রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অনুমোদন

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন । ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেওয়া ১৩৫ জনের মধ্যে ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাই রুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম অনুসন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত জানুয়ারিতে মামলা করার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়। এরপর দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ থেকে তাদের নামে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

আজ রবিবার দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদার সই করা এক চিঠিতে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালককে এই অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়।

এ বিষয়ে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অনুসন্ধান শেষে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখ ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মঞ্জুরি পাওয়া গেছে। দ্রুতই তিনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন। ১৩৫ জনের নিয়োগে কমবেশি অনিয়ম হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ জনের নিয়োগ নিয়ে দুদক মামলা করবে।’

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই চার বছরের জন্য রুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ। এরপর বিভিন্ন সময়ে তিনি ১৩৫ জন শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন। ২০২১ সালের ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় এসব নিয়োগ অনুমোদন ও বৈধ করা হয়। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধি-বিধান লঙ্ঘন করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

এর মধ্যে নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে সাবেক উপাচার্য নিজের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকেও নিয়োগ দেন। যারা নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যই ছিলেন না। এসব নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসিতে অভিযোগ হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসির একটি তদন্ত কমিটি নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগগুলি তদন্ত করেন। তদন্তে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা মিলে। ইউজিসি থেকে তদন্ত প্রতিবেদন অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে রুয়েটে বিতর্কিতভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৩৫ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যদিও এসব নিয়োগ অদ্যাবধি বাতিল হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৩৫ জনের নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ৩ জন শিক্ষকসহ ১১৮ জন নিয়োগের বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ রুয়েটের বিধি-বিধান অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগসহ কতিপয় নিয়োগে সংক্রান্ত বিষয়টি ফৌজদারি কার্যবিধিতে নেওয়া হয়নি। তবে এই ১৩৫ জনের মধ্যে মোট ১৭ জনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। এই ১৭ জনের মধ্যে সাবেক উপাচার্যের আত্মীয় স্বজন রয়েছেন। যাদের কেউ কেউ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও তাদের মৌখিক পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের সকলকেই নিয়োগ দেওয়া হয় অবৈধভাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ বলেন, ‘দুদকের মামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই। আর নিয়োগে কোনো অনিয়মও হয়নি। তবে মামলা হলে আইনগতভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল