শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ২

অস্ফুট ভালোবাসা

স্টেশনে তখনো অনেক মানুষ। এরা সবাই ভাসমান। তবে ঢাকার চেয়ে কম। স্টেশনের এক পাশে একটা চায়ের দোকানে তখনো অনেক লোকের আনাগোনা। পুলিশ স্টেশনের গার্ড আর ভাসমানদের কয়েক জন। আমরা এগিয়ে গেলাম চা খেতে। সবাই আমাদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। একজন জানতে চাইল কোথায় যাবেন? আমি বললাম যাব না কোথাও এখানেই এসেছি। কি বেড়াতে? অনেকটা তাই। লোকটার নাম কাশেম। চা খেতে খেতে পরিচয় হলো। তার বাড়ি কুমিল্লা। বাড়িতে দলাদলি তাই চট্টগ্রাম চলে এসেছে। দিনে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম ঢাকায় গেলেন না কেন? সবাইতো কাজের খোঁজে ঢাকায় ছুটে। লোকটা সাবলীল গলায় বলে দিল ঢাকায় এত মাইনসের ভিড়! যাইতে ইচ্ছা করে না। আর সবাই যদি ঢাকায় যাইতে চায় তয় অন্য এলাকায় থাকব কে?  আমি ভাই বেশি টাকা পয়সা চাই না। কোনো রকম ডাইল ভাত খাইয়া দিন পার করতে পারলেই অয়। স্টেশনের পাশেই কাশেমের বাসা। সারা দিন কাজ শেষে অনেক রাত পর্যন্ত এখানে বসে থাকে গল্প সল্প করে।
 
রাত গভীর হচ্ছে। স্টেশনে লোকজনও কমে আসছে। ঘণ্টাখানেক পর আমরা আবার স্টেশনের ভিতর ঢুকলাম। তখনও মেয়েটা ওই চেয়ারেই বসে আছে। আমরা চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি মিজানকে ডাকল। মিজানও উঠে গেল। মিজানের ওপর আমার খুব রাগ হচ্ছিল। যে মেয়ে রাত বিরাতে একা স্টেশনে কাটায় সে বিপদের কথা জেনেই কাটায়। তারপরও নেহাত কৌতুহল থেকেই তার কাছে জানতে গিয়েছিলাম। স্টেশনে রাত কাটানোর উদ্দেশ্য কী? আর সে কিনা উল্টো ঝারি মারে।
প্রায় পাঁচ সাত মিনিট পর মেয়েটি আর মিজান আমার দিকে এগিয়ে এলো। মিজানই আমাকে মেয়েটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। ওর নাম স্মিতা। গুলশান বাসা। বাবার
সঙ্গে রাগ করে এখানে চলে এসেছে। মেয়েটি আমার দিকে চুইংগাম এগিয়ে দিয়ে বলল আমার ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত। কিছু মনে করবেন না। আসলে আমি স্টেশনে আসার পর থেকে একেক বার একেক জন এসে যেচে কথা বলতে চাইছে। এ কারণে আপনাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেছি। তবে এখন একটু ভয় হচ্ছে। একটা অপরিচিত জায়গায় আমার এভাবে আসা উচিত হয়নি। আমি বললাম বুঝতে যখন পেরেছেন তখন এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকুন। আমরা সারা রাত এখানে আছি। কিছু প্রয়োজন হলে বলবেন।

স্মিতা বলল। আমার ওপর থেকে এখনো নিশ্চয়ই রাগ সরছে না। ঠিক আছে আপনি আগে রাগ কমান তবেই আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব। এ বলে স্মিতা আবার তার জায়গায় গিয়ে বসে পড়ল।

শীতের রাত স্টেশনের ভিতরে তেমন বোঝা যায় না। তবে বাইরে বেশ ঠান্ডা। আমি মিজানকে বললাম তুই ভেতরে থাক। আমি বাইরে ঘুরে আসি। মিজান বলল না চল আমিও যাই একা বসে থাকতে ভালো লাগবে না। ভালো লাগবে বন্ধু ভালো লাগার পথ্য এখানে আছে। তা ছাড়া শীতে কষ্ট আমি একাই করি যেহেতু কাজটা আমার।

চট্টগ্রাম স্টেশনের প্লাটফর্মটি বেশ বড়। এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম। নতুন স্টেশনের সঙ্গে পুরাতন স্টেশনের সংযোগ করে এ প্লাটফম তৈরি করা হয়েছে। আমি প্লাটফর্ম ধরে হাটছিলাম। রাত প্রায় দেড়টা। এখনো চায়ের দোকানগুলোতে লোকের ভিড় আছে। পুরাতন স্টেশনে গিয়ে বিডিআরের একটা টিম পেলাম। তারা স্টেশনের পাশে রান্নার আয়োজন করছে। এক জন সদস্যের কাছে কথা হলো। রাঙামাটিতে একটা ট্রেনিং শেষে সকালের ট্রেনে ঢাকা যাবে। আমার পরিচয় পেয়ে আমার সঙ্গে বেশ আলাপ জমালো। আমাকে তাদের রান্না করা খাবার খেতে অফার করল। আমি না করলেও তারা আমাকে ছাড়তে চাচ্ছিল না। পরে অনেক বলে কয়ে তাদের হাত থেকে ছুটলাম। আসলে প্রায় ঘণ্টা দেড় তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। তাই তাদের সঙ্গে একটা সাময়িক বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।

ডিসেম্বর মাসের শীত। সবকিছু যেন জমিয়ে ফেলে। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে চা চাইলাম। পাশের বেঞ্চিতে একটা লোক বসে আছে। মনে হলো স্টেশনের আশপাশের লোক। চা খেতে থেতে সামনে থেমে থাকা ট্রেনের দিকে চোখ পড়ল। সাধারনত প্লাট ফর্মে রাতে ট্রেন দাড়িয়ে থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু নিয়ম ভাঙাই যেন আমাদের কাজ। কেউই নিয়ম মাফিক চলতে চায়না। ওই দিকটা একটু অন্ধকারও। এমন সময় চোখে পড়ল দুইজন তরুণী ট্রেনে উঠছে। আমার কৌতুহল জাগল। পাশের লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম থেমে থাকা ট্রেনে কারা থাকে। লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ফিরায় ট্রেনটির দিকে। বলে, ‘ওহানে হেতিরা হেগো বেডাগো লগে হুইত্তা থাকে’। আমি অবশ্য ভেবে ছিলাম শীত থেকে বাঁচাতে এ ব্যবস্থা। কিন্তু এখন দেখি তা না। আসলে এরা একটু বেশি ভাসমান। রাতে কোথায় কাত হতে হবে তা নিয়ে ভাবতে হয় না।

প্লাটফর্ম ছেড়ে স্টেশনের ভেতরে ঢুকে দেখি মিজান স্মিতার সঙ্গে বেশ আলাপ জমিয়ে ফেলেছে। আমাকে দেখে স্মিতা উঠে আবার তার আগের চেয়ারটায় গিয়ে বসল। আমিও মিজানকে জেঁকে ধরলাম।

-ভালোইতো মেয়েটাকে একা পেয়ে আলাপ জমিয়ে ফেলেছ।
-না। পারলাম কৈ? আসলে তার কাছ থেকে জানতে চাচ্ছিলাম কোথায় যাবে। এই আরকি।
-তো কি বলল। ওতো বলে আমরা যে কদিন এখানে থাকব এ কদিন সে আমাদের
সঙ্গে ঘুরবে। তারপর ঢাকায় ফিরে যাবে।
-তো তুই কি রাজি হয়েছিস।
-না। আমি তোর কথা বললাম। তুই রাজি থাকলে আমার কোন আপত্তি নেই। আর মেয়েটা আবেগের বশে এত দূর চলে এসেছে। তাকে সেল্টার দেওয়াতো আমাদের দায়িত্ব তাই না।
-দায়িত্ব। তবে সঙ্গে নিয়ে ঘুরানা। মেয়েটি সারারাত এখানে থাকবে আমরা দূর থেকে পাহারা দেব। কোনো সমস্যা হলে এগিয়ে আসব। আমি গার্ডকে বলে দিয়েছি যেন খেয়াল রাখে।
-সে না হয় বুঝলাম। সঙ্গে রাখলে সমস্যা কোথায়?
-দেখ মিজান। মেয়েটাকে আমরা চিনি না। সে যে আমাদের সঙ্গে সত্য কথা বলছে তার কি নিশ্চয়তা আছে?
-ওর নাকি ক্ষুধা পেয়েছে কিছু খেতে চাচ্ছে। সঙ্গে নাকি কোনো টাকা পয়সা নেই ।
-ওরে বাবা। তুই দেখি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছিস। নায়িকার এখন ক্ষুধা লেগেছে। খাওয়া শেষে গায়ের ওপর কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। সকাল হলে বাড়ি নিয়ে যাবি। তার পর পতেঙ্গা সি-বিচে হাবুডুবু। মিজান রীতিমত আমাকে মেরেই ফেলে। ঠিক আছে চল কিছু খাবারের ব্যবস্থা করি। আমারও ক্ষিদে পেয়েছে।
গার্ডকে বলে আমরা বাইরে বেরোলাম। স্টেশনের উল্টোপাশের হোটেল থেকে খেয়ে স্মিতার জন্য শুকনা কিছু খাবার নিয়ে এলাম। মিজানকে এগিয়ে দিলাম খাবার দিতে। স্মিতা মিজানের উপর ভালই আস্থা অর্জন করল। আর এ কারণে বাড়ি থেকে পালানোর কারণটা মিজানকে জানাল।

স্মিতার মা নেই। মা মারা যাবার পর তার বাবা আবার বিয়ে করেছে। ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারের পড়ে। তার বাবা তার অমতে এক ব্যবসায়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়। পছন্দটা তার সৎ মায়ের। কিন্তু সে বিয়েতে রাজিনা। তাই বাসার কাউকে না বলে এখানে চলে এসেছে। সে আর ফিরে যেতে চায় না। যদি কোথাও একটা কাজের ব্যবস্থা করতে পারে তবে এখানেই থেকে যাবে। এখানকার আড়ং এ নাকি তার পরিচিত কে আছে। সকালে তার কাছে যাবে।

প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে মিজান আমাকে কথাগুলো জানালো। মিজান তার কথায় কিছুটা বিগলিত হয়ে পড়েছে। আমি মিজানকে লক্ষ্য করলাম। মিজান চাচ্ছে স্মিতা আমাদের সঙ্গে থাকুক। সকালে ওর ব্যবস্থা করে দিয়ে পরে আমাদের কাজ করি। আমি মিজানকে বুঝাতে চেষ্টা করলাম আমার জন্য এই অ্যাসাইনমেন্টটা অনেক বড়। এখন মেয়েটিকে সেল্টার দিতে গিয়ে কাজের অবহেলা করা যাবে না। তবে মেয়েটার দিকে লক্ষ্য রাখব। সে যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে।

ইতোমধ্যে সকাল হয়ে গেল। স্টেশন কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠলো। আমিও আরও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ফলে স্টেশনের ভেতর ঢুকতে প্রায় সাতটা বেজে গেল। গিয়ে দেখি স্মিতা নেই আমরা দুজনই পুরো স্টেশন খুঁজলাম। কোথাও নেই। ইতোমধ্যে গার্ড পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফলে কার কাছে জিজ্ঞেস করব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ মিজান রাতের গার্ডকে দেখে তার কাছে ছুটে গেল। আমিও গেলাম। গার্ড আমাদের জানাল আমরা যখন প্লাটফর্মে ছিলাম তখন অনেকক্ষণ প্লাটফর্মের দিকে তাকিয়ে একা একা কাঁদছিল। পরে ম্যানেজার সাহেব দেখে তার কামরায় নিয়ে যেতে দেখেছে। এরপর কই গেছে আমি জানি না। ও ম্যানেজারের কাছে আপনাদের কথা বলছে। যে সারারাত দুই সাংবাদিক আমারে পাহাড়া দিছে।

আমরা ম্যানেজারের কামরায় গিয়ে তাকে পাইনি। শুনলাম তিনি বাসায় গেছেন। পরে আসবে। মেয়েটির বিষয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে জানাল ম্যানেজার সাহেব মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে গেছে। ওর বাসায় খবর দেওয়া হয়েছে। ওর বাবা আসছেন তাকে নিতে। খবরটা শুনে আমরা আশ্বস্ত হলাম যে মেয়েটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা আবার আমাদের কাজে ফিরে গেলাম। সন্ধ্যার দিকে মিজান আমাকে বলল অনিন্দ চল স্মিতা বাড়ি ফিরল কি না খোঁজ নিয়ে আসি। আমরা স্টেশনে গিয়ে ম্যানেজার সাহেবকে পেলাম। আমাদের পরিচয় দিতেই ম্যানেজার সাহেব বলে উঠল ও তাহলে আপনারাই কাল সারা রাত ঐ মেয়েটাকে পাহাড়ায় রেখে ছিলেন। ওর বাবা আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এতক্ষণ বসে ছিল। ঘণ্টা খানেক আগে ঢাকায় ফিরে গেছে। ম্যনেজারের কাছ থেকে স্মিতার বাড়ি ফেরার খবরটা আমাদের আনন্দ দিলেও একট বিষয়ে আমরা দু জনই বেশ নাখোশ হলাম। তা হলো মেয়েটি আমাদের কাছে তার লুকিয়েছে। ম্যানেজারকে সে বলেছে আসলে ওর নাম ফারাহ।

ঢাকায় ফিরে অফিসে ফারাহর গল্প করেছিলাম। সবাই বেশ মজা পেয়ে ছিল। কিছু দিন পর একদিন অফিসে ঢুকতেই রিসিপশন থেকে আমাকে বলল একটা মেয়ে বেশ কয়েকবার ফোন করেছে। আপনার বাসার নম্বর দিয়ে দিয়েছি। বলেছে রাতে বাসায় ফোন করবে। আমি বুঝতে পারলাম ফোনটা ফারাহ করেছে। কারণ চট্টগ্রাম স্টেশনের উপর রিপোর্টটা গতকাল ছাপা হয়েছে। যেখানে ফারাহর কথাও আছে।

রাতে ফারাহ বাসায় ফোন করল। আমাকে লেখাটার জন্য ধন্যবাদ জানাল। এরপর মাঝে মধ্যে কথা হতো। কথা বলতে বলতে এক সময় ওর প্রতি আমার দুর্বলতা জাগে। ব্যাস শুরু প্রেম।

 

(চলবে..)

 

আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

 

Header Ad

বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর

গায়ক আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরের ক্যারিয়ারে যোগ হলো নতুন পালক। এবার তার মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।

গায়ক আসিফ আকবর। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুক পোস্টে আসিফ লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অভিষেক ঘটেছে। প্রিয় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছি। আল্লাহ মহান। ভালোবাসা অবিরাম।’

এমন সুখবর পেয়ে বাংলা গানের এ যুবরাজের ভক্ত ও শুভাকাঙ্খিরা তাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে মুম্বাই গেছেন আসিফ আকবর। সেখানে অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমানের স্টুডিওতে তার গান রেকর্ড হয়। আর সে কথা তিনি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ারও করেন।

যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। শুক্রবার (৩ মে) ভোরে দেশটির কারাকোরাম হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ২১ জন আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দিয়ামের জেলা উদ্ধার কর্মকর্তা শওকত রিয়াজের মতে, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কারাকোরাম হাইওয়ের কাছে গুনার ফার্মের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায় বলে জানান রিয়াজ। তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের চিলাস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জানিয়ে উদ্ধারকারী এই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার পর আহতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ৩৫ থাকলেও পরে অনেকে তাদের আঘাতের কারণে মারা যায়।

গিলগিট-বালতিস্তান সরকারের মুখপাত্র ফয়জুল্লাহ ফারাক জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জামান বলেন, আহতদের রক্ত ​​দিতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তিনি বলেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা আহতদের ও মৃতদেহ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে সাহায্য করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি আহতদের ‘সম্ভাব্য সকল চিকিৎসা’ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভিও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি ‘সহানুভূতি’ প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

সাধারণ রোগীদের মত ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে ওই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে নিজের চোখ পরীক্ষা করান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এর উপাচার্য ও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক সঙ্গে ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক
রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
আজ তিনশ ফিট এলাকায় বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী আলু ঘাটি উৎসব
দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান
বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের
যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি
টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫
সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
জমি নিয়ে বিরোধ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগিরই নির্মাণ শুরু : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত