ঠোঁট কিন্তু সহজেই বলে দেবে মানুষটি কেমন
শরীরের বিভিন্ন অংশের আকার দেখে মানুষটি কেমন, সে বিষয়ে অনেক কিছুই বলে দেওয়া যায়। হাত, পা, আঙুল প্রভৃতি দেখে যে রকম একটি মানুষের সম্বন্ধে বলা যায় সে রকম ঠোঁট দেখেও মহিলা ও পুরুষদের অনেক কিছু স্বভাব বৈশিষ্ট জানা যায়।
সামুদ্রিক শাস্ত্রে ব্যক্তির শরীরের গঠনের ভিত্তিতে তাঁদের বর্তমান, ভবিষ্যই সম্পর্কে জানা যায়। এই শাস্ত্র অনুযায়ী ব্যক্তির প্রতিটি অঙ্গ তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়। এই শাস্ত্র অনুযায়ী শরীরের অঙ্গ ও তার গঠন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, স্বভাব ও ভবিষ্যৎ জানাতেও সক্ষম।
ব্যক্তির ঠোঁটের গঠন দেখেও তাঁর স্বভাব ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। এ বার দেখে নেওয়া যাক ঠোঁটের আকার অনুযায়ী কোন মানুষ কেমন।
মোটা ঠোঁট: সাধারণত, যে জাতকের ঠোঁট মোটা হয়, তাঁরা রাগী স্বভাবের হয়ে থাকেন। মাঝেমধ্যে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই রাশির জাতকরা। তবে এঁরা জেদি স্বভাবের হন। এই জাতকদের মন অশান্ত থাকে। পাশাপাশি ধৈর্যের অভাব দেখা দেয় এঁদের মধ্যে।
সাধারণের চেয়ে বড় ঠোঁট: কোনও ব্যক্তির ঠোঁটের আকৃতি সাধারণের চেয়ে বড় হলে এমন ব্যক্তি ধর্মের দিকে ঝুঁকে থাকেন। ধর্মীয় প্রবৃত্তি হন এমন জাতকরা। ভগবানের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস থাকে এঁদের। কিছু করার আগে ঈশ্বরকে স্মরণ করেন এঁরা।
গোলাপী ঠোঁট: সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকদের ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতো লাল হয়, তাঁরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান হয়ে থাকেন। ধন-ধান্যে ভরে থাকে এই জাতকদের জীবন। কোনওদিনই কষ্টে থাকেন না এঁরা।
কালো ঠোঁট: যে জাতকদের ঠোঁট কালো ও দাগযুক্ত হয়, তাঁদের জীবনে আর্থিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়।
পাতলা ঠোঁট: এমন ঠোঁট যে জাতকদের, তাঁরা নিজের জীবনে উন্নতি করেন। যে কাজই করেন না-কেন, তাতে সাফল্য লাভ করেন এই জাতকরা।
লাল ঠোঁট : যাদের ঠোঁটের রং টকটকে লাল, তারা খুব রাগী বা একগুঁয়ে প্রকৃতির হয়। যা বলবে তাই করবে এই স্বভাব খুব বেশি থাকে তাদের মধ্যে। তবে কর্মের জায়গায় এরা ভীষণ সিরিয়াস থাকে।
তা ছাড়া কর্মস্থানে এরা সকলের কাছে খুব সুনাম অর্জন করে থাকে। এরা সাধারণত যে কোনও মানুষের খুব প্রিয় হয়।