বিদ্যুৎস্পৃষ্ট সেই শিশুকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট তামীম ইকবালের চিকিৎসার জন্য তাকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই শিশুকে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামীমের বাবা সাহাদাত হোসেনের করা রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। জ্বালানিসচিব, পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লীবিদ্যুতের পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তামীম গুরুতর আহত হয়। দুই মাস ধরে সে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাম হাত পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে। ডান পায়ের দুটি আঙুলও কেটে ফেলতে হবে। ঝলসে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। মাথার আঘাতও গুরুতর।
গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তামীমের মা আমেনা বেগম পল্লীবিদ্যুতের অবহেলার কারণে তার সন্তান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে— এমন অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
তামীম রামগতি উপজেলার চর টবগী গ্রামের দিন মজুর শাহাদাত হোসেনের ছেলে। স্থানীয় কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ওই শিশু।
মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চর টবগী গ্রামের একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই খুঁটির বিদ্যুতের তারগুলো এলোমেলোভাবে নদীর পাড়ে পড়ে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা রামগতির পল্লীবিদ্যুৎকে জানানো হলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। দুদিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্র তামীম নদীতে গোসল করতে গেলে পড়ে থাকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারাত্মক আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
এমএ/এসএন