রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক গল্প: শেষ পর্ব

অস্ফুট ভালোবাসা

অনিন্দ্যের বাবা মোশাররফ হোসেন। তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। চাকরি জীবনে তিনি খুব সিনসিয়ার। শুধু চাকরির ক্ষেত্রে না, পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের কাছেও তিনি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। পরিবারের সবাই তাকে খুব শ্রদ্ধার চোখে দেখে। কারও কাছে কুটু কথা শুনার মানুষ না। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়িটা করেছেন। এলাকার লোকজন তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখে। ছেলে মেয়ে দুজনকে নিয়েই তিনি গর্ব করেন। কারণ তাদের দুজনের নামে এলাকাবাসীর উচ্চ ধারণা। বিষয়টি মোশাররফ সাহেব খুব ইনজয় করেন। আশরাফ চৌধুরী আজ সকালে হঠাৎই ফোন করেছেন। এর আগেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। অনিন্দ্য যখন ফারাহকে চট্টগ্রামে সাহায্য করেছিল তখন। তিনি অনিন্দ্যের এতটাই প্রশংসা করেছিলেন মনে হয়েছিল যে অনিন্দ্য তার হাজার কোটি টাকার কাজ করে দিয়েছে। অনিন্দ্যকে নিয়ে আশরাফ চৌধুরির প্রশংসার বাক্যগুলো এখনো মনে করতে পারেন মোশাররফ সাহেব। কিন্তু আজ যে কথাগুলো তিনি বলেছেন তা মনে হয়েছে তিরের মতো বিধেছে। হতে পারে তার মতো অঢেল অর্থ-বিত্তের মালিক না, তার মেয়ের উপকার তো একদিন অনিন্দ্য করেছে। ওই উপকারের কথা সেদিন তিনিই অনিন্দ্যের প্রশংশায় পঞ্চমুখ ছিলেন। আজ যখন তার মেয়েটিকে ভালোবেসে অনিন্দ্য কাছে পেতে চাইছে তখন যেন তার আঁতে ঘা লেগেছে। বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে এসব নানা কথা ভাবছিলেন মোশাররফ সাহেব।

অনিন্দ্যের মা এলো-কি ঘুমাবে না? অনেক রাত হয়ে গেল।
-হু ঘুমাব।
-তবে বসে আছো কেন?
-ভাবছি?
-কি?

-ভাবছি, কত টাকার মালিক হলে ফারাহর সঙ্গে অনিন্দ্যের বিয়েটা দিতে পারব।
-শুন। তোমার হাজার কোটি টাকা থাকলেও তোমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে হবে না।
-কেন? আমার ছেলে কি তার যোগ্য না। ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করেছে। সাংবাদিকতা করছে। খারাপ কী? আশরাফ সাহেব হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারে, কিন্তু আমার ছেলের যে আত্মমর্যাদা আছে, সন্মান আছে তা কি আশরাফ সাহেব পাবেন। কখনো পাবে না। আমি আজ তোমাকে বলছি। অনিন্দ্যকে আমি যাই বলি না কেন, আই ফিল প্রাউড যে আমি তার মতো একটা ছেলের বাবা।

-সেটাই তো আমি তোমাকে বললাম। তুমি হাজার কোটি টাকার মালিক হলেও উনি অনিন্দ্যকে পছন্দ করবে না। কারণ অনিন্দ্য কাউকে ঠকায় না। আর আশরাফ সাহেবদের মতো ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন একজন মানুষকে ঠকিয়ে ঘুমাতে যায়। ঘুম থেকে উঠে আরেক জনকে ঠকায়।

-কিন্তু ছেলেটা যে কষ্ট পাবে। আমি বুঝি অনিন্দ্য ফারাহকে অনেক ভালোবাসে।

-সে তো আমিও জানি। কিন্তু কি করবা। ভেবে দেখো। আমার মাথায় কিছু কাজ করছে না।

-কত বড় স্বার্থপর হলে একজন মানুষ বলতে পারে আমার মেয়ের মাসে যে টাকা হাত খরচ তা অনিন্দ্যের তিন মাসের বেতন। আরে বেটা ওই দিন অনিন্দ্য না থাকলে তো তোমার মেয়েকে শেয়ালে ছিঁড়ে খেত। সেটা ভাল হতো। এত সহজে সব ভুলে গেলি।

-থাক বাদ দাও এখন। ঘুমাতে আসো। দেখি অনিন্দ্যের‌ সঙ্গে কথা বলে ও কি বলে।

বাবার কথাগুলো বার বার কানে বাজছে অনিন্দ্যের। ঘুম আসছে না। রাতে ফারাহকে ফোন দেওয়া হয়নি। প্রতিরাতে গুড নাইট বলতে হয়। না হলে অভিমান করে। ফোনের রিসিভারটা তুলতে কেমন যেন কষ্ট হচ্ছে আজ। মনে হচ্ছে ফারাহ দূরে সরে যাচ্ছে। তবু কষ্ট করে ফোনের রিসিভারটা তুলে কল করল। ফারাহ ফোন ধরেই বলে উঠল এতক্ষণে মনে পড়ল। তুমি আর কত কষ্ট দেবে বলো তো। নাকি অন্যকারো প্রেমে পড়ছো। সত্যি করে বলো। জানি তো বলবে না। দাঁড়াও আমি গোয়েন্দা লাগাচ্ছি। দেখি তুমি কীভাবে আমাকে ফাঁকি দাও। পারবা না। আমি ঠিকই বের করে ফেলব। শুনো কাল অফিসে যাবার আগে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করবা। আমি তোমার মোবাইল কল লিষ্ট দেখব। আহ বলে ফেললাম। খবরদার তুমি কিন্তু এখন কল লিস্ট মুছবা না। তা হলে কিন্তু আমি মরে যাব। কি হলো কতক্ষণ ধরে আমি বক বক করে যাচ্ছি। কিছু বলছো না কেন? হ্যালো...

-বলব কি করে। তুমি তো একাই বলে যাচ্ছ। নন স্টপ হিটস। আমাকে বলার সুযোগ দিয়েছ?

-কেন আমাকে থামাতে পার না।

-না পারি না। তোমার কথা শুনতে আমার খুব ভালোলাগে। তাই কান পেতে শুনি।

-কচু। তুমি আমাকে একদম ভালোবাস না। কি করতে যে তোমার সঙ্গে প্রেম করছি।

-আমি ছাড়া তোমাকে কে ভালবাসবে বলো।

-মানে। তুমি জানো এখনো কত ছেলে আমার জন্য পাগল। আমি একটু ইশারা করলে আমার পায়ে লুটিয়ে পড়বে।

-তার মানে অনেকেই তোমার সঙ্গে প্রেম করার চেষ্টা করছে। আজ জানলাম।

-এই না না। আমি চাপা মারছি। সত্যি কেউ নাই তুমি ছাড়া।

-সত্যি বলছো।

-হু। সত্যি। তিন সত্যি। তোমাকে ছাড়া কাকে ভালোবাসব বলো। তোমার মতো সুন্দর মন কোথায় পাব।

-শুনতে খুব ভাল লাগছে। আমিও অবাক হই কেমন করে তোমার মত সুন্দর মনের সঙ্গে আমার পরিচয় হলো। এখন তো আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে গেছ।

-খবরদার দূরে থাক। বিয়ে করবা যখন তখন আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে রেখ। এর আগে না।

-কিন্তু আমার যে এখনই রাখতে ইচ্ছে করছে।

-অনিন্দ্য। আমার কিন্তু লজ্জা লাগছে।

-লাগুক। তাতে কি? আমি তো তোমার হৃদয়ের উষ্ণতা পাব।

-লোভ হচ্ছে। কিন্তু। হতে থাকুক।

-আমি রাখছি। ঘুমাও।

-ঠিক আছে। ঘুমাই। তবে তোমাকে জড়িয়ে ধরেই ঘুমাব।

-এতই যখন ইচ্ছে, বিয়ে করে ঘরে তুলে নিতে পার না।

-তোমার সাথে এ নিয়ে কাল কথা বলব। এখন ঘুমাও। গুড নাইট।

-হু , গুড নাইট।

মেঘনায় লঞ্চ ডুবে গেছে। বহু যাত্রী নিখোঁজ। সকাল থেকে টিভিগুলো ব্রেকিং দিচ্ছে। সকাল ৮টায় ফোন আসল প্রতিনিধির। অনিন্দ্য ঘুম থেকে জেগে রিপোর্টারকে ফোন দিল। এডিটর খবর জানতে চাইছে কি অবস্থা। প্রতিনিধি একটু পর পর ফোন করে আপডেট জানাচ্ছে। হঠাৎ এডিটরের ফোন। তাড়াতাড়ি অফিস আসো। গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। অনিন্দ্য তখনও নাস্তা করেনি। ৯টার মধ্যে বেরিয়ে পড়ল। গাড়িতে উঠে মনে হলো ফারাহকে ফোন করা হয়নি। সকালে কথা না হলে সারাদিন গাল ফুলিয়ে থাকবে। কিন্তু আজকের জরুরি অবস্থাটা নিশ্চয় ফারাহ বুঝবে। ও কখনো অনিন্দ্যের কাজে ডিট্রার্ব করে না। তারপরও মনটা খচখচ করছে।

মোবাইলে কল করল। কিন্তু মোবাইল বন্ধ পেল। দুইবার ট্রাই করতেই গাড়ি অফিস পৌঁছে গেল। অফিসে ঢুকে অনিন্দ্য সরাসরি এডিটরের রুমে চলে গেল। সেখানে বসে আছেন আর দুই জন রিপোর্টার। এডিটর বললেন অনিন্দ্য তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। খবর কী?

অনিন্দ জানাল, লঞ্চটিকে প্রায় ৭/৮শ যাত্রী ছিল। নদীতে অনেক স্রোত আর বাতাস প্রচণ্ড। আর মাঝ নদীতে হওয়ায় বেশির ভাগ যাত্রী তলিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধি নৌকা করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু নদীতে ঢেউ প্রচণ্ড। সাহস পাচ্ছে না। আমাদের কি সেখানে রিপোর্টার পাঠানো দরকার আছে, বললেন এডিটর। অনিন্দ্য বলল দুর্ঘটনাটি অনেক বড়। পাঠানো দরকার। প্রতিনিধি একা পারবে না। ফটোগ্রাফার একজনকে আমি পাঠিয়ে দিয়েছি। ঠিক আছে ওদের দুইজনকে পাঠিয়ে দাও। আর তুমি নিজে এটা মনিটর করো।

এডিটরের কথা মতো রিপোর্টার দুই জনকে পাঠিয়ে দিল। বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে মনে হচ্ছে। একটু পরপর প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। এ করতে করতে দুপুর হয়ে গেল। তিনটা নাগাদ পিয়ন এসে বলল ভাই, খাবেন না? ও তাইতো। কটা বাজে। তিনটা বাজে। ঠিক আছে খাবার নিয়ে আসো।

হঠাৎ মনে পড়ল। ফারাহর সঙ্গে সকালে কথা হয়নি। কি জানি কি করছে। মোবাইলটা বের করে ফোন দিল। ফোন রিসিভ করল না। আবার কল। কিন্তু রিসিভ হলো না। পিয়ন খাবার নিয়ে এলো। অনিন্দ্য ভাবল ভাত খেয়ে কথা বলবে। এরই মধ্যে এডিটর মিটিং এ ডাকল। অনিন্দ্য কোনো মতে কিছু খেয়ে ছুটল মিটিংএ। মিটিং এ সার্বিক পরিস্থিতি এডিটরকে জানাল অনিন্দ্য। মিটিং শেষে দেখে ৫টা বেজে গেছে। শুরু হলো নিউজের কাজ। অনিন্দ্য উসখুস করছে। ফারাহ জানি কি করছে। নিশ্চয়ই খুব বেশি রেগে আছে। সকাল থেকে না খাওয়া। তা না হলে ফোন রিসিভ করবে না কেন। ফারাহর এ অভ্যাস নতুন না। একটু দেরি হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকে। তার সাফ কথা। সকালটা শুরু হবে তোমার সাথে কথা বলার মধ্য দিয়ে। অনিন্দ্যেরও অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন ফারাহর সঙ্গে কথা না বললে মনে হয় দিনটা শুরু হয়নি। এতো দিনে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আজই প্রথম। আবার মোবাইলে ফোন দিল অনিন্দ্য। ফোনটা বাজছে। হঠাৎ রিসিভ হলো। ফারাহর বাবা। অনিন্দ্য চুপ করে রইল। কথা বলবে কি না বুঝতে পারছে না। এরপর বলল। আংকেল আমি অনিন্দ্য। কেমন আছেন। ফারাহর বাবা উত্তর দিল ভালো নেই অনিন্দ্য।

-কেন কি হয়েছে?
-সকাল ১০টার দিকে যখন ঝড় হচ্ছিল। তখন ফারাহ গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর একটা ট্রাক ফারাহর গাড়িটা ধাক্কা দেয়। ফারাহার মারাত্মক আহত অনিন্দ্য। ও এখন আইসিইউতে।

অনিন্দ্যের মাথার ওপর ছাদ নেই। শুধু খোলা আকাশ। কিছুই যেন নেই সেখানে। কোনো কিছু ভাবানার সময় নিল না। ব্যাগটা হাতে নিয়ে ছুটল। পিছন দিয়ে কে যেন ডাকছে। কিন্তু বুঝতে পারছিল না। ফিরেও তাকাল না। বাইরে ঝড়ো বাতাস। হালকা বৃষ্টি পড়ছে। রিকশাটা যেন তারই অপেক্ষায় ছিল।

হাসপাতালে ঢুকতেই ফারাহর বাবা এগিয়ে এল। অনিন্দ্যকে জড়িয়ে ধরে অঝোড় কান্না করছিল লোকটা। বললো অনিন্দ্য তুমি একদিন আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে ছিলে আজও তুমি বাঁচাও। আমার মেয়েটাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।

কোনো কথা বললো না অনিন্দ্য। ডাক্তারের কাছে ছুটে গেল।

-কি অবস্থা, ডাক্তার?
-মাথায় আঘাত পেয়েছে। ব্লিডিং হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না।
-আমি ওর কাছে যাব।
-ডাক্তার অনুমতি দিল।

-অনেকগুলো তার ফারাহকে জড়িয়ে রেখেছে। নাকে মুখে হাতে। মাথায় ব্যান্ডেজ। চোখ দুটো বুজে আছে। যন্ত্রে টুক টুক শব্দ জানান দিচ্ছে। নিথর দেহটা। ঘুমাচ্ছে ফারাহ। অনিন্দ্য ভাবছে কখন সে জেগে উঠবে। জেগে কী বলবে।

সারাদিন কোথায় ছিলে। সকাল থেকে একবারও আমার কথা মনে হয়নি। আমি বেঁচে আছি না মরে গেছি তুমি কি কোনো খোঁজ নিয়েছ। বুঝলাম না একটা মানুষ এত পাষাণ হয় কি করে! সকালে ফোন দিলে না। তোমাকে কতবার ফোন দিয়েছি। আর তুমি। এজন্যই মানুষকে এতবেশি ভালোবাসতে নেই। এতবেশি ভালোবাসি বলে মানুষ আমাকে কষ্ট দেয়। ওরা বুঝে না আমার ভালোবাসা। কারণ, ওরা তো আমাকে ভালোবাসে না। যদি ভালোবাসতো তবে নিশ্চয় একবার হলেও খোঁজ নিত আমি কোথায় আছি কী অবস্থায় আছি।

অনিন্দ্য হাত বাড়িয়ে ফারাহর হাত স্পর্শ করল। নড়ে উঠে ফারাহ। যন্ত্রের রেখা বেপরোয়া হয়ে উঠে। ফারাহ লড়ছে। সে অনিন্দ্যের কাছে যাবে। যন্ত্রের রেখা সরল হয়, ফারাহ নিশ্চিন্তে ঘুমায়।

 

আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ৩

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ২

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

 

Header Ad

বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে আজ। এতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে।

রোববার (২৪ ন‌ভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতি‌থি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের মধ্যে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

এতে বাংলা‌দে‌শের প‌ক্ষে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম ও বেলজিয়াম সরকারের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিকবিষয়ক মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান নেতৃত্ব দে‌বেন।

এরইমধ্যে আজ ভোরে কুরম্যান তার প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে, বৃহস্প‌তিবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মো. তৌফিক হাসান জানান, সংলাপে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পাশাপাশি ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় হবে।

Header Ad

রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭

ফাইল ছবি

রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী-শিশুসহ সাত জন দগ্ধ হয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দগ্ধরা হলেন—আব্দুল খলিল (৪০), মোছাম্মদ রুমা আক্তার (৩২), আব্দুল্লাহ (১৩), মোহাম্মদ (১০), ইসমত (৪), স্বপ্না (২৫) ও শাহ্জাহান (৩৪)।

তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর থেকে আসা দগ্ধ সাত জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে আব্দুল খলিলের শরীরের ৯৫ শতাংশ, আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ এবং মোহাম্মদের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

Header Ad

জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

অ্যান্টিগা টেস্টের শুরুতে নতুন বলে কিছুটা রয়ে-সয়ে দেখে খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনাররা। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে ঠিকই রানের গতি বাড়ান ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম দিনে ৫ উইকেটে ২৫০ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ক্যারিবিয়ান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। পরবর্তীতে তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটিটা এসেছে অষ্টম উইকেটে। টেল-এন্ডার কেমার রোচকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরি করা জাস্টিন গ্রিভস ১৪১ রানের জুটি গড়েন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ সুবিধা করতে পারেনি। চিরাচরিত ধারায় ২১ রানেই হারিয়েছে ২ উইকেট!

স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে দিনের ২০ ওভারেরও বেশি সময় বাকি থাকতে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা। তার আগে ৯ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৪৫০ রান। আগেরদিনই নিজেদের চারশ রানের লক্ষ্য জানিয়েছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটার মিকাইল লুইস। এমনকি নিজের সেঞ্চুরির আক্ষেপও অন্য কেউ ঘোচাবেন, এমন বিশ্বাসই ছিল তার। দুটিই ঘটেছে গ্রিভসের কল্যাণে। দলীয় পুঁজি সাড়ে চারশ করে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা এই ডানহাতি ব্যাটার অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।

বিপরীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই ফিরেছেন মাত্র ২১ রানে। ইনিংসের দশম ওভারে জেইডেন সিলসের বলে জাকির হাসান ১৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান। অফ স্টাম্পের ওপর দিয়ে যেতে থাকা বলে ব্যাট চালিয়ে এডজ হয়ে মিডল ও লেগ স্টাম্প হারান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় জীবন পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, আলজারি জোসেফের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৫ রান করে।

দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ১৯ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন মুমিনুল হক (৭) ও শাহাদাত হোসেন (১০)। ফলে ক্যারিবীয়দের চেয়ে সফরকারীরা এখনও ৪১০ রানে পিছিয়ে আছে। তৃতীয় দিন উইন্ডিজদের দেখানো পথেই বড় জুটি গড়তে হবে টাইগারদের। দুটি টেস্ট এবং টানা চতুর্থ সিরিজ হারের পর এটাই যে মেহেদী হাসান মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্যারিবীয় সফর!

এর আগে ৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১১ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলেছিল আরও ২ উইকেট। এরপরের গল্পটা স্বাগতিকদের দাপটের। বাংলাদেশকে হতাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোরবোর্ড ক্রমাগত শক্তিশালী করেছে। গ্রিভস ও রোচের ১৪০ রানের রেকর্ড অষ্টম উইকেট জুটিই মূলত ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে হাসান মাহমুদের শিকার হয়েছেন কেমার রোচ।

অন্যদিকে মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করার পর ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রিভস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ তিনটি এবং তাসকিন আহমেদ ও মিরাজ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন। হাসান দুই উইকেটের কল্যাণে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। এক ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন এই ডানহাতি বোলার। চলতি বছরেই টেস্টে অভিষেক হওয়ার পর ক্যারিয়ারের ৮ম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ২৫তম উইকেট।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব