শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা

ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে মোহিনী হঠাৎ বিছানা থেকে লাফিয়ে ওঠেন। ভয়ঙ্কর এক স্বপ্ন। এ রকম স্বপ্ন তিনি আগে কখনো দেখেননি। তিনি স্বপ্নে দেখেন, আজব ধরনের একটি প্রাণী পৃথিবীকে গ্রাস করছে। চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণ যেমনিভাবে হয় ঠিক সে রকমভাবেই পৃথিবী নামক গ্রহটি আজব প্রাণীর পেটে চলে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পর ভয়ে আতঙ্কে তিনি থরথর করে কাঁপছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ঘুমানোর পরও তার শরীর ঘামে চুপচুপে হয়ে গেছে। মুখাবয়বে ছোপ ছোপ ঘাম জমেছে।

সকালে চা দিতে এসে রহিমাবিবি থমকে দাঁড়ায়। সে মোহিনীর দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। তারপর বিস্ময়ের সঙ্গে বলে, কি হএচে আপামণি। আপনের কি হএচে? আপনেরে এই রকম বিধ্বস্ত লাগতেছে কেন আপামণি?

মোহিনী কোনো কথা বলেন না। তিনি চুপচাপ বসে আছেন। রহিমাবিবি তার কাছে এগিয়ে যায়। নরম গলায় বলে, আপামণি আপনেরে এই রকম কেন লাগতেছে। ইহ! ঘরডা তো ঠান্ডা! আপনে এমন কইরা ঘামতেছেন কেন? আপামণি আমারে কন তো!
মোহিনীর দিকে তোয়ালে এগিয়ে দিয়ে রহিমাবিবি বলে, মুখটা মোছেন আপামণি। চা নেন।
মোহিনীর মুখে কোনো কথা নেই। তিনি যেন একটা ঘোরের মধ্যে আছেন। স্বপ্নের ঘোর। ঘোরটা কিছুতেই কাটছে না। তিনি যতই ঘোর কাটানোর চেষ্টা করছেন ততই যেন ঘোরের অতলে তলিয়ে যাচ্ছেন। রহিমাবিবি খালা খালা বলে ডাকতে ডাকতে ভেতরের কক্ষের দিকে এগিয়ে যায়। মনোয়ারা বেগম কোনো একটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি রহিমাবিবির চিৎকার শুনে বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, কি রে রহিমা! কি হয়েছে? এমন করে ডাকছিস কেন?
খালামণি, আপামণির কি জানি হইচে। আপামণি কেমন জানি করতেছে।
সে কী! কি হয়েছে?
জানি না। তাড়াতাড়ি আপনে গিয়া দেহেন খালামণি।
আনোয়ারা বেগম দৌড়ে মেয়ের কক্ষের দিকে এগিয়ে যান। তার সঙ্গে রহিমাবিবিও দৌড়ায়। মোহিনী তখনো স্থির। তিনি একটুও নড়াচড়া করছেন না। আনোয়ারা বেগম মেয়ের পাশে গিয়ে বসলেন। তার দুই কাঁধে হাত রাখলেন। তারপর নরম গলায় বললেন, মা, মা মোহিনী! কি হয়েছে মা?
মোহিনী ঘাড়টা একটু বাঁকা করে আনোয়ারা বেগমের দিকে তাকালেন। আনোয়ারা বেগম মোহিনীর হাত থেকে তোয়ালে নিয়ে তার মুখ মুছে দিতে দিতে বললেন, কক্ষটা তো বেশ ঠান্ডা। তারপরও তুই ঘামছিস মা! ঘটনা কি! তোর শরীর খারাপ নাকি?
আনোয়ারা বেগম কপালে, চোয়ালের নীচে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন। শরীর স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক! তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। তিনি বললেন, ঠিকই তো আছে। কি হয়েছে মা? বল তো আমাকে?
মোহিনী কোনো কথা বলছেন না। তিনি কী যেন ভাবছেন। তাকে স্বাভাবিক করার জন্য আনোয়ারা বেগম ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি মগ থেকে কাপে চা ঢেলে মেয়ের হাতে দিয়ে বলেন, নে চা নে মা। স্বাভাবিক হ তো! দেখি, আমার দিকে ফিরে বস।
মোহিনী আনোয়ারা বেগমের দিকে ফিরে বসেন। তারপর চায়ের কাপ হাতে নেন। আনোয়ারা বেগম চা খাওয়ার জন্য বলেন। মোহিনী চায়ে চুমুক দেন। আনোয়ারা বেগম তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন। রহিমাবিবির দিকে তাকিয়ে বলেন, তুই যা। তাড়াতাড়ি নাশতা তৈরি কর। তোর আপা খাবে।
রহিমাবিবি চলে যায়। আনোয়ারা বেগম মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, এবার বল, কি হয়েছে তোর?
ধরা গলায় মোহিনী বললেন, আমি একটা খুব বাজে স্বপ্ন দেখেছি মা।
বাজে স্বপ্ন! বলিস কি! কি দেখেছিস বলবি আমাকে?
মা, আমি দেখি একটা অদ্ভুত প্রাণী পৃথিবীটাকে গিলে খাচ্ছে। ঠিক চাঁদ সূর্যের যেমন গ্রহণ লাগে তেমনি। প্রাণীটা পৃথিবীকে গিলছে আর সবকিছু ঘোর অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে।
বলিস কী রে!
হ্যাঁ মা। এই স্বপ্নটা দেখে আমার এমন ঘোর লাগছে! আমি কিছুতেই আর ঘোর কাটাতে পারছি না।
আমার মনে হয়, এটা কোনো সতর্কবার্তা। গভীর কোনো সংকট আমাদের সামনে আসছে। করোনা আমাদেরকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
আমারও ঠিক এ কথাটাই মনে আসছে মা। কিন্তু ভীষণ একটা ভয় মনের মধ্যে ঢুকেছে। আমরা কি সত্যিই শেষ সময়ের দিকে এসে গেছি! মানে, পৃথিবীর আয়ুস্কাল কি ফুরিয়ে এসেছে?
হতে পারে। নানা ধরনের আলামত দেখা যাচ্ছে। তুই ওঠ মা। আজ অফিসে যাবি না?
আজ ভালো লাগছে না।
আচ্ছা ঠিক আছে। তুই বরং গোসল-টোসল করে আয়। আমরা একসঙ্গে নাশতা করি।
যাচ্ছি মা।
যাচ্ছি না। এখনই ওঠ মা। গোসল করে আয়। দেখবি ফ্রেশ লাগছে।
আমিও তাই ভাবছি। ভালো করে গোসল করে আসি।
তাহলে আর দেরি করিস না মা। অনেক বেলা হয়েছে। ওঠ।
তুমি যাও। আমি উঠছি।
আনোয়ারা বেগম চলে গেলেন। মোহিনী অলস ভঙ্গিতে বিছানা থেকে ওঠেন। একপা দুইপা করে বাথরুমের দিকে এগিয়ে যান। ওঠার সময় তিনি হাত পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। শরীরের কোনো কোনো জায়গায় ব্যথা টের পান তিনি। মনে মনে বলেন, রাতে কি জ¦র হয়েছিল নাকি? এমন ব্যথা লাগছে কেন? হাঁটতে গিয়েও হাঁটু কেমন ভেঙে আসছে। মনটা আবার খারাপ হয় তার। তিনি আবার বিছানার কাছে ফিরে যান। সাবধানে বিছানার ওপর বসেন। হাতপা নাড়াচাড়া করেন। মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এরমধ্যে আনোয়ারা বেগম মোহিনী মোহিনী বলে ডাক দেন। তার ডাক মোহিনীর কানে আসে। কিন্তু তিনি কোনো জবাব দিচ্ছেন না। জবাব দিতে ইচ্ছাই করছে না। এখন তার মাথাটা ঝিমঝিম করছে। শরীরটা আরাম চাচ্ছে। তিনি যে বাথরুম পর্যন্ত যাবেন সেই শক্তিও যেন তার শরীরে নেই। আসলে শরীর সায় না দিলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। মোহিনী এবার আড়াআড়িভাবে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। শোয়া মাত্রই তার চোখে রাজ্যের ঘুম চলে এলো।
আনোয়ারা বেগম নাশতা রেডি করে মোহিনীকে ডাকেন। মেয়ের সঙ্গে একত্রে নাশতা করবেন। রহিমাবিবিকে ডেকে বললেন, দেখ তো তোর আপামণির কি হলো?
রহিমাবিবি আবার মোহিনীর কক্ষে এলো। তাকে শুয়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে আনোয়ারা বেগমকে ডাকে। খালামণি, খালামণি!
আনোয়ারা বেগম পায়ে পায়ে ছুটে আসেন মোহিনীর কক্ষের দিকে। কাছাকাছি এসে বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, কি হয়েছে! কি হয়েছে রহিমা!
আপামণি আবার ঘুমাই পড়ছে।
আনোয়ার বেগম থ। তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর বললেন, থাক। ঘুমাক। চল আমরা যাই।
আনোয়ারা বেগম খাবার ঘরের দিকে পা বাড়ালেন। তার পেছনে পেছনে এগিয়ে যায় রহিমাবিবি।

টিভির সামনে বসে আছেন মোহিনী। তিনি খবর দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। আনোয়ারা বেগম তার পাশে বসে আছেন। রহিমাবিবি তাদের দুজনের সামনে কফি দিয়েছে। কফির ঘ্রাণটা নাকের ভেতরে এক ধরনের সুড়সুড়ি দিচ্ছে। কফি শপের চেয়েও রহিমার হাতের কফি অনেক বেশি মজার। মোহিনী তাকে এই সার্টিফিকেট দিতে রাজি। তিনি বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারলেন না। কফির মগটা হাতে নিয়ে চুমুক দিলেন। রহিমাবিবি মোহিনীর দিকে বিপুল বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল। আপমণির একটা মন্তব্য শোনার অপেক্ষা করছেন তিনি। সেই মন্তব্যটুকুই তার কাছে হাজার টাকার পুরস্কার। এরমধ্যে খবর শুরু হয়েছে। মোহিনী, আনোয়ারা বেগম উভয়েরই গভীর মনোযোগ খবরের দিকে। শুরুতেই করোনা ভাইরাসের খবর। দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার সাতশ’ পঁচাত্তর জন। মারা গেছেন একান্ন জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মারা গেছে আরো এগারো জন। বিশ্বে প্রতি মিনিটে দশ জন মারা যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। এরমধ্যেই বিশ্বের ২০১ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এক লাখ পঁচাত্তর হাজার ছয়শ’ উনসত্তর জন্য আক্রান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার সাতশ’ বিরানব্বই জন। ইতালির পর স্পেনের অবস্থান। সেখানে আক্রান্ত হয়েছে চৌরানব্বই হাজার চারশ’ সতেরো জন। এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। করোনার উৎপত্তি স্থল চীন আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। বাংলাদেশে দ্রুত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। মাস্ক ব্যবহারের জন্য সরকারি তরফ থেকে বার বার নির্দেশনা জারি করা হলেও অনেকেই তা মানছেন না।
খবর শেষ হওয়ার আগেই রহিমাবিবি বলল, আপামণি আমার কফি কেমন হইচে কইলেন না?
ওহ! সেটা শোনার জন্য তুই বসে আছিস? আমি তো ভাবলাম, তুই খবর শুনছিস!
আনোয়ারা বেগম তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে বললেন, ও শুনবে খবর! ও ওর কফির প্রশংসা শোনার জন্য বসে আছে।
ওহ! তোর কফি সত্যিই খুব ভালো হয়েছে। কফি শপ তোর কাছে ফেল।
মোহিনীর মুখে প্রশংসা শুনে রহিমাবিবির মুখে হাসি ফোটে। সে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে। পারলে সে তার আপামণিকে জড়িয়ে ধরে। এই আনন্দটুকুই হয়তো তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

চলবে...

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত