শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

– বাব্বা অনেক কথা বললেন? আমি বাংলা বলতে পারিনা, তবে কিছু কিছু বুঝি। যাই আমি। ওই যে একদল শরণার্থী আসছে। ওদের ছবি তুলব।

রঘু রাই দ্রুতপায়ে হেঁটে যায় সীমান্তের কাছে। অঞ্জন দাঁড়িয়ে থাকে। ভাবে আমিয়া যদি ওর বাবা-মায়ের সঙ্গে আসত তাহলে ও শরণার্থী শিবিরের রাজপুত্র হয়ে যেত। পরক্ষণে নিজে নিজে হাসে। নিজেকে বলে, রাজপুত্র হওয়ার এত শখ কেন? ঢং দেখানোর জায়গা পাস না। হ্যাঁ, তাইতো। আমিও যাই। দেখি কারা এসেছে। পরিচিত কেউ থাকতেও পারে।

অঞ্জন এগিয়ে যেতে থাকে সীমান্তের কাছাকাছি। বুকের ভেতর প্রবল টান, যদি অমিয়া আসে ওর বাবা-মাকে নিয়ে। ওতো জানে অঞ্জন এখানে আছে। রঘু রাই শরণার্থীদের লম্বা সারির ছবি তোলে। চারপাশে ঘুরে অনেক ছবি তোলে। শরণার্থীদের অবস্থান ওর ক্যামেরায় ফুটে উঠতে থাকে। অঞ্জন খুব অনুপ্রাণিত হয়। ভাবে, মুক্তিযুদ্ধের দলিল হয়ে থাকবে এইসব ছবি। একসময় শরণার্থীর সারি যশোর রোডে ঢুকে যায়। অঞ্জন দেখতে পায় অমিয়া নেই। ওরা হয়তো ঢাকাতেই থেকে যাবে। শরণার্থী হবেনা।

বুকের ভেতর হাহাকারের ধ্বনি ওঠে। পরক্ষণে নিজেকে শাসায়। যুদ্ধের সময় প্রেমের বাতাস বুকে টানার দরকার আছে কি? কেন ওর মধ্যে এমন হাহাকার তড়পায়। নিজেকে শাসন করে ফিরে আসে সীমান্তের ভেতর। যারা এখানে নানা ধরণের কাজ করছে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করা দরকার। নানা মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য সহযোগিতা করা দরকার। নিজেকে শাসন করে রঘু রাইয়ের পেছনে হাঁটতে শুরু করে। রঘু রাই বলে, অনেক ছবি তুলেছি। কাল সকালে এখান থেকে চলে যাব। পত্রিকায় পাঠাব। ছাপা হবে। এসব ছবি দেখলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আরও সক্রিয় হয়ে উঠবেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করছেন। এসব ছবি দেখে খুশি হয়ে বলবেন, জয় বাংলা।

অঞ্জন হাসতে হাসতে বলে, রঘুদা, তুমি প্রধানমন্ত্রীর মনের কথা বলে ফেললে।

– ঐ যে দেখ কেমন হাঁ করে কাঁদছে একটি বাচ্চা। আমি ওর ছবিটা তুলে নেই। এটা শরণার্থী জীবনের কষ্ট।

– না, আমাদের কোনো কষ্ট নেই। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধের যোদ্ধা। শিশুরা আমাদের মাথার মণি।

রঘু রাই অঞ্জনের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে শিশুটির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ছবি তোলে। বিশাল হাঁ করে কান্নারত শিশুটির ছবি উঠিয়ে অঞ্জনকে দেখিয়ে বলে, এটা শরণার্থী জীবনের দুঃখ।

– আমি মনে করি দুঃখ না। এটা বেঁচে থাকার সত্য।

– বাব্বা, তুমি কি কবি নাকি? কতগুলো কবিতা লিখেছ?

– সত্যি কথা বলার জন্য কবি হতে হবেনা। যে কেউ বলতে পারে।

– হ্যাঁ, ঠিক। তোমার কথা শুনে আমার মন ভরে গেছে। যাই আরও ছবি তুলি।

রঘু রাই একদিকে চলে যায়, তখন দূর থেকে কান্নার ধ্বনি ভেসে আসে। অঞ্জন শব্দ শুনে সেদিকে এগিয়ে যায়। তাঁবুর কাছে গিয়ে শুনতে পায় বয়সী জয়নুল মারা গেছে। ওরা পাঁচজন এসেছিল শরণার্থী হয়ে। ছেলে ইমরুল কাঁদতে কাঁদতে অঞ্জনের কাছে এসে দাঁড়ায়। দুহাতে চোখ মুছে বলে, বাবাকে তাঁর নিজ দেশে কবর দিব। সীমান্ততো কাছেই। নিজে যেতে অসুবিধা হবেনা। আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।

– হ্যাঁ, অবশ্যই করব। আমরা ঘাড়ে তুলে নিয়ে যাব ওনাকে।

– ঘাড়ে তুলতে হবেনা। আপনি মাথার দিক ধরবেন, আমি পায়ের দিক। তাহলেই নিয়ে যেতে পারব। বাবাতো শুকনো মানুষ। ওজন বেশি না।

– কবর খুঁড়ব কীভাবে?

– আমার কাছে দা আছে। আগে চলেন দা দিয়ে গর্তের মতো খুঁড়ে আসি। কোনোরকমে মাটি চাপা দিলেই হবে। দাফনতো হবে না। কাফনের কাপড় নাই। ঠিকমতো গোসলও করাতে পারবনা। বাবা আমাদের সবসময় বলতেন, আমি মরে গেলে কোনোরকমে মাটি চাপা দিয়ে দিও। শরণার্থী মানুষের এভাবে কবর হবে।

চিৎকার করে কেঁদে ওঠে ইমরুল। একসময় দুহাতে চোখ মুছে বলে, আমার বাবা স্বাধীনতা দেখে যেতে পারলেন না। হায় আল্লাহ–আবার কাঁদতে শুরু করে ইমরুল। অঞ্জন ওর ঘাড়ে হাত রেখে বলে, কষ্ট বুকের ভেতর ধরে রাখ। চোখের পানি ফেলতে হবেনা।

– কেন ফেলব না? ফেলবই।

ইমরুল আবার কাঁদতে শুরু করলে অঞ্জন ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে। কানের কাছে মুখ রেখে বলে, চলো কবরের ব্যবস্থা করি।

তাঁবুর ভেতর কাঁদতে থাকে ইমরুলের মা আর দুই বোন। কান্নার শব্দ শুনে চারদিক থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়। অনেকের চোখে পানি গড়ায়।

কেউ একজন আর একজনকে জিজ্ঞেস করে, তোরা কাঁদছিস কেন?

– কাঁদবনা কেন? আমরাতো সবাই শরণার্থী পরিবার। আমাদের পরিবারের একজন বাবা মারা গেলেন।
যে প্রশ্ন করেছিল সে সঙ্গে সঙ্গে পেছন হেঁটে চলে যায়। সরাসরি সীমান্তের কাছে এসে দাঁড়ায়। একজনের হাত থেকে দা নিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করে। বেশ বড় গর্ত করতে হবে। কাজটি শুধু দা দিয়ে সহজভাবে করা যাবে এটা অঞ্জনের মনে হয় না। ওভাবে একটা শাবল বা কুড়াল জোগাড় করতে পারলে মন্দ হয়না। ও শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন দিকে হাঁটতে শুরু করে। না, কোথাও কোনো তাঁবুর ভেতরে এসব নাই।

একজন খেঁকিয়ে বলে, শরণার্থী হয়ে বাঁচতে এসেছি। এইসব শাবল-কুড়াল ঘাড়ে তুলে আনব কেন?

– এনেছেন সবাই এটা আমি মনে করিনি। কেউ কোনো দরকারে আনতে পারে এটা ভেবে খোঁজ করছি।

– যাও ভাগ। আর খুঁজতে হবে না।

অঞ্জন আর কথা বলেনা। ভাবে তর্ক করে লাভ নেই। কোনো কোনো মানুষ এভাবে নিজেকে সাধারণের উপরে উঠায়। ও দ্রুত হেঁটে সীমান্তের কাছে গিয়ে একজনের হাত থেকে দা নিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করে। ওকে বলে তুমি কিছুক্ষণ বসে থাক। নইলে বালতিতে করে পানি আন। আমরা গোসল করিয়ে কবরে দেব।

– কাফনের কাপড়তো পাবনা। যে লুঙ্গি আর জামা পরে আছেন সেটাসহ কবরে নামাবো।

সবাই মিলে তাঁবুর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। অঞ্জন তাঁর ছেলের সঙ্গে জয়নুলের মৃতদেহ উঠিয়ে নিয়ে আসে। নিয়ে যায় সীমান্তে। বালতিতে আনা পানিতে জামা-কাপড়সহ গোসল করিয়ে কবরে নামিয়ে দেয়। মতলুব বলে, আমরা সবাই মিলে বাবার জানাজা পড়ি।

– হ্যাঁ, হ্যাঁ পড়া উচিত। দাঁড়াও সবাই।

বয়সী খবিরউদ্দিন সবার সামনে দাঁড়িয়ে সুরা পড়তে শুরু করে। নিজ দেশের সীমান্তে জানাজা পড়া হয়েছে দেখে সবার বুকের ভেতর শান্তির হাওয়া বয়ে যায়। জানাজা শেষে বয়সী খবিরউদ্দিন যুদ্ধে শহীদ হওয়া মুক্তিযেদ্ধাদের জন্য দোয়া করে। সবাই খুব স্বস্তি পায়। মুক্তিযোদ্ধাদের লাশতো এখানে-সেখানে পড়ে থাকে। তাদেরনকে গণকবরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সীমান্ত এলাকায় বেশ বড় ভিড় জড়ে ওঠে। সবাই বসে দোয়া করছে। দুহাত মুখের ওপর তুলে রাখে।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান