থাকছে প্রধান বিচারপতির ‘হৈমন্তি’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হৈমন্তী ছোটগল্পের চরিত্র অপু তার স্ত্রী হৈমন্তীর নাম শুরুতে বলেছিল শিশির। অবশ্য শেষ পর্যন্ত আর গোপন করেনি। বলেছিল ‘কী হইবে গোপন রাখিয়া। তাহার আসল নাম হৈমন্তী’।
তবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন কিছু রাখঢাক করেননি। আবার ঠিক রবীন্দ্রনাথের মতোও করেননি। অন্তত বানানে একটু ভিন্নতা রেখেছেন। নামটি তিনি লিখলেন ‘হৈমন্তি’। মানে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন ঈ-কার দিয়ে, প্রধান বিচারপতি লিখলেন ই-কার দিয়ে।
রবীন্দ্রনাথের অপু বলেছিল, ‘যে তাম্রশাসনে তাহার নাম খোদাই করা আছে সেটা আমার হৃদয়পট’। তবে প্রধান বিচারপতি টাইলস পটে নামটি লিখিয়ে রেখেছেন একেবারে জনসম্মুখে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে।
অবশ্য নামটি জনসম্মুখে থাকলেও, প্রধান বিচারপতির সামনে আর থাকছে না। কারণ, চলতি ডিসেম্বর মাসেই অবসরে যাচ্ছেন তিনি।
তারমানে শেষটাতেও রবীন্দ্রনাথের অপুর সঙ্গে প্রধান বিচারপতির ভিন্নতা। আছে স্পষ্টতাও। কারণ অপুর ‘শুনিতেছি, মা পাত্রী সন্ধান করিতেছেন’ কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না যে, হৈমন্তী বেঁচে আছে না-কি নেই। তবে এটি নিশ্চিত যে, সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনেই থাকছে প্রধান বিচারপতির ‘হৈমন্তি’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘হৈমন্তি’ নামের গাছের চারাটি রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। চারার পাশে টাইলসের ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা আছে, ‘গাছের নাম : কুরচি/হৈমন্তি’।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুসারে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৭ বছর। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হতে চলছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে তিনি অবসরে যাবেন।
এমএ/এএন