মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনী জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে পদ হারানো সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে অন্তত চার জেলায় মামলার আবেদন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আক্তার খান। সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। মামলায় ডা. মুরাদ ছাড়াও যে ফেসবুক লাইভে এসে ডা. মুরাদ বিতর্কিত মন্তব্য করেন, সেই অনুষ্ঠান ‘নাহিদরেইনস পিকচার্স’-এর সঞ্চালক নাহিদ রেইনসকেও আসামি করা হয়। পরে আদালত ২০০ ধারায় মামলার বাদী আনভীর আক্তার খানের বক্তব্য নেন এবং আগামী বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেন।
সিলেট জেলা বারের সভাপতি এ টি এম ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য তানভীর আক্তার খান বাদী হয়ে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করেছেন। ৬০-৭০ জন আইনজীবীর উপস্থিতিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত ২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ১৫ ডিসেম্বর আদেশ দেবে মর্মে মামলা গ্রহণ করেন।
এর আগে রাজশাহীর আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে। রবিবার বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।
এ ছাড়া রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে আরেকটি মামলার আবেদন করা হয়। মামলার অন্য আসামি হলেন- মহিউদ্দীন হেলাল নাহিদ। মামলাটি দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি বদরুল আনোয়ার। আজ রবিবার সাইবার ট্রাইব্যুনালের আদালত তোফাইল হাসানের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে সকালে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সেরেস্তায় মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করা হয়। এ মামলার আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। মামলার বিষয়ে আগামীকাল সোমবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
এমএ/এমএমএ/