শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

তিনজনই দেখতে পায় বাথরুমের দরজা খুলে মেয়েটি বের হয়েছে। ভেজা কাপড় হাতে। গায়ে জড়ানো তোয়ালে। ওদের তিনজনের দিকে তাকিয়ে একছুটে কাছে আসে কুকড়ি। অঞ্জনকে বলে, গোসল করে খুব আরাম পাচ্ছি।

– হাতের কাপড়গুলো বারান্দায় শুকাতে দিয়ে আয়। চল, আমি তোর সঙ্গে যাচ্ছি। তোর জামা শুকাতে দিয়ে এই বাড়ির সবকিছু তোকে ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে দেখাব।

দু’জনে চলে গেলে খালিদা বলে, কী বুঝলে?

– আমরা একটি সন্তান চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমাদের জন্য একটি সন্তান পাঠিয়েছেন।

– আমিও তাই ভেবেছি।

– ভাবতেই হবে। নইলে এমন ঘটনা আজকেই ঘটল কেন আমাদের জীবনে।

– তা ঠিক, অঞ্জন তো আর জেনেশুনে ওকে আনেনি। কতদিন রাখতে পারব কে জানে।

– ওর মা যদি মারা যায় তাহলে ও আর কোথায় যাবে। আমরাই ওকে পালব। মেধাবী মেয়ে।

লেখাপড়া শেখালে–

– ওকেও আমরা ডাক্তার বানাব।

– ভালোই হবে। দেখা যাক ও কতদূর এগোতে পারে। আমাদের যত্ন থেকে ও বঞ্চিত হবে না।

– আমি মনে করব ও গত রাতে আমার গর্ভে এসেছিল।

– আমিও তাই মনে করব। এই ভাবনা আমাদের আনন্দে তোলপাড় করে তুলবে।

তোজাম্মেল খালিদার হাত টেনে নিজের বুকে চেপে ধরে।

– শুধু এইটুকু? চুমু দাও।

– হলো না। অঞ্জন আর কুকড়ি আসছে।

– আমি মেয়েটির একটি নতুন নাম রাখব।

– হ্যাঁ, এটা ডাক নাম। একটা ভালো নাম রাখতে হবে স্কুলের জন্য।

অঞ্জন সঙ্গে সঙ্গে সায় দেয়।

– মাগো তুমি ওর জীবনটা অন্যরকম করে দাও। আমি তোমাদের মা-বাবা ডাকতে বলিনি। ও নিজে নিজেই ডেকেছে।

– আমারও মনে হচ্ছে মেয়েটি অন্য ধরনের মেয়ে। পথশিশু হলেও বোকা-হাবা না।

– আমাদের গেস্টরুমে ওর ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আয়রে কুকড়ি।

– আমি ভাত খাব।

– এখানে বস কুকড়ি। আমি তোর জন্য ভাত আনছি।

অঞ্জন ওকে ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে দেয়। খালিদা প্লেটে করে ভাত-তরকারি এনে টেবিলে রাখে। কুকড়ি সঙ্গে সঙ্গে খেতে শুরু করে

প্রথম লোকমা গিলে বলে, হা-হা মা, মাগো – ।

– এই চুপ কর। আস্তে আস্তে খা। আমি তোর সামনে বসে থাকব। খেয়েদেয়ে ঘুমাবি রে মেয়ে। আজ থেকে তোকে আমরা আনজুম বলে ডাকব। তোর নতুন নাম।

– আনজুম, আনজুম– নতুন নাম নিয়ে চেঁচামেচি করে কুকড়ি। দ্রুত প্লেটের ভাত শেষ করে থালার মধ্যে হাত ধুয়ে ছুটে তোজাম্মেলের কাছে যায়।

– বাবা বাবা আমার নতুন নাম হয়েছে। আজ থেকে আমি আনজুম, আনজুম।

– আয়, আমার কোলে আয়। তোর ভালো নাম হবে আঞ্জুমান আরা খাতুন। এই নামে স্কুলে ভর্তি করাব তোকে। তোর মাকে বলব আমাদের কাছে রেখে তোকে লেখাপড়া শেখাতে।

– হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি আপনাদের কাছে থাকব। স্কুলে যাব। আমার মাকে ভাত দিয়ে আসব। মা রোজ ভাত খেতে পাবে। মাকে যেন আর ভিক্ষা করতে না হয়।

খালিদা মনে মনে ভাবে, পথশিশুরা কত কি যে শিখতে পারে। ও আমার সামনে একটি দৃষ্টান্ত। কত কথা যে শিখেছে ও।

সন্ধ্যায় অঞ্জন ওকে নিয়ে দোকানে যায়। তিন-চারটে জামা কিনে দেয়। বাড়িতে এসে জড়িয়ে ধরে খালিদাকে।

– মাগো, আজকে আমার খুশির দিন।

– আয়, হালুয়া আর কমলা খাবি। খুশির দিন পালন করি।

রান্নাঘরে খালিদার কাছে বসে হালুয়া কমলা খেয়ে বসে থাকে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর অঞ্জন দরজায় দাঁড়িয়ে বলে, কালকে তোর জন্য বই কিনে আনব। পড়ালেখা শিখবি।

– কে শিখাবে আমাকে?

– মা শেখাবে। বাবা তো অফিসে চলে যাবে। মায়ের সঙ্গে তুই সারাদিন থাকবি বাড়িতে।

– হ্যাঁ থাকব থাকব। মায়ের আঁচল ধরে থাকব।

– শুধু আঁচল ধরে থাকতে হবে না। পড়া শিখবি।

কথা বলে না কুকড়ি। খালিদার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। অঞ্জন আর কিছু না বলে সরে যায়।
তোজাম্মেল এসে বলে, চা খাওয়াও গো।

– বসো, চা-নাশতা নিয়ে আসছি।

– আমাদের কাজের মেয়েটিকে কয়দিনের ছুটি দিয়েছ?

– পাঁচ দিনের। আর দুই দিন পরে আসবে কাজরি। তোজাম্মেল গিয়ে টেবিলে বসে। ছুটে আসে কুকড়ি।

– বাবা, বাবা আজ থেকে আমি তোমাদের কাছে আনজুম। তুমি আমাকে আনজুম বলে ডাকো– ।

– ওরে আনজুম, আনজুম। রোদ-বৃষ্টির ভালোবাসায় তুই অনেক বড় হয়ে উঠবি। আনজুম মা রে, আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে যায়। এভাবে সংসারে স্থিত হয় আনজুম।

পরদিন অঞ্জন কলেজে ঢোকার আগে হাসপাতালে যায় হালিমা খাতুনকে দেখতে। গিয়েই খবরটা পায় যে, সকাল ৬টায় হালিমা খাতুন মারা গেছেন। নার্সরা অঞ্জনকে বলে, লাশের ব্যবস্থা করতে।

– ঠিক আছে, আমি ওনাকে আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাব। তার আগে আমি তার মেয়েটিকে নিয়ে আসি।

– ও কোথায় আছে?

– আমি একটা সিএনজি নিয়ে যাব আর আসব।

– তাড়াতাড়ি আসবেন। দেরি করবেন না।

অঞ্জন দ্রুত নেমে আসে হাসপাতাল থেকে। বাড়িতে পৌঁছালে বাবা-মা ওকে দেখে অবাক হয়। কি রে এসেছিস কেন?

– আনজুমকে নিয়ে যাব হাসপাতালে, ওর মা মারা গেছে।

– মারা যাওয়ার খবর এখনই ওকে বলিস না। কাঁদতে শুরু করবে।

– বাবা আমাকে কিছু টাকা দাও। লাশ আমাকে দাফন করার জন্য নিয়ে যেতে হবে।

– তা করতে হবে। তুই দাঁড়া, আমি টাকা দিচ্ছি। আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাস।

তোজাম্মেল টাকা এনে ছেলের হাতে দেয়। অঞ্জন আনজুমকে বলে, আমার সঙ্গে হাসপাতালে চল। মাকে দেখবি।

– না, আমি হাসপাতালে যাব না। মা যেদিন ভালো হবে সেদিন যাব।

খালিদা ওকে টেনে ধরে বলে, তুই আমার কাছে থাক। অঞ্জন তুই চলে যা।

অঞ্জন ফিরে আসে হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে আসে কবরস্থানে। হালিমা খাতুনের মুখের দিকে তাকিয়ে বিহ্বল হয়ে যায়। কত অল্প সময়ে কত বিশাল একটি ঘটনা ঘটে গেল ওর জীবনে। অপরিচিত একজন নারীর দাফনের দায়িত্ব নিতে হলো ওকে। কুকড়ি অসুস্থ মাকে দেখতে চায়নি। একবার দেখে যে অভিজ্ঞতা পেয়েছে দ্বিতীয়বার তার মুখোমুখি হতে চায়নি মেয়েটি। ও জানল না যে, মাকে আর কোনো দিন দেখা হবে না। অঞ্জন অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশ নামিয়ে দাফন করার জায়গায় নিয়ে যায়। ওরা গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে দেবে।

কবর খোঁড়ার জন্য কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। ওর কিছু করার নেই এখানে। শুধু খরচের টাকা দিতে হবে। ও কবরস্থানের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে কবরগুলো দেখে। এখানে ভাষা আন্দোলনের শহীদ বরকতের কবর আছে। একটু পরে দেখতে পায় হালিমা খাতুনের জন্য কবর খোঁড়া শেষ হয়েছে। ও কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। কবরে নামানো হলে ও নিজেও কবরের ওপরে মাটি ছড়িয়ে দেবে। তারপর চলে যাবে।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত