বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫

বিষাদ বসুধা

আরেফিন জ্বরে কাতর। তিনি থরথর করে কাঁপছেন। তিনি নিজের কপালে হাত দিয়ে দেখেছেন, শরীরে জ্বরের মাত্রা একশ’ তিন চারের কম হবে না। জ্বরটা মাপতে পারলে ভালো হত। কিন্তু তার কোনো উপায় নেই। শেষ রাতের দিকে কাঁপিয়ে জ্বর আসে তার। তখনই তিনি বিছানা থেকে উঠে দুটি প্যারাসিটামল খেয়েছেন। কিন্তু তাতে পুরোপুরি জ্বর সারেনি। তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। এখন আবার বেড়েছে।

জ্বরের কাঁপুনিতে তার ঘুম ভেঙে যায়। জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। মাথাটা মনে হচ্ছে ছিড়ে যাচ্ছে। বিছানা থেকে মাথা তুলতে পারছেন না। মাথায় পানি দিতে পারলে হয়ত জ্বরের মাত্রাটা কমতো। সেজন্য তিনি কয়েকবার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু মাথার যন্ত্রণা এমন বেড়েছে যে, বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। তাছাড়া শরীরের কাঁপুনিও অনেক বেড়েছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় তার।

আরেফিন লেপ গায়ে দিয়ে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে। তার মাথায় নানা রকম চিন্তা ঢুকেছে। তিনি মনে মনে ভাবেন, এখন জ্বর মানে করোনা। করোনা হলে আপনজনরাই কাছে আসে না। আর হোটেলের লোকজন তো আসবেই না। হোটেল কক্ষেই মরে পড়ে থাকবো! হায় হায়! এ রকম মৃত্যু খোদা-তায়ালা আমার কপালে লিখল! না না! এ রকম মৃত্যু আমি চাই না!

আরেফিন মাকে ডাকছেন। বাবাকে ডাকছেন। মোহিনীর কথাও বার বার মনে পড়ছে। সবাইকে ছেড়ে তিনি চলে যাবেন! পৃথিবী থেকে শেষ বিদায়ের দিনেও প্রিয়জনরা তার মুখ দেখতে পারবেন না! এটা কিছুতেই মানতে পারেন না আরেফিন। বিছানা থেকে উঠার চেষ্টা করেন আরেফিন। উঠতে গিয়েও উঠতে পারেননি তিনি। তার শরীরে এক রতি বলও নেই। তার কাছে মনে হচ্ছে তিনি শূন্যে ভাসছেন। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। কিন্তু সেই চিৎকারের শব্দ যেভাবে বের হচ্ছে তা খুবই আজব ধরনের। আর তার শব্দ কক্ষের বাইরে কেউ শুনতেও পাবে না। কাউকে ডাকলে হয়ত আসত। তার ভালোমন্দ খোঁজখবর নিত। জ্বরের কথা জানার পর হয়ত চলে যেত। কিন্তু হোটেলের লোকজনকে তো জানতে হবে, আরেফিন গভীর সংকটে পড়েছেন!

আরেফিনের প্রচণ্ড পানির পিপাসা লেগেছে। তার দুই ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তটা সে দেখতে পাচ্ছে। তার মানে মানুষের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মৃত্যুর সময়টা! আর সেই সময়ই কি আরেফিনের সামনে সমাগত! আরেফিনের কাছে তাই মনে হচ্ছে। মৃত্যু চিন্তা তাকে কাতর করে তুলেছে। তার ধারণা, মৃত্যু আসবে বলেই তাকে করোনায় ধরেছে। মৃত্যুদূতের তো একটা অজুহাত লাগবে! তা না হলে জান-কবজ করবে কি করে? এখন তার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। বাঁচার কোনো আশা নেই।

বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন আরেফিন। তিনি যে একদিক থেকে আরেকদিকে ঘুরবেন তাও পারছেন না। শরীর মোটেই সায় দিচ্ছে না। তার মানে কি আজরাইল তার গায়ের উপর চেপে বসেছে? মাথাটা মনে হচ্ছে কেউ লোহার শিক দিয়ে বেঁধে রেখেছে। মোটেই নাড়াতে পারছে না। এটাই কি তার শেষ মুহূর্ত! সে কি মুখে একটু পানিও দিতে পারবে না! বিছানার পাশের টেবিলে পানির বোতল থাকার কথা। পাশ ফিরে না দেখতে পারলে তো বুঝতে পারবে না! অনেক চেষ্টার পর তিনি তার মাথাটা ডানদিকে ঘুরিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এদিকে কোনো পানির বোতাল নেই। কথায় বলে, অভাগা যেদিকে তাকায় সাগর শুকিয়ে যায়। আরেফিনের অবস্থা সে রকমই হয়েছে। এক ফোটা পানির জন্য তার কাতর অবস্থা। অথচ পানি মুখে দেওয়ার মতো অবস্থায় তিনি নেই।

এবার আরেফিন অন্যদিকে মাথা ঘোরাবে বলে মনস্থির করেছেন। কিন্তু এখন তার শরীরের যে অবস্থা; তাতে মনে হচ্ছে, তার ইচ্ছায় এখন আর শরীর চলে না। শরীরের ইচ্ছায় তাকে চলতে হয়। শরীর সায় দিলে সে চলে। সায় না দিলে তিনি মরার মতো পড়ে থাকে। এখন তিনি মাথা ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। কতক্ষণে পারবেন তা বুঝতে পারছেন না। গলা লোহার মতো শক্ত হয়ে আছে।

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, আজরাইলের কি কোনো মায়াদয়া বলতে কিছু নেই! এতো কষ্ট দেয় মানুষকে! অবশ্য মায়াদয়া থাকলে তো জানকবজই করতে পারত না। তাকে দোষ দিয়ে লাভ কি। সৃষ্টিকর্তা তাকে ওভাবেই তৈরি করেছে। সে শুধু আল্লাহর নির্দেশ পালন করবে। কখন তাতে তুলে নিতে হবে তা নির্ধারিত। তাকে রোধ করার সাধ্য কারো নেই। বিজ্ঞানীরা এতো এতো অস্বাভাবিক এবং বিস্ময়কর জিনিস আবিষ্কার করছে। এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যাচ্ছে। অন্য গ্রহে বসাবাসের চিন্তা করছে। অথচ তারা মানুষের মৃত্যু রোধ করতে পারছে না। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ভাইরাস; যা চোখে দেখা যায় না। সেই ভাইরাসের ভয়ে সারাবিশ্বের মানুষ তটস্থ। সে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। একজন মানুষ আরেকজন মানুষের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছে। সন্দেহ করছে। সামাজিকতা, পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে গেছে। হোটেল রেস্তোরাঁগুলো খাঁ খাঁ করছে। কোথাও কোনো আড্ডা নেই। গল্প নেই। আলোচনা সমালোচনা নেই। মানুষে মানুষে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ। কী এক আজব সময় পার করছি আমরা!

আরেফিন এক দুঃসহ যন্ত্রণার সময় কাটাচ্ছেন। এ যে মৃত্যু যন্ত্রণার চেয়েও কঠিন। মৃত্যু চিন্তা যখন মাথায় ঢোকে তখন সব মানুষই হয়ত এমন যন্ত্রণাদায়ক সময় পার করে। তার মাথায় নেতিবাচক চিন্তাগুলো ঢুকতে থাকে। সেগুলো তাকে সারাক্ষণ খোঁচাতে থাকে। তার অঙ্গপ্রতঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে।

আরেফিন অনেক চেষ্টার পর অন্যপাশে ফিরেছেন। তিনি খাটের পাশের ছোট্ট টেবিলে একটি পানির বোতল দেখেছেন। বোতলটা হাতের নাগালের বাইরে। দুইতিন হাত সামনে না আগালে তিনি বোতলটা হাতে পাবেন না। তিনি আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার শরীর ব্যথায় টুকরো হয়ে আছে। হাত-পা নাড়াতে পারছেন না। এক রাতের জ্বরের শরীর এতো দুর্বল হয় কী করে! সে ভাবনাও তার মাথায় ঘুরপাক খায়। তিনি কি সত্যিই মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তটা পার করছেন!

টানা দুদিন মৃত্যুদূতের সঙ্গে যুদ্ধ করেন আরেফিন। তার প্রতিটি মুহূর্ত কাটে আশা আর দূরাশার দোলাচলে; বাঁচা আর মরার সঙ্গে যুদ্ধ করে। সে এক কঠিন যুদ্ধ। এক এক করে জীবনের সব আলো যখন নিভে যায় তখন টানেলের এক টুকরো আলোও তার মনে বাঁচার আশা জাগায়। আরেফিন মনে মনে ভাবেন, পৃথিবীর মায়া যেভাবে আমাকে টানছে তাতে হয়ত মরতে মরতে বেঁচে যাব আমি! ফিরে যাব আমার ভালোবাসার কাছে; আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে। ফিরে যাব মা বাবার কাছে। যারা আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। তা না হলে হয়ত দেখাই হত। কিংবা দেখা হত অন্যভাবে। অন্য কোনো পরিবেশে। অন্য কোনো পরিবারে। তাতে পৃথিবীকে উপলব্ধি করার মতো কোনো অনুসঙ্গ খুঁজে পেতাম না। এ যাত্রায় বেঁচে গেলে আমি আমার প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাব। তারা নিশ্চয়ই অধীর আগ্রহে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাকে যেতেই হবে। তা নাহলে যে সবার স্বপ্নভঙ্গ হবে। আমার নীরব প্রস্থানের মধ্যদিয়ে সবার স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনাশ হবে তা নিশ্চয়ই প্রকৃতি কিংবা বিধাতা কেউই চাইবেন না। যে পৃথিবীকে আমি এতো ভালোবাসি; সেই পৃথিবী আমাকে এভাবে বিদায় দেবে! না না; তা কিছুতেই হতে পারে না।

আরেফিন ঘোরের মধ্যেই তার মা বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছে ক্ষমা চান। ভুলত্রুটির ক্ষমা। তাদের জন্য কিছু না করতে পারার ক্ষমা। তাদের কারণে অকারণে কষ্ট দেওয়ার ক্ষমা। তার প্রিয়তমা স্ত্রী মোহিনীর কাছেও তিনি ক্ষমা চান। তিনি বলেন, এই জীবনে তো তোমার সঙ্গে আমার সময়টা ভালো গেল না! পরজনমে যেন তোমায় পাই। তুমি কথা দাও। পরজনমে তুমি আমারই থাকবে। আমি ছাড়া তোমাকে এতোবেশি ভালোবাসা কেউ দেবে না; কেউ না। তুমি দেখ। আমি যে কত ভালোবেসেছি তোমাকে; তা তুমি টের পাবে। নিশ্চয়ই টের পাবে। আমার শারীরিক উপস্থিতি হয়ত তখন থাকবে না। কিন্তু তোমার জীবনের পরতে পরতে আমার উপস্থিতি টের পাবে।
আরেফিন হয়ত শেষ নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তেই বললেন, বিদায় পৃথিবী; বিদায়!

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত