শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

টুইয়া জাহাজে আমাদের শেষ রাত বলেই কিনা জানি না, ডাইনিং হলে প্রবেশের সময় চণ্ডীদাসের খুড়ো একগাল হেসে দুই হাত বাড়িয়ে দিয়ে সাদর সম্ভাষণ জানালো। ভেতরে চক্কর দিয়ে দেখলাম প্রতিদিনের মতোই বুফে ডিনার সাজানো, খুব আড়ম্বর পূর্ণ কিছু মনে হলো না। খাবারের প্লেট হাতে ফিরে এসে টেবিলে বসার আগে খুড়োকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আজ তোমাদের ফেয়ারওয়েল ডিনারের কোনো বিশেষ ব্যবস্থা আছে বলে তো মনে হচ্ছে না।’ চণ্ডীদাসের খুড়োর উত্তর প্রস্তুত ছিল। বললো, ‘দেয়ার ইজ গ্রান্ড গালাবাই পার্টি অপস্টেয়ার, প্লিজ জয়েন আফটার দ্য ডিনার।’  এরপরই রানাভাইকে না দেখে জিজ্ঞেস করলো, ‘হোয়ার ইজ ইওর সিনিয়ার ফ্রেন্ড?’ বললাম, তিনি শিগগিরই আমাদের সাথে যোগ দেবেন। আসলে রানাভাই প্রতিদিনই প্রায় প্রতিদিনই শেষ সময়ে আসায় রেস্টুরেন্টের প্রত্যেকে ধরেই নিয়েছিল রানাভাই আসবেন সবার শেষে। কিন্তু চণ্ডীদাসের খুড়োকে অবাক করে দিয়ে রানাভাই কিছুক্ষণের মধ্যে ডিনার টেবিলে আমাদের সাথে এসে বসলেন। ফাইয়াজ নামের যে ছেলেটা আমাদের টেবিলের খোঁজ খবর রাখতো, রানাভাইয়ের সাথে তার বেশ কথাবার্তাও বেশ জমে উঠেছিল। সে একটু রসিকতা করে বললো, ‘টু নাইট ইউ আর টু আর্লি স্যার!’   

টুইয়ার বেলিড্যান্স

ডিনার শেষে আমরা যখন সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছি তখন দোতলার হলঘরে সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত বেজে উঠেছে। আগেই খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি মিউজিক্যাল পারফর্মেন্স ছাড়াও রয়েছে সুফি ড্যান্স এবং বেলিড্যান্স! এমনিতেই বিস্তর ঘোরাঘুরির ফলে ক্লান্ত ছিলাম, তাছাড়া সস্ত্রীক বসে উদর নৃত্য দেখার মতো উদার চিত্ত না হতে পারার কারণে সোজা উপরে উঠে গেলাম। রানাভাইকে বললাম, পরে একবার এসে ঘুরে যাবো। ঘরে ফিরে বিছানায় পড়ে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আধাঘণ্টা পরে ভাবলাম গ্রান্ড গালাবাই পার্টিটা কেমন হচ্ছে একবার দেখে আসা যায়। আমি যখন নিচের নাচঘরে পৌছলাম তখন এক বিপুলা তার উদরে ঢেউ তুলে বেলিড্যান্স পরিবেশন করছেন। রীতিমতো উপর পূর্তির পরে উদর নৃত্য দর্শন মন্দ নয়, কিন্তু এ পর্যন্ত টেলিভিশনে বা চলচ্চিত্রে দেখা নৃত্য পটিয়সীদের দেখে যা ধারণা হয়েছিল তার সাথে এর আকার আকৃতির তেমন মিল নেই। এমন স্থূলকায়া রমনীর উদর নৃত্য খুব একটা রমনীয় বলে মনে হলো না। রানাভাই বললেন, ‘আহা আপনি তো সুফি ডান্সের চক্করটা মিস করলেন।’  বললাম, ‘সুফি নাচের ঘুর্ণি না হয় তুর্কিস্থানে খোদ ম্যাওলানা জালালউদ্দিন রুমির মাজার প্রাঙ্গণেই দেখা যাবে। আপাতত বেলিডান্সই দেখা যাক।’ আমাদের দেশে যা মাওলানা, পশ্চিমের দিকে বিশেষ করে তুরস্কে তা লেখা হয় গবাষধহধ। ‘ভি’ এর উচ্চারন ‘ওয়া’র মতো হওয়ায় গবাষধহধ-র উচ্চারণ আসলে মেওলানা বা ম্যাওলানা। যাই হোক বেইলি ডান্সের সাথে মাওলানাদের সুফি নাচ এক কাতারে এনে ফেললে অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করতে পারেন। ফলে উদর নৃত্য অসমাপ্ত রেখেই আমি আবার ঘরে ফিরে গেলাম। 

ভ্যালি অফ কিংস

আমাদের সকালের গন্তব্য ‘ভ্যালি অফ কিংস এ্যান্ড কুইন্স’, তবে যাবার অগেই জাহাজের ঘর খালি করে দিয়ে যেতে হবে। রাতেই বাক্স পেটরা গুছিয়ে রেখেছিলাম। শেষবারের মতো টুইয়ার ব্রেকফাস্ট শেষ করে লাগেজ জমা দিয়ে টোকেন নিয়ে নিলাম। পুরো লবি জুড়ে ট্যাগ লাগানো স্যুটকেস, ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, বিভিন্ন ভাগে স্তূপ করে রাখা। বেলা দশটার পর থেকে নতুন যাত্রীর দল জাহাজে এসে উঠতে থাকবে। সন্ধ্যায় নোঙর তুলে জাহাজ আবার যাত্রা শুরু করবে আসোয়ানের পথে। অতএব আমাদের ফিরে আসতে হবে জাহাজ ভেসে যাবার আগেই আর তা না হলে আমরা লুক্সরে থেকে গেলেও আমাদের গাট্টি বোচকা আসোয়ান চলে যাবে। 

সমাধিতে প্রবেশ পথ

নয়টায় বেরোবার কথা থাকলেও মিনিট দশেক পরে আমাদের পুরোনো সহযাত্রীদের নিয়ে যাত্রা শুরু হলো এবং একই সাথে শুরু হলো মোস্তফার আরবি ধারা বিবরণী। নীল নদের পশ্চিম তীরে লুক্সর থেকে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার দূরে ‘ভ্যালি অফ কিংস এ্যান্ড কুইন্স’এর যাত্রা পথের প্রায় পুরোটাই জুড়েই সবুজ ফসলের ক্ষেত। গম ভুট্টা এবং আখক্ষেতের মাঝে মাঝে খেজুর গাছ ছাড়াও সবুজের সমারোহ দেখে মনেই হয় না আমরা প্রকৃতপক্ষে একটি মরুময় দেশের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। মিশরের স্থলভাগের পঁচানব্বই শতাংশই মরুভূমি। নীলের তীর থেকে দূরে সরে যেতে যেতেই সবুজ উধাও হয়ে যায়। তার পরিবর্তে দেখা দেয় উঁচু নিচু ঊসর পাহাড়। এ সব পাহাড়ের গায়ে গাছপালা তো দূরে থাক, সবুজের ছিঁটেফোটাও নেই। ধীরে ধীরে পাথুরে পাহাড়ের সারি বাড়তে থাকে। কোথাও স্তরে স্তরে সাজানো শিলার এবড়ো থেবড়ো ছোট ছোট পাহাড়ের পায়ের কাছে গড়াগড়ি খাচ্ছে ছোট বড় পাথরের চাঁই থেকে শুরু করে অসংখ্য নুড়ি পাথর।  

সমাধি মন্দিরে নামার সিঁড়ি

মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসার পরে এবারেই প্রথম একটি নিষেধাজ্ঞা চোখে পড়লো, আর তা হলো ভ্যালি অফ কিংস-এর ভেতরে ছবি তোলা বা ভিডিও চিত্র ধারণ করা নিষেধ! তবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছবি তোলা যেতে পারে। আজকাল যে মোবাইল ফোনে প্রফেশনাল স্টিল এবং ভিডিও ধারণ করা যায়, তা সম্ভবত মিশরের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ এখনো জানে না। মোস্তফা প্রবেশপত্র নিয়ে এলে আমরা ক্যামেরা ব্যাগে ঢুকিয়ে নিরাপত্তা তোরণ পার হয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম পর্যটক বোঝাই দুই ট্রেইলার বিশিষ্ট হলুদ রঙের একটি বাহন ছেড়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে দূরে থেকে একই রকমের আরেকটি বাহন ফিরে আসছে। একটু অপেক্ষা করতেই হলুদ গাড়ি একদল দর্শনার্থী নারী পুরুষ নামিয়ে দিলে আমরা বাহনে উঠে পড়লাম।      

দেয়ালে রিলিফের কাজ

রাজা রাণীর উপত্যকা নাম থেকেই ধারণা করা যায় এলাকাটি সুনির্দিষ্টভাবে ফারাও সম্রাট সম্রাজ্ঞীদের বসবাসের জন্যে নির্ধারিত।  তবে এই বসবাস মহামান্যদের জীবদ্দশায় শান শওকতের সাথে কালাতিপাত করার জন্যে নয়। রাজা রাণীর জীবনাবসানের পরেই কেবল এখানে তাঁদের স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণভাবে দেখলে এই উপত্যকা লাল বা হলদে পাথরের ছোট বড় টিলার বেশি কিছু মনে হয় না। কিন্তু এইসব ধূলি ধুসর পাহাড়ের নীচেই রয়েছে প্রাচীন মিশরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেষট্টিজন ফারাও সম্রাটের সমাধি। খ্রিস্টপূর্ব ষোল থেকে এগারো শতক, অর্থাৎ প্রায় পাঁচশ বছর ধরে এই উপত্যকা ব্যবহৃত হয়েছে রাজা এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের সমাধিক্ষেত্র হিসাবে। মৃত্যু পরবর্তী জীবনে তাঁদের আরাম আয়েশে যাতে ব্যঘাত না ঘটে কিংবা জাঁক জমকের ঘাটতি না হয় সে জন্যে তাঁরা যথেষ্ট ধন সম্পদ এবং শান্ত্রী-সেপাই, চাকর-নফর সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। হায় নশ্বর মানুষের অমরত্ব লাভের বিশ্বাস! একবিংশ শতকের এই আধুনিক যুগে এসেও সাড়ে তিন হাজার বছর আগের সেই বিশ্বাসে এতোটুকু চিড় ধরেছে বলে মনে হয় না।  

করিডোরে দেয়াল চিত্র

ফারাও রাজা গজাদের তেষট্টিটি সমাধিস্থলের মাত্র আট-দশটিতে বর্তমানে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। অবশ্য সবগুলোতে ঢুকবার ব্যবস্থা থাকলে তা সাতদিনেও দেখে শেষ করা প্রায় অসম্ভব। প্রতিটি সমাধি মন্দিরই নির্মিত হয়েছে পাহাড়ের তলদেশে সুড়ঙ্গ কেটে মাটির অনেক গভীরে। ভূমিতল থেকে গভীরতম সমাধি মন্দিরটি সম্রাট প্রথম সেতির। এটি সবচেয়ে সুসজ্জিত এবং সুরক্ষিত বলে জানার পরেও সিঁড়ি বেয়ে দুইশ ফুট নিচে নেমে যাবার সাহস হলো না। এ ছাড়া বিশেষ উল্লেখযোগ্য দ্বিতীয় রামেসেসের পুত্র কন্যাদের সমাধিক্ষেত্রটি পঞ্চম গুহায়। উপত্যকার সবচেয়ে বড় এই সমাধিমন্দিরে কক্ষের সংখ্যা মোট একশ ত্রিশটি তবে বর্তমানে সত্তুরটিতে দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারেন। আরো ষাটটির উন্মোচন এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে খনন কাজ চলছে। দীর্ঘতম এবং অন্যতম গভীর সুড়ঙ্গে প্রবেশ না করে তুলনামূলকভাবে অগভীর তিন চারটি সমাধি মন্দির দেখেই ভ্যালি অফ দ্য কিংম সফর শেষ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। 

  দেযাল হায়রোগ্লিফিক লিপি

অর্ধবৃত্তাকারে ছড়িয়ে থাকা পাহাড়ের তলায় খানিকটা দূরে দূরে তিনটি চিহ্নিত গুহামুখ দিয়ে প্রবেশ করতে হবে তিন হাজার বছর আগের এক সমৃদ্ধ জগতে। সম্রাট তৃতীয় রামেসেসের সমাধি মন্দিরের প্রবেশ পথের সামনে বোর্ডে লেখা কেভ নং-১১, রামেসেস-৩! গুহামুখের লম্বা বাধানো বেদীতে বসে শর্টস পরা দুই শ্বেতাঙ্গ তরুণ তরুণী পানির বোতল উপর করে গলায় ঢালছে। বাইরে রোদের তাপ আর ভেতরে সিঁড়ি ভাঙার ক্লান্তি দেখে মনে পড়লো হোটেল থেকে পানির বোতল নিয়ে বেরোবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভুলে গেছি,  এখন আর কিছু করার নেই। পাতালরেলের স্টেশনে ঢুকবার মতো খোলা অংশটি দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো কাঠের দীর্ঘ সিঁড়ি নিচে নেমে গেছে। রামেসেস থ্রির গভীরতা কম হলেও প্রায় ২৫ মিটার। যেখানে আমাদের ভূগর্ভস্থ রেলস্টেশনগুলোর গভীরতা ১৫ থেকে ২০ মিটারের বেশি নয়, সেখানে আধুনিক প্রযুক্তিবিহীন তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরীয়রা সভ্যতার কোনো স্তরে পৌঁছে মাটির নিচে এই সম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল! 

 

সিঁড়ি ভেঙে প্রথম করিডোরে পৌঁছালে দুদিকের দেয়ালে দেবী মাআত হাঁটু গেড়ে বসে অভ্যাগতদের ডানার নিচে আশ্রয় দিচ্ছেন। এরপর থেকে দীর্ঘ দেয়ালে উৎকীর্ণ দেব-দেবী, প্রাণী ও সরিসৃপ এবং দাস দাসীদের চিত্রকর্মে বিষয় এবং রঙের বৈচিত্র্য বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। করিডোরে দর্শনার্থীরা স্রোতের মতো আসা যাওয়া করছে। দ্বিতীয় করিডোর পেরিয়ে বাঁ দিকের তৃতীয় পাশ্ববর্তী কক্ষে দেখা দেন নীল নদের দেবতা। তাঁর মাথার দুদিকে ভুট্টার মতো কান, তিনি আরাও রাজকে সাতটি ঊর্বরতা উপহার দিচ্ছেন। ধারণা করা যায় এখনকার মতো প্রাচীন কালেও নীল নদের দেবতার আশীর্বাদেই চাষাবাদ হতো মিশরের ঊষর মাটিতে! এরপর ডান দিকের চতুর্থ কক্ষটি ছিল সম্রাটের অস্ত্রাগার। তবে অস্ত্রভাণ্ডারও শিল্প সুষমা থেকে বঞ্চিত হয়নি। এখানেও রয়েছে পবিত্র কালো ষাঁড় মেরি এবং কালো গরু হেসির দেয়ালচিত্র।  

 

যদিও গবেষকদের ধারণা অন্য অনেক সুড়ঙ্গ দেয়ালের তুলনায় এগারো নম্বর সমাধি মন্দিরে রিলিফের কাজ তেমন উল্লেখযোগ্য নয়, কিন্তু যে কয়েকটি কাজের নমুনা এখানকার দেয়ালে ছড়িয়ে আছে তার রঙ ও রূপের তুলনাও সারা বিশ্বে খুব একটা নেই। সবচেয়ে বড় বিস্ময়, এখানে দেয়ালে এবং সিলিংয়ে আঁকাআঁকির কাজে যে রঙ ব্যবহার করা হয়েছিল তার উজ্জ্বলতা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর পরেও এতোটুকু ম্লান হয়নি! 

চতুর্থ করিডোরের দেয়ালে চিত্রিত হয়েছে সূর্যের পথযাত্রা। এই পথে চারটি স্তম্ভের ভেতর দিয়ে ঢালু পথে খানিকটা এগিয়ে গেলেই ষষ্ঠ প্রকোষ্ঠে। এখানে নানা গুণে গুণান্বিত দেবতারা মহামহিম সম্রাটকে ঘিরে রেখেছেন। সপ্তম কক্ষের ডান দিকে রয়েছে থোথের পরিচালনায় ফারাও সম্রাট তৃতীয় রামেসেসের প্রতিকৃতি এবং বাজপাখির মাথাওয়ালা হারখেন তেখতাইয়ের চিত্র। বাঁ দিকের দেয়ালে ফারাও সম্রাট দেবতা ওরিসিসের কাছে উপস্থাপন করছেন সত্যের প্রতিরূপ। দীর্ঘ পথের শেষ প্রান্তে দশম কক্ষে এক সময় ফারাও তৃতীয় রামেসেসের শিলালিপি খোদিত পাথরের শবাধার রক্ষিত ছিল বলে জানা যায়। বর্তমানে সম্রাটের মমিটি মিশরের জাতীয় জাদুঘরে স্থান পেলেও শবাধারটি কোথায় তা জানতে পারিনি। 


আমরা যখন আবার কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে এসেছি তখন গুহামুখে এক অশিতিপর বৃদ্ধ দম্পতি নিচে নামবেন কিনা এই দ্বিধা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইজ ইট ওয়র্থ ভিজিটিং?’ বললাম, ‘আই থিংক সো। ভ্যালি অফ দ্য কিংস-এ এসে ভূগর্ভের গভীরে অন্তত দু তিনটি সমাধি ক্ষেত্র দেখে না গেলে তোমাদের মিশর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।’ ‘উই উইল ট্রাই টু মেক ইট। থ্যাঙ্ক ইউ।’ আমি বললাম, ‘ইউ আর স্টিল ইয়াং এনাফ টু মেক ইট!’


বৃৃদ্ধ দম্পতি খুশি হয়ে নিচে নামতে শুরু করলে আমরা পরবর্তী সমাধি মন্দিরে যাবার পথে ভাবছিলাম, এই যে জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও অভিজ্ঞতায় নতুন কিছু যুক্ত করার যে আকাক্সক্ষা এইটুকুই তো জীবন!   

 

 

চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান