প্রযুক্তির ব্যবহার কমাবে মামলাজট: প্রধান বিচারপতি
আগামী ৫ বছরের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন জায়গায় যাবে যে জুডিশিয়ারিতে কোনো পেন্ডিং মামলা থাকবে না, বললেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং সফটওয়্যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যে জায়গায় যাচ্ছে, শুধু মুখে কথা বলবেন লেখা হয়ে যাবে, কষ্ট অনেক কমে যাবে। কিন্তু এ প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে হবে এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। উত্তরসূরি যারা আসবেন আমি আশা করি তারা এ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
উত্তরসূরীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে। আমাদের মুক্তি হলো ভার্চুয়াল কোর্টে।
বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে উত্তরসূরী বিচারপতিদের কাছে এ আশাবাদ রেখে যান প্রধান বিচারপতি। চলতি ডিসেম্বর মাসেই অবসরে যাচ্ছেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ভার্চুয়াল কোর্ট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ই-ফাইলিং ব্যবস্থা হলে ২৪ ঘণ্টায় মামলা ফাইল করা যাবে। ভারত এটা করতে সক্ষম হয়েছে। ভার্চুয়াল কোর্টকে এগিয়ে নিতে আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। ই-জুডিশিয়ারি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারা দেশের সব আদালতে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মামলা করা হলে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের সাথে আদালতের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হবে। সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল ফাইলিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব মামলা সংশ্লিষ্ট ফাইল দ্রুততার সাথে অনলাইনে দায়ের, গ্রহণ ও অনুমোদন করা যাবে। ফলে সাশ্রয় হবে আদালতের কর্ম-ঘণ্টার। ফলে বিচারপ্রাপ্তি অধিকতর স্বচ্ছ, দ্রুত এবং সহজলভ্য হবে।
এমএ/কেএফ/