আলাদা স্বভাবের জীবনসঙ্গীকে যেভাবে মানিয়ে নেবেন
ছবি: সংগৃহীত
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া টা অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিক না হলে সম্পর্কে কলহ বাড়ে। তৈরি হয় দূরত্ব। তবে দিন শেষে আমরা সবাই মানুষ। একেকজন একেক স্বভাবের হয়ে থাকে। থাকতে পারে মতের মিলও। তবে জীবনসঙ্গী সম্পূর্ণ আপনার মতো স্বভাবেরই হবে, এটি আশা করা বড্ড বাড়াবাড়ি। কোনো মানুষই পুরোপুরি আরেকজনের মতো হয় না। মতের অমিল থাকবেই। একজন হবেন আরেকজনের পরিপূরক। একজনের ঘাটতি আরেকজন পূর্ণ করবেন। কিন্তু এমন যদি হয় যে মানুষটি সম্পূর্ণই আপনার বিপরীত, তখন কী করবেন? পুরোপুরি বিপরীত স্বভাবের একজন মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানোর সহজ কথা নয়। তবে এজন্য তাকে ছেড়ে যাওয়াও সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এমন অবস্থায় করণীয় কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. খোলাখুলি কথা বলুন
যেকোনো সফল সম্পর্কের মূলে রয়েছে খোলাখুলি কথা বলা। বিপরীত স্বভাবের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মানিয়ে চলতে গেলে এটি আরও বেশি জরুরি। আপনাদের মতপার্থক্য সম্পর্কে খোলাখুলি কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে কোনো ধরনের দ্বিধা ছাড়াই চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং উদ্বেগ প্রকাশ করুন। একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারলে তা সহানুভূতি বৃদ্ধি করে এবং সমঝোতার ভিত্তি স্থাপন করে।
২. মিল খুঁজে বের করুন
স্বভাব যত বিপরীতই হোক না কেন, কিছু আগ্রহ এবং পছন্দের ক্ষেত্রে মিল থাকবেই। সেগুলো খুঁজে বের করুন। এবং সেই কাজগুলো একসঙ্গে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। এটি আপনাদের দু’জনের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরিতে কাজ করবে। যদি দু’জনেই ঘুরতে ভালোবাসেন তবে একসঙ্গে বেড়িয়ে পড়ুন। এরকম পছন্দের কাজ খুঁজে বের করুন, যেগুলো করতে দু’জনেরই ভালোলাগে। এতে আপনাদের দূরত্ব কমে আসবে।
৩. বৈচিত্র্য গ্রহণ করুন
পার্থক্যগুলোকে বাধা হিসেবে দেখার পরিবর্তে সেগুলোকে ব্যক্তিগত এবং পারস্পরিক বৃদ্ধির সুযোগ হিসাবে বিবেচনা করুন। আপনার সঙ্গীর স্বভাবের বৈচিত্র্যকে মেনে নিন। তার অনন্য গুণগুলো আপনাকেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে, আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে এবং আপনাকে কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে পারে। এভাবে দেখলে তা আপনার জন্যই কল্যাণকর হবে।
৪. ধৈর্য ধরুন
বিপরীত স্বভাবের সঙ্গীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাইলে ধৈর্যের বিকল্প নেই। পরিবর্তন, সমঝোতা এবং বোঝাপড়া এমন প্রক্রিয়া যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভাসিত হয়। এই সমন্বয়গুলোর মাধ্যমে নেভিগেট করার সময় আপনাদের দু’জনকেই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এটি ধীরে ধীরে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করবে। কোনোকিছুই একদিনে তৈরি হয় না।
৫. বাউন্ডারি রাখুন
পার্থক্যকে মেনে নিলেই ভালো থাকবেন। একে অপরের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করে বাউন্ডারি রাখাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। স্পষ্টভাবে আপনার চাহিদা, পছন্দ ইত্যাদি জানিয়ে দিন। সম্পর্কের মধ্যে নিজের অনুভূতি ধরে রাখা দীর্ঘমেয়াদি সুখের জন্য অত্যাবশ্যক। ব্যক্তিত্বের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা একটি সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে তোলার চাবিকাঠি।