মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি চলছে

ছবি: সংগৃহীত

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ১৫ আগস্ট বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি আদালতে বলেন, অনেকদিন ধরে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে রয়েছে। শুনানি হওয়া প্রয়োজন।

এর আগে বেশ কয়েকবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন কার্যতালিকায় আসলেও শুনানি হয়নি।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ ৬ জন বিচারপতি শুনতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ৮ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন।

অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইনসভার কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রয়েছে। দেশের সংবিধানেও শুরুতে এই বিধান ছিল। তবে সেটি ইতিহাসের দুর্ঘটনা মাত্র।

রায়ে আরও বলা হয়, কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর ৬৩ শতাংশের অ্যাডহক ট্রাইব্যুনাল বা ডিসিপ্লিনারি কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদের ফলে দলের বিরুদ্ধে সাংসদরা ভোট দিতে পারেন না। তারা দলের হাইকমান্ডের কাছে জিম্মি। নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ৭০ অনুচ্ছেদ রাখার ফলে সাংসদদের সব সময় দলের অনুগত থাকতে হয়। বিচারপতি অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তারা দলের বাইরে যেতে পারেন না। যদিও বিভিন্ন উন্নত দেশে সাংসদদের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা আছে।

রায়ে আরও বলা হয়, মানুষের ধারণা হলো, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে। সে ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করবে; এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন।

Header Ad

বগুড়ার আদমদীঘি থেকে ৩২৫ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘিতে একটি কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন ৩২৫ কেজি। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টায় হলুদঘর গ্রামের মোস্তফা আকন্দের বাড়ির পাশে একটি রাস্তার সংলগ্ন স্থান থেকে শিবলিঙ্গটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো। উদ্ধারের পর আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান শিবলিঙ্গ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর শিবলিঙ্গটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই ঘটনায় এলাকার মানুষদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে শিবলিঙ্গটির ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে।

Header Ad

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও জুলাই আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

বক্তারা বলেন- মিডিয়া ও স্যোসাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি। এটি সম্পন্ন মিথ্যা। আমরা তার পদত্যাগসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের শাস্তি দাবি যোগ করেন তারা।

এতে বক্তব্য রাখেন- জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, এসএম কামরুল ইসলাম, ফাতেমা রহমান বিথী ও শেরশাহ আহমেদ প্রমুখ।

Header Ad

নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল, ছাত্রদের উত্তাল শ্লোগান

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ এবং ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে পাবনায় মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাষ্ট্রপতিকে ফ্যাসিবাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটক থেকে এই মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি পাবনা শহর ঘুরে আবার এডওয়ার্ড কলেজের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে শহরকে উত্তাল করে তোলেন। তারা বলেন, "দড়ি ধরে মারো টান, চুপ্পু হবে খান খান," "এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়," "স্বৈরাচারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও," এবং "ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।"

মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে শেখ হাসিনার প্রধান দোসর হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ার আদমদীঘি থেকে ৩২৫ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল
নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল, ছাত্রদের উত্তাল শ্লোগান
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে