শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৭

বিষাদ বসুধা

পত্রিকায় মোহিনীর একটি ছবি ছাপা হয়েছে। ছবির সঙ্গে বড় হেডলাইনে খবর। অবহেলিত মানুষের পাশে মোহিনী। খবরটি দেখে মোহিনী খুবই বিব্রত। পত্রিকা হাতে নিয়ে তিনি বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। মোহিনী যেন একটা পাথরের মূর্তি। তিনি মনে মনে বলেন, কে করল এই কাজটা? কেন করল? যে করেছে সে নিশ্চয়ই আমার ভালো চায় না। নিশ্চয়ই কোনো স্বার্থের জন্য কাজটি করেছে। ছবি ছাপা হবে মন্ত্রী-এমপিদের; যারা রাজনীতি করেন। আমি তো রাজনীতি করি না। রাজনীতির ধারেকাছেও যাই না। আমার ছবি কেন পত্রিকায় ছাপা হবে?

মোহিনীর ভাবনা মিলিয়ে যেতে না যেতেই তার মোবাইল ফোনের রিং বাজে। এই সাত সকালে কে ফোন করল? ফোন ধরতে ইচ্ছা করছিল না তার। দুতিনবার রিং বাজার পর তিনি ফোন কেটে দিয়ে নিজের কক্ষের দিকে যান। টেবিলের উপর পত্রিকা ছুড়ে ফেলে তিনি খাটের উপর বসেন। খবরটি নিয়ে ভাবেন।

আসলে আত্মপ্রচার মোহিনী পছন্দ করেন না। ভালোও লাগে না। তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও পত্রিকায় খবরটি এসেছে। তার অফিসের লোকরাও জানত না, মোহিনী এতো এতো মানুষকে সহায়তা করেছে। পত্রিকায় খবর দেখে অনেকের চোখ কপালে ওঠে। মনে মনে গর্ববোধ করে। অনেকে মোহিনীর অফিসে এসে আবার অনেকে টেলিফোনে তাকে ধন্যবাদ জানায়। এতেও মোহিনী বিব্রত হয়। এটা অবশ্য মোহিনীর ধাতে সওয়ার না। সইবেও না কোনোদিন। কারণ, তার বাপ-দাদার চরিত্রও এমনই। তারাও আত্মপ্রচার একদম পছন্দ করতেন না কিংবা করেন না। মোহিনীর দাদাকে বলা হতো দাতা হাতেমতাই। কারণ তিনি দুই হাতে মানুষকে বিলাতেন। নিজের বা পরিবারের সুখ-শান্তির কথা তিনি ভাবতেন না। তার কথা, যতক্ষণ পর্যন্ত হাতে টাকা থাকবে ততক্ষণ বিলিয়ে যাও। একজন দানবীর হওয়া সত্ত্বেও তিনি তা কাউকে বলতেন না। গোপন রাখতেন। এক হাতে বিলালে অন্য হাত তা জানতে পারত না। পবিত্র কোরআনে নাকি মহান সৃষ্টিকর্তা এরকম নির্দেশনাই তার বান্দাকে দিয়েছেন।

মোহিনীর বাবাও সেই অভ্যাস পেয়েছেন। তিনিও দুই হাতে মানুষকে বিলান। সেই রক্ত মোহিনীর শরীরে বহমান। কাজেই ধাতে সইবে কেন?

অনেকেই আছেন সামান্য সহায়তা করতে গিয়ে বিশাল ঢাকঢোল পেটান। সহায়তা দেওয়ার আগ থেকে শুরু হয়। টানা এক সপ্তাহ দুই সপ্তাহ চলতে থাকে। আত্মপ্রচার কাহাকে বলে তা তারা বুঝিয়ে দেন। ভাবখানা এমন যেন না জানি কি করে ফেলছেন। অথচ তাদের চেয়ে অনেকগুণ বেশি সহায়তা করেও অনেকে কাউকে তা বলেন না। বরং বলতে লজ্জাবোধ করেন। মোহিনী এমনিতেই প্রচারবিমুখ মানুষ। তার ওপর আবার নিজের দান-খয়রাতের কথা অন্য জানাবে! মোটেই না।

মোহিনীর মোবাইলে আবার রিং বাজে। তিনি মনে মনে বিরক্ত হন। কে আবার ফোন করেছে? কেন বার বার ফোন করছে? মোহিনী মোবাইল হাতে নিয়ে দেখেন। নম্বরটা অচেনা। তিনি আবার ফোন কেটে দেন। তিনি বুঝতে পারছেন তার মেজাজটা তিরিক্ষি হয়ে আছে। এসময় ফোন ধরা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই তিনি ফোন ধরা থেকে বিরত থাকেন। তিনি ফোনটা হাত থেকে টেবিলের ওপর রাখতে যাবেন এমন সময় ম্যাসেজ আসার টোন পান। তিনি ম্যাসেজ খুলে দেখেন, আসিফের ম্যাসেজ। সে-ই বার বার তাকে ফোন দিচ্ছে। মোহিনী নিজেই ওই নম্বরে ফোন দেন। আসিফ ফোন ধরেই বলেন, সরি তোমাকে সাত-সকালে বিরক্ত করলাম।
না না। বিরক্ত কেন বলছ?
কয়েকবার ফোন দিলাম তো! তুমি ধরোনি। তাই ভাবলাম তুমি বিরক্ত হচ্ছ কি না।
এটা যে তোমার নম্বর সেটাই তো জানি না।
ওহ! তোমাকে এই নম্বরটা দেইনি না?
না তো!
তোমার ওপর একটা লেখা পড়লাম। ভীষণ ভালো লাগল। এটা জানানোর জন্যই তোমাকে ফোন দিয়েছি।
কোথায় পড়েছ?
প্রথম আলোতে।
তাই নাকি?
হুম।
কি লিখেছে?
তুমি পড়ে দেখ। খুব ভালো লিখেছে। সত্যিই খুব ভালো লিখেছে। আমি তোমাকে কতবার বললাম, তুমি যে মানুষকে সহায়তা করছ এটা নিয়ে একটা লেখা ছাপি। তুমি বললে না। আত্মপ্রচার তুমি পছন্দ করো না। আমি নিজেও অবশ্য জানি। তুমি পছন্দ করো না বলে আমি খুব বেশি চাপ দিইনি।
কাজটা কে করল বলতে পার?
আমি জেনে দিতে পারব। তুমি জানতে চাও?
হুম। জানতে চাই। যে করেছে সে হয়ত না জেনেই করেছে।
জেনে করুক আর না জেনে করুক; কাজটা যে খুব ভালো করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

মোহিনী কোনো কথা বলেন না। তিনি চুপ করে আছেন। মোহিনী কোনো কথা বলছেন না দেখে আসিফ আহমেদ বললেন, কি ব্যাপার! কিছু বলছ না যে! তোমার ওপর আমরা একটা আর্টিকেল করে দিই?
না না। কোনো দরকার নেই। এটা বাবা দেখলে ভীষণ রাগ করবেন। তাকে যে কি করে সামলাবো সেটা নিয়ে ভাবছি।
হুম। উনিও তো আত্মপ্রচার একদম পছন্দ করেন না।
হ্যাঁ। আমার চেয়ে কিন্তু বাবা অনেক বেশি সহায়তা করছেন। অথচ কেউ জানেও না। আসলে বাবা জানতে দেন না। আমারটা দেখলে উনি কি ভাববেন কে জানে?
তুমি তো আর নিজে করাওনি! তুমি এটাই তাকে বলে দেবে।
হুম। তারপর তোমার কথা বলো। কেমন আছ?
আর বোলো না। আয়-রোজগার একেবারেই কমে গেছে। বেসরকারি বিজ্ঞাপন একেবারেই নেই। কিছু সরকারি বিজ্ঞাপন পাচ্ছি। তার টাকা কবে পাওয়া যাবে তার কোনো ঠিক নেই। এদিকে ঠিকমতো বেতন দিতে পারছি না।
সে কী! বেতন দিতে পারছ না মানে? এতো বড় প্রতিষ্ঠান! আর তোমরা বেতন দিতে পারছ না? এটা কেউ বিশ্বাস করবে?
সেটাই তো কথা। মানুষ ভাবে, আমরা না জানি কত সুখে আছি। বড় কোম্পানিতে চাকরি করি। টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই। যত বড় ঝড় আসুক তা সামাল দেওয়া কোনো ব্যাপার না। অথচ আলোর নিচে যে অন্ধকার তা কেউ বুঝতে চায় না। আরও সমস্যা কি জানো?
কি?
বেসরকারি বিজ্ঞাপনদাতারা বলে, এতোবড় কোম্পানির পত্রিকা! আমরা কেন বিজ্ঞাপন দেব? ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন থেকে আমরা বঞ্চিত। ব্যাংকগুলোর বিজ্ঞাপন পাই না। কারণ, আমাদের মূল প্রতিষ্ঠান প্রায় সবগুলো ব্যাংক থেকেই ঋণ নিয়ে বসে আছে। কত যে ঝামেলায় আছি তা যদি বুঝতে?
তাই বলে এই সময় বেতন না দিলে..মোহিনী আমতা আমতা করে বললেন।
সে কথাই তো তোমাকে বলছি। এরা কতই বা বেতন পায়। অথচ আমরা ঠিকমতো বেতন দিতে পারছি না। সবার মধ্যে দুশ্চিন্তা ভর করেছে। কারো মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।
তোমার চেয়ারম্যানকে বলো, বেতনের টাকাটা অন্তত দিক। তোমরা তো মূল প্রতিষ্ঠানের অনেক বিজ্ঞাপনও ছাপো। তাই না?
হ্যাঁ। কিন্তু সেই টাকা চাওয়া যাবে না। বুঝতে পারছ? সেই টাকা চাইতে গেলেই দোষ।
এখন তো একটা বিপদের সময়। তুমি বুঝিয়ে বললে নিশ্চয়ই দেবে।
আসিফ আহমেদ বললেন, তুমি কি ভেবেছ আমি বলিনি? অনেকবার বলেছি। চেয়ারম্যান বললেন, এক পয়সাও আমি দিতে পারব না। আমি দেবো কোত্থেকে? বরং এই পত্রিকা করে আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। কেন যে জেদের বশে পত্রিকা করতে গেলাম! অথচ এই পত্রিকার কারণে যে তারা টিকে আছে সে কথা বেমালুম ভুলে গেছে।
কি আর করবে? ধৈর্য ধরো। এছাড়া আর কি বলব?
ধৈর্য কত ধরা যায়? ধৈর্যেরও তো একটা সীমা আছে। সরি, তোমাকে অনেক কথা বলে ফেললাম মোহিনী। কিছু মনে কোরো না।
না না! কি বলো! শোনো, আমাদের কাছে বিজ্ঞাপনের কোনো টাকা পাওনা থাকলে আমাকে বোলো। আমি দিয়ে দেব।
আসিফ আহমেদ সন্তুষ্টির সঙ্গে বললেন, ধন্যবাদ মোহিনী। অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থেকো। সাবধানে থেকো।
হুম। সাবধানে তো থাকতেই হবে। তা না হলে সবকিছু যে ওলোটপালোট হয়ে যাবে। তুমিও ভালো থেকো। ধন্যবাদ।

মোহিনী টেলিফোন রেখে আবার পত্রিকাটা হাতে নেন। প্রতিবেদনটা ভালো করে দেখেন। এরমধ্যেই রহিমাবিবি হন্তদন্ত হয়ে মোহিনীর কক্ষে ঢুকে বলল, আপামনি, আপামনি! আপনারে খালু ডাকতাছে?
মোহিনী রহিমাবিবির দিকে তাকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর তিনি বললেন, বাবা কি করছেন রে?
নাশতা করতেছেন। আপনারে ডাকতেছেন।
মা কোথায়?
খালাম্মাও নাশতা করতেছেন।
ও। আচ্ছা যাচ্ছি।
রহিমাবিবি চলে যায়। মোহিনী ভাবেন, বাবা কি পত্রিকাটা দেখেছেন? আমার নিউজটা তার কি চোখে পড়েছে? এ বিষয়ে বাবা আমাকে কিছু বলতে পারেন। নিশ্চয়ই বলতে পারেন। তা বলুন। আমি তো নিজের থেকে নিউজটা করাইনি। ওরা নিজেরাই করেছে। আমি জানিও না। এ কথাই বাবাকে বলব।
মোহিনী খাবার ঘরে পা রেখেই বললেন, শুভ সকাল বাবা। কেমন আছো?
শুভ সকাল। আমি ভালো আছি মা। তুমি কেমন আছো? ঘুম হয়েছে তো?
হ্যাঁ বাবা। হয়েছে। ভালো ঘুম হয়েছে। বাবা, আজ একটা কাণ্ড ঘটে গেছে।
মোহসীন আহমেদ মুখের খাবার এপাশ ওপাশ করে গিলে ফেললেন। কি ঘটেছে মা?
ও তুমি দেখনি!
দেখেছি। তুমি কি কাণ্ড ঘটেছে সেটা আগে বলো!
বাবা, প্রথম আলো পত্রিকায় আমাকে নিয়ে একটা ফিচার লিখেছে। এটা দেখেছ?
হুম। দেখলাম। তুমি করিয়েছ নাকি?
না না বাবা! আমি কেন করাতে যাব? পড়ে কি তোমার তাই মনে হয়েছে?
না। তা মনে হয়নি।
আনোয়ারা বেগম বললেন, কি লিখেছে রে?
মোহসীন আহমেদ বললেন, ওকে নিয়ে পত্রিকায় একটা ফিচার করেছে। বেশ ভালো লিখেছে। ওর মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে আর কি!
তাই নাকি! দেখিনি তো! আজকের পত্রিকায়?
মোহিনী বললেন, হ্যাঁ মা। ওরা নিজেরাই করেছে। আমার সঙ্গে কথাও বলেনি।
মোহসীন আহমেদ বললেন, আমি জানতাম, তুমি নিজের থেকে এটা করাবে না। করাতে পার না। আফটারঅল, তুমি আমার মেয়ে।
এই! শুধু আমার মেয়ে কেন বললে? আমি কি মানবিক নই?
সরি সরি। আমাদের মেয়ে।
ঠিক বলেছ বাবা। আমি সব সময়ই সে বিষয়ে সতর্ক। আমি নিজেও আত্মপ্রচার পছন্দ করি না। অনেকেই আমার সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছে। আমাকে অনুরোধ করেছে। আমার এক বন্ধু আছে পত্রিকার সম্পাদক।
তোমার বন্ধু সম্পাদক!
হ্যাঁ বাবা।
কে সে?
আসিফ আহমেদ।
ও তাই নাকি! ও তো খুব ভালো ছেলে! খুবই ভালো সাংবাদিক।
হ্যাঁ বাবা। ভীষণ সৎ।
ও কি বলে? মোহসীন আহমেদ জানতে চাইলেন।
মোহিনী বললেন, আমাকে নিয়ে একটা লেখা লেখাতে চেয়েছিল। আমি রাজি হইনি।
ধন্যবাদ। তারপর, তোমার ব্যবসার কি অবস্থা?
চলছে বাবা। বাইরের কিছু অর্ডার পেন্ডিং আছে। অসুবিধা হবে না আশা করছি।
বেশ বেশ।
বাবা, আমার কাজকর্ম ঠিক আছে তো?
হ্যা মা। একদম ঠিক আছে। ঠিক না থাকলে বলতাম।
ধন্যবাদ বাবা।
মোহিনী পত্রিকাটা তোর কাছে আছে?
হ্যাঁ মা। আমি তোমাকে দেখাচ্ছি।

মোহসীন আহমেদ দরাজ গলায় রহিমাবিবিকে ডাকলেন। রহিমাবিবি, রহিমাবিবি! আজকের পত্রিকাটা নিয়ে আয় তো!
রহিমাবিবি পত্রিকা নিয়ে দৌড়ে খাবার ঘরে এসে মোহসীন আহমেদের হাতে পত্রিকা দেয়। তিনি মোহিনীকে নিয়ে লেখা প্রতিবেদনটি বের করে আনোয়ারা বেগমের হাতে এগিয়ে দেন। তিনি গভীর মনোযোগে পড়তে শুরু করেন। মোহিনী চায়ের কাপ হাতে নিয়ে নিজের কক্ষের দিকে এগিয়ে যান।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

আরএ/

 

 

 

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ