শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

রাস্তায় যাতায়াতের সময় আজিমপুর কবরস্থান দেখা হয়েছে। কিন্তু কাউকে দাফন করার জন্য এখানে আসা হয়নি। আজকে এটিও জীবনে নতুন ঘটনা। কবর দেওয়ার পরে অন্যরা চলে গেলে অঞ্জনের মনে হয় দ্রুত বাড়ি যাওয়ার ওর দরকার নেই। ঘুরে ঘুরে প্রতিটি কবর দেখবে। ও হাঁটতে থাকে। একসময় বড় একটি গাছের নিচে বসে বাতাসে শ্বাস টানে। মনে হয় মৃত ব্যক্তিদের শেষ নিঃশ্বাস এখানে বাতাসের সঙ্গে ভাসছে। ও সিদ্ধান্ত নেয় যে, কোনো কারণে মন খারাপ হলে এখানে এসে ওই কোনার জায়গায় বসে থাকবে। মৃত মানুষদের সঙ্গে কথা বলবে। ওদের কাছ থেকে কথা শুনতে পাবে না, কিন্তু বলে যাবে আবেগের কথা। দোয়া করবে মৃত মানুষের শুভকামনায়।

একসময় নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ায়। এসব অর্থহীন ভাবনার মানে কী–নিজেকেই জিজ্ঞেস করে। কিন্তু কোনো উত্তর পায় না। দ্রুত পায়ে বেরিয়ে আসে কবরস্থান থেকে। নিজেকেই বলে, আজকের স্মৃতি আমার অভিজ্ঞতার সঞ্চয়। এসব ভাবনা মাথায় নিয়ে রিকশায় উঠে কলেজে চলে আসে। আজকে ক্লাস মিস হয়নি। দ্রুত চলে যায় ক্লাসরুমে। এখন ও ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ক্লাস শেষ হলে বেরিয়ে আসার সময় ভাবে, আগামী বছর ডাক্তার হয়ে যাব। আনন্দ, আনন্দ। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সামনে যুদ্ধ। যুদ্ধে আমি ডাক্তারের কাজ করব। আহতদের চিকিৎসা দিয়ে যুদ্ধের মাঠ পূর্ণ রাখব। হায়, আমার জীবনের স্বপ্ন। ও এসে কমনরুমে ঢোকে। দেখতে পায় অমিয়া বসে চা খাচ্ছে। ও ছাড়া আর কেউ নেই। তাই গিয়ে একই টেবিলে চেয়ার টেনে বসে।

– অঞ্জন ভাই ক্লাস শেষ হয়ে গেছে।

– শেষ না হলে কি এখানে আসতে পারতাম।

– তা তো ঠিকই। ছি ছি আমি একটা বোকা মেয়ে।

– থাক, এভাবে কথা বলবে না। বোকা হলে ডাক্তারি পড়তে আসতে পারতে না।

অমিয়া মৃদু হাসে। কথা বলে না। অঞ্জন বেয়ারাকে ডেকে দু’জনের জন্য চা-সিঙাড়া আনতে বলে।

– আমি তো খেয়েছি।

– আমার সঙ্গে আবার খাবে। তোমাকে চা-শিঙাড়া খাওয়াতে পারা আমার আনন্দ।

অমিয়া মৃদু হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। অঞ্জন মুগ্ধ চোখে তাকায়। ওর দৃষ্টির মুগ্ধতা অমিয়া
বুঝতে পারে। দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেয় অন্যদিকে। এই প্রথম অঞ্জন কাউকে দেখে আবেগতাড়িত হয়। ওর মনে হয় মেয়েটি দেখতে অপরূপ সুন্দরী নয়, কিন্তু চেহারা প্রবলভাবে লাবণ্যময়। তাকালে দৃষ্টি ফিরতে চায় না। পাশাপাশি মেধাবী বোধের ছায়া আছে দৃষ্টিতে। তাকালে মুগ্ধ করে।

অমিয়া বুঝতে পারে যে, অঞ্জনের দৃষ্টিতে ভেসে উঠেছে ভালোলাগার ছাপ। ও বিব্রত হয় না, নিজের ভেতেরও ভালো লাগার অনুভব টের পায়। এর মধ্যে বেয়ারা চা-সিঙাড়া নিয়ে আসে। অঞ্জন ওর দিকে তাকিয়ে বলে, দু’জনে একসঙ্গে খাব। তুমি যখন সিঙাড়ায় কামড় দেবে, আমিও দেব। তুমি যখন চায়ের কাপে চুমুক দেবে আমিও দেব।

– ভাগ্যিস ঘরে আর কেউ নেই। প্রত্যেক টেবিলে অন্যরা থাকলে সবাই হাসত।

অঞ্জন হেসে বলে, ওরা বলত অঞ্জনের মুগ্ধতাকে অভিনন্দন জানাই। তারপর হাসতে হাসতে তালি বাজাত। বলত, জয় হোক অমিয়ার। ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়ে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রের সঙ্গে প্রেম হলো।

– প্রেম কি হয়েছে?

– হয়েছে, অমিয়া, হয়েছে। এখানেই প্রেমের সূত্র রচিত হলো। তুমি আর কোথাও তাকাবে না।

– সিদ্ধান্ত কি একতরফা হলো?

– ভালো লাগার সিদ্ধান্ত প্রথমে একতরফাই হয়। তারপর গাঢ় হয় দু’জনের মিলিত সিদ্ধান্ত। এবার তোমার কথা বল?

– আমি গাঢ় করেছি সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে কোনো ফুটো হবে না।

– ওহ, হুররে। এসো হাত মেলাই।

অমিয়া হাত বাড়িয়ে দেয়। অঞ্জন হাত জড়িয়ে ধরে বলে, ভালোবাসি তোমাকে।

– আমিও ভালোবাসি তোমাকে। চলো এখান থেকে বেরিয়ে যাই।

– চলো। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় অঞ্জন।

– কোথায় যাব আমরা? অমিয়া প্রশ্ন করে।

– কোথাও যাব না। আজকে যে যার বাড়িতে যাব। আজকের বাড়ি প্রেমের আকাশ।

– শুধু আজকের কেন? প্রেমের আকাশ আমৃত্যু থাকবে আমাদের জীবনে।

– ওহ, দারুণ! তোমার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধতার সমুদ্রে পৌঁছে দিল। অমিয়া আমাদের জীবন ভালোবাসার স্রোতে বহমান থাকবে। চলো তোমাকে একটি রিকশায় উঠিয়ে দেই।

রাস্তায় এসে দাঁড়ালে একজন পথশিশুর কাছ থেকে একগুচ্ছ লাল গোলাপ কিনে তুলে দেয় অমিয়ার হাতে। বলে, বাড়িতে নিয়ে পড়ার টেবিলে রেখো।

– ভালোবাসা, ভালোবাসা।

অমিয়া নাকের কাছে ফুল ধরে মৃদু স্বরে বলতে থাকে। তারপর দুটো গোলাপ আলাদা করে অঞ্জনের শার্টের বুক-পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মৃদুস্বরে বলে, এটাই দু’জনের কিংবদন্তি।

রিকশাওয়ালা জোরে জোরে বলে, আপনেরা যাবেন, না আমি চলে যাব।

– তোমার দাঁড়াতে অসুবিধা কি? কেউ তো তোমাকে ডাকেনি।

ক্রুদ্ধ কণ্ঠে কথা বলে অঞ্জন।

– ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি।

– এই দাঁড়াও।

অমিয়া ফুলের গোছা নিয়ে রিকশায় ওঠে। একটি গোলাপ অঞ্জনের হাতে দিয়ে বলে, এভাবে জীবনভর প্রস্ফুটিত থাকবে প্রেমের গোলাপ।

অঞ্জন কিছু বলার আগে রিকশাওয়ালা রিকশা চালাতে শুরু করে। অঞ্জন রিকশা না ডেকে হাঁটতে শুরু করে। ও হেঁটে বাড়িতে যাবে। ওর বুকের ভেতরে প্রেমের আনন্দধারা গড়াচ্ছে।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত