সুখী বিবাহিত জীবনের গোপনকথা
রূপকথার মতো না হলেও সুখী বিবাহিত জীবন আকাশকুসুম বা সোনার পাথরবাটিও নয়। পরষ্পরের প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও আস্থা থেকেই তৈরি হয় পারস্পরিক সহাবস্থান। সফল সম্পর্কের পথ খুব সহজ নয়। পরষ্পরকে জানলে, ভাল করে বুঝতে পারলে তবেই স্বাচ্ছন্দ্য আসে সম্পর্কে। সঙ্গীর ভাল লাগা মন্দ লাগা স্পষ্ট হয়ে ওঠে৷ বিবাহিত জীবন মসৃণ করে তোলার পিছনে অবদান থাকে স্বামী স্ত্রী দু’জনেরই। তবে দাম্পত্যে সমস্যাও কিছু কম নয়। সে সব পেরিয়ে সফল ও ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য রয়েছে ছোটখাটো কিছু মনে রাখা।
যোগাযোগ:
সম্পর্কে সামান্যতম দ্বন্দ্ব এলেও সবার আগে কথা বলতে হবে দু’জনকে। মজবুত দাম্পত্যের এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত৷ ছোটখাটো দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকলে প্রথমেই যদি নির্মূল করা না হয়, তবে তার রেশ রয়েই যায়। পরবর্তীতে সেটাই বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয়। তাই সম্পর্কের মাধুর্য ধরে রাখতে মন উজাড় করে স্বামী স্ত্রী কথা বলুন।
প্রশংসা:
জীবনসঙ্গীর স্বভাবে সামান্যতম দিকও ভাল লাগলে তার প্রশংসা করুন। স্ত্রী যদি সু্ন্দর করে ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখেন, ভাল রান্না করেন, তাহলে তার প্রশংসা করতে ভুলবেন না।
পরিসর বজায় রাখুন:
সঙ্গীর ব্যক্তিগত পরিসরে অযথা নাক গলাবেন না। অতিমাত্রায় খবরদারি করলে এটাই স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে আপনি নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সঙ্কটে ভোগেন সব সময়। তাই সঙ্গীকে ব্যক্তি স্বাধীনতা দিন এবং নিজেও ব্যক্তি স্বাধীনতা উপভোগ করুন।
ধৈর্য ধরুন:
ধৈর্যশীলতা বাড়াতে হবে অনেক গুণ। পুরনো ক্ষত ভুলে গিয়ে ক্ষমাশীল হতে হবে। সম্পর্কের বুনিয়াদের এই দু’টি হল মূল স্তম্ভ। সঙ্গীর ভুলভ্রান্তিগুলি বিশেষ মনে রাখবেন না। ভবিষ্যতের সুখকর মুহূর্তকে আপন করে নেওয়ার জন্য অতীতের ভুল ভ্রান্তিকে ভুলে যেতে হবে।