শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

রাস্তায় যাতায়াতের সময় আজিমপুর কবরস্থান দেখা হয়েছে। কিন্তু কাউকে দাফন করার জন্য এখানে আসা হয়নি। আজকে এটিও জীবনে নতুন ঘটনা। কবর দেওয়ার পরে অন্যরা চলে গেলে অঞ্জনের মনে হয় দ্রুত বাড়ি যাওয়ার ওর দরকার নেই। ঘুরে ঘুরে প্রতিটি কবর দেখবে। ও হাঁটতে থাকে। একসময় বড় একটি গাছের নিচে বসে বাতাসে শ্বাস টানে। মনে হয় মৃত ব্যক্তিদের শেষ নিঃশ্বাস এখানে বাতাসের সঙ্গে ভাসছে। ও সিদ্ধান্ত নেয় যে, কোনো কারণে মন খারাপ হলে এখানে এসে ওই কোনার জায়গায় বসে থাকবে। মৃত মানুষদের সঙ্গে কথা বলবে। ওদের কাছ থেকে কথা শুনতে পাবে না, কিন্তু বলে যাবে আবেগের কথা। দোয়া করবে মৃত মানুষের শুভকামনায়।

একসময় নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ায়। এসব অর্থহীন ভাবনার মানে কী–নিজেকেই জিজ্ঞেস করে। কিন্তু কোনো উত্তর পায় না। দ্রুত পায়ে বেরিয়ে আসে কবরস্থান থেকে। নিজেকেই বলে, আজকের স্মৃতি আমার অভিজ্ঞতার সঞ্চয়। এসব ভাবনা মাথায় নিয়ে রিকশায় উঠে কলেজে চলে আসে। আজকে ক্লাস মিস হয়নি। দ্রুত চলে যায় ক্লাসরুমে। এখন ও ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ক্লাস শেষ হলে বেরিয়ে আসার সময় ভাবে, আগামী বছর ডাক্তার হয়ে যাব। আনন্দ, আনন্দ। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সামনে যুদ্ধ। যুদ্ধে আমি ডাক্তারের কাজ করব। আহতদের চিকিৎসা দিয়ে যুদ্ধের মাঠ পূর্ণ রাখব। হায়, আমার জীবনের স্বপ্ন। ও এসে কমনরুমে ঢোকে। দেখতে পায় অমিয়া বসে চা খাচ্ছে। ও ছাড়া আর কেউ নেই। তাই গিয়ে একই টেবিলে চেয়ার টেনে বসে।

– অঞ্জন ভাই ক্লাস শেষ হয়ে গেছে।

– শেষ না হলে কি এখানে আসতে পারতাম।

– তা তো ঠিকই। ছি ছি আমি একটা বোকা মেয়ে।

– থাক, এভাবে কথা বলবে না। বোকা হলে ডাক্তারি পড়তে আসতে পারতে না।

অমিয়া মৃদু হাসে। কথা বলে না। অঞ্জন বেয়ারাকে ডেকে দু’জনের জন্য চা-সিঙাড়া আনতে বলে।

– আমি তো খেয়েছি।

– আমার সঙ্গে আবার খাবে। তোমাকে চা-শিঙাড়া খাওয়াতে পারা আমার আনন্দ।

অমিয়া মৃদু হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। অঞ্জন মুগ্ধ চোখে তাকায়। ওর দৃষ্টির মুগ্ধতা অমিয়া
বুঝতে পারে। দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেয় অন্যদিকে। এই প্রথম অঞ্জন কাউকে দেখে আবেগতাড়িত হয়। ওর মনে হয় মেয়েটি দেখতে অপরূপ সুন্দরী নয়, কিন্তু চেহারা প্রবলভাবে লাবণ্যময়। তাকালে দৃষ্টি ফিরতে চায় না। পাশাপাশি মেধাবী বোধের ছায়া আছে দৃষ্টিতে। তাকালে মুগ্ধ করে।

অমিয়া বুঝতে পারে যে, অঞ্জনের দৃষ্টিতে ভেসে উঠেছে ভালোলাগার ছাপ। ও বিব্রত হয় না, নিজের ভেতেরও ভালো লাগার অনুভব টের পায়। এর মধ্যে বেয়ারা চা-সিঙাড়া নিয়ে আসে। অঞ্জন ওর দিকে তাকিয়ে বলে, দু’জনে একসঙ্গে খাব। তুমি যখন সিঙাড়ায় কামড় দেবে, আমিও দেব। তুমি যখন চায়ের কাপে চুমুক দেবে আমিও দেব।

– ভাগ্যিস ঘরে আর কেউ নেই। প্রত্যেক টেবিলে অন্যরা থাকলে সবাই হাসত।

অঞ্জন হেসে বলে, ওরা বলত অঞ্জনের মুগ্ধতাকে অভিনন্দন জানাই। তারপর হাসতে হাসতে তালি বাজাত। বলত, জয় হোক অমিয়ার। ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়ে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রের সঙ্গে প্রেম হলো।

– প্রেম কি হয়েছে?

– হয়েছে, অমিয়া, হয়েছে। এখানেই প্রেমের সূত্র রচিত হলো। তুমি আর কোথাও তাকাবে না।

– সিদ্ধান্ত কি একতরফা হলো?

– ভালো লাগার সিদ্ধান্ত প্রথমে একতরফাই হয়। তারপর গাঢ় হয় দু’জনের মিলিত সিদ্ধান্ত। এবার তোমার কথা বল?

– আমি গাঢ় করেছি সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে কোনো ফুটো হবে না।

– ওহ, হুররে। এসো হাত মেলাই।

অমিয়া হাত বাড়িয়ে দেয়। অঞ্জন হাত জড়িয়ে ধরে বলে, ভালোবাসি তোমাকে।

– আমিও ভালোবাসি তোমাকে। চলো এখান থেকে বেরিয়ে যাই।

– চলো। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় অঞ্জন।

– কোথায় যাব আমরা? অমিয়া প্রশ্ন করে।

– কোথাও যাব না। আজকে যে যার বাড়িতে যাব। আজকের বাড়ি প্রেমের আকাশ।

– শুধু আজকের কেন? প্রেমের আকাশ আমৃত্যু থাকবে আমাদের জীবনে।

– ওহ, দারুণ! তোমার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধতার সমুদ্রে পৌঁছে দিল। অমিয়া আমাদের জীবন ভালোবাসার স্রোতে বহমান থাকবে। চলো তোমাকে একটি রিকশায় উঠিয়ে দেই।

রাস্তায় এসে দাঁড়ালে একজন পথশিশুর কাছ থেকে একগুচ্ছ লাল গোলাপ কিনে তুলে দেয় অমিয়ার হাতে। বলে, বাড়িতে নিয়ে পড়ার টেবিলে রেখো।

– ভালোবাসা, ভালোবাসা।

অমিয়া নাকের কাছে ফুল ধরে মৃদু স্বরে বলতে থাকে। তারপর দুটো গোলাপ আলাদা করে অঞ্জনের শার্টের বুক-পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মৃদুস্বরে বলে, এটাই দু’জনের কিংবদন্তি।

রিকশাওয়ালা জোরে জোরে বলে, আপনেরা যাবেন, না আমি চলে যাব।

– তোমার দাঁড়াতে অসুবিধা কি? কেউ তো তোমাকে ডাকেনি।

ক্রুদ্ধ কণ্ঠে কথা বলে অঞ্জন।

– ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি।

– এই দাঁড়াও।

অমিয়া ফুলের গোছা নিয়ে রিকশায় ওঠে। একটি গোলাপ অঞ্জনের হাতে দিয়ে বলে, এভাবে জীবনভর প্রস্ফুটিত থাকবে প্রেমের গোলাপ।

অঞ্জন কিছু বলার আগে রিকশাওয়ালা রিকশা চালাতে শুরু করে। অঞ্জন রিকশা না ডেকে হাঁটতে শুরু করে। ও হেঁটে বাড়িতে যাবে। ওর বুকের ভেতরে প্রেমের আনন্দধারা গড়াচ্ছে।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট