সীমান্ততো কাছেই। নিজে যেতে অসুবিধা হবেনা। আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।

– হ্যাঁ, অবশ্যই করব। আমরা ঘাড়ে তুলে নিয়ে যাব ওনাকে।

– ঘাড়ে তুলতে হবেনা। আপনি মাথার দিক ধরবেন, আমি পায়ের দিক। তাহলেই নিয়ে যেতে পারব। বাবাতো শুকনো মানুষ। ওজন বেশি না।

– কবর খুঁড়ব কীভাবে?

– আমার কাছে দা আছে। আগে চলেন দা দিয়ে গর্তের মতো খুঁড়ে আসি। কোনোরকমে মাটি চাপা দিলেই হবে। দাফনতো হবে না। কাফনের কাপড় নাই। ঠিকমতো গোসলও করাতে পারবনা। বাবা আমাদের সবসময় বলতেন, আমি মরে গেলে কোনোরকমে মাটি চাপা দিয়ে দিও। শরণার্থী মানুষের এভাবে কবর হবে।

চিৎকার করে কেঁদে ওঠে ইমরুল। একসময় দুহাতে চোখ মুছে বলে, আমার বাবা স্বাধীনতা দেখে যেতে পারলেন না। হায় আল্লাহ–আবার কাঁদতে শুরু করে ইমরুল। অঞ্জন ওর ঘাড়ে হাত রেখে বলে, কষ্ট বুকের ভেতর ধরে রাখ। চোখের পানি ফেলতে হবেনা।

– কেন ফেলব না? ফেলবই।

ইমরুল আবার কাঁদতে শুরু করলে অঞ্জন ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে। কানের কাছে মুখ রেখে বলে, চলো কবরের ব্যবস্থা করি।

তাঁবুর ভেতর কাঁদতে থাকে ইমরুলের মা আর দুই বোন। কান্নার শব্দ শুনে চারদিক থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়। অনেকের চোখে পানি গড়ায়।

কেউ একজন আর একজনকে জিজ্ঞেস করে, তোরা কাঁদছিস কেন?

– কাঁদবনা কেন? আমরাতো সবাই শরণার্থী পরিবার। আমাদের পরিবারের একজন বাবা মারা গেলেন।
যে প্রশ্ন করেছিল সে সঙ্গে সঙ্গে পেছন হেঁটে চলে যায়। সরাসরি সীমান্তের কাছে এসে দাঁড়ায়। একজনের হাত থেকে দা নিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করে। বেশ বড় গর্ত করতে হবে। কাজটি শুধু দা দিয়ে সহজভাবে করা যাবে এটা অঞ্জনের মনে হয় না। ওভাবে একটা শাবল বা কুড়াল জোগাড় করতে পারলে মন্দ হয়না। ও শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন দিকে হাঁটতে শুরু করে। না, কোথাও কোনো তাঁবুর ভেতরে এসব নাই।

একজন খেঁকিয়ে বলে, শরণার্থী হয়ে বাঁচতে এসেছি। এইসব শাবল-কুড়াল ঘাড়ে তুলে আনব কেন?

– এনেছেন সবাই এটা আমি মনে করিনি। কেউ কোনো দরকারে আনতে পারে এটা ভেবে খোঁজ করছি।

– যাও ভাগ। আর খুঁজতে হবে না।

অঞ্জন আর কথা বলেনা। ভাবে তর্ক করে লাভ নেই। কোনো কোনো মানুষ এভাবে নিজেকে সাধারণের উপরে উঠায়। ও দ্রুত হেঁটে সীমান্তের কাছে গিয়ে একজনের হাত থেকে দা নিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করে। ওকে বলে তুমি কিছুক্ষণ বসে থাক। নইলে বালতিতে করে পানি আন। আমরা গোসল করিয়ে কবরে দেব।

– কাফনের কাপড়তো পাবনা। যে লুঙ্গি আর জামা পরে আছেন সেটাসহ কবরে নামাবো।

সবাই মিলে তাঁবুর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। অঞ্জন তাঁর ছেলের সঙ্গে জয়নুলের মৃতদেহ উঠিয়ে নিয়ে আসে। নিয়ে যায় সীমান্তে। বালতিতে আনা পানিতে জামা-কাপড়সহ গোসল করিয়ে কবরে নামিয়ে দেয়। মতলুব বলে, আমরা সবাই মিলে বাবার জানাজা পড়ি।

– হ্যাঁ, হ্যাঁ পড়া উচিত। দাঁড়াও সবাই।

বয়সী খবিরউদ্দিন সবার সামনে দাঁড়িয়ে সুরা পড়তে শুরু করে। নিজ দেশের সীমান্তে জানাজা পড়া হয়েছে দেখে সবার বুকের ভেতর শান্তির হাওয়া বয়ে যায়। জানাজা শেষে বয়সী খবিরউদ্দিন যুদ্ধে শহীদ হওয়া মুক্তিযেদ্ধাদের জন্য দোয়া করে। সবাই খুব স্বস্তি পায়। মুক্তিযোদ্ধাদের লাশতো এখানে-সেখানে পড়ে থাকে। তাদেরনকে গণকবরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সীমান্ত এলাকায় বেশ বড় ভিড় জড়ে ওঠে। সবাই বসে দোয়া করছে। দুহাত মুখের ওপর তুলে রাখে।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট