শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার 

‘আমি কাজকে ভালোবেসে কাজ করার চেষ্টা করছি’

ড. হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বেলজিয়াম লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম, এনভায়রনেমন্টাল সায়েন্স: পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি করা হাছান মাহমুদ এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল মেয়াদে প্রথমে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া এই নেতা পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এখন সরকারের সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২৩ নভেম্বর ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. হাছান মাহমুদ কথা বলেছেন গত প্রায় চার বছরে তার মন্ত্রণালয়ের সফলতা, বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, গণমাধ্যম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রাজনীতি, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে। 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। কাজে গতি এসেছে। অনেক বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। এ সম্পর্কে যদি আপনি কিছু বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি আমার সমস্ত আন্তরিকতা দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনার জন্য। একইসঙ্গে বহু বছরের ঝুলন্ত সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য। যেমন আমরা তিন দশক ধরে চেষ্টা করেছি বিটিভি ভারতবর্ষে প্রদর্শনের জন্য। কিন্তু সেই চেষ্টায় আমরা সফল হইনি। কিন্তু  প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারতে বিটিভি ফ্রি ডিসের মাধ্যমে সেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। সমগ্র ভারতবর্ষে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারও সেখানে শোনা যাচ্ছে।

আপনারা জানেন যে, আগে টেলিভিশনগুলোতে কোনো সিরিয়াল ছিল না। কোনটার পর কোনটা, সেটা এলাকা ভেদে একেক রকম হতো। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরও সেটা হয়নি। কিন্তু আমি কঠোর হস্তে এটি কার্যকর করেছি। যেমন এখন সম্প্রচারের তারিখ অর্থাৎ যেই টেলিভিশন যেই সময় সম্প্রচার হচ্ছে সে অনুযায়ী একটা ক্রম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেই ক্রম অনুযায়ী সারা দেশে টেলিভিশনগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। সেই ক্রম আগে-পিছে করার জন্য ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে অনেক ধরনের অনিয়ম করতে হতো টেলিভিশন মালিকদেরকে। সেটি এখন বন্ধ হয়েছে।

আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলগুলো…দেশে আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত করতে পারে না। একই আইন ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে আছে, ইউরোপ, আমেরিকায় আছে। সেখানে বিদেশি চ্যানেলে কোনো রকম বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। আমাদের দেশে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল। আমরা গত বছর থেকে সে আইন কঠোরভাবে কার্যকর করেছি। এখন শুধুমাত্র সেই সমস্ত বিদেশি চ্যানেলই বাংলাদেশে সম্প্রচারিত হয় যারা বিজ্ঞাপনহীন ক্লিনফিড পাঠায়। এটা একটা বড় অগ্রগতি এবং এটি না করার জন্য বহু শক্তিশালী মহল এটার পিছনে যুক্ত ছিল। কিন্তু আমরা কোনো মহলের কাছে নতিস্বীকার করিনি। সেটি কার্যকর করা হয়েছে। একইসঙ্গে আমরা সম্প্রচার মাধ্যমকে ডিজিটালাইজড করার কাজ করছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাইলাইজড হয়ে গেলেও বাংলাদেশের সম্প্রচার মাধ্যম ডিজিটালাইজড হয়নি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি এবং বহুদূর এগিয়েছি। হাইকোর্টে একটা মামলা হওয়ার কারণে সেটা কিছুটা পিছিয়ে গেছে। আমরা আশা করছি সেই মামলাটা নিষ্পত্তি করে আমরা এটিও কার্যকর করতে সক্ষম হব।

এ ছাড়া, আপানার জানেন যে, আমাদের পিআইডি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সেখানে আধুনিক যুগের সঙ্গে সমন্বয় করে যে কাজ সেটির জন্য পিআইডিকে সেভাবে ঢেলে সাজানো হয়নি। আমরা সেটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা দেখতে পাবেন যে, কিছুদিন পর পিআইডি আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি কার্যকরিভাবে কাজ করছে। এখন আগের তুলনায় ভালো করছে।   

আরও নানা ধরনের পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট করেছি। সেটি চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহু বছরের দাবি ছিল। কিন্তু কার্যকর হয়নি। সেটি আমরা করেছি। সংসদে আইন পাস হয়েছে। শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে টেলিভিশন শিল্পীরাও যাতে সেখান থেকে সহায়তা পেতে পারে সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এভাবে বহু কাজ করা হয়েছে। আমাদের পিআইবি থেকে শুরু করে অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোকে গতিশীল করা হয়েছে। আপনারা জানেন যে, আমাদের চলচ্চিত্র অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছিল বলা যায়। আমাদের সিনেমা হলের সংখ্যা ১০০ তে নেমে এসেছিল। এখন সেখানে এই করোনা মহামারির মধ্যেও গত কয়েক মাসে আরও ২০০ এর বেশি সিনেমা হল চালু হয়েছে। আগামী ছয় মাস, এক বছরের মধ্যে আরও বহু সিনেমা হল চালু হবে। ইতিমধ্যে মধ্যবিত্তরা হলে ফিরে এসেছেন। বহু সিনেমা তারমধ্যে কিছু অনুদানের সিনেমা আছে। বহু সিনেমা বক্স অফিস হিট করেছে। মানুষ সিনেমা দেখতে যাচ্ছে। এটি বিরাট একটা পরিবর্তন। আমরা করতে পেরেছি। করোনা মহামারি না থাকলে আরও অনেক কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো।

প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো কীভাবে সম্ভব হলো? প্রথম হচ্ছে আপনি যখনই আমাকে কোনো কাজ দেন না কেন আমি সেটি মনপ্রাণ দিয়ে করার চেষ্টা করি। আমাকে যখন প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তখনো আমি আমার সমস্ত সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে করার করার চেষ্টা করেছি। এখানেও আমি সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রথমত কাজকে ভালোবাসতে হয়। কাজকে যদি ভালো না বাসে কেউ তাহলে পারফর্ম করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর প্রথমে আমি কাজকে ভালোবাসতে চেষ্টা করেছি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: অনলাইন গণমাধ্যম নিয়ে আপনার ভাবনা কী? দেশে এখন অনেক অনলাইন। যদিও অনলাইন অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তারপরও দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে অনলাইন। এসব অনলাইন অনেক সময় বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। দেখা গেল গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে, ভুয়া রিপোর্ট দিচ্ছে, ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এ নিয়ে আপনাদের ভাবনা কী?

ড. হাছান মাহমুদ: দেশের অনলাইন গণমাধ্যমকে একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করেছি। অনেকগুলো অনলাইনকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, অনেকগুলো অনলাইনকে বন্ধও করা হয়েছে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যেমন একটা চলমান প্রক্রিয়া। বন্ধ করাটাও একটা চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু যেভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন, আসলে এত অনলাইনের তো প্রয়োজন নেই। অনেকেই অসৎ উদ্দেশে এ সমস্ত অনলাইন চালু করে এবং সেটার অফিস নেই ঠিকমত। ঘরের মধ্যে থেকে করে। আমরা সেগুলো আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করছি এবং আইডেন্টিফাই করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এখনো নানা আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সভা-সেমিনারেও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এটি সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জনের কোনো চিন্তাভাবনা কি সরকারের আছে?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটাল সিকিরিউটি দেওয়ার জন্য। এটি একজন সাংবাদিককে সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য, একজন গৃহিণীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। একজন চাকরিজীবীকে, কৃষককে, একজন ছাত্রকে, একজন মহিলাকে, একজন তরুণীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এই আইনের সাহায্য নিয়ে বহু সাংবাদিকও মামলা করেছেন এবং প্রতিকার পেয়েছেন। এই আইনের সাহায্য নিয়ে বহু সাধারণ মানুষ মামলা করেছেন। এটি কোনো বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য এ আইন।  

দেশ যখন ডিজিটাল ছিল না, তখন এই আইনেরও কোনো প্রয়োজন ছিল না। দেশ যখন ডিজিটাল হয়ে গেছে সুতরাং তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে হবে। ডিজিটালি যখন কোনো গুজব ছড়ানো হয় সেটির বিরুদ্ধে কোনো আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? সেটির জন্য তো একটা আইন দরকার। সেই আইনটিই হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। যখন একজন মানুষের চরিত্র হনন করা হয় অনলাইন বা স্যোশাল মিডিয়াতে তখন এর বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেজন্য তো একটা আইন দরকার। সে জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন।

একজন মহিলার বিরুদ্ধে চরিত্র হননমূলক অপপ্রচার চালানো হয়, একজন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের  অপপ্রচার চালানো হয়, একজন জীবন্ত মানুষকে স্যোশাল মিডিয়ায় মেরে ফেলা হয়, গুজব রটানো হয়। সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তো একটা আইন দরকার। সেই আইনটিই হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। তো এ আইন সবার জন্য। এই আইনের যাতে অপব্যবহার না হয়, এ আইন দ্বারা যাতে সাংবাদিকদের কোনোরকম হয়রানি না করা হয় সে নিয়েও আমরা সচেষ্ট আছি। এখন দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয়ই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহজেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা যায় না।

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকাতে একটা সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে তারা দেশের সকল বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করছে এবং করেছে। তারা বলছে যে, আগামী ১০ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিষযটিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে তো। বিএনপি মুখে যাই বলুক তারা নির্বাচনে যাবেন, তারা দলকে চাঙ্গা করার জন্য এগুলো করছে। তারা চট্টগ্রামে সমাবেশের ডাক দিয়ে বলেছিল ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে। সেখানে এক লাখ পুরাতে পারে নাই। সুতরাং ঢাকা শহরে কী হবে সেটা আমরা বুঝি। খালি কলসি বাজার মতো বাজছে। বা বর্ষাকালে ব্যাঙ ডাকার মতো। বর্ষাকালের ব্যাঙ কিন্তু খুব ছোট, আওয়াজটা অনেক বড়। তো ওদের আওয়াজ হচ্ছে খালি কলসি বেশি বাজার মতো আর বর্ষাকালে ব্যাঙের ডাকার মতো।

ঢাকাপ্রকাশ: বিরোধী দল যদি আন্দোলনের যায়, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকার পতনের দিকে যায়, সেক্ষেত্রে সরকারের ভাবনাটা কী? তাদের কীভাবে মোকবাবিলা করবেন? আর রাজনৈতিক দল হিসেবেও আওয়ামী লীগ কীভাবে মোকাবিলা করবে?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন, উনারা তো আন্দোলনে আছেন। ২০১৩,১৪ ও ১৫ সালে উনাদের আন্দোলনের নমুনা দেখেছি। উনারা সবসময় আন্দোলনে আছেন। উনাদের মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের জনগণ আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনবার সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়েছে। তো উনাদের এবারকার আন্দোলনে আমাদের একটা লাভ হয়েছে। এবারকার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে, উনারা সাম্প্রতিক যে সমাবেশগুলো করছে এতে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের সমাবেশগুলোও আগের চেয়ে অনেক বড় হচ্ছে। আমাদের কর্মীরাও চাঙ্গা হয়েছেন। এটুকু লাভ আমাদের হয়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: গত দুটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানাপ্রশ্ন আছে দেশের ভেতরে-বাইরে। বিএনপি ইতিমধ্যে বিদেশিদের দারস্থ হয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকরাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলছেন এবং তারা বলছেন, একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, সব দলের অংশগ্রহণে একটা নির্বাচন চান তারা। বিষয়টি বিশেষ করে বিদেশি কূটনীতিকদের বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নাক গলানোর বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

ড. হাছান মাহমুদ: প্রথমত কূটনৈতিক শিষ্টাচার বলে একটা কথা আছে। তো আমরা সব সময় বলে আসছি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বা বিদেশি দূতাবাসের যারা বাংলাদেশে পোস্টিং নিয়ে আসেন তাদের এটি অনুসরণ করা উচিত। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে তাদের চেয়েও বেশি দোষী হচ্ছে বিএনপি। বিদেশি কূটনীতিকরা এই নাক গলানোর সুযোগ কখনোই পেত না যদি বিএনপি বা অন্যান্য দল গিয়ে কূটনীতিকদের দুয়ারে ধরনা না দিত। বিএনপি তো জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছেই বেশি যায়। যে কারণে বিদেশি কূটনীতিকদের তারা উৎসাহিত করে। উদ্বুদ্ধ করে এ বিষয়ে কিছু বলার জন্য, কিংবা নাক গলানোর জন্য। তবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে কারও কিছু করা উচিত নয়।

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব বিশেষ সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কি আছে?

ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন সেটা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই নির্ধারণ করবেন। কাউন্সিলারদের মতামতের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাই এ বিঢয়টি ঠিক করবেন। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। দেশে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনসহ প্রচুর গণমাধ্যম রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের প্রতি আপনার কোনো পরামর্শ…

ড. হাছান মাহমুদ: প্রথমত হচ্ছে গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। আমি গণমাধ্যমে কাছে যেটি প্রত্যাশা করব, অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু কিছু গণমাধ্যম, কিছু কিছু পত্রিকা এবং দু’একটি টেলিভিশনে বিরোধী দলের ছোট সমাবেশকে বড় করে দেখানোর একটা টেনডেন্সি আছে। আবার সরকারি দলের, আওয়ামী লীগের বড় সমাবেশকে ঠিক সেভাবে কভারেজ দেওয়া হয় না। এগুলো কিন্তু সঠিক নয়। এভাবে করা সমীচীন নয়। সাদাকে সাদা বলতে হবে, কালোকে কালো বলতে হবে। যেই সমাবেশ যতটুকু প্রচার পাওয়া দরকার ততটুকু প্রচার দিতে হবে। আবার কিছু কিছু গণমাধ্যম দেখা যায় যে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। গণমাধ্যম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া সমীচীন নয়।

আমি গণমাধ্যমের কাছে সবিনয়ে যেটি নিবেদন রাখব সেটি হচ্ছে গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করবে। সরকারি দল হোক আর বিরোধী দল হোক যেটুকু প্রচার পাওয়া দরকার সেটিই করবে। সেখানে কাউকে ফুলিয়ে ফাঁফিয়ে দেখানোর টেনডেন্সিটা পরিহার করুন। একইসঙ্গে কোনো নেতিবাচক খবর থাকলে কোনো কোনো গণমাধ্যমে সেটি ফলাও করে প্রচার হয়। কিন্তু ইতিবাচক সংবাদটা সেভাবে প্রচার পায় না। এটিও ঠিক নয়। অবশ্যই নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হবে। একইসঙ্গে জাতির যে অর্জন, আজকে দেশটা যে বদলে গেল, স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হলো এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো, আজকে পৃথিবী যে দেশের প্রশংসা করছে সে বিষয়গুলো গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া দরকার। আমরা যখন মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেলাম তখন ভারতের পত্রপত্রিকায় যেভাবে প্রচার পেয়েছে, যেভাবে শোরগোল হয়েছে আমাদের দেশে সেভাবে হয়নি। যেটি আমাকে খুব অবাক করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য ঢাকাপ্রকাশ-এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ড. হাছান মাহমুদ: ঢাকাপ্রকাশ-কেও ধন্যবাদ।

এমএমএ/
 

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এক ১৫ আগস্টে (১৯৭৫ সাল) শেখ মুজিবুরের জানাজায় লোক পেলাম না, আর এত বছর পরে ১৫ আগস্টে (২০২৪ সাল) কোনো জায়গায় মাহফিলের আওয়াজ পেলাম না। এতে বলা যায়, শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবাকে এমন মারা মেরেছে যে মসজিদে তার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে বলবো, আপনারা তো এতদিন দেশ চালাইলেন, এইবার ফেরত দেন। হালুয়াঘাট বর্ডার দিয়ে ফেরত দেন আমরা রিসিভ করব। আমরা কথা দিলাম আমরা আপনাদের ওপর ন্যায়বিচার করব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বন্ধুত্ব কি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় সেটা হবে প্রকৃত বন্ধুত্ব। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্ব নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমাদের স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে নয়, কর্তৃত্বের মাধ্যমেও নয়, বন্ধুত্বের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বিএনপি নেতা সালমান ওমর রুবেল আয়োজিত এই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। এ সময় প্রায় ৩ হাজার চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য সিলেকশন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সকল সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখিভ্যান) ও  ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সোমবার সকাল থেকে জেলার সকল পথে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে জেলায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,পাখিভ্যান, থ্রি হুইলার সহ অন্য অবৈধ যানগুলো যেভাবে চলাচল করতো, সেভাবেই তারা চলাচল করুক এই দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সেটা রক্ষা করেনি।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে টানা দুইদিন পরিবহন চলাচল বন্ধের মধ্যে প্রশাসন যদি বসে সমাধানের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অভ্যন্তরীণ পথের পাশাপাশি দূরপাল্লার সকল রুটে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীরা একটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে ভবনের দেওয়ালে বিদ্বেষমূলক স্লোগান লিখে গেছে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) জুমার দিন সকালে সালফিতের মারদা গ্রামে বার আল-ওয়ালিদাইন মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের সামনের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’, ‘আরবদের মৃত্যু হোক’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখে রেখেছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। এ ছাড়া উত্তর পশ্চিম তীরের মারদা গ্রামের মসজিদের প্রবেশপথে কালো পোড়া দাগ দেখা গেছে। তবে আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

মারদা গ্রাম পরিষদের প্রধান নাসফাত আল-খুফাশ বলেন, শুক্রবার মারদা গ্রাম একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় জেগে উঠল। বসতিস্থাপনকারী গোষ্ঠী বীর আল-ওয়ালিদিন মসজিদে আগুন দেয়। বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর এই ধরনের আক্রমণ ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত।

ইসরায়েলি পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করে। দোষীদের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিক সর্বশেষ ঘটনা বলে নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭ লক্ষাধিক ইসরায়েলি বসবাস করে। ১৯৬৭ সালে এই দুটি অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই দখলকৃত ভূমিতে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২