রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ২

অস্ফুট ভালোবাসা

স্টেশনে তখনো অনেক মানুষ। এরা সবাই ভাসমান। তবে ঢাকার চেয়ে কম। স্টেশনের এক পাশে একটা চায়ের দোকানে তখনো অনেক লোকের আনাগোনা। পুলিশ স্টেশনের গার্ড আর ভাসমানদের কয়েক জন। আমরা এগিয়ে গেলাম চা খেতে। সবাই আমাদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। একজন জানতে চাইল কোথায় যাবেন? আমি বললাম যাব না কোথাও এখানেই এসেছি। কি বেড়াতে? অনেকটা তাই। লোকটার নাম কাশেম। চা খেতে খেতে পরিচয় হলো। তার বাড়ি কুমিল্লা। বাড়িতে দলাদলি তাই চট্টগ্রাম চলে এসেছে। দিনে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম ঢাকায় গেলেন না কেন? সবাইতো কাজের খোঁজে ঢাকায় ছুটে। লোকটা সাবলীল গলায় বলে দিল ঢাকায় এত মাইনসের ভিড়! যাইতে ইচ্ছা করে না। আর সবাই যদি ঢাকায় যাইতে চায় তয় অন্য এলাকায় থাকব কে?  আমি ভাই বেশি টাকা পয়সা চাই না। কোনো রকম ডাইল ভাত খাইয়া দিন পার করতে পারলেই অয়। স্টেশনের পাশেই কাশেমের বাসা। সারা দিন কাজ শেষে অনেক রাত পর্যন্ত এখানে বসে থাকে গল্প সল্প করে।
 
রাত গভীর হচ্ছে। স্টেশনে লোকজনও কমে আসছে। ঘণ্টাখানেক পর আমরা আবার স্টেশনের ভিতর ঢুকলাম। তখনও মেয়েটা ওই চেয়ারেই বসে আছে। আমরা চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি মিজানকে ডাকল। মিজানও উঠে গেল। মিজানের ওপর আমার খুব রাগ হচ্ছিল। যে মেয়ে রাত বিরাতে একা স্টেশনে কাটায় সে বিপদের কথা জেনেই কাটায়। তারপরও নেহাত কৌতুহল থেকেই তার কাছে জানতে গিয়েছিলাম। স্টেশনে রাত কাটানোর উদ্দেশ্য কী? আর সে কিনা উল্টো ঝারি মারে।
প্রায় পাঁচ সাত মিনিট পর মেয়েটি আর মিজান আমার দিকে এগিয়ে এলো। মিজানই আমাকে মেয়েটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। ওর নাম স্মিতা। গুলশান বাসা। বাবার
সঙ্গে রাগ করে এখানে চলে এসেছে। মেয়েটি আমার দিকে চুইংগাম এগিয়ে দিয়ে বলল আমার ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত। কিছু মনে করবেন না। আসলে আমি স্টেশনে আসার পর থেকে একেক বার একেক জন এসে যেচে কথা বলতে চাইছে। এ কারণে আপনাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেছি। তবে এখন একটু ভয় হচ্ছে। একটা অপরিচিত জায়গায় আমার এভাবে আসা উচিত হয়নি। আমি বললাম বুঝতে যখন পেরেছেন তখন এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকুন। আমরা সারা রাত এখানে আছি। কিছু প্রয়োজন হলে বলবেন।

স্মিতা বলল। আমার ওপর থেকে এখনো নিশ্চয়ই রাগ সরছে না। ঠিক আছে আপনি আগে রাগ কমান তবেই আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব। এ বলে স্মিতা আবার তার জায়গায় গিয়ে বসে পড়ল।

শীতের রাত স্টেশনের ভিতরে তেমন বোঝা যায় না। তবে বাইরে বেশ ঠান্ডা। আমি মিজানকে বললাম তুই ভেতরে থাক। আমি বাইরে ঘুরে আসি। মিজান বলল না চল আমিও যাই একা বসে থাকতে ভালো লাগবে না। ভালো লাগবে বন্ধু ভালো লাগার পথ্য এখানে আছে। তা ছাড়া শীতে কষ্ট আমি একাই করি যেহেতু কাজটা আমার।

চট্টগ্রাম স্টেশনের প্লাটফর্মটি বেশ বড়। এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম। নতুন স্টেশনের সঙ্গে পুরাতন স্টেশনের সংযোগ করে এ প্লাটফম তৈরি করা হয়েছে। আমি প্লাটফর্ম ধরে হাটছিলাম। রাত প্রায় দেড়টা। এখনো চায়ের দোকানগুলোতে লোকের ভিড় আছে। পুরাতন স্টেশনে গিয়ে বিডিআরের একটা টিম পেলাম। তারা স্টেশনের পাশে রান্নার আয়োজন করছে। এক জন সদস্যের কাছে কথা হলো। রাঙামাটিতে একটা ট্রেনিং শেষে সকালের ট্রেনে ঢাকা যাবে। আমার পরিচয় পেয়ে আমার সঙ্গে বেশ আলাপ জমালো। আমাকে তাদের রান্না করা খাবার খেতে অফার করল। আমি না করলেও তারা আমাকে ছাড়তে চাচ্ছিল না। পরে অনেক বলে কয়ে তাদের হাত থেকে ছুটলাম। আসলে প্রায় ঘণ্টা দেড় তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। তাই তাদের সঙ্গে একটা সাময়িক বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।

ডিসেম্বর মাসের শীত। সবকিছু যেন জমিয়ে ফেলে। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে চা চাইলাম। পাশের বেঞ্চিতে একটা লোক বসে আছে। মনে হলো স্টেশনের আশপাশের লোক। চা খেতে থেতে সামনে থেমে থাকা ট্রেনের দিকে চোখ পড়ল। সাধারনত প্লাট ফর্মে রাতে ট্রেন দাড়িয়ে থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু নিয়ম ভাঙাই যেন আমাদের কাজ। কেউই নিয়ম মাফিক চলতে চায়না। ওই দিকটা একটু অন্ধকারও। এমন সময় চোখে পড়ল দুইজন তরুণী ট্রেনে উঠছে। আমার কৌতুহল জাগল। পাশের লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম থেমে থাকা ট্রেনে কারা থাকে। লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ফিরায় ট্রেনটির দিকে। বলে, ‘ওহানে হেতিরা হেগো বেডাগো লগে হুইত্তা থাকে’। আমি অবশ্য ভেবে ছিলাম শীত থেকে বাঁচাতে এ ব্যবস্থা। কিন্তু এখন দেখি তা না। আসলে এরা একটু বেশি ভাসমান। রাতে কোথায় কাত হতে হবে তা নিয়ে ভাবতে হয় না।

প্লাটফর্ম ছেড়ে স্টেশনের ভেতরে ঢুকে দেখি মিজান স্মিতার সঙ্গে বেশ আলাপ জমিয়ে ফেলেছে। আমাকে দেখে স্মিতা উঠে আবার তার আগের চেয়ারটায় গিয়ে বসল। আমিও মিজানকে জেঁকে ধরলাম।

-ভালোইতো মেয়েটাকে একা পেয়ে আলাপ জমিয়ে ফেলেছ।
-না। পারলাম কৈ? আসলে তার কাছ থেকে জানতে চাচ্ছিলাম কোথায় যাবে। এই আরকি।
-তো কি বলল। ওতো বলে আমরা যে কদিন এখানে থাকব এ কদিন সে আমাদের
সঙ্গে ঘুরবে। তারপর ঢাকায় ফিরে যাবে।
-তো তুই কি রাজি হয়েছিস।
-না। আমি তোর কথা বললাম। তুই রাজি থাকলে আমার কোন আপত্তি নেই। আর মেয়েটা আবেগের বশে এত দূর চলে এসেছে। তাকে সেল্টার দেওয়াতো আমাদের দায়িত্ব তাই না।
-দায়িত্ব। তবে সঙ্গে নিয়ে ঘুরানা। মেয়েটি সারারাত এখানে থাকবে আমরা দূর থেকে পাহারা দেব। কোনো সমস্যা হলে এগিয়ে আসব। আমি গার্ডকে বলে দিয়েছি যেন খেয়াল রাখে।
-সে না হয় বুঝলাম। সঙ্গে রাখলে সমস্যা কোথায়?
-দেখ মিজান। মেয়েটাকে আমরা চিনি না। সে যে আমাদের সঙ্গে সত্য কথা বলছে তার কি নিশ্চয়তা আছে?
-ওর নাকি ক্ষুধা পেয়েছে কিছু খেতে চাচ্ছে। সঙ্গে নাকি কোনো টাকা পয়সা নেই ।
-ওরে বাবা। তুই দেখি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছিস। নায়িকার এখন ক্ষুধা লেগেছে। খাওয়া শেষে গায়ের ওপর কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। সকাল হলে বাড়ি নিয়ে যাবি। তার পর পতেঙ্গা সি-বিচে হাবুডুবু। মিজান রীতিমত আমাকে মেরেই ফেলে। ঠিক আছে চল কিছু খাবারের ব্যবস্থা করি। আমারও ক্ষিদে পেয়েছে।
গার্ডকে বলে আমরা বাইরে বেরোলাম। স্টেশনের উল্টোপাশের হোটেল থেকে খেয়ে স্মিতার জন্য শুকনা কিছু খাবার নিয়ে এলাম। মিজানকে এগিয়ে দিলাম খাবার দিতে। স্মিতা মিজানের উপর ভালই আস্থা অর্জন করল। আর এ কারণে বাড়ি থেকে পালানোর কারণটা মিজানকে জানাল।

স্মিতার মা নেই। মা মারা যাবার পর তার বাবা আবার বিয়ে করেছে। ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারের পড়ে। তার বাবা তার অমতে এক ব্যবসায়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়। পছন্দটা তার সৎ মায়ের। কিন্তু সে বিয়েতে রাজিনা। তাই বাসার কাউকে না বলে এখানে চলে এসেছে। সে আর ফিরে যেতে চায় না। যদি কোথাও একটা কাজের ব্যবস্থা করতে পারে তবে এখানেই থেকে যাবে। এখানকার আড়ং এ নাকি তার পরিচিত কে আছে। সকালে তার কাছে যাবে।

প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে মিজান আমাকে কথাগুলো জানালো। মিজান তার কথায় কিছুটা বিগলিত হয়ে পড়েছে। আমি মিজানকে লক্ষ্য করলাম। মিজান চাচ্ছে স্মিতা আমাদের সঙ্গে থাকুক। সকালে ওর ব্যবস্থা করে দিয়ে পরে আমাদের কাজ করি। আমি মিজানকে বুঝাতে চেষ্টা করলাম আমার জন্য এই অ্যাসাইনমেন্টটা অনেক বড়। এখন মেয়েটিকে সেল্টার দিতে গিয়ে কাজের অবহেলা করা যাবে না। তবে মেয়েটার দিকে লক্ষ্য রাখব। সে যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে।

ইতোমধ্যে সকাল হয়ে গেল। স্টেশন কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠলো। আমিও আরও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ফলে স্টেশনের ভেতর ঢুকতে প্রায় সাতটা বেজে গেল। গিয়ে দেখি স্মিতা নেই আমরা দুজনই পুরো স্টেশন খুঁজলাম। কোথাও নেই। ইতোমধ্যে গার্ড পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফলে কার কাছে জিজ্ঞেস করব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ মিজান রাতের গার্ডকে দেখে তার কাছে ছুটে গেল। আমিও গেলাম। গার্ড আমাদের জানাল আমরা যখন প্লাটফর্মে ছিলাম তখন অনেকক্ষণ প্লাটফর্মের দিকে তাকিয়ে একা একা কাঁদছিল। পরে ম্যানেজার সাহেব দেখে তার কামরায় নিয়ে যেতে দেখেছে। এরপর কই গেছে আমি জানি না। ও ম্যানেজারের কাছে আপনাদের কথা বলছে। যে সারারাত দুই সাংবাদিক আমারে পাহাড়া দিছে।

আমরা ম্যানেজারের কামরায় গিয়ে তাকে পাইনি। শুনলাম তিনি বাসায় গেছেন। পরে আসবে। মেয়েটির বিষয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে জানাল ম্যানেজার সাহেব মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে গেছে। ওর বাসায় খবর দেওয়া হয়েছে। ওর বাবা আসছেন তাকে নিতে। খবরটা শুনে আমরা আশ্বস্ত হলাম যে মেয়েটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা আবার আমাদের কাজে ফিরে গেলাম। সন্ধ্যার দিকে মিজান আমাকে বলল অনিন্দ চল স্মিতা বাড়ি ফিরল কি না খোঁজ নিয়ে আসি। আমরা স্টেশনে গিয়ে ম্যানেজার সাহেবকে পেলাম। আমাদের পরিচয় দিতেই ম্যানেজার সাহেব বলে উঠল ও তাহলে আপনারাই কাল সারা রাত ঐ মেয়েটাকে পাহাড়ায় রেখে ছিলেন। ওর বাবা আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এতক্ষণ বসে ছিল। ঘণ্টা খানেক আগে ঢাকায় ফিরে গেছে। ম্যনেজারের কাছ থেকে স্মিতার বাড়ি ফেরার খবরটা আমাদের আনন্দ দিলেও একট বিষয়ে আমরা দু জনই বেশ নাখোশ হলাম। তা হলো মেয়েটি আমাদের কাছে তার লুকিয়েছে। ম্যানেজারকে সে বলেছে আসলে ওর নাম ফারাহ।

ঢাকায় ফিরে অফিসে ফারাহর গল্প করেছিলাম। সবাই বেশ মজা পেয়ে ছিল। কিছু দিন পর একদিন অফিসে ঢুকতেই রিসিপশন থেকে আমাকে বলল একটা মেয়ে বেশ কয়েকবার ফোন করেছে। আপনার বাসার নম্বর দিয়ে দিয়েছি। বলেছে রাতে বাসায় ফোন করবে। আমি বুঝতে পারলাম ফোনটা ফারাহ করেছে। কারণ চট্টগ্রাম স্টেশনের উপর রিপোর্টটা গতকাল ছাপা হয়েছে। যেখানে ফারাহর কথাও আছে।

রাতে ফারাহ বাসায় ফোন করল। আমাকে লেখাটার জন্য ধন্যবাদ জানাল। এরপর মাঝে মধ্যে কথা হতো। কথা বলতে বলতে এক সময় ওর প্রতি আমার দুর্বলতা জাগে। ব্যাস শুরু প্রেম।

 

(চলবে..)

 

আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

 

Header Ad
Header Ad

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে এ রায় দেন।

আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আর্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই এসব চাঁদাবাজি মামলা করা হয়। মামলার কোথাও উল্লেখ নেই কে চাঁদা চেয়েছেন বা কে চাঁদা দাবি করেছেন। অথচ এ মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকে নির্যাতন করে তার পিঠের মরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আজ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এসব মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ছিল। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে বাধা দিতেই মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।’

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমণ্ডি থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেছিলেন। পরে মামলা দায়েরের বৈধতার প্রশ্নে হাইকোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ (ক) ধারায় আবেদন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  

ছবিঃ সংগৃহীত

২০১৭ সালে ভক্তদের চমকে দিয়ে হঠাৎই নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন শোবিজাঙ্গনের তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বিয়ের প্রায় ১১ বছর পর তাদের সংসারে ভাঙনের খবর আকাশ থেকে পরলেন সকলকে।

ভক্তদের স্বপ্নের দম্পতি ছিলেন। কিন্তু সে সংসারেও যে ভাঙন ধরবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। তাদের বিচ্ছেদে অসংখ্য ভক্তদের কষ্ট প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

বিচ্ছেদের পর অবশ্য রাফিয়াত রশীদ মিথিলা বেশিদিন একা থাকেননি। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জীর সাথে নতুন সংসার গড়ে তোলেন। আইরাকে নিয়ে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন।

তবে শোনা যাচ্ছে পাঁচ বছর না গড়াতেই সৃজিত-মিথিলার সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে। এমনও হতে পারে বিষয়টি সাময়িক।

তবে এ কথা সত্য বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন মিথিলা। কাজ করছেন ব্র্যাক-এ হেড অব আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম হিসেবে। আইরাও ভর্তি হয়েছে ঢাকার একটি স্কুলে।

সৃজিতের জন্মদিনেও মিথিলাকে দেখা যায়নি একসাথে। যদিও সৃজিত এখনও আইরাকে মিস করছেন এমনটা জানিয়েছেন নিজেই।

মিথিলার এমন একা হওয়ার গুঞ্জন যখন হাওয়ায় তখনই সম্পর্কে জড়ানোর খবর এলো তাহসান খানের।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধতে যাচ্ছেন তাহসান। সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লেও তাহসান জানিয়েছেন এখনো বিয়ে হয়নি। তবে নিশ্চিত করেছেন রোজার সাথেই নতুন জীবনের পথে হাঁটছেন তিনি।

গণমাধ্যমকে তাহসান বলেন, “এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।”

সন্ধ্যা পর্যন্ত ভক্তদের অপেক্ষা চলুক। এর মধ্যে জেনে নেয়া যাক তাহসানের হবু স্ত্রী সম্পর্কে।

রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কে।

পড়াশোনা শেষ করেই থেমে থাকেননি। নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামে একটি প্রতিষ্ঠানও দাঁড় করিয়েছেন। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন দেশেও। তার হাতে হাজারও তরুণীর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশের তারকাদেরও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছেন রোজা। সামাজিক মাধ্যমেও জনপ্রিয় রোজা। তার প্রতিষ্ঠানের এক মিলিয়ন ফলোয়ার দেখা গেছে।

২০০৬ সালে বিয়ে করেন গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। ২০১৩ সালে তাদের ঘরে আসেন কন্যা সন্তান আইরা। প্রায় এগারো বছর সংসারের পর ২০১৭ সালে তারা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা।

Header Ad
Header Ad

নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনছে হোন্ডা  

হোন্ডা ইউনিকর্ন বাইকের নতুন মডেল এনেছে বাজারে। ছবিঃ সংগৃহীত

হোন্ডা ইউনিকর্ন বাইকের নতুন মডেল এনেছে বাজারে। গাড়ি নির্মাতা সংস্থা এই সময়ের মধ্যে বাইকের ডিজাইনে কোনো বদল আনেনি। হোন্ডার এই বাইকে একটি ১৬৩ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। আরও অসংখ্য ফিচার থাকছে নতুন এই বাইকে।

হোন্ডা ইউনিকর্নের এই নতুন ভার্সনে ইনস্টল করা হয়েছে ফুল ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এর সঙ্গে সঙ্গে এলইডি হেডল্যাম্প, সার্ভিস রিমাইন্ডার, ১৫ ওয়াটের ইউএসবি টাইপ সি চার্জিং পোর্ট এই বাইকে রয়েছে। এই বাইক আবার গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর এবং একটি ইকো ইন্ডিকেটরের সঙ্গে বাজারে এসেছে।

হোন্ডার এই বাইকে একটি ১৬৩ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। এই বাইকে যে ইঞ্জিন ইনস্টল করা আছে, তাতে ১৩ বিএইচপি শক্তি ও ১৪.৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। এই বাইকের ইঞ্জিনে ৫ স্পিডের গিয়ারবক্সও লাগানো আছে। এর সঙ্গে সঙ্গে অন বোর্ড ডায়াগনস্টিক ২ এই বাইকে ইনস্টল করা আছে, এর কারণে এই বাইকে একটি নির্দিষ্ট সীমার থেকে বেশি দূষণ কখনোই হবে না।

হোন্ডার এই নতুন বাইক ৩টি রঙের বিকল্প নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক, পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক এবং রেডিয়ান্ট রেড মেটালিক রং। বাইকের অন রোড দাম ভারতীয় বাজারে ১ লাখ ৩৪ হাজার রুপি থেকে শুরু।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ
তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  
নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনছে হোন্ডা  
রূপপুরে রুশ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতের বিদায়, ফাইনালে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া  
বাইডেনের স্ত্রীকে হীরা উপহার দিয়েছেন মোদি  
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ
সহজ জয়ে বছর শুরু বার্সেলোনার  
১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ হারল ভারত
সেই পানামা ফারুকের মেয়ে রোজাকেই বিয়ে করলেন তাহসান
যুক্তরাষ্টের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পাচ্ছেন মেসি  
গাজার ইসরায়েলের হামলা, একদিনেই শিশুসহ নিহত ৭০
৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৭ জনকে নিয়ে মুখ ঢেকে কেক কাটলেন ছাত্রলীগের সাবেক সা. সম্পাদক  
গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 
বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড
  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি
ভারত সেভেন সিস্টার্সের জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে: সারজিস
নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর: প্রধান উপদেষ্টা  
রমজানে রাজধানীর ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি বেচবে বিপিএ
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির এখনো জবাব দেয়নি দিল্লি