সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

ওরা চলে গেলে ও হাতে ধরা কেক আর শিঙাড়ার পোঁটলা টেবিলের ওপর রেখে কমনরুমের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। কী ভালো লাগছে হাঁটতে। এমন একটি সুন্দর ঘর ও দেখেনি। মাঝে মাঝে ছোট ছোট পা ফেলে দৌড়ায়। কখনো দু’হাত উপরে তুলে নাচতে নাচতে হাঁটে। কখনো চেয়ারে উঠে ধপ করে লাফ দেয়। সময়ের এমন বৈচিত্র্যময় আবেগ ওর শিশু বয়সকে তাড়িত করে। স্মৃতির সঞ্চয়ে চলে যায় দিনের সবটুকু সময়।

একটু পরে ফিরে আসে অঞ্জন।

–কী করছিস রে কুকড়ি?

–খেলছি।

–কী খেলা?

–এমন সুন্দর ঘরের সঙ্গে খেলা। হেঁটেছি, দৌড় দিয়েছি, নাচ করেছি, লাফ দিয়েছি–

–বাহ, দারুণ মেয়ে।

ও আবার দু’হাত উপরে তুলে লাফাতে থাকে। অঞ্জন ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। এমন একটি শিশুকে কাছ থেকে দেখা ওর হয়নি। ও কিছু বলে না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। মনে হয় ওর যতক্ষণ ইচ্ছা লাফালাফি করুক। এটা ওর আনন্দ। বস্তিতে থেকে খেয়ে-না খেয়ে এই আনন্দ ও পায়নি। তখনই ভাবে ওকে বাড়িতে নিয়ে যাবে। যতদিন ওর মা হাসপাতালে থাকবে ততদিন নিজের বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে দেওয়ার জন্য বাবা-মাকে রাজি করাবে। মনে মনে ভাবে, বাড়িতে তো আর কোনো শিশু নেই। বাবা-মা ঠিকই রাজি হবে। তারাও শিশুর কাছ থেকে পাওয়া আনন্দ উপভোগ করবে। এটা নিয়ে ওর আর দ্বিধা নেই।

কুকড়ি একসময় লাফালাফি থামিয়ে অঞ্জনকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে। বলে, ভাইয়া আমি এখন কী করব?

–তোকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাব।

–আমি কি তোমার বাড়িতে কয়দিন থাকব?

–হ্যাঁ, তোর মা যতদিন হাসপাতালে থাকবে সেই কয়দিন।

–আমি মায়ের কাছে যেতে চাই। মাকে কেক আর সিঙাড়া দেব। আমার মায়ের জন্য আপুরা আমাকে দিয়েছে। আমি খুশি, খুশি।

– চল যাই, হাসপাতালে।

কুকড়ি একছুটে বাইরে চলে যায়। গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। অঞ্জন কাছে গেলে হাত ধরে। দু’জনে হেঁটে চলে আসে হাসপাতালে। ওয়ার্ডে ঢুকে বিছানার কাছে গেলে দেখতে পায় হালিমা খাতুন ঘুমাচ্ছেন। কুকড়ি খাটের ওপর উঠে মায়ের বালিশে মাথা রেখে গলা জড়িয়ে ধরে।

– মা, মা–। ডাকতে থাকে।

চোখ খোলেন না হালিমা খাতুন। অঞ্জন ঘাবড়ে যায়। ভাবে, এমন নিঃসাড় ঘুম তো হওয়ার কথা না। মেয়ের ডাকাডাকিতে চোখ খুলছেন না। মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে নেই, অজ্ঞান হয়ে গেছেন নাকি? ও ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে থাকে। কুকড়ি আরও কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করে। একইভাবে বিছানায় পড়ে থাকেন হালিমা খাতুন।
কুকড়ি কাঁদতে শুরু করে। খাট থেকে নেমে বলে, মায়ের কী হয়েছে ভাইয়া?

– জানি না তো। চল, ওনাদের জিজ্ঞেস করি। অঞ্জন নার্সদের টেবিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। নার্স সবিতা বলে, দেখলাম আপনি পাঁচ নম্বর বেডের কাছ থেকে এসেছেন। মহিলা বেশ কিছুক্ষণ ধরে অজ্ঞান হয়ে আছেন। আমরা ডাক্তারকে খবর দিয়েছি। উনি এখনই এসে যাবেন। আপনারা চলে যান।

কুকড়ি কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি মায়ের জন্য কেক আর সিঙাড়া এনেছি।

– তোমার মা এসব খেতে পারবেন না। তুমি নিয়ে যাও। খেয়ে ফেলো।

– মা কবে ভালো হবে?

– হয়ে যাবেন। এখন বাড়ি যাও।

– আমার তো বাড়ি নাই। আমি বস্তিতে থাকি। ভাইয়া আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবে।
অঞ্জন সবিতাকে বলে, যাই সিস্টার। খোদা হাফেজ।

– মেয়েটিকে কোথায় পেলেন?

– শহীদ মিনারের কাছে। মা অসুস্থ দেখে ভর্তি করে দিলাম।

– মেয়েটিকে কি এতিমখানায় রাখবেন?

– না, বাড়িতে রাখব। বাবা-মাও রাখতে চাইবেন আমি জানি। স্কুলে ভর্তি করে দেব।

– বাব্বা, আপনি তো একজন মানবিক মানুষ। অনেক বড় দায়িত্ব নিচ্ছেন।

– এই দায়িত্ব পালন করার সাধ্য আমার আছে। তাহলে ওকে পথশিশু বানাব কেন? সবাই মিলে এমন দায়িত্ব নিলে পথশিশু থাকবে না রাস্তায়।

– ঠিক বলেছেন।

অঞ্জন আর কথা বাড়ায় না। কপালে হাত ঠেকিয়ে সবিতাকে সালাম দিয়ে বেরিয়ে আসে।

সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে কুকড়ি জিজ্ঞেস করে, আমার মা কি মরে গেছে?

– বাজে কথা বলছিস কেন?

– তাহলে মা আমার দিকে তাকায়নি যে। আদর করেনি যে।

– মা অজ্ঞান হয়ে আছে।

– অজ্ঞান কী?

– অসুখ। চোখ খুলতে না পারার অসুখ।

– ও আচ্ছা।

কুকড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায়। গেটের কাছে একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুককে দেখে হাতের পোটলাটা এগিয়ে দিয়ে বলে, দাদু এটা খান।

– কী রে এখানে?

– কেক আর সিঙাড়া।

– দে-দে।

বৃদ্ধ হাত বাড়িয়ে খাবারের পোটলাটা নেয়।

– তোকে অনেক দোয়া করি দাদু।

– হ্যাঁ, আমাকে অনেক দোয়া করবেন। আমি যাই।

অঞ্জন মেয়েটির আচরণে বিস্মিত হয়। এইটুকু মেয়ে এতকিছু ভাবতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে ও একটি মেধাবী মেয়ে। পড়ালেখা করালে ভালোভাবে এগোতে পারবে। কুকড়ি এসে ওর হাত ধরে।

– চল যাই।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ