সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়েন হালিমা খাতুন। বড় বড় করে শ্বাস টানেন। বুকের ব্যথায় ককান। ওয়ার্ডের কর্মী অঞ্জনকে বলে, আপনি মেয়েটিকে নিয়ে সরে যান। আমি ডাক্তারকে খবর দিয়ে আসি। তিনি যেন এসে রোগী দেখেন। অঞ্জন কথা না বলে কুকড়ির হাত ধরে বেরিয়ে আসে। ওকে নিয়েই কলেজে গিয়ে ঢোকে। কমন রুমে ঢোকে। কুকড়িকে ওখানে রেখে পরের ক্লাসে যাবে। কমনরুমে গিয়ে দেখে অনেকে বসে আছে।


মিথিলা বলে, কিরে অঞ্জন এই বাচ্চা কোথায় পেলি তুই?
-রাস্তায় পেয়েছি। শহীদ মিনারের কাছে।
-ওকে এখানে এনেছিস কেন?
-ওকে এখানে বসিয়ে রেখে আমি ক্লাসে যাব। তোরা ওকে দেখেশুনে রাখবি। ও যেন বাইরে বেরিয়ে হারিয়ে না যায়।

মিথিলা ওকে কাছে ডাকে। জিজ্ঞেস করে, তোর নাম কী রে মেয়ে?
কুকড়ি চুপ করে থাকে। ওর কথা বলতে ভয় লাগে। এত বছর বয়স পর্যন্ত ও তো এমন ঘরে ঢোকেনি। এই নতুন পরিবেশ ওকে ভীত করে রেখেছে।
অঞ্জন ওর মাথা নাড়িয়ে বলে, কি রে তোর নাম বলছিস না কেন?
কথা বলে না কুকড়ি। মিথিলা ওর হাত ধরে টেনে এনে নিজের কাছে বসায়।

-তুই ক্লাসে চলে যা অঞ্জন। আমি ওকে দেখে রাখব। তুই ফিরে আসা পর্যন্ত আমি এখানে থাকব। তবে ওকে নিয়ে একটু ক্যান্টিনে যেতে পারি।

-খুব ভালো। ওকে কিছু খাওয়ারে মিথিলা। ও যদি খেতে না পারে তাহলে প্যাকেট করে ওর হাতে দিয়ে দিস। পরে খাবে।

-হ্যাঁ, ঠিক আছে। তুই বলেছিস ও রাস্তার মেয়ে। ওর অনেক কিছু দরকার রে।

-হ্যাঁ, আমি গেলাম। ক্লাস শুরু হওয়ার সময় হয়ে গেছে। ওর নাম কুকড়ি।
অঞ্জন চলে যায়।

কমনরুমে অন্য তিনজন ছেলেমেয়ে এসে মিথিলার কাছাকাছি বসে। কুকড়িকে দেখে।

-কি রে কুকড়ি তুই কেমন আছিস?

-আমি জানি না।

-জানিস না কেন? তোর ভালো লাগছে নাকি খারাপ লাগছে?

-এমন ঘর তো আমি কখনো দেখিনি। সেজন্য ভালো লাগছে। খুব সুন্দর ঘর।

-তোর বাবার নাম কী রে?

-আমি জানি না। আমার বাবাকে আমি দেখিনি।

-তোর বাবা কি মরে গেছে?

-না, বেঁচে আছে।

-কোথায় আছে?

-জানি না।

-তোকে দেখতে আসে না?

-না, আসে না।

মিথিলা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে, হয়েছে থাক। ওকে আর প্রশ্ন করিস না। ও আমার কাছে বসে আছে থাকুক। অঞ্জন এসে ওকে নিয়ে যাবে। ওর মা হাসপাতালে।

মনসুর বলে, চল আমরা ক্যান্টিনে যাই। চা খেয়ে আসি।

সবাই উঠে দাঁড়ায়। একসঙ্গে বেরিয়ে আসে। ক্যান্টিনে ঢুকলে কুকড়ি চেঁচিয়ে বলে, আল্লাহ এটা কেমন ঘর?
সবাই হাসে। হাসতে হাসতে মিথিলা বলে, এটা খাবার ঘর।

-খাবার ঘরে পিঁড়া কই?

-এখানে পিঁড়া থাকে না। এখানে সব চেয়ার।

-আয় তোকে চেয়ারে বসিয়ে দেই।

রূপা ওকে উঁচুতে তুলে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। কুকড়ি বলে, আমি এখানে বসে খেতে পারব না।

-পারবি। বসে থাক।

ওরা চারজন এক টেবিলে বসে।

বেয়ারা এসে দাঁড়ালে ওকে শিঙাড়া, কেক, আর চা আনতে বলে। খাবারের অর্ডার দিয়ে মিথিলা সবার দিকে তাকিয়ে বলে, হ্যাঁ ঠিক আছে। এর বেশি কিছু এখন আর খাওয়া যাবে না।

কুকড়ি জিজ্ঞেস করে, কেক কী?

-নিয়ে আসুক, তখন দেখবি কেক কী?

-আমি কেক দেখিনি।

-ঠিক আছে, আজকে দেখবি।
ও মাথা নাড়ায়। টেবিলে টুকটুক করে শব্দ করে। রফিক জিজ্ঞেস করে, কিরে এমন করে শব্দ করছিস কেন?

-আমার অনেক খুশি লাগছে। আমার মা এখানে থাকলে আমি আরও খুশি হতাম।

-তুই তোর মাকে খুব ভালোবাসিস না রে কুকড়ি?

-মা ছাড়া তো আমার কেউ নাই।

-খালা, মামা নাই?

-না, বলার সঙ্গে সঙ্গে ও কাঁদতে শুরু করে।

রূপা ওর মাথায় হাত রেখে বলে, চুপ কর সোনা। কাঁদিস না।
বেয়ারা খাবার নিয়ে আসে। মিথিলা বলে, এই যে দেখ এটা কেক। খেয়ে দেখ এটা খুব ভালো লাগবে।

-আমি খাব না।

-কেন রে?

-আমি মাকে কখনো খেতে দেখিনি।

-তুই এটা খা। আমরা তোর মায়ের জন্য আর একটা দেব। তুই নিয়ে মাকে খাওয়াবি।

ও খুশি হয়ে ঘাড় নেড়ে বলে, আচ্ছা। খাই। মুখে পুরে খুশিতে উচ্ছ¡সিত হয়ে ওঠে। মুখ থেকে হাসি ফুরোয় না। সবাই ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখ ফেরাতে পারে না ওকে দেখে। একটি শিশুর মায়াবী চেহারা ওদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। সবার মাথায় ওর বড় হওয়ার ভাবনা জেগে থাকে। মিথিলা সবার দিকে তাকিয়ে বলে, অঞ্জনকে বলতে হবে ও যেন আর পথের মেয়ে না হয়।

-ঠিক বলেছিস। আমরা সবাই মিলে ওর দেখাশোনা করব।

কুকড়ি মনের আনন্দে কেক খেয়ে শিঙাড়ায় কামড় বসায়। ওদের কথা ও ঠিকমতো শোনে না এবং বুঝতেও পারে না।

ওর শিঙাড়া খাওয়া শেষ হলে মিথিলা বলে, চা খাবি রে?

-হ্যাঁ, ও জোরে জোরে মাথা নাড়ায়। আমি এক দিন-দুই দিন চা খেয়েছি। এখন খাব।

চা শেষ করে সবাই কমনরুমে ফিরে আসে। কুকড়ির হাতে দেওয়া হয়েছে কাগজে মুড়িয়ে ওর মায়ের জন্য শিঙাড়া আর কেক। মিথিলা ওকে বলে, তুই এখানে বসে থাক। ঘর থেকে বের হবি না। একটু পরে তোর অঞ্জন ভাইয়া আসবে। আমরা ক্লাসে যাই।

ও হাসতে হাসতে বলে, হ্যাঁ যান।

 

চলবে....

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ