রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ৩

অস্ফুট ভালোবাসা

অনিন্দ্যের আজ ডে অফ। গতকাল ফারাহকে সেটা জানানো হয়নি। তাহলে একটু দেরিতে ফোন করত। ঘড়ির দিকে তাকায় অনিন্দ্য। ১১টা। এখনই বাবার ফোন আসবে। বাবার সঙ্গে আমার দেখা হয় সপ্তাহের ছুটির দিন। কারণ আমি যখন বাড়ি ফিরি বাবা তখন ঘুমান। আবার তিনি যখন বাড়ি ফিরেন তখন আমি অফিসে। তাই চেষ্টা থাকা সত্বেও বাবার সঙ্গে আমার দেখা হয় না। ভাবতে ভাবতে অনিন্দ্য বিছানায় উঠে বসতেই ফোনটা বাজল।

কলিং বেলের শব্দ শুনে ফারাহ এসে দরজা খুলল। যতটা অবাক হবে ভেবেছিলাম ততটা হয়নি। শুধু বলল একি সূর্য আজকে কোন দিক দিয়ে উঠেছে। আজ অফিস নেই আমাকে আগে বলোনি কেন?

-সারপ্রাইজ দেব বলে।

-ভালইতো। তো কি ব্যাপার হঠাৎ মনে এত ভালোবাসা জেগে উঠল যে।

-তোমার কি শরীর খারাপ না মন খারাপ?

-দুটোই ভাল আছে।

-তা হলে তোমার কথা এমন তেতো শুনাচ্ছে কেন?

-আমার কথা তোমার কাছে আজ তেতো শুনাবে, কাল শুনতে ইচ্ছে করবে না। পরে বলবে আর যোগাযোগ করোনা। এভাবেই তো। সম্পর্ক শেষ।

-ভালোই তো গল্পটা। তুমি লিখে রাখ না কেন? তোমার কথার এক একটা লাইন একদিন বিশাল উপন্যাস হয়ে যাবে।

-তাই নাকি। চলো ঘরে ভালো লাগছে না কোথাও বেড়িয়ে আসি।

-আমার ইচ্ছে ছিল। থাক তোমার বোধ হয় আজ মন ভালো নেই।

-বেশি বকবক করো না তো। চল।

আশুলিয়া পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। পথে ফারাহ খুব চুপচপ ছিল। কারণটা অনিন্দ্য এখনও জানে না। তবে কিছু একটা যে হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আচ্ছা অনিন্দ্য এ জায়গাটারতো আহামরি কোন সৌন্দর্য নেই, তবু মানুষ জায়গাটকে এত সুন্দর বলে কেন বলোতো।
জানি না। হয়তো লেকটার জন্য। হয়তো মুক্ত পরিবেশটার জন্য। আমরা শহুরে মানুষগুলো তো সারাদিন ইট, পাথর, ধোঁয়া, গাড়ি আর মানুষ ছাড়া কিছুই দেখতে পাই না। রাতে আকাশ দেখা যায় তাও আবার শহরের চাকচিক্যের সঙ্গে উপভোগ্য নয়। ডোবা দেখলেই বলে উঠি কি সুন্দর লেক। আর ওই ডোবার মালিক মুচকি হাসে।

আসলে আমরা মানুষ আমাদের পৃথিবীটাকে অসুন্দর করে গড়ে তুলছি। এই যে দেখো একটু মুক্ত বাতাসের জন্য আমাদের কত দূর আসতে হয়েছে। অথচ শহরটা যদি পরিকল্পিত হতো তাহলে তোমাদের বাড়ির গেটের কাছে বসে প্রেম করতে পারতাম।

ফারাহ অনেকক্ষণ পর হাসিতে ফেটে পড়ল।

তবে এটাও ঠিক তখন আর সুন্দরের এত কদর থাকত না। তোমার মতো রোমিওরা বাড়ির গেটের সামনে বসে পড়ত। আর মা বাবার হাতে ধরা খেয়ে বিরহে দিন কাটাত। আসলে সুন্দরকে কখনই কোনো বৃত্তের মাঝে বন্দি করে রাখতে নেই। সুন্দর হবে দূর আকাশের মতো। যাতে মানুষ দূর থেকে একে উপলব্ধি করতে পারে।  

দেখতে দেখতে সূর্য ডুবে গেল। তবে পশ্চিম আকাশের লালিমা তখনো কাটেনি। পাখি ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাচ্ছে। গল্প কবিতায় এমন ডায়লগ পড়েছি। কিন্তু বাস্তবে এর উপলব্ধি আজকের মতো আগে আর কারিনি। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার পেশাটা আমার জীবনের অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। মাঝে মাঝে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ফেলে আসা ছাত্র জীবনে। যে সময়টায় ইচ্ছে করলেই কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়া যেত। বাঁধন হারা পাখিদের মতো ঘুরে বেড়ানো যায়। আজ বাবা আমার কাছে সময় চান। দিতে পারি না। ফারাহ চায় আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু পারি না। আমার যে একটা সুন্দর মন আছে ফারাহ অনেক সময় মানতেই চায় না। বলে তোমাদের সাংবাদিকদের আবার সুন্দর মন। সারা দিন যাদের কাজ অসুন্দরকে ঘিরে। বলে তোমরা সাংবাদিকরা প্রতিদিন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা খারাপ সংবাদ ছাপাও। মনে হয় পৃথিবীতে কোনো ভালো খবর নেই। আমি বলি কি করব খারাপ ঘটনা ঘটে বলেইতো আমরা পত্রিকা বের করতে পারি আর পাঠক সেটা পয়সা দিয়ে কেনে।

আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। আমরা অনেকক্ষণ নীরব সময় কাটিয়ে দিয়েছি। মনে হয় কেউ যেন কারো নীরবতাকে ভাঙতে চাচ্ছি না। তবে ফারাহর যে কিছু একটা হয়েছে তা আমি বুঝতে পারছি। সে এতটা চুপচাপ থাকার মেয়ে না।

ফারাহ, সন্ধ্যা হয়ে গেছে উঠবে নাকি। ফারাহ কিছুটা চমকে উঠল।

-থাকি না আর কিছুক্ষণ। তোমার কি কোনো কাজ আছে।

-না আজকের দিনটা শুধু তোমার জন্য রেখেছি।
তাই নাকি। ফারাহ একটু মুচকি হাসল।

-আচ্ছা তোমার কি হয়েছে বলোতো?

-কই কিছু নাতো।

-তাহলে এমন মুখ ভার করে বসে আছ কেন?

-তুমি কি কোনো হাসির কথা বলেছ যে হাসব?

-তা না বললেও তোমার চেহারা দেখে বুঝা যায় তোমার কিছু একটা হয়েছে।

-না। কিছু হয়নি। তুমি যাবার আগে বাবার সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

-কি নিয়ে জানতে পারি।

-ওই একই বিষয়। বিয়ে করছি না। আমাদের কোম্পানিতে জয়েন করছি না। এইতো।

-উনার কথারতো যুক্তি আছে। চাকরিটা না হয় নাই করলে। তোমার তো বিয়ের বয়স হয়েছে। বিয়েটা করে ফেলতে পার।

-ফারাহ একটু গম্ভীর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাল। কাকে বিয়ে করব?

-কেন তোমার যাকে মন চায় তাকেই করো। আমার সঙ্গে তোমার ভালোবাসার সম্পর্ক আছে তাই বলে যে আমাকে বিয়ে করতে হবে এমনতো কোনো কথা নেই।

-আমি কিন্তু বলিনি তোমাকে ছাড়া আমি কাউকে বিয়ে করব না। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না। অনিন্দ্য এখানেই তো সমস্যা। আমি কাকে বেছে নেব। যার সঙ্গে আমার মনের মিল হয় তাকে? নাকি কোনো অপরিচিত একজনকে। যাকে আমি চিনি না। জানি না।

-আচ্ছা অনিন্দ্য, আমাকে ঘিরে তোমার কোনো স্বপ্ন নেই?

-আসলে এ বিষয়টি নিয়ে কখনো ভাবিনি। আসলে ফারাহ তুমি আমার প্র্যাকটিকেল লাইফে মিশে গেছো। তোমাকে জড়িয়ে কিংবা তোমাকে ছাড়া কোনো ভাবনা আমার মনে আসেনি। আজ থেকে না হয় ভাবব তোমাকে নিয়ে আসলেই আমার কোন স্বপ্ন আছে কি না?

গাড়িটা গেটে ঢুকতেই দেখি ফারাহর বাবা আশরাফ চৌধুরি দোতালার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। ফারাহকে বললাম আমি চলে যাই। কিন্তু তিনি আমাকে ভেতরে নিয়ে যেতে বললেন ফারাহকে।

ফারাহর বাবার মুখোমুখি অনিন্দ্য এর আগেও বেশ কয়েক বারই হয়েছে। কিন্তু প্রথম প্রথম তিনি যে ভাবে আমাকে ডেকে নিত এখন তা করেন না। বিশেষ করে চট্টগ্রাম স্টেশনে তিনি আমাকে যেভাবে জড়িয়ে ধরে ছিলেন এখন সে দৃষ্টি তার নেই। হয়তো মেয়ের সঙ্গে প্রেম করাটাকে উনি পছন্দ করছেন না। আজ ফারাহর বাবার মুখোমুখি হতে কেমন যেন একটু অন্যরকম লাগছে। ড্রইং রুমে কিছুক্ষণ বসার পর ফারাহর বাবা এলেন।

-তোমাদের পত্রিকার কী অবস্থা? কাটতি কেমন? আমাকে অবশ্য বন্ধুরা পত্রিকার ব্যবসায় নামাতে চায়। আমিই পিছিয়ে যাচ্ছি। আসলে আমিতো এ জগতের মানুষ না। আমার ব্যবসার জগতটাই ভিন্ন। তুমি কি বলো।

-আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে এটাও ঠিক আজকাল শিল্পপতিরা টাকার জোরে সব কিছুই করিয়ে নিচ্ছে। আর পত্রিকার ব্যবসাতো মালিকের শুধু অর্থই সর্বস্ব। বাকি কাজতো করেন এমপ্লয়িরা।

-তা হয়তো করেন। তবে অভিজ্ঞতারও তো একটা ব্যাপার আছে।

-তা তোমার অবস্থা কী। এ পেশায় কি নিজেকে সেট করতে পেরেছ?

-মোটামুটি ।

-ভালো করে চেষ্টা চালিয়ে যাও। আমার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে বলো। আগে জীবনে ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হও তাহলে এক সময় সবই পাবে। আর ফারাহর ব্যাপারে তোমার কাছ থেকে আমি সহযোগিতা চাই। মেয়েটা বড় বেশি একরোখা। ওকে তুমি বুঝাও। আমাদের সমাজে মেয়েদের এমন হলে চলে না। জীবনটা কোনো পুতুল খেলা না। আমার জীবনে আমি অন্তত হারে হারে বুঝেছি। সঠিক সময়ে সঠিক সিন্ধান্ত নিতে না পারলে এর ঘানি সারা জীবন টানতে হয়।

-ফারাহরকে আমি কোন দিকটা বুঝাব?

-তোমাকে খোলামেলা ভাবেই বলি। আমি ফারাহকে সারা জীবনে কোনো অভাব বুঝতে দেইনি। তাই আমি ওর বাকি জীবনের সুখটাও দেখতে চাই। তুমিতো জান আমার কোনো ছেলে নেই । ফারাহই আমার সব। ওকে সুখী করতে পারলে আমার জীবনের সব স্বপ্ন পূরণ হবে। আর তাই আমি চাই তাকে এমন একজনের হাতে তুলে দিতে যাতে সে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারে।

-ঠিক আছে আংকেল আমি ওকে বুঝিয়ে বলব।

ফারাহর বাবার কথাগুলো অনিন্দ্যের কানে সারাটা পথ ভাসছিল। অনিন্দ্য তার ভাষায় অন্তত এটুকু বুঝেছে তিনি ফারাহর জন্য তাকে মনোনয়ন দেননি। তাতে কি করার আছে অনিন্দ্যের। সে বিষয়টা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিল। কিন্তু সে কি করবে। সাংবাদিকতা পেশায় পাঁচ বছর হয়েছে। এখনও প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। পত্রিকার কাটতিও ভালো না। অনেকেই ভালো অফার নিয়ে অন্য পত্রিকায় চলে গেছে। কিন্তু তার যাওয়া হয়নি। কারো কাছে গিয়ে চাকরি চাইতে তার খারাপ লাগে। নিজেকে ছোট মনে হয়। অনিন্দ্য কারো কাছে চাকরি চাইতে যায়নি। মাঝে একটা অফারও পেয়েছিল। কিন্তু সেখানকার সম্পাদককে সে পছন্দ করে না। লোকটার কোনো নীতি নেই। কারণটা তার কাছে বেশ পরিস্কার। লোকটা এর আগেও পত্রিকা খোলার জন্য কিছু সাংবাদিককে ভালো অফার দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু পরে সে পত্রিকাটি বের করেনি। ছয় মাস লাপাত্তা ছিল। পরে জানা গেল এক উঠতি মডেলের প্রেমে পড়ে বিদেশ চলে গিয়েছিল। তাকে বিয়ে ও করেছিল। কিন্তু তার সে সংসার দুমাসও টিকেনি।

জানা গেছে ওই মডেল নাকি কোনো সিনেমার প্রডিউসারের হাত ধরে ভেগে গেছে। লোকটার এটা ছিল তৃতীয় বিয়ে। বিদেশ যাবার আগে যারা তার ওপর ভরসা করেছিল তাদের কেউ কেউ এখনো বেকার। সুতরাং এ ধরনের লোককে বিশ্বাস করাটা বোকামি। অনিন্দ্যকে তিনি ডেকে ছিলেন। অনেক বড় বেতনের অফারও করেছিলেন। কিন্তু সে রাজি হয়নি। লোকটার মুখের ওপর সে বলে এসেছে আগে আপনি ঠিক করেন আপনি এ পেশায় থাকবেন নাকি ধান্দাবাজি করে বেড়াবেন।

বাসায় ঢুকতেই অনিন্দ্য বাবার সামনে পড়ল।

-কি আজ অফিস যাওনি?
-না। ডে অফ ছিল।
-তোমার চাকরি কেমন চলছে?
-ভালো।
-কেমন ভালো?
-মোটামুটি ভালো।
-এ পেশাতেই থাকবে? না অন্য কোথাও চেষ্টা করবে।
-কেন এই পেশাতে সমস্যা কী?

 -সমস্যার কথা বলছি না। বলছি এ পেশায় থেকে ভালো করতে পারবে মনে হচ্ছে কি না। হতে পারে না, ভালো না লাগা স্বত্ত্বেও করছ। তা ছাড়া এ পেশাতে তো টাকা পয়সা তেমন নেই। পত্রিকার মালিকরা শুনেছি সব সময় কর্মীদের ঠকাতেই ব্যস্ত থাকে। তাই বলছি যদি তুমিও যদি এমন ভাবো তা হলে আগে ভাগে চেষ্টা কর। সময় হারিয়ে গেলে পস্তাতে হবে।

-দেখি আর কিছু দিন। পরে না হয় অন্য চেষ্টা করব।

-আশরাফ সাহেব কাল ফোন করেছিল।

-চমকে উঠল অনিন্দ্য। কী বলল?

-অনেক কিছুই তো আলাপ হলো। অনেক ভাবনারও উদয় করে দিল। দেখো ফারাহকে নিয়ে তুমি কী ভাবছ? আমাকে একটু খোলাসা করে বলো তো।

-কি বলব। তুমি তো সবই জান। শুধু তুমি না এ ঘরের সবাই জানে ফারাহ কে কি। তারপরও তুমি আমার কাছে কী জানতে চাইছ?

অনিন্দ্যের মা এসে যোগ দিল বাপ ছেলের আলোচনায়।

অনিন্দ্যের মা বলল, দেখ বাবা, তুই আর তোর আপা আমাদের অনেক আদরের সন্তান। তোর বোনোর বিয়ে হয়েছে। সে ভালো আছে। এটা আমাদের অনেক তৃপ্তি দেয়। তুই আমাদের একমাত্র ছেলে। আমরা তোর সুখ চাই। শান্তি চাই। আমরা চাই এমন একটা মেয়ে এ ঘরে আসবে যে আমাদের সংসারটা আগলে রাখবে। ফারাহ অনেক ধনী ঘরের মেয়ে। হয়তো তোর সঙ্গে সে মানিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু সংসার জীবনটা অন্য রকম। সে কি আমাদের মতো করে চলতে পারবে? তুই একটু ভাল করে ভেবে দেখ।

অনিন্দ্যের বাবা বললেন, তুমি তাকে অনেক পছন্দ কর ঠিক আছে, সেও হয়তো তোমাকে অনেক পছন্দ করে, কিন্তু তার বাবা চাইছে কি না তাও তোমাকে দেখতে হবে।

- ফারাহর বাবা তোমাকে আর কী বলেছে?
- বলেছে তোমাকে বোঝাতে। তোমার এ রোজগারে ফারাহর সংসার চলবে না। এটা জানাতে।
-ঠিক আছে আমি ভেবে দেখি কী করা যায়।

 

(চলবে..)

আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ২

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

 

Header Ad
Header Ad

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে এ রায় দেন।

আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আর্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই এসব চাঁদাবাজি মামলা করা হয়। মামলার কোথাও উল্লেখ নেই কে চাঁদা চেয়েছেন বা কে চাঁদা দাবি করেছেন। অথচ এ মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকে নির্যাতন করে তার পিঠের মরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আজ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এসব মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ছিল। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে বাধা দিতেই মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।’

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমণ্ডি থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেছিলেন। পরে মামলা দায়েরের বৈধতার প্রশ্নে হাইকোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ (ক) ধারায় আবেদন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  

ছবিঃ সংগৃহীত

২০১৭ সালে ভক্তদের চমকে দিয়ে হঠাৎই নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন শোবিজাঙ্গনের তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বিয়ের প্রায় ১১ বছর পর তাদের সংসারে ভাঙনের খবর আকাশ থেকে পরলেন সকলকে।

ভক্তদের স্বপ্নের দম্পতি ছিলেন। কিন্তু সে সংসারেও যে ভাঙন ধরবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। তাদের বিচ্ছেদে অসংখ্য ভক্তদের কষ্ট প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

বিচ্ছেদের পর অবশ্য রাফিয়াত রশীদ মিথিলা বেশিদিন একা থাকেননি। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জীর সাথে নতুন সংসার গড়ে তোলেন। আইরাকে নিয়ে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন।

তবে শোনা যাচ্ছে পাঁচ বছর না গড়াতেই সৃজিত-মিথিলার সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে। এমনও হতে পারে বিষয়টি সাময়িক।

তবে এ কথা সত্য বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন মিথিলা। কাজ করছেন ব্র্যাক-এ হেড অব আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম হিসেবে। আইরাও ভর্তি হয়েছে ঢাকার একটি স্কুলে।

সৃজিতের জন্মদিনেও মিথিলাকে দেখা যায়নি একসাথে। যদিও সৃজিত এখনও আইরাকে মিস করছেন এমনটা জানিয়েছেন নিজেই।

মিথিলার এমন একা হওয়ার গুঞ্জন যখন হাওয়ায় তখনই সম্পর্কে জড়ানোর খবর এলো তাহসান খানের।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধতে যাচ্ছেন তাহসান। সামাজিক মাধ্যমে তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লেও তাহসান জানিয়েছেন এখনো বিয়ে হয়নি। তবে নিশ্চিত করেছেন রোজার সাথেই নতুন জীবনের পথে হাঁটছেন তিনি।

গণমাধ্যমকে তাহসান বলেন, “এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।”

সন্ধ্যা পর্যন্ত ভক্তদের অপেক্ষা চলুক। এর মধ্যে জেনে নেয়া যাক তাহসানের হবু স্ত্রী সম্পর্কে।

রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কে।

পড়াশোনা শেষ করেই থেমে থাকেননি। নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামে একটি প্রতিষ্ঠানও দাঁড় করিয়েছেন। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন দেশেও। তার হাতে হাজারও তরুণীর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশের তারকাদেরও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছেন রোজা। সামাজিক মাধ্যমেও জনপ্রিয় রোজা। তার প্রতিষ্ঠানের এক মিলিয়ন ফলোয়ার দেখা গেছে।

২০০৬ সালে বিয়ে করেন গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। ২০১৩ সালে তাদের ঘরে আসেন কন্যা সন্তান আইরা। প্রায় এগারো বছর সংসারের পর ২০১৭ সালে তারা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা।

Header Ad
Header Ad

নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনছে হোন্ডা  

হোন্ডা ইউনিকর্ন বাইকের নতুন মডেল এনেছে বাজারে। ছবিঃ সংগৃহীত

হোন্ডা ইউনিকর্ন বাইকের নতুন মডেল এনেছে বাজারে। গাড়ি নির্মাতা সংস্থা এই সময়ের মধ্যে বাইকের ডিজাইনে কোনো বদল আনেনি। হোন্ডার এই বাইকে একটি ১৬৩ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। আরও অসংখ্য ফিচার থাকছে নতুন এই বাইকে।

হোন্ডা ইউনিকর্নের এই নতুন ভার্সনে ইনস্টল করা হয়েছে ফুল ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এর সঙ্গে সঙ্গে এলইডি হেডল্যাম্প, সার্ভিস রিমাইন্ডার, ১৫ ওয়াটের ইউএসবি টাইপ সি চার্জিং পোর্ট এই বাইকে রয়েছে। এই বাইক আবার গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর এবং একটি ইকো ইন্ডিকেটরের সঙ্গে বাজারে এসেছে।

হোন্ডার এই বাইকে একটি ১৬৩ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। এই বাইকে যে ইঞ্জিন ইনস্টল করা আছে, তাতে ১৩ বিএইচপি শক্তি ও ১৪.৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। এই বাইকের ইঞ্জিনে ৫ স্পিডের গিয়ারবক্সও লাগানো আছে। এর সঙ্গে সঙ্গে অন বোর্ড ডায়াগনস্টিক ২ এই বাইকে ইনস্টল করা আছে, এর কারণে এই বাইকে একটি নির্দিষ্ট সীমার থেকে বেশি দূষণ কখনোই হবে না।

হোন্ডার এই নতুন বাইক ৩টি রঙের বিকল্প নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক, পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক এবং রেডিয়ান্ট রেড মেটালিক রং। বাইকের অন রোড দাম ভারতীয় বাজারে ১ লাখ ৩৪ হাজার রুপি থেকে শুরু।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল, আপিল খারিজ
তাহসানের বিয়ের খবরে, মিথিলার ভাঙ্গনের সুর  
নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনছে হোন্ডা  
রূপপুরে রুশ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারতের বিদায়, ফাইনালে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া  
বাইডেনের স্ত্রীকে হীরা উপহার দিয়েছেন মোদি  
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ
সহজ জয়ে বছর শুরু বার্সেলোনার  
১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ হারল ভারত
সেই পানামা ফারুকের মেয়ে রোজাকেই বিয়ে করলেন তাহসান
যুক্তরাষ্টের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পাচ্ছেন মেসি  
গাজার ইসরায়েলের হামলা, একদিনেই শিশুসহ নিহত ৭০
৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৭ জনকে নিয়ে মুখ ঢেকে কেক কাটলেন ছাত্রলীগের সাবেক সা. সম্পাদক  
গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 
বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড
  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি
ভারত সেভেন সিস্টার্সের জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে: সারজিস
নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর: প্রধান উপদেষ্টা  
রমজানে রাজধানীর ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি বেচবে বিপিএ
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির এখনো জবাব দেয়নি দিল্লি