শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৯

বিষাদ বসুধা

আবদুল করিম সবজান্তা শমশের। কী জানেন না তিনি? জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে তার অগাধ জ্ঞান। কোন দেশের কি সমস্যা, কোনো দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতি কেমন তা পটাপট বলে দিতে পারেন তিনি। তিনি পত্রপত্রিকা, বই পড়েন। বিতর্কে তাকে হারাতে পারেন এমন লোকের সংখ্যা ঢাকা শহরে কমই আছে।

অনেকে বলেন, টিভি টকশোতে গেলে তিনি ফাটায়ে দেবেন। কিন্তু তিনি যান না। যারা টকশোতে অংশ নেন তাদের তিনি মূর্খ মনে করেন। তিনি প্রায়শ বলে থাকেন, যার যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তিনি সে বিষয়ে কথা বলেন। এ এক আজব দেশ! বাংলাদেশেই বুঝি এটা সম্ভব। আর যিনি বক বক বেশি করতে পারেন তিনিই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হন। যিনি চুপচাপ থাকেন তার কোনো ভাত নেই। এটাই যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি। যার যোগ্যতা কম কিন্তু চাপার জোর বেশি তার কদরও এদেশে বেশি।

আবদুল করিমের অফিসের লোকেরা তাকে বলেন, জ্ঞানী জৈল সিং। কেউ কেউ তাকে বলেন, তিনি এক জীবন্ত ডিকশনারি। কেউ বলেন, তিনি জ্ঞানের ভান্ডার, জ্ঞানের আঁধার। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে আবদুল করিমের কাছে ছুটে যান। আবার ঈর্ষা করারও লোকের অভাব নেই। তাদের কেউ কেউ তিরস্কার করে বলেন, এতো জ্ঞান নিয়ে ঘুমান কী করে করিম ভাই!

আবদুল করিম মোহিনীর অফিসে চাকরি করেন। তিনি বৈদেশিক বাণিজ্য দেখভাল করেন। কিন্তু কোনো বিষয়ে সমস্যায় পড়লে মোহিনী সর্বপ্রথম আবদুল করিমকেই ডাকেন। তার পরামর্শ নেন। জ্ঞানগরিমায় এগিয়ে থাকার কারণে মোহিনী তাকে বেশ গুরুত্ব দেন।

সঙ্গত কারণেই আবদুল করিম মোহিনীকে সৎ পরামর্শ দেন। মোহিনী কোনো পরামর্শ চাইলে তিনি হুটহাট পরামর্শ দিয়ে বসবেন তা নয়। তিনি ভেবেচিন্তে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এখন পর্যন্ত তিনি যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন তার সবগুলোই ইতিবাচক হয়েছে। ব্যবসার জন্য ভালো হয়েছে। ফলে আবদুল করিমের ব্যাপারে মোহিনীর এক ধরনের মোহ তৈরি হয়েছে। এই মোহটা হচ্ছে একজন ভালো মানুষের কিংবা একজন মুরুব্বির প্রতি যে মোহ।

উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর মোহিনী আবদুল করিমকে ডেকে পাঠিয়েছে। তার কাছ থেকে সে ধারণা নেবে। ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানবে। পরে তিনি জানতে পারলেন, ব্যবসায়িক কাজে আবদুল করিম উহান গিয়েছিলেন। উহান থেকে দেশে ফেরার পর তিনি সেলফ কোয়ারেন্টিনে নিজ বাসায় আছেন। মোহিনী জানেন না, আক্রান্ত দেশ থেকে দেশে ফিরলে তাকে কমপক্ষে চৌদ্দ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। মোহিনী যখন জানতে পারেন আবদুল করিম উহানে গিয়েছিলেন তখন তিনি কৌতূহলী হন। তিনি মনে মনে বলেন, করিম সাহেবের কাছ থেকেই উহান সম্পর্কে জানা যাবে। তিনি অপারেটরকে বললেন করিম সাহেবকে ফোনে ধরিয়ে দিতে। অপারেটর যথারীতি তাকে বাসার ফোনে ধরিয়ে দেন।

মোহিনী হ্যালো বলতেই টেলিফোনের অপাশ থেকে আবদুল করিম বললেন, স্লামুআলাইকুম ম্যাম।
ওলাইকুম আসসালাম। কি অবস্থা বলেন তো?

জি ভালো ম্যাম। আপনি কেমন আছেন?

আমি তো ভালোই আছি। আপনি অফিসে আসছেন না?

আমি কি আসবো ম্যাম?

কেন আসবেন না? কোনো বিশেষ কারণ আছে?

না মানে, আমি তো উহান থেকে এসেছি।

ওহ তাই নাকি?

জি ম্যাম। আপনি অনুমতি দিলে আসব। কিন্তু...

কিন্তু কি বলেন তো!

উহানে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আমার শরীরে ভাইরাস আছে কি না তা তো বুঝতে পারছি না। ওরা জানাল, আক্রান্ত হলে ধরা পড়তে দুই সপ্তাহ সময় লাগে।

তাই? এসব কিছু তো জানিও না! আচ্ছা ঠিক আছে। দুই সপ্তাহ আপনার আসার দরকার নেই। এরমধ্যে ধরা না পড়লে আপনি অফিসে এসে আমাকে সবকিছু ব্রিফ করবেন।
জি ম্যাম।

মোহিনী ফোন রেখে মনে মনে ভাবেন, আরেফিন ওখানে কেমন আছে? কি করছে? ও তো কোনো কিছুই আমাকে জানাচ্ছে না। কেন জানাচ্ছে না? ওখানে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বের গণমাধ্যমে খবর হচ্ছে! আর ও চুপচাপ বসে আছে? না, আমার কিছুই ভালো লাগছে না। ভীষণ অস্থির লাগছে।

মোহিনী রুমের মধ্যে পায়চারি করেন। আরেফিনকে নিয়ে নানা চিন্তা তাকে আচ্ছন্ন করে। মোহিনী ‘সেলফ মোটিভেটেড’ একজন মানুষ। যে কোনো দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার অসামান্য ক্ষমতা তার। তিনি বুঝতে পারেন কখন কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু আরেফিনকে বিয়ে করা এবং বিবাহপরবর্তী আরেফিনের কর্মকাণ্ডে তিনি এতোই বিরক্ত যে, তার সেলফ মোটিভেশনও কাজ করছে না।

মোহিনী এখন নিজের অফিসে অনেক বেশি সময় দিচ্ছে। একা থাকার কৌশল রপ্ত করছেন। আরেফিন চীনে যাওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ওর সঙ্গে আর নয়। কিন্তু উহানের ঘটনা তাকে ভাবিয়ে তুলছে। আরেফিনের জন্য তার খুব খারাপ লাগছে। আরেফিনের অনুপস্থিতিতে তিনি নিঃসঙ্গ বোধ করছেন। তার মনে হচ্ছে, এ মুহূর্তে আরেফিনের সঙ্গে কথা বলতে পারলে তার মন ভালো হতো। তার ভালোমন্দ জানতে পারলে তিনি স্বস্তিবোধ করতেন। কিন্তু জানার উপায় কি? আরেফিন কি একবারও যোগাযোগ করবে না?

উহান থেকে দেশে ফেরার ঠিক চৌদ্দ দিন পর অফিসে এলেন আবদুল করিম। মোহিনীর অফিসে তিনিই একমাত্র সিনিয়র মানুষ। বয়স ষাট পার করেছেন। অফিসে এসেই তিনি ফাইলপত্র নিয়ে মোহিনীর দপ্তরে এসেছেন। তার সঙ্গে দেখা করবেন। মোহিনীর পিএস তাকে জানিয়েছে, হাতের কাজ শেষ করেই আপনাকে ডাকবেন। আপনি পাঁচ মিনিট ওয়েটিং রুমে বসুন।

আবদুল করিমকে পাঁচ মিনিটও অপেক্ষা করতে হয়নি। চার মিনিট পরই তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন মোহিনী। আবদুল করিম মোহিনীর রুমে পা রাখামাত্র তিনি হাসি হাসি মুখ করে বললেন, আসেন আসেন করিম সাহেব। কেমন আছেন আপনি?

জি ম্যাম আমি ভালো আছি। আমি নিয়ম পালন করেই বাসা থেকে বের হয়েছি।

ভালো করেছেন। আপনার কারণে অন্যরা আক্রান্ত হবে তা তো হয় না।
জি জি।

তারপর, কি অবস্থা বলেন তো! ওখানকার অবস্থা কি দেখলেন?

আবদুল করিম বললেন, আমার মনে হয়, উহানের অবস্থা খুবই খারাপ। পুরো শহরে লকডাউন। কেউ বাসা থেকে বের হতে পারছে না। কোনো যানবাহন চলছে না। দোকান, শপিং কমপ্লেক্স সব বন্ধ। মানুষ খাবার পাচ্ছে না। পাগলের মত মানুষ ছুটছে খাবারের জন্য। টাকা আছে কিন্তু খাবার নেই। মনে হচ্ছিল, দুর্ভিক্ষ লেগে গেছে। সে এক ভয়ঙ্কর অবস্থা!

এটা কবে থেকে শুরু হলো। মোহিনী জানতে চাইল।

জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে। কিন্তু তখন তারা কাউকে বুঝতে দেয়নি। খবরটা কঠিনভাবে চেপে রেখেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। তখন আর চেপে রাখার কোনো উপায় ছিল না। তবে উহান শহরে যখন একের পর এক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিল তখন কিন্তু একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নতুন ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু কেউ তার কথায় গা করেনি। সবাই অবহেলা করেছে। পরে ভাইরাসটি আস্তে আস্তে ছড়াতে থাকে। কেউ যেহেতু জানে না, ভাইরাসটি ছোঁয়াচে, তাই দ্রুতই একজনের কাছ থেকে হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ধরুন আমি যদি আক্রান্ত হই তাহলে আমি কিভাবে বুঝব?

চলবে….

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

 

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ