শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

ওরা চলে গেলে ও হাতে ধরা কেক আর শিঙাড়ার পোঁটলা টেবিলের ওপর রেখে কমনরুমের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। কী ভালো লাগছে হাঁটতে। এমন একটি সুন্দর ঘর ও দেখেনি। মাঝে মাঝে ছোট ছোট পা ফেলে দৌড়ায়। কখনো দু’হাত উপরে তুলে নাচতে নাচতে হাঁটে। কখনো চেয়ারে উঠে ধপ করে লাফ দেয়। সময়ের এমন বৈচিত্র্যময় আবেগ ওর শিশু বয়সকে তাড়িত করে। স্মৃতির সঞ্চয়ে চলে যায় দিনের সবটুকু সময়।

একটু পরে ফিরে আসে অঞ্জন।

–কী করছিস রে কুকড়ি?

–খেলছি।

–কী খেলা?

–এমন সুন্দর ঘরের সঙ্গে খেলা। হেঁটেছি, দৌড় দিয়েছি, নাচ করেছি, লাফ দিয়েছি–

–বাহ, দারুণ মেয়ে।

ও আবার দু’হাত উপরে তুলে লাফাতে থাকে। অঞ্জন ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। এমন একটি শিশুকে কাছ থেকে দেখা ওর হয়নি। ও কিছু বলে না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। মনে হয় ওর যতক্ষণ ইচ্ছা লাফালাফি করুক। এটা ওর আনন্দ। বস্তিতে থেকে খেয়ে-না খেয়ে এই আনন্দ ও পায়নি। তখনই ভাবে ওকে বাড়িতে নিয়ে যাবে। যতদিন ওর মা হাসপাতালে থাকবে ততদিন নিজের বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে দেওয়ার জন্য বাবা-মাকে রাজি করাবে। মনে মনে ভাবে, বাড়িতে তো আর কোনো শিশু নেই। বাবা-মা ঠিকই রাজি হবে। তারাও শিশুর কাছ থেকে পাওয়া আনন্দ উপভোগ করবে। এটা নিয়ে ওর আর দ্বিধা নেই।

কুকড়ি একসময় লাফালাফি থামিয়ে অঞ্জনকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে। বলে, ভাইয়া আমি এখন কী করব?

–তোকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাব।

–আমি কি তোমার বাড়িতে কয়দিন থাকব?

–হ্যাঁ, তোর মা যতদিন হাসপাতালে থাকবে সেই কয়দিন।

–আমি মায়ের কাছে যেতে চাই। মাকে কেক আর সিঙাড়া দেব। আমার মায়ের জন্য আপুরা আমাকে দিয়েছে। আমি খুশি, খুশি।

– চল যাই, হাসপাতালে।

কুকড়ি একছুটে বাইরে চলে যায়। গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। অঞ্জন কাছে গেলে হাত ধরে। দু’জনে হেঁটে চলে আসে হাসপাতালে। ওয়ার্ডে ঢুকে বিছানার কাছে গেলে দেখতে পায় হালিমা খাতুন ঘুমাচ্ছেন। কুকড়ি খাটের ওপর উঠে মায়ের বালিশে মাথা রেখে গলা জড়িয়ে ধরে।

– মা, মা–। ডাকতে থাকে।

চোখ খোলেন না হালিমা খাতুন। অঞ্জন ঘাবড়ে যায়। ভাবে, এমন নিঃসাড় ঘুম তো হওয়ার কথা না। মেয়ের ডাকাডাকিতে চোখ খুলছেন না। মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে নেই, অজ্ঞান হয়ে গেছেন নাকি? ও ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে থাকে। কুকড়ি আরও কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করে। একইভাবে বিছানায় পড়ে থাকেন হালিমা খাতুন।
কুকড়ি কাঁদতে শুরু করে। খাট থেকে নেমে বলে, মায়ের কী হয়েছে ভাইয়া?

– জানি না তো। চল, ওনাদের জিজ্ঞেস করি। অঞ্জন নার্সদের টেবিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। নার্স সবিতা বলে, দেখলাম আপনি পাঁচ নম্বর বেডের কাছ থেকে এসেছেন। মহিলা বেশ কিছুক্ষণ ধরে অজ্ঞান হয়ে আছেন। আমরা ডাক্তারকে খবর দিয়েছি। উনি এখনই এসে যাবেন। আপনারা চলে যান।

কুকড়ি কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি মায়ের জন্য কেক আর সিঙাড়া এনেছি।

– তোমার মা এসব খেতে পারবেন না। তুমি নিয়ে যাও। খেয়ে ফেলো।

– মা কবে ভালো হবে?

– হয়ে যাবেন। এখন বাড়ি যাও।

– আমার তো বাড়ি নাই। আমি বস্তিতে থাকি। ভাইয়া আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবে।
অঞ্জন সবিতাকে বলে, যাই সিস্টার। খোদা হাফেজ।

– মেয়েটিকে কোথায় পেলেন?

– শহীদ মিনারের কাছে। মা অসুস্থ দেখে ভর্তি করে দিলাম।

– মেয়েটিকে কি এতিমখানায় রাখবেন?

– না, বাড়িতে রাখব। বাবা-মাও রাখতে চাইবেন আমি জানি। স্কুলে ভর্তি করে দেব।

– বাব্বা, আপনি তো একজন মানবিক মানুষ। অনেক বড় দায়িত্ব নিচ্ছেন।

– এই দায়িত্ব পালন করার সাধ্য আমার আছে। তাহলে ওকে পথশিশু বানাব কেন? সবাই মিলে এমন দায়িত্ব নিলে পথশিশু থাকবে না রাস্তায়।

– ঠিক বলেছেন।

অঞ্জন আর কথা বাড়ায় না। কপালে হাত ঠেকিয়ে সবিতাকে সালাম দিয়ে বেরিয়ে আসে।

সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে কুকড়ি জিজ্ঞেস করে, আমার মা কি মরে গেছে?

– বাজে কথা বলছিস কেন?

– তাহলে মা আমার দিকে তাকায়নি যে। আদর করেনি যে।

– মা অজ্ঞান হয়ে আছে।

– অজ্ঞান কী?

– অসুখ। চোখ খুলতে না পারার অসুখ।

– ও আচ্ছা।

কুকড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায়। গেটের কাছে একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুককে দেখে হাতের পোটলাটা এগিয়ে দিয়ে বলে, দাদু এটা খান।

– কী রে এখানে?

– কেক আর সিঙাড়া।

– দে-দে।

বৃদ্ধ হাত বাড়িয়ে খাবারের পোটলাটা নেয়।

– তোকে অনেক দোয়া করি দাদু।

– হ্যাঁ, আমাকে অনেক দোয়া করবেন। আমি যাই।

অঞ্জন মেয়েটির আচরণে বিস্মিত হয়। এইটুকু মেয়ে এতকিছু ভাবতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে ও একটি মেধাবী মেয়ে। পড়ালেখা করালে ভালোভাবে এগোতে পারবে। কুকড়ি এসে ওর হাত ধরে।

– চল যাই।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত