রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

তুমি মায়ের কাছে বস বাবা। আমাকে শরণার্থী কার্ড দাও। আমি ঘুরে দেখে আসি কোথাও কিছু খাবার পাই কি না। এই যে ট্রানজিস্টারটা রেখে গেলাম। নিউজ শোন। নতুন কিছু খবর থাকলে আমাকে জানিও।

– আচ্ছা যা, তাড়াতাড়ি ঘুরে আয়।

– মাকে ঘুম থেকে জাগিওনা বাবা। মা জেগে উঠলে তখন কথা বলবে। আনজুমও যেন মাকে ডিস্টার্ব না করে।

– ঠিক আছে, আমি তাঁবুর বাইরে এখানে বসে থাকছি। তুই খাবার নিয়ে ফিরে আয়, এই দোয়া করি।
অঞ্জন হনহনিয়ে হেঁটে যায়। ফুটে ওঠে নিজের ডাক্তারি সত্তা। চারদিকে তাকায়। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পে আনেনিতো? যাক, খুঁজতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটা হোক ওর যুদ্ধ। যশোর রোডে দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকায়। দেখতে পায় মারুফ এগিয়ে আসছে ওর দিকে। সীমান্তে পরিচয় হওয়ার পর থেকে মারুফকে ওর পছন্দ হয়েছে। বন্ধুত্বের অনাবিল আঁচ আছে ওর মধ্যে।

– কোথায় যাচ্ছেন অঞ্জন ভাই?

– যশোর রোডেই আছি। দূরে কোথাও যাব না। বাবা-মা-বোন ক্ষুধায় কাতর হয়ে আছে।

– ও তাই। চাল-ডাল পাননি?

 

– না, পাইনি।

– কোথা থেকে নিতে হবে সেখানে আপনাকে নিয়ে যাই।

– চলো, চলো। থ্যাঙ্ক ইউ মারুফ।

মারুফ হেসে অঞ্জনের হাত ধরে। আজ যশোর রোডে কোনো গাড়ি নেই। হাত ধরে নিয়ে যায় মারুফ। একজন ডাক্তার বন্ধুর হাত ছেড়ে দেয় না। ভারতীয় বন্ধুদের স্টক থেকে চাল-ডালসহ সবকিছু নিয়ে ফিরে আসে দুজনে। রান্নার জন্য দুটো মাটির হাঁড়ি সংগ্রহ করে অঞ্জন। হঠাৎ মনে হয় মাতো বেশকিছু হাঁড়ি, প্লেট, গ্লাস এনেছে।

মারুফ বলে, চলেন আমার তাঁবুতে। ভাত-তরকারি রান্না আছে।

– তাই! তাহলেতো খুব ভালো। তাবুতে গিয়ে মা-বোনকে ভাত খাওয়াব। মা পরে রান্না করবে।
দুই মাটির হাঁড়িতে অঞ্জনকে ভাত-তরকারি দেয় মারুফ।

– সব দিয়ে দিলে যে?

– এখনই আবার রান্না হবে। পাশে দাঁড়িয়ে ওর বউ বলে, আমরা এভাবে সহযোগিতা করতে ভালোবাসি।

– তাহলে যাই। আমি থাকলে রান্না হতে দেরি হবে।

– আবার দেখা হবে অঞ্জন ভাই।

– কারো শরীর খারাপ হলে আমাকে খবর দিও।

– হ্যাঁ, দিবো। আপনি এখন আমাদের বড় ভরসার মানুষ।

অঞ্জন হেসে বেরিয়ে আসে। বেশ কিছুদূর হেঁটে আসার পরে দেখতে পায় একজন বৃদ্ধ গাছের নিচে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। আশেপাশে কেউ নেই। অঞ্জনের মাথা ঝমঝমিয়ে উঠে। পাশে বসে নাকে হাত দিলে বুঝতে পারে বেঁচে নেই। নিজের হাতের জিনিসপত্র বাড়িতে রেখে আবার আসবে এই চিন্তায় দ্রুত হেঁটে তাঁবুতে যায়। বাবার হাতে খাবার আর চাল-ডাল দিয়ে বলে, মা কি উঠেছে?

– হ্যাঁরে উঠেছি বাবা। আয় ভেতরে আয়। খালিদা ছেলের গায়ে হাত রেখে বলে, বস।

– না মা, এখন বসবনা। রাস্তার ধারে দৌড়ে যাব। একজন মানুষ পড়ে আছে সেখানে। দেখব কি হয়েছে। তোমরা ভাত খাও।

তোজাম্মেল তাঁবুর ভেতর মাথা ঢুকিয়ে বলে, আমি যাব তোর সঙ্গে?

– না, বাবা। তুমি ভাত খাও। আমি একটু পরে ফিরে আসছি।

তাঁবুর ভেতর থেকে বেরিয়ে ও দ্রুতপায়ে হাঁটে। চারদিকে তাকালে বুকের ভেতর অমিয়ার ছবি ভেসে ওঠে। ভারতে আসবে একথা ওকে বলা হয়নি। ও কোথায় আছে তাও জানেনা। অঞ্জন নিজেকে ধমকায়। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে ও কেন অমিয়ার কথা ভাবছে। গাছতলায় পৌঁছালে একজন মৃত মানুষকে দেখবে। ও নিজের ভেতরের সবকিছু ঝেড়ে ফেলে ছুটে এসে বসে পড়ে বৃদ্ধের কাছে। ভাবতে থাকে, তার সঙ্গে কেউ কি শরণার্থী শিবিরে আসেনি? কেন কেউ খোঁজ করছে না তার? ও একটুপরে উঠে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে চারদিকের লোকজনকে হাত ঈশারায় ডাকে। মানুষেরা এগিয়ে আসে।

– কি হয়েছে?

সমবেত কন্ঠের জিজ্ঞাসা।

– আমি ডাক্তার। যশোর রোডের শরণার্থী। ওনাকে পড়ে থাকতে দেখে চেক করলাম। উনি মারা গিয়েছেন।
চারপাশের দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন জিজ্ঞেস করে, ওনার কি কেউ নেই?

– আমিতো জানিনা।

– তাহলে আমরা কয়েকজন যশোর রোডের এদিক-ওদিক গিয়ে খোঁজ করি যে ওনার কেউ আছে কিনা। একজন বুড়ো মানুষ ছাড়া আমরা কিছু বলতে পারবনা। ওনার নামওতো জানিনা।

অঞ্জন মাথা নেড়ে বলে, গিয়ে দেখেন। জিজ্ঞেস করেন বিভিন্নজনকে। তারা এসে ওনাকে দেখুক। এই খবর পেয়ে লোক চলাচলে সরগরম হয়ে ওঠে যশোর রোড। ছুটতে ছুটতে আসে অনেক মানুষ। কেউ তাকে চিনতে পারেনা। মারুফ বলে, তিনি হয়তো একাই এসেছেন। হাঁটতে হাঁটতে এসে এখানে হয়তো পড়ে গেছেন। কিংবা ওনার কেউ কলকাতায় যেতে পারে। ওনাকে এখানে থাকতে বলে গেছে।

সবাই মিলে জোরে জোরে বলে, আমরা এখন কি করব?

মারুফ বলে, ওনাকে এখানে ঢেকে রেখে দেই আমরা। কেউ যদি খোঁজ করতে আসে, সেজন্য। না আসলে কাল সকালে ওখানে কবর দেয়ার ব্যবস্থা করব।

– ভালো সিদ্ধান্ত। আজকেতো বিকেল হয়ে গেছে। একটুপরে রাত নামবে। অঞ্জন আপনি এখানে অপেক্ষা করেন। আমি একটা মাদুর জোগাড় করার ব্যবস্থা করছি। চলেন সবাই।

মারুফ কথা বলে এগিয়ে যায়। একজন মৃত মানুষকে আগলে রেখে বসে থাকে অঞ্জন। চারদিকে তাকায়। কেউ এখানে আসছে কিনা দেখতে চায়।

কিছুক্ষণ পর দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আসে। যশোর রোডের সীমান্তের দিক থেকে নয়, উল্টো দিক থেকে আসছে। ওরা হয়তো দূরে কোথাও গিয়েছিল। ওদের দৌড়ে আসার গতি বিস্মিত করে অঞ্জনকে। ওর মনে হয় ওরা বাবাকে খুঁজতে আসছে। নাকি অন্য কোথাও যাবে? অল্পক্ষণে ওরা পৌঁছে যায় ওদের কাছে। দাঁড়িয়ে থেকে চিৎকার করে, বাবা, বাবা–

অঞ্জন নিজেও উঠে দাঁড়িয়ে বলে, তোমাদের বাবা মারা গেছেন। আমি ওনাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ওনাকে আগলে রেখে বসে আছি।

ওরা চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। চারদিক থেকে অন্যরা এসে জড়ো হয়।

বড় ছেলে সুরঞ্জন কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমরা বাবার জন্য খাবার খুঁজতে গিয়েছিলাম। অঞ্জন বলে, আমি ডাক্তার। ওনাকে পড়ে থাকতে দেখে কাছে এসে চেক করে দেখলাম উনি মারা গেছেন।

তখন মাদুর নিয়ে মারুফ আসে। মাদুর কাছে রেখে ওদের পাশে বসে পড়ে। অঞ্জন বলে, এরা এনার ছেলেমেয়ে।

– আমার বাবার নাম নিরঞ্জন বসু। আমি সুরঞ্জন, ও আমার ছোটভাই দেবপ্রিয়, আর আমাদের ছোটবোন মধুমালা। আমি পড়ালেখা শেষ করেছি। ওরা দুজন কলেজে পড়ে।

কথা শেষ করে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে তিনজন। মধুমালা বাবার গায়ের ওপর গড়িয়ে পড়ে বাবা, বাবা বলে চিৎকার করে। দুই ভাই ওকে টেনে তুলে বসিয়ে দেয়। সুরঞ্জন মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, এখন আর কাঁদিসনা বোন। বাবাকেতো আমরা চিতায় তুলতে পারবনা। কি করব ভাবতে হবে। অঞ্জনদা আপনি কি বলেন?

– আমি কিছু বলতে পারবনা। এমন মৃত্যুতো আমি দেখিনি। দেশে হলে আমরা শ্মশানে নিয়ে যেতাম। বিদেশের মাটিতে আমরা কি করব? এটাতো একটা রাস্তা এখানে শ্মশান ঘাট নাই।

মারুফ এতক্ষণ চুপ করেছিল। অঞ্জনের কথা শেষ হলে বলে, আমার মাথায় একটা চিন্তা এসেছে।
মধুমালা কাঁদতে কাঁদতে বলে, কি চিন্তা দাদা?

– এখান থেকেতো আপনারা বাবাকে নিয়ে কোথায় যেতে পারবেন না।

– হ্যাঁ, তা পারবনা। আপনার চিন্তার কথা বলেন?

– আমি ভাবছি ওনাকে সামনের নদীতে ডুবিয়ে দেব। তাঁকেতো চিতায় ওঠানো হবেনা, সেজন্য নদীতে ডুবিয়ে দেব। তিনি জলের মধ্যে ডুবে থেকে নদীর মাটিতে তলিয়ে যাবেন।

সুরঞ্জন কান্না থামিয়ে বলে, আপনি ভালো চিন্তা করেছেন দাদা। চলেন আমরা বাবাকে নিয়ে নদীর ধারে যাই। সূর্য এখনো ডোবেনি। একটুপরে ডুবে যাবে।

– আমার কাছে একটি মাদুর আছে। ওনাকে মাদুরের ওপরে উঠিয়ে আমরা সবাই মিলে ধরে নিয়ে যাব।

– ঠিক, ঠিক কথা মারুফ। মাদুরটা বিছিয়ে দাও। ওনাকে মাদুরের ওপর ওঠাব তুমি আর আমি।

অঞ্জন তিন ভাইবোনকে বলে, তোমাদের ধরতে হবেনা। আমরা দুজনেই পারব।

দুজনে মাথা আর পা ধরে নিরঞ্জন বাবুকে মাদুরের ওপর ওঠায়। তখন সবাই মিলে মাদুরের চারপাশ ধরে রাস্তার উল্টোদিকে নদীর ধারে যায়। নদীর ধারে মাদুরের ওপর রেখে দিয়ে তিন ভাইবোন বাবার মরদেহ নিয়ে প্রার্থণা করে। নদীর স্রোতের কুলকুল ধ্বনি কান্নার ধ্বনি হয়ে যায় সবার কাছে। বাবাকে চিতায় ওঠানো হলোনা এজন্য তিন ভাইবোন আবার কাঁদতে শুরু করে। কাঁদতে কাঁদতে তিনজনই মরদেহ নদীতে নামায়। স্রোতের টানে ডুবে যায় লাশ। সবাই জানে কিছুদূর গিয়ে ভেসে উঠবে। তারপর আবার তলিয়ে যাবে।

মধুমালা বলে, আমরা কি নদীর ধার দিয়ে হেঁটে যাব। দেখব কতদূর গিয়ে ভেসে উঠবে বাবা?

অঞ্জন বলে, এটা ঠিক হবে না। একটুপরই অন্ধকার হয়ে যাবে চারদিক। আমাদের যার যার তাঁবুতে ফিরে যাওয়া উচিত।

আবার কান্নার তোলপাড় ওঠে। মধুমালা নদীর পানি দিয়ে নিজের মুখ ধোয়। অন্যরাও মুখে পানি দেয়। বলে, এই জলে ভেসে যাও বাবা। এই জল বাবার ভালোবাসা। অঞ্জন সুরঞ্জনের মাথায় হাত রেখে বলে, ঠিক আছে তোমরা এখানে কিছুক্ষণ হাত রাখ। আমরা যাচ্ছি।

ওরা কথা বলেনা। অঞ্জন আর মারুফ চলে আসে। একটুখানি এসে, আবার নদীর দিকে তাকিয়ে দাঁড়ায়। সূর্যের শেষ অপরূপ আলোর দিকে তাকিয়ে অঞ্জনের বুকে স্বাধীনতার ছবি ফুটে ওঠে। ভাবে, এই আলোতে জ¦লজ¦ল করছে বঙ্গবন্ধুর চেহারা। অন্যদিকে একজন মানুষ যুদ্ধের শরণার্থী হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। অঞ্জন নিজেকে বিড়বিড়িয়ে বলে, মৃত্যু ও স্বাধীনতা একই আলোর ছায়া। নদীর বুকে এই ছায়া শরণার্থী শিবিরে সবখানে স্বাধীনতার আলো ফেলে।

অঞ্জন হাঁটতে হাঁটতে ফিরে আসে নিজের তাবুতে। মারুফ চলে যায় ওর তাঁবুতে। দুজনে হাত ধরে বলে, মুক্তিযুদ্ধই আমাদের শেষ ঠিকানা।

বাতাসে উড়ে যায় শব্দ মুক্তিযুদ্ধ। শরণার্থী শিবিরে ছেয়ে যায় শব্দের বাতাস।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখতুনখাওয়া প্রদেশে শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। গত তিন দিন ধরে চলা এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫৬ জন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের মাঝে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রদেশটিতে শিয়া যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জনের প্রাণহানির পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বরে শিয়া-সুন্নিদের সংঘর্ষ ও গাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। এই সংঘাতে ১৫৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার প্রদেশের কুররাম জেলার প্রায় ৩০০ পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও ভারি অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছেন স্থানীয়রা। তবে রোববার সকালে নতুন করে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কুররাম জেলাজুড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতীতে খাইবার পাখতুনখোয়ার এই জেলা আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ছিল; যেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

গত মাসে কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে তিন নারী ও দুই শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে একই ধরনের সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম