শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

মেঘালয় রাজ্যের মহেশখোলা গ্রামের শরণার্থী শিবিরে বাবা-মা-ভাইবোনকে নিয়ে চলে এসেছে মোস্তফা। গারো পাহাড় এলাকার গ্রামটি নিজেদের নেত্রকোণা সীমান্ত থেকে অনেকদিন দেখেছে। তাকিয়ে দেখা মাত্র। ঢুকতে পারেনি কোনোদিন। এবার মুক্তিযুদ্ধ সময়ের শরণার্থী হয়ে ঢোকা একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এত সবুজ, সুন্দর পাহাড়ি এলাকার চারদিকে তাকিয়ে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাবাকে বলে, এলাকাটি তোমার পছন্দ হয়েছে?

-পরের দেশে ভিটেমাটি ছেড়ে এসেছি, নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য। এখানে শরণার্থী হয়ে থাকব না। যুদ্ধ করার জন্য ট্রেনিং নিব। তোকেও সঙ্গে থাকতে হবে।
-যুদ্ধ আমি করব আব্বা। আপনাকে করতে হবে না।
-আমিও করব। বসে বসে ভাত গিলব না।
গোলাম রসুল রূঢ়ভাবে কথা বলে। পাশে বসে থাকা তিন ছেলেমেয়ে বলে, আমরাও করব। আমরাও যুদ্ধ করব আব্বা।
-হ্যাঁ করবি। করতে হবে।

ওদের মা আমিনা খাতুনও বলে, আমিও যুদ্ধের কাজ করব। কি করতে হবে তুমি আমাকে তার হুকুম দিও।
-আমাদের যোদ্ধারা আহত হলে তুমি তাদের দেখাশোনা করবে।
-আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি পারব করতে।

শরণার্থীদের যারা দেখাশোনা করছে তারা মোস্তফাকে ডেকে বলে, আপনারা এই ঘরে থাকবেন। এটা রাখেন। এটা আপনাদের শরণার্থী কার্ড। এই কার্ড দেখিয়ে খাবার সংগ্রহ করবেন।
ওরা চলে গেলে সবাই মিলে ঘরের সানে এসে দাঁড়ায়। নলখাগড়ার বেড়ার ঘর। আর ঘরের ছাউনি ছিল খড়ের। সবাই মিলে ঘরে ঢোকে। মাটিতে ঘুমাতে হবে। তবে ঘরের চারদিক বেশ বড়। সবাই মিলে মাটির উপর বসে পড়ে। মোস্তফা মাকে বলে, আপনার কি মন খারাপ হয়েছে মা?

-না, মন খারাপ হবে কেন। কতদিন কাটবে এখানে কে জানে? পাকিস্তানিরা যে অত্যাচার শুরু করেছে তার থেকে রেহাই পেতে না এসে উপায় ছিলনা। সবইতো জানিস তুই।
-থাক, এসব কথা আর বলতে হবে না।

গোলাম রসুল সবাইকে থামিয়ে দেয়। বলে, আমি তো তোমাদেরকে বলেছি আমরা ওখানে গিয়ে ট্রেনিং নিব। তারপর অস্ত্র নিয়ে দেশে ঢুকে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। আমাদের কাজ আমাদেরকে করতে হবে। ফাঁকি দিলে হবে না। আমি ঠিক করেছি আমাদের ঘরের চারপাশের সবাইকে নিয়ে একটি ইয়ুথ ক্যাম্প বানাবো। ওখানে ছেলেদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
-তাহলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে নিন। তাদের ছাড়াতো আমরা এখানে ইয়ুথ ক্যাম্প করতে পারবনা।

-হ্যাঁ, ঠিক বলেছ। প্রশিক্ষণতো তাদের সহযোগিতা ছাড়া হবে না। তাদের অনুমতি লাগবে। আমি একটু পরে গিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলব।
-আজকালের মধ্যে বলেন। বেশি দেরি যেন না হয়। অস্ত্র পেলে আমরা যুদ্ধ করব।
-হ্যাঁ, আমি কালকেই যোগাযোগ করব। অস্ত্র পেলে প্রশিক্ষণ শুরু করব। এখন চল দেখি চাল জোগাড়ের ব্যবস্থা করি।
-শুধু চাল।
-বেশি কথা বলবিনা। যা পাবি তা নিয়ে খুশি থাকবি। আমরাতো ইন্ডিয়ানদের উপর বোঝা হয়েছি। ভুলে যাস কেন?
-ভুলিনা। সবসময় মনে রাখি। মাঝে মাঝে ইন্দিরা গান্ধীকে দেখার খুব ইচ্ছা হয়। তিনি আমাদের মায়ের মতো।
-আমি তাকে মা ডাকি। সবার সামনে না। নিজেদের মধ্যে।
-ঠিকই আছে।
-চলেন যাই। আমারও মনে তিনি আমাদের একজন মা না। তিনি আমাদের সামনে পাঁচশ মা মিলিয়ে একজন। এত তাঁর শক্তি।
-বাব্বা, দারুণ কথা বলেছ। এখন থেকে ইন্দিরা গান্ধী না বলে, ইন্দিরা-মা বলব। আমরা সবার সামনে বলব তিনি শরণার্থীদের মা। সবাই মিলে মা ডাকব।
-হ্যাঁ, ঠিক ঠিক।
শরণার্থীদের হাতে তালি বাজতে থাকে।
-এই তালি আজ আমাদের উৎসব।
-আমরা খেয়ে, না খেয়ে, দিন কাটাব। এই বিষয় মেনে নিয়ে আমাদের এখানে থাকতে হবে।
-চুপ কর। এসব কথা বলবিনা।
-আমরা এখানে দেশের স্বাধীনতার জন্য এসেছি। সবকিছু মেনে নিয়ে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে একদিন ফিরে যাব।
-সবাইতো ফিরে যেতে পারবেনা।
-অবশ্যই পারবেনা। আমিও না ফিরতে পারি। স্বাধীনতার জন্য মৃত্যু হলে আমি গৌরব বোধ করব। যুদ্ধে মৃত্যু হওয়া স্বাধীনতার স্বপ্ন।
-আমরা সবাই যুদ্ধ করব।
-পাকিস্তানি সেনাদের মেরে ভূত বানাব।
-ভূত বানাবি কেন? ভূততো আর একরকম শয়তানি করবে। ভূত না বানিয়ে মাটির নিচে দাবায়ে রাখ। আর উঠতে পারবেনা। মাটির সঙ্গে গাদিয়ে থাকবে।
-তাইতো, ঠিক বলেছেন। আমরা এক জায়গায় ফেলেও রাখতে পারি। চিল-শকুন এসে খুবলে খাবে।
-না, পাকিস্তানিরা ওদেরকে খুবলে খেতে দেবেনা। নিজেরাই গণকবরে ঢোকাবে।
-ঢোকাক। ওরাই করুক। আমরা ঝামেলা করব কেন?
-আমরা করতেও পারবনা। ওদের দখল করে রাখা মাটিতে আমরা করব কিভাবে?
-থামুন সবাই। এসব কথা বলতে হবে না। ভুলে গেলে চলবে না যে আমরা শরণার্থী। আমাদের আগে প্রশিক্ষণ হোক। তারপর আমরা যুদ্ধের কথা ভাবব।
-তাতো ঠিকই। এটা আমাদের কথার কথা। আমরা কি চাই সেটাই বলেছি।
-এটা বলতেই হবে। আমাদের স্বপ্ন স্বাধীনতা। যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করতে হবে। শত্রুকে তাড়াতে হবে বাংলার মাটি থেকে। আমাদের সবাইকে যুদ্ধ করতে হবে। আমরা শুধু শরণার্থী হয়ে থাকবনা। দেশ স্বাধীন না হলে বেঁচে থেকে লাভ কি?
সবাই তালি বাজায়। মুখরিত হয়ে ওঠে শরণার্থী শিবির। চারদিকে বয়ে যায় হাততালির ধ্বণি, যেন বাতাসও গৌরব বোধ করছে স্বাধীনতার স্বপ্নে। পাহাড়ের মাথার ওপর দিয়ে দূরে তাকিয়ে থাকে শরণার্থীরা। সবুজ মায়াভরা এলাকা দৃষ্টি জুড়িয়ে দেয়। সবাই দুই হাত তুলে নাড়াতে থাকে। বলে, স্বাগত জানাই এমন চমৎকার পাহাড়ি এলাকাকে। আমাদের স্বাধীনতার পতাকা উড়ছে পাহাড়ের মাথায়।

দুইদিন পর থেকে শুরু হয় প্রশিক্ষণ। তরুণ ছেলেরা কেউ বাদ পড়তে রাজি হয়না। সবাই কয়েকদিনে প্রশিক্ষণ শেষ করে। ওদের সামনে যুদ্ধের চিত্র ভেসে ওঠে। সবাই প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত হয়। অস্ত্র হাতে নিজের শক্তি বাড়ার অনুভব উদ্বুদ্ধ করে ওদের। একসময় প্রশিক্ষণ শেষ হয়। কেউ কেউ বলে, আমরা আমাদের সামনের যে এলাকা পাকসেনাদের হাত থেকে মুক্ত করতে পারব সেখানে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে দেব। আমরা শরণার্থী হিসেবে এসেছি ঠিকই, কিন্তু সবাই মিলে বেশ কয়েকটি স্বাধীন বাংলার পতাকা এনেছি। চারদিকে পতাকা উড়লে লোকে বুঝবে স্বাধীনতার গৌরব অর্জন আমাদের মাথার উপর ঠেকেছে। বেশি সময় লাগবেনা।

অন্যরা একসঙ্গে চেঁচিয়ে বলে, ঠিক বলেছিস, ঠিক বলেছিস। এটাই হবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শক্তি।
শাজাহান একা চেঁচিয়ে বলে, আমরা সবসময় পতাকা সঙ্গে রাখব। পতাকা উড়বেনা, এটা হবেনা।
-হয়েছে, আর বলতে হবেনা। আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করেছি। চল সবাই তাঁবুর ভেতরে ঢুকি।
-না, তাঁবুর ভেতরে ঢুকবনা। সবাই মিলে যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করব। চল সামনে গোল হয়ে বসি। তাঁবুর ভেতর ঢুকলে যে যার মতো একা হয়ে যাব।
সবাই শাজাহানের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়। মাঠের মধ্যে বসে পড়ে। কিবরিয়া উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বলে, আমাদের সামনে সোনালি দিন। স্বাধীন দেশের মাটিতে হেঁটে বেড়াব।
-আমরা কয়জন স্বাধীন দেশে ঢুকতে পারব কে জানে!
-তাতো ঠিকই। স্বাধীনতার জন্য শহীদ হতে হবে আমাদেরকে।
-যুদ্ধ! যুদ্ধ! জোর সাহসে করতে হবে। মরব না বাঁচব এতকিছু ভাবতে হবে না।
-ঠিক-ঠিক। আমাদের লক্ষ্য থাকবে স্বাধীনতা। আমাদের এখন নিজেদেরকে বোঝাতে হবে যে কমান্ডার যা নির্দেশ দেবেন আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করব।
-আয় সবাই মাটিতে হাত রাখ। মাটি ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করব।
-এ মাটিতো আমাদের নয়।
-এ মাটি আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ মাটি আমাদের বিশাল বন্ধুত্বের মাটি।
-ঠিক, ঠিক।
সবাই মিলে ডান হাত চেপে ধরে মাটির ওপর।
-কঠিনভাবে যুদ্ধ করব আমরা। দেশ স্বাধীন হলে তোমার পায়ে মাথা ঠেকিয়ে চলে যাব আমরা। সোনার মাটি আমাদের ভালোবাসা নাও। সকলেই এই উচ্চারণ জোর বাতাস বয়ে যায় মাথার ওপর দিয়ে, যেন শরণার্থীর এই উচ্চারণ পৌঁছে যাচ্ছে সব শরণার্থী ক্যাম্পে। সবার বুকের ভেতর প্রতিজ্ঞার আলোড়ন।

সন্ধ্যা হলে যে যার তাঁবুতে চলে যায়। আজ কারো তাঁবুতে রান্না হয়নি। চাল ছিলনা। সময়মতো চাল জোগাড় করা হয়নি। খাবারের কথা চিন্তা না করে যে যার মতো শুয়ে পড়ে। খিদায় পেট চনচন করে। তাই ঘুম আসেনা। মোড়ামুড়ি করে তাঁবুর ভেতরে গড়াগড়ি দিতে দিতে রাত ফুরোয়।

পরদিন পাকিস্তানি ক্যাম্প আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনভর আলোচনা হয় কিভাবে কোনপথে আক্রমণ শুরু হবে। সবাই উত্তেজিত হয়ে আলোচনায় অংশ নেয়। যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়ে দিনভর ঘুরে বেড়ায় চরদিকে। কারণ সিদ্ধান্ত হয় রাত্রে আক্রমণ শুরু হবে।

রাত বারোটার পরে ফায়র ওপেন করা হলো। সঙ্গে সঙ্গে পাক সেনাদের ক্যাম্প থেকেও গুলি ছোঁড়া শুরু হলো। মিটমিটে আলোয় ওদের ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের টার্গেট ওই ক্যাম্প। ওদের গুলি ছোঁড়ার পরেই পাক সেনারা বেরী লাইট ছুঁড়তে শুরু করল। বেরী লাইট ছুঁড়লে তার আলোতে চারদিকের সবকিছু স্পষ্ট দেখা যায়। যতক্ষণ উপরে থাকে ততক্ষণ জ্বলে মাটিতে পড়ে গেলে নিভে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা বেরী লাইট জ্বলে উঠলে গাছের আড়ালে মাটিতে শুয়ে পড়ে। আলো নিভে গেলে আবার গুলি চালাতে শুরু করে। পাকসেনারা বেরী লাইট ছুঁড়ে আর গুলি করেনা। কোনদিকে থেকে গুলি আসছে তা আলোতে দেখে নেয়। তারপর অন্ধকার হলেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। সেই জায়গা লক্ষ্য করে যে জায়গা আলোতে দেখেছে। এটা ওদের কৌশল। মুক্তিযুদ্ধের সুবেদার হান্নান অন্ধকারে সব পজিশনের খোঁজখবর নিতে থাকেন। সেদিনও তিনি সবাইকে বললেন, দেখেশুনে ভালোভাবে আড়ালে যাও। কারো গায়ে যেন গুলি না লাগে। সবাই সতর্কতার সঙ্গে চারদিকে খেয়াল রাখ। আজ আমরা এখানে আমাদের পতাকা উড়াব। তার আগে শেষ করব সব কয়জন পাকসেনাকে। আমাদের দেশের মাটিতে ওরা দাপট দেখাচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে প্রচুর গুলি ছোড়া শুরু হলো। পাকসেনারা হঠাৎ করে মর্টার ছুঁড়তে আরম্ভ করল। মুক্তিযোদ্ধারা বুঝতে পারল ওদের মর্টার ছোঁড়ার কোনো লক্ষ্য স্থান নেই। যেভাবে পারছে ছুঁড়েই যাচ্ছে। কোনো কোনো শেল গাছের ডালে বাড়ি খেয়ে সেখানেই ব্লাস্ট হয়ে ডালপালাসহ মাটিতে পড়তে লাগল। বোঝা যায় ওদের গোলাগুলি হয়তো ফুরিয়ে গেছে। কিংবা কম আছে। সেজন্য এমনভাবে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা খুশি যে পাক সেনারা রাইফেল, গ্রেনেড ব্যবহার করল না।

সুবেদার হান্নান সবাইকে বলে, দুই ঘণ্টার বেশি সময় আমরা পাকসেনাদের ঠেকিয়ে রেখেছি।

-রাখবইতো। আমরা যে স্বাধীনতার সৈনিক। আমরা অন্যে দেশ দখল করার চেষ্টায় নাই।

সবাই মিলে চেঁচিয়ে উঠে বলে, আমাদের স্বপ্ন স্বাধীনতা-স্বাধীনতা। জয় বাংলা ‘জয় বাংলা’। চারদিকে ধ্বণিত হয় শব্দের রেশ। সবাই মিলে দেখতে পায় মুক্তিযোদ্ধাদের ছোঁড়া মর্টারগুলো আঘাত করছে পাকসেনাদের ক্যাম্প। ক্যাম্পের টিনের চাল ঝাঁঝরা হয়ে গেছে শেলের আঘাতে। বেরী লাইটের আলোতে দেখা যায় ক্যাম্পের বিধ্বস্ত অবস্থা। আশেপাশে পড়ে আছে লাশ।
সুবেদার হান্নান সবাইকে বলে, পিছিয়ে যাও। এখানে দাঁড়িয়ে আর গুলি করার দরকার নাই। আমরা জিতে গেছি।

সবাই মিলে একসঙ্গে চেঁচিয়ে ওঠে, হুররে, হুররে, আমরা স্বাধীনতার সৈনিক। আমরা শুধু শরণার্থী না, আমরা হলাম গ্রেনেড, মর্টার, রাইফেল, মাইন এমন সব অস্ত্র-হুররে-হুররে। আমরা অস্ত্র।
সুবেদার হান্নান ওদের কথায় হাসে। ভাবে, এমন উচ্চারণ তারুণ্যের শক্তি।

মনসুর বলে, স্যার আমরা পতাকা উড়াতে যাব না?

-যাব, কিন্তু আর একটু পরে। দেখে নেই কোথাও কেউ লুকিয়ে আছে কিনা।
আবার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ ‘জয় বাংলা’

বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরে সুবেদার হান্নান বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে এগিয়ে যায়-পেছনে সবাই।
বিধ্বস্ত ক্যাম্পের মাঝে উড়িয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশের পতাকা। গেয়ে ওঠে সবাই -‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’.....। মুখস্ত নেই সেজন্য এক লাইনের বেশি গাওয়া হয় না। আবার স্লোগানে মেতে ওঠে সবাই ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’।

ওরা এই স্লোগান দিতে দিতে ফিরে এলে আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয়রা বলে, এই মানুষটির জন্য তোমরা স্বাধীন দেশ পাচ্ছ। ওরাও স্লোগান দেয় ‘জয় বাংলা-জয় বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধারা লাফাতে থাকে ওদের স্লোগান শুনে।

মুরশিদ পেছনে পেছনে আসছিল। হঠাৎ ওর মনে হলো আশেপাশের সবুজ জমিন থেকে কোঁ-কোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছে। ওর মনে হয় কেউ বোধহয় আহত হয়ে পড়ে আছে। নইলে এমন শব্দ শোনা যেতনা। লম্বা লম্বা ঘাসের ভেতর পা ঢুকিয়ে ও শব্দের দিকে এগিয়ে যায়। অল্পক্ষণেই দেখতে পায় একজন আহত হয়ে পড়ে আছে। মুরশিদকে দেখেই দু’হাত উপরে তুলে বলে, আমি উঠতে পারছি না। হেঁটে যেতে পারবনা। আমার নাম আলম।

- হ্যাঁ, জানি। আমি তোমাকে চিনতে পারছি। তোমাকে কিভাবে এখান থেকে সরাব তাই ভাবছি।
আলম কঁকিয়ে বলে, আমার পায়ে গুলি লেগেছে।
-ওহ্, বুঝতে পারছি।

মুরশিদ নিজের কোমরের বাঁধা গামছাটা খুলে আলমের দুহাত একত্র করে বাঁধে। জড়ানো দুহাতের মধ্যে নিজের মাথা ঢুকিয়ে আলমকে পিঠের ওপর টেনে নেয়। তারপর হামাগুড়ি দিয়ে এগোতে থাকে। ঠিকমতো এগনো যায়না। চাপাশের ঝোপঝাড়, আগাছা ভর্তি এলাকা সুবজ মনোরম, কিন্তু এগোতে গেলে বিভিন্ন জায়গায় পা আটকে যায়, কখনো হাতের রাইফেলের ব্যারেল আটকে যায়। ছাড়িয়ে নিয়ে এগোতে হয় বলে যাওয়ার গতি কমে যায়। আলম মৃদু স্বরে বলে, আমাকে ফেলে দে ভাই?

-বলিস কি? তুই স্বাধীন দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধা তোকে ফেলে দেব কেন?
-তোর কষ্ট হচ্ছে। আমি মানতে পারছিনা।
-চুপ করে থাক, বেশি কথা বলবিনা। এটা কোনো কষ্ট না। এটা আমাদের সবার স্বাধীনতার স্বপ্ন। কষ্ট শব্দ বলবি না।
-বাবারে বাবা, তুই এতকিছু বুঝতে পারিস।
-বুঝবোনা কেন? তোকেও বুঝতে হবে।
-জয় বাংলা।

ও সোচ্চার কন্ঠে ধ্বণিত করে জয় বাংলা। আমিও ওর সঙ্গে জয় বাংলা বলতে থাকি। দুজনের কন্ঠস্বর আগাছামন্ডিত সবুজভূমিতে তরঙ্গ তোলে। একটু আগে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসার পথে যেসব বাধা পেয়েছিলাম তার অনুভব কেটে যায়। কেটে ফেলা ঝোপের ধারালো শাখার ছোঁয়ায় হাতে এবড়োখেবড়ো দাগ পড়ে গেছে। ব্যথা হচ্ছে হাতে। কখনো জংলি কাঁটার সাথে জড়িয়ে পড়ি। কি যে বিপদজনক পথ, আসলে এটাতো পথ নয়। আমি পথ মনে করছি কেন? এগিয়ে যাচ্ছি হামাগুড়ি দিয়ে। এটাতো সবুজ বনভূমি। অল্প একটু সময় এগোতেই টের পাই জংলি কাঁটার সঙ্গে জেড়িয় পড়েছি। সামনে এগোতে পারছিনা। পিঠে কাঁটা এমনভাবে আটকে আছে যে সামনে এগোতে পারছিনা। চারদিকের আগাছার মধ্যে আটকে যাচ্ছে পিঠে লেগে থাকা কাঁটা। রাইফেলের ব্যারেলও নানা জায়গায় আটকে যাচ্ছে। আহত আলমকে আমি ঘাসের ওপর শুইয়ে দেই। ও চোখ বুঁজে শুয়ে থাকে। মুখে মৃদু স্বরে কোঁ-কোঁ ধ্বনি করে। আমার কানে সেই শব্দ ঢুকে গেলে আমার পুরো শরীর তোলপাড় করতে থাকে।

আমি চারদিকে তাকাই খুঁজতে থাকি অন্য কেউ আছে নাকি কোথাও। না, কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। কাউকে পেলে আলমকে দুজনে উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। এমন সময় পাকিস্তানি সেনাদের দুটো সেল এসে একটু দূরে পড়ে। মনে মনে ভাবলাম, ওরা কি আমাদের দেখতে পাচ্ছে নাকি? এদিকে সেল ছুঁড়লো কেন? হাতে পারে, আমাদের এখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। আলমকে আবার আমার পিঠে উঠিয়ে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে এগোতে থাকি। অনেকখানি পথ এসে আবার আলমকে পিঠ থেকে নামাই। ওকে বললাম, তোমার গায়ের কোথায় গুলি লেগেছে আমাকে দেখাও। ও চুপ করে থাকে, কিন্তু বলেনা। বিষন্ন মুখে তাকিয়ে থাকে অন্য দিকে। বুক ভেঙে বড় বড় নিঃশ্বাস আসছে। আমি ওর জামার ভেতর হাত ঢুকাই। বুকের ওপর হাত বুলাতে থাকি। একসময় আমার আঙুলের মাথা ওর বুকের ডানদিকের ছোট একটি গর্তে ঢুকে গেল। ও কঁকিয়ে উঠল। আমি সঙ্গে সঙ্গে হাতটা টেনে বের করে ফেলি। বুঝতে পারি গুলি কোথায় লেগেছিল। তারপর ওকে পিঠে নিয়ে আবার যেতে শুরু করি। ঝোপঝাড় পেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাই অনেকে ছুটে আসছে। সবাই মিলে আমাদেরকে তুলে দাঁড় করিয়ে দেয়। হাসতে হাসতে স্যালুট করে। বলে, মুক্তিযোদ্ধাদের হাজার সালাম।

চলবে....

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট