শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

তিনজনই দেখতে পায় বাথরুমের দরজা খুলে মেয়েটি বের হয়েছে। ভেজা কাপড় হাতে। গায়ে জড়ানো তোয়ালে। ওদের তিনজনের দিকে তাকিয়ে একছুটে কাছে আসে কুকড়ি। অঞ্জনকে বলে, গোসল করে খুব আরাম পাচ্ছি।

– হাতের কাপড়গুলো বারান্দায় শুকাতে দিয়ে আয়। চল, আমি তোর সঙ্গে যাচ্ছি। তোর জামা শুকাতে দিয়ে এই বাড়ির সবকিছু তোকে ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে দেখাব।

দু’জনে চলে গেলে খালিদা বলে, কী বুঝলে?

– আমরা একটি সন্তান চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমাদের জন্য একটি সন্তান পাঠিয়েছেন।

– আমিও তাই ভেবেছি।

– ভাবতেই হবে। নইলে এমন ঘটনা আজকেই ঘটল কেন আমাদের জীবনে।

– তা ঠিক, অঞ্জন তো আর জেনেশুনে ওকে আনেনি। কতদিন রাখতে পারব কে জানে।

– ওর মা যদি মারা যায় তাহলে ও আর কোথায় যাবে। আমরাই ওকে পালব। মেধাবী মেয়ে।

লেখাপড়া শেখালে–

– ওকেও আমরা ডাক্তার বানাব।

– ভালোই হবে। দেখা যাক ও কতদূর এগোতে পারে। আমাদের যত্ন থেকে ও বঞ্চিত হবে না।

– আমি মনে করব ও গত রাতে আমার গর্ভে এসেছিল।

– আমিও তাই মনে করব। এই ভাবনা আমাদের আনন্দে তোলপাড় করে তুলবে।

তোজাম্মেল খালিদার হাত টেনে নিজের বুকে চেপে ধরে।

– শুধু এইটুকু? চুমু দাও।

– হলো না। অঞ্জন আর কুকড়ি আসছে।

– আমি মেয়েটির একটি নতুন নাম রাখব।

– হ্যাঁ, এটা ডাক নাম। একটা ভালো নাম রাখতে হবে স্কুলের জন্য।

অঞ্জন সঙ্গে সঙ্গে সায় দেয়।

– মাগো তুমি ওর জীবনটা অন্যরকম করে দাও। আমি তোমাদের মা-বাবা ডাকতে বলিনি। ও নিজে নিজেই ডেকেছে।

– আমারও মনে হচ্ছে মেয়েটি অন্য ধরনের মেয়ে। পথশিশু হলেও বোকা-হাবা না।

– আমাদের গেস্টরুমে ওর ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আয়রে কুকড়ি।

– আমি ভাত খাব।

– এখানে বস কুকড়ি। আমি তোর জন্য ভাত আনছি।

অঞ্জন ওকে ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে দেয়। খালিদা প্লেটে করে ভাত-তরকারি এনে টেবিলে রাখে। কুকড়ি সঙ্গে সঙ্গে খেতে শুরু করে

প্রথম লোকমা গিলে বলে, হা-হা মা, মাগো – ।

– এই চুপ কর। আস্তে আস্তে খা। আমি তোর সামনে বসে থাকব। খেয়েদেয়ে ঘুমাবি রে মেয়ে। আজ থেকে তোকে আমরা আনজুম বলে ডাকব। তোর নতুন নাম।

– আনজুম, আনজুম– নতুন নাম নিয়ে চেঁচামেচি করে কুকড়ি। দ্রুত প্লেটের ভাত শেষ করে থালার মধ্যে হাত ধুয়ে ছুটে তোজাম্মেলের কাছে যায়।

– বাবা বাবা আমার নতুন নাম হয়েছে। আজ থেকে আমি আনজুম, আনজুম।

– আয়, আমার কোলে আয়। তোর ভালো নাম হবে আঞ্জুমান আরা খাতুন। এই নামে স্কুলে ভর্তি করাব তোকে। তোর মাকে বলব আমাদের কাছে রেখে তোকে লেখাপড়া শেখাতে।

– হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি আপনাদের কাছে থাকব। স্কুলে যাব। আমার মাকে ভাত দিয়ে আসব। মা রোজ ভাত খেতে পাবে। মাকে যেন আর ভিক্ষা করতে না হয়।

খালিদা মনে মনে ভাবে, পথশিশুরা কত কি যে শিখতে পারে। ও আমার সামনে একটি দৃষ্টান্ত। কত কথা যে শিখেছে ও।

সন্ধ্যায় অঞ্জন ওকে নিয়ে দোকানে যায়। তিন-চারটে জামা কিনে দেয়। বাড়িতে এসে জড়িয়ে ধরে খালিদাকে।

– মাগো, আজকে আমার খুশির দিন।

– আয়, হালুয়া আর কমলা খাবি। খুশির দিন পালন করি।

রান্নাঘরে খালিদার কাছে বসে হালুয়া কমলা খেয়ে বসে থাকে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর অঞ্জন দরজায় দাঁড়িয়ে বলে, কালকে তোর জন্য বই কিনে আনব। পড়ালেখা শিখবি।

– কে শিখাবে আমাকে?

– মা শেখাবে। বাবা তো অফিসে চলে যাবে। মায়ের সঙ্গে তুই সারাদিন থাকবি বাড়িতে।

– হ্যাঁ থাকব থাকব। মায়ের আঁচল ধরে থাকব।

– শুধু আঁচল ধরে থাকতে হবে না। পড়া শিখবি।

কথা বলে না কুকড়ি। খালিদার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। অঞ্জন আর কিছু না বলে সরে যায়।
তোজাম্মেল এসে বলে, চা খাওয়াও গো।

– বসো, চা-নাশতা নিয়ে আসছি।

– আমাদের কাজের মেয়েটিকে কয়দিনের ছুটি দিয়েছ?

– পাঁচ দিনের। আর দুই দিন পরে আসবে কাজরি। তোজাম্মেল গিয়ে টেবিলে বসে। ছুটে আসে কুকড়ি।

– বাবা, বাবা আজ থেকে আমি তোমাদের কাছে আনজুম। তুমি আমাকে আনজুম বলে ডাকো– ।

– ওরে আনজুম, আনজুম। রোদ-বৃষ্টির ভালোবাসায় তুই অনেক বড় হয়ে উঠবি। আনজুম মা রে, আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে যায়। এভাবে সংসারে স্থিত হয় আনজুম।

পরদিন অঞ্জন কলেজে ঢোকার আগে হাসপাতালে যায় হালিমা খাতুনকে দেখতে। গিয়েই খবরটা পায় যে, সকাল ৬টায় হালিমা খাতুন মারা গেছেন। নার্সরা অঞ্জনকে বলে, লাশের ব্যবস্থা করতে।

– ঠিক আছে, আমি ওনাকে আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাব। তার আগে আমি তার মেয়েটিকে নিয়ে আসি।

– ও কোথায় আছে?

– আমি একটা সিএনজি নিয়ে যাব আর আসব।

– তাড়াতাড়ি আসবেন। দেরি করবেন না।

অঞ্জন দ্রুত নেমে আসে হাসপাতাল থেকে। বাড়িতে পৌঁছালে বাবা-মা ওকে দেখে অবাক হয়। কি রে এসেছিস কেন?

– আনজুমকে নিয়ে যাব হাসপাতালে, ওর মা মারা গেছে।

– মারা যাওয়ার খবর এখনই ওকে বলিস না। কাঁদতে শুরু করবে।

– বাবা আমাকে কিছু টাকা দাও। লাশ আমাকে দাফন করার জন্য নিয়ে যেতে হবে।

– তা করতে হবে। তুই দাঁড়া, আমি টাকা দিচ্ছি। আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাস।

তোজাম্মেল টাকা এনে ছেলের হাতে দেয়। অঞ্জন আনজুমকে বলে, আমার সঙ্গে হাসপাতালে চল। মাকে দেখবি।

– না, আমি হাসপাতালে যাব না। মা যেদিন ভালো হবে সেদিন যাব।

খালিদা ওকে টেনে ধরে বলে, তুই আমার কাছে থাক। অঞ্জন তুই চলে যা।

অঞ্জন ফিরে আসে হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে আসে কবরস্থানে। হালিমা খাতুনের মুখের দিকে তাকিয়ে বিহ্বল হয়ে যায়। কত অল্প সময়ে কত বিশাল একটি ঘটনা ঘটে গেল ওর জীবনে। অপরিচিত একজন নারীর দাফনের দায়িত্ব নিতে হলো ওকে। কুকড়ি অসুস্থ মাকে দেখতে চায়নি। একবার দেখে যে অভিজ্ঞতা পেয়েছে দ্বিতীয়বার তার মুখোমুখি হতে চায়নি মেয়েটি। ও জানল না যে, মাকে আর কোনো দিন দেখা হবে না। অঞ্জন অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশ নামিয়ে দাফন করার জায়গায় নিয়ে যায়। ওরা গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে দেবে।

কবর খোঁড়ার জন্য কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। ওর কিছু করার নেই এখানে। শুধু খরচের টাকা দিতে হবে। ও কবরস্থানের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে কবরগুলো দেখে। এখানে ভাষা আন্দোলনের শহীদ বরকতের কবর আছে। একটু পরে দেখতে পায় হালিমা খাতুনের জন্য কবর খোঁড়া শেষ হয়েছে। ও কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। কবরে নামানো হলে ও নিজেও কবরের ওপরে মাটি ছড়িয়ে দেবে। তারপর চলে যাবে।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট