মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অতিরিক্ত রাত জাগলে যেসব ক্ষতি হয়

ছবি সংগৃহিত

অনেকেই কাজের বাহানায় রাত জাগেন। অনেকে নিজেকে সময় দেন রাতেই। কিন্তু রাত জাগার ফলে কিছু শারীরিক ব্যাধি আপনাকে কাবু করে ফেলে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে না ঘুমালে শারীরিক কিছু সংকট বাড়তে শুরু করে।

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম, আহার ও বিশ্রাম দরকার। ঘুম কম হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে রাত জাগার ‘বদঅভ্যাস’ পরিবর্তন করতে হবে।

মাঝেমধ্যে দু'একদিন রাত জাগলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। তবে একটানা দীর্ঘদিন রাত জাগলে ভয়াবহ শরীরিক ক্ষতি হতে পারে।

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, টানা কয়েকদিন রাত জাগলে শরীর ভেতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। শরীরে বাসা বাঁধে নানারকম রোগ-ব্যাধি। এমনকি কমে যায় আয়ুও।

যারা নিয়মিত রাত জেগে অফিস করেন তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। ঘুমের ঘাটতি আর নিয়মিত রাত জাগার কারণে দুর্বলতা, এদের ডিএনএ’তে পরিবর্তন আনে। যা ডেকে আনতে পারে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্নায়বিক ও শ্বাসতন্ত্রের নানান রোগ।

‘অ্যানেসথেসিয়া অ্যাকাডেমিক জার্নাল’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখানো হয়, যারা রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের ডিএনএ’র ক্ষতিপোষাতে ‘জিন এক্সপ্রেশন’য়ের মাত্রা কমে যায়। দীর্ঘদিনের ঘুমের ঘাটতির কারণে এর মাত্রা আরও কমতে থাকে। নৈশকালীন চাকরিজীবীদের ডিএনএ’য়ের ক্ষয়পূরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এই ধারণাকে সমর্থন করে নতুন এই গবেষণার ফলাফল।

১. উচ্চ রক্তচাপ: কয়েকটি গবেষণায় এসেছে টানা ৩-৪ দিন রাত জেগে থাকলে বা পরিমিত না ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ পতন হয়, যার প্রভাবে উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে। আর যদি তা নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

২. হার্টের ক্ষতি: হার্টের সাথে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত না ঘুমালে ধীরে ধীরে হার্টের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে। হাই প্রেসারের পাশাপাশি, অনিয়মিত হার্টবিট, হার্টরেট এমনকি হার্ট ফেইলিউর পর্যন্ত হতে পারে।

৩. ত্বকের সৌন্দর্য হ্রাস: রাত জাগার সঙ্গে সরাসরি হরমোনের তারতম্য জড়িত। না ঘুমালে স্ট্রেস হরমন বৃদ্ধি পায়, যার কারণে ত্বকের কোলাজেন ভাঙতে শুরু করে এবং পর্যাপ্ত স্কিন কেয়ার সত্ত্বেও অল্প বয়সেই চেহারায় মলিনতা, ব্রণ, বয়সের ছাপ, বলিরেখা, চোখের নিচে কালি পরা এসব দেখা দিতে পারে, যা মোটেই সুখকর নয়।

৪. ওজন বৃদ্ধি: ২০১৪ সালের একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা না ঘুমালে ৩০% লোকের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। জেগে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সেটা নিবারণ করতে গিয়ে ওজন বেড়ে গিয়ে কোলেস্টেরলও বেড়ে যায়; যা কিনা হার্টের ক্ষতিরও কারণ।

৫. সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যাওয়া: কিছু গবেষনায় দেখা গেছে, টানা কয়েক মাস রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে ঠিক মতো কাজ করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কম সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়। উপস্থিত বুদ্ধিও লোপ পেতে থাকে।

৬. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায়: ২০১২ সালে আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ জন ব্যক্তির ওপর স্টাডি করে জানা যায়, রাত জাগার সাথে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও লোপ পাওয়ার হার সমানুপাতিক। সবকিছুতেই শৃঙ্খলার প্রয়োজন। মানুষ নিশাচর প্রাণী নয়। সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত প্রতিটি সময়ের এক্টিভিটির মানুষের জীবনের ওপর প্রভাব রয়েছে। যারা ভোর পাঁচটায় ঘুমান স্বভাবতই সকালে সময়মতো উঠতে পারেন না, আর উঠলেও সারাদিনে মস্তিষ্ক বা শরীর তার ছন্দ হারায়। সারাদিনের কাজেও মানসিক বিষাদ ভর করে।

৭. মানসিক অবসাদ: ২০০৫ সালে হওয়ার বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছিল দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিকের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই হাজারো চাপের মাঝেও মনকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে ভুলেও ঘুমের সঙ্গে আপোস করবেন না যেন!

৮. আয়ু কমে: প্রায় দশ হাজার ব্রিটিশ ছাত্রের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৫ ঘন্টা বা তার কম সময় ঘুমায়, তাদের হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ঘুমের সঙ্গে হার্ট এবং ব্রেনের স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীরেই সবথেকে দুটি ভাইটাল অঙ্গ দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু চোখে পরার মতো কমে যায়।

দ্য ইউনিভার্সিটি অফ হংকং’য়ের গবেষণা সহকারী এস.ডাব্লিউ.চই বলেন, “ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হল এর স্বাভাবিক গড়নে আসা এক পরিবর্তন যা ওই ডিএনএ পুনর্গঠিত হওয়ার সময় মেরামত হয় না।”

 

 

Header Ad
Header Ad

রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ, যা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহভীতি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল পূর্ববর্তীদের জন্য। যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।" (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)

রোজার অন্যতম ফজিলত হলো- এটি মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি পার্থিব ও পরকালীন জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে।

হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঈমান ও প্রতিদানের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, "মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই— রোজা ছাড়া। এটি আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেবো। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের ঘ্রাণের চেয়ে সুগন্ধযুক্ত।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭)

এমন মর্যাদার কারণে রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে রোজাদারকে ইফতার করায়, তার প্রতি রাতে রহমতের ফেরেশতা দোয়া করেন। এমনকি কদরের রাতে জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে মুসাফা করেন।"

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, রোজাদারের মর্যাদা কত উচ্চ। অথচ অনেক সময় আমরা রোজাদারদের কষ্ট দিই, গিবত করি, তাদের অধিকার হরণ করি, যা রমজানের শিক্ষা পরিপন্থী।

রমজানের উদ্দেশ্য হলো— তাকওয়া অর্জন, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে হবে। শুধু অনাহারে থাকলেই রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না, বরং আমাদের উচিত- হারাম থেকে বেঁচে থাকা, ন্যায়ের পথে চলা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যের অধিকার রক্ষা করা।

সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) বলেছেন, "রমজানের রোজা ছোট রোজা, যা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বড় রোজা হলো— সারাজীবন আল্লাহভীতি নিয়ে চলা। ছোট রোজা ফরজ করা হয়েছে, বড় রোজার যোগ্যতা অর্জনের জন্য।"

তাই আমাদের উচিত, রমজানের শিক্ষা পুরো জীবনে বাস্তবায়ন করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যেন তিনি আমাদের রোজাসহ সব ইবাদত কবুল করেন। আমিন।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত

অপারেশন ডেভিল হান্ট। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে একযোগে পরিচালিত হওয়া অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামটি আর থাকছে না। তবে নাম পরিবর্তন হলেও এ অভিযান বন্ধ হবে না। বরং যে কোনো অপরাধ কার্যক্রম ঠেকাতে ও অপরাধীদের ধরতে এ অভিযান আরও জোরালো হবে বলে জানা গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে।

‘ডেভিল হান্ট’ নামটির বিষয়ে খোদ প্রধান উপদেষ্টা আপত্তি জানিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এ কারণে নাম বদলানোর বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, নাম পরিবর্তন করা হলেও চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বা অন্যান্য প্রয়োজনে আরও একাধিক অভিযান পরিচালনা করবে।

অপারেশন ডেভিল হান্টের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, কোর কমিটিতে আমরা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। নিয়মিত এ মিটিংটা হয় কাজকর্মের অগ্রগতি দেখার জন্য। কোথায় আমাদের ফোকাস বাড়ানো দরকার, কোথায় ফোকাস বাড়ানোর দরকার নাই, কোন কোন জায়গায় আমাদের যৌথ টহলের দরকার নেই- সেগুলো আলাপ-আলোচনা করেছি। আরও অধিক ফোকাসড ওয়েতে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করছিলাম। সেটা প্রতি মাসেই পরীক্ষা করা হয় যে, ফলাফল কী হচ্ছে! কোথাও নিষ্ফল প্যাট্রোলিং হচ্ছে কি না, দরকার আছে কি না এসব দেখা হয়। যখন দেখা যায় সমস্যা নেই, তখন আমরা সেখান থেকে সরে আসছি। অন্য যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে কাজ করছি। এখন ঢাকা শহরের দিকে নজর দিচ্ছি। ছোট ছোট যেগুলো ঘটছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে এই রমজানে অপরাধের প্রবণতা বাড়তে পারে বিধায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সূত্র জানায়, একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে রমজান মাসে অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা। এরপর থেকে মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তর আরও জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিরাপত্তা প্রস্তুতি জোরদার করতে উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান একাধিক কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমি ফাইনালেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সবশেষ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া-ভারত। চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায় বিকেল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া এই মহারণে রোহিত শর্মার দল এগিয়ে।

ভারত দলের জন্য হাতের তালুর মতই মুখস্থ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। এবারের আসরে দলটি আইসিসির সুবিধা নিয়ে একই ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে প্রতিটি ম্যাচ। ফলে কোন ধরনের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না নীল শিবিরকে। তাছাড়া প্রতি ম্যাচ একই ধরনের উইকেটে খেলবে বলে স্কোয়াডে গড়ার সময় সেই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত। দুবাইয়ের ‘ধীর এবং নিচু’ উইকেটের কথা মাথায় রেখে রোহিত শর্মারা দলে নিয়েছেন পাঁচজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার।

সবশেষ ম্যাচে ভারত আসরের সবচেয়ে ব্যালেন্সড দল নিউজিল্যান্ডকে রীতিমত খাবি খাইয়েছে। কার্যকরী স্পিনে পরিপূর্ণ কিউইদের সাহসীকতার সাথে সামলেছে টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডার। বল হাতেও কেন উইলিয়ামসন ও টম লাথামদেরও ঘূর্ণি বিষে কাবু করেছে নীল শিবির।

অন্যদিকে ঠিক এই জায়গাটাতে বেশ পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অজি দলের এক অ্যাডাম জাম্পা ছাড়া নেই কোন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। বেটিং অলরাউন্ডার ম্যাথু শর্ট ছিটকে গিয়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোটে পড়ে। অন্যদিকে ট্রাভিস হেড এবারের আসরে হাত ঘুরাচ্ছেন না সেভাবে। এদিকে শর্টের পরিবর্তে স্কোয়াডে ঢুকেছেন কুপার কোনলি, যিনি নিজেও একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

অন্যদিকে ক্যাঙ্গারুরা চোট সমস্যায় আসর শুরু আগেই পড়েছে বিপাকে। স্কোয়াডে নেই দলের নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং অন্য দুই মূল পেসার জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্ক। নেই পরীক্ষিত দুই অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিস। পরের জন অবশ্য অবসরে গিয়েছেন স্কোয়াড ঘোষণার পর। অনেকটা আনকোড়া দল নিয়েই বিরাট কোহলিদের সামনে পড়তে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

অজিদের পক্ষে আছে কেবল সাম্প্রতিক কিছু সুখস্মৃতি। অস্ট্রেলিয়া ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এক লক্ষ তিরিশ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে শিরোপা জেতেছিল। তার আগে একই বছরে রোহিত-কোহলিদের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেছিল অজিরা। আর এই বছরই (২০২৫) বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে ভারত। আইসিসি বৈশ্বিক আসরের নক আউটে ২০১১ বিশ্বাকপের পর আর ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে জিততে পারেনি রোহিতরা। সুতরাং এই ম্যাচ নীলদের জন্য প্রতিষোধের।

অস্ট্রেলিয়া দলের এই অবস্থায় যেখানে সবাই ভারতকে এগিয়ে রাখছেন সেখানে সেখানে শেবাগের ফেবারিট স্মিথের দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও তিনি বলেছিলেন শিরোপা জিতবে অস্ট্রেলিয়া। এবার সেমিফাইনালের আগে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের আলোচনায় একই সুরে কথা বললেন।ক্রিকবাজের উপস্থাপক শেবাগকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি তো টুর্নামেন্ট শুরুর আহে অস্ট্রেলিয়া প্রেডিক্ট করেছিলেন।

এবার ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল, এখনো কি সেটাই বলবেন? উত্তরে শেবাগ জানান, তিনি আগের অবস্থানিই আছেন, ‘হ্যাঁ নিশ্চয়ই। আমি এখনো বলছি (অস্ট্রেলিয়া জিতবে)। ওরা যদি আগে ব্যাট করে আড়াইশ থেকে তিনশো করে ফেলে তাহলে সুযোগ ওদেরই থাকবে। আবার যদি আড়াইশ তাড়া করতে যায় তাহলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মতন এরা আউট হবে না।’

এই দুদল একে অপরের বিপক্ষে ১৫১ ম্যাচ খেলেছে। যার মাঝে ৮৪টি জিতে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ভারতের জয় ৫৭ ম্যাচে। ফলাফল শূন্য ছিল ১০ ম্যাচ। চয়াম্পিয়নস ট্রফিতে আবার ৪ মোকাবেলার ২টি জিতে এগিয়ে ভারত। তবে অজিরা যে ১ ম্যাচ জিতেছে সেটা আবার ২০০৬ সালের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটা।

এদিকে দুইবায়ের কন্ডিশনে খুব একটা অনুশীলনের সুযোগ পাইনি অস্ট্রেলিয়া। তাছাড়া আসরে এটাই তাদের প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে মরুর বুকে। তাছাড়া দলগত শক্তিতেও বেশ পিছিয়ে তারা। তবে আইসিসির বৈশ্বিক আসরে যে দলটা ভারতকে থামানোর সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখে সেটি অস্ট্রেলিয়া। সেটা পৃথিবীর যে কন্ডিশনেই হোক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মার্কিন অনুদান বন্ধে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থগিত
পদত্যাগ করেছেন ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ
পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম
খালেদা জিয়ার শারী‌রিক অবস্থা স্থি‌তিশীল: ডা. জা‌হিদ  
রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা