রিপন সাঘাটা-ফুলছড়িতে বহিরাগত: বুবলী
বাবার আসনে নৌকার হাল ধরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলী। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার কন্যা বুবলী। তবে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে সরব রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারজানা রাব্বী বুবলী বলেছেন, রিপনকে ‘ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষ বহিরাগত মনে করে। আসলে ফুলছড়ি-সাঘাটার লোকজন রিপনকে কখনই আপন মনে করে না। তাকে মহিমাগঞ্জের লোক মনে করে। সুতরাং সে যদি এমপি হতে চায়, গোবিন্দগঞ্জে রাজনীতি করেও এমপি হওয়ার সুযোগ আছে।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কতদিন ধরে রাজনীতিতে আছেন?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: দেখুন, বুঝ হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি যে, আমাদের গ্রামের বাড়িতে ও শহরের বাড়িতে শত-শত মানুষর আনা-গোনা। বাবা-মা শিখিয়েছেন, কীভাবে সেসব মানুষকে সম্মান দিতে হয়, আপ্যায়ন করতে হয় বা তাদের কীভাবে সাহায্য করতে হয়। সুতরাং, আপনি বলতে পারেন যে, আমি ১২-১৩ বছর বয়স থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ঢাকাপ্রকাশ: তার মানে ছোটবেলা থেকেই আপনি একধরনের ইনফরমাল রাজনীতিতে ছিলেন?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমি জানি না, আপনি ফরমাল বা ইনফরমাল রাজনীতি বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছেন। আমার সাধারণ জ্ঞানে রাজনীতি মানে হচ্ছে- মানুষের সেবা করা। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সারাজীবন করে গেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন করে যাচ্ছেন এবং আমার প্রয়াত বাবা ফজলে রাব্বী সাহেব করেছেন। আমি তাদের অনুসারী হয়ে সেই কাজটিই দীর্ঘদিন ধরে করে যাচ্ছি।
ঢাকাপ্রকাশ: আমি জানতে চাচ্ছিলাম রাজনীতিতে আপনার অতীত ও বর্তমান পদ-পদবির বিষয়ে...
ফারজানা রাব্বী বুবলী: দেখুন, আমার প্রয়াত বাবা কর্মীবান্ধব রাজনীতিক ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে, তার কর্মীরাই মূল সংগঠন ও অঙ্গসংগঠন সমূহের পদ-পদবি। তিনি ইচ্ছা করলে অনেক আগে থেকেই আমাকে পদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারতেন। আমার বাবাও বলতেন, জেলা-উপজেলায় যেন ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলার কমিটিতে স্থান পায়।
ঢাকাপ্রকাশ: আমি জানতে চাচ্ছি আপনি পদ-পদবিসহ রাজনীতিতে কবে আসলেন?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: দেখুন, মানুষের জন্য রাজনীতি করতে চাইলে পদ-পদবি দরকার হয় না। আপনার আশপাশের নেতা-কর্মীরা যদি আপনাকে অন্তর থেকে নেতা বলে মনে না করে, অর্থাৎ মানসিকভাবে আপনাকে যদি নেতা হিসেবে গ্রহণ না করে, আপনি কোনো জেলা-উপজেলার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হয়ে হয়তো সংগঠনের জন্য কিছু অবদান রাখতে পারবেন না। আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, জাতির পিতার ছোট কন্যা শেখ রেহানা আন্টি, জয় ভাই, ববি ভাই ও পুতুল আপা কোনো পদবিতে নেই। কিন্তু তারা দিন-রাত বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা-ভাবনা করেন এবং তাদের জন্য কাজ করেন। আর সেজন্যই, বাংলাদেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের সবাইকে মন থেকে নেতার আসনে বসিয়ে রেখেছেন। এবার আপনার প্রশ্নের যদি সরাসরি উত্তর দেই তাহলে বলতে হয়, আমি ২০১৬ সাল থেকে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে ছিলাম এবং পরে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ থেকে সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করে আসছি।
ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে এ কথা বলা যায় যে, আপনি পদবিসহ ও পদবি ছাড়া দুইভাবেই রাজনীতিতে সময় দিয়ে আসছেন?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমি আবারও বলব পদবি রাজনীতিতে মুখ্য বিষয় নয়। মানুষ আপনাকে আপনার কর্মের জন্য অন্তর থেকে নেতা ভাবে কি-না সেটাই মুখ্য। যখন আপনি পদ-পদবি পেয়েও কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন না, তখন বুঝতে হবে আপনি সত্যিকার অর্থে রাজনীতি করছেন না।
ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন সাঘাটা ফুলছড়ির নেতা-কর্মীরা অন্তর থেকে আপনাকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করেছে?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: এই প্রশ্নটা সাঘাটা-ফুলছড়ির নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞেস করুন, উপযুক্ত উত্তরটা পেয়ে যাবেন। আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি সাঘাটা-ফুলছড়ির নেতা-কর্মীদের আমি নিজের পরিবারের সদস্যদের মতো ভাবি। তারাও আমাকে তাদের খুব কাছের আপনজন মনে করে। আমার বাড়িতে এমন কোনো দিন নেই যেখানে ৪০০-৫০০ লোকের আনাগোনা হয় না।
ঢাকাপ্রকাশ: ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে কে কে এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন তুলবেন?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: এটাতো আপনারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় দেখার কথা। আমার সঙ্গে দুই উপজেলার দুইজন সভাপতির খোলামেলা কথা হয়েছে। আমি মনে করি যে, তারা আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন চাওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন এবং তাদের কাউকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিলে আমি অবশ্যই তাদের জন্য কাজ করব। তারা আমাকে খোলামেলা বলেছেন যে, আমি নমিনেশন পেলে তারা দুইজনসহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীরা ভীষণ খুশী হবেন। দুই উপজেলার সব নেতা-কর্মীরা আমার জন্য দিন-রাত উৎসবমুখর পরিবেশ কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, দুই উপজেলার নেতারা নমিনেশন ফরম তুললেও নির্বাচনের সময় আপনাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং থাকবে না?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: মোটেই না। আমি তো ফুলছড়ি উপজেলার সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ কাকাকে এবং সাঘাটা উপজেলার সভাপতি টিটু ভাইকে খোলামেলাভাবেই বলেছি, চলেন এক সঙ্গে আওয়ামী লীগের অফিস থেকে নমিনেশন কিনব, আবার এক সঙ্গে জমা দেব। আমাদের মধ্য যেই নমিনেশন পাবে, আমরা একজন আরেকজনের জন্য একশভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। এটা কোনো কথার কথা নয়। এটা আমাদের সবার অন্তরের কথা।
ঢাকাপ্রকাশ: কিন্তু আপনি তো আপনার সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ হাসান রিপনের বিরুদ্ধে এক ধরনের গ্রুপিংয়ের রাজনীতি....
ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমি ও আমার প্রয়াত বাবা আমরা কখনো কোনো গ্রুপিং সৃষ্টি করিনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর শেখানো রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতি করি, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ করি। আমাদের সঙ্গে কোনো নেতার কোনো কথায় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে, আমরা সেটা কখনো মনে ধরে রাখি না। পরবর্তীতে কখনো দেখা হলে আমরা আবার হাসি মুখেই কথা বলি। আমি ও আমার বাবা, আমরা কখনোই কোনো নেতা-কর্মীকে দূরে ঠেলে দিইনি এবং ভবিষ্যতেও দেব না। আর রিপন সাহেব এর উল্টোটা করেন। মোট কথা আমাদের সঙ্গে কারো কোনো গ্রুপিং নেই।
ঢাকাপ্রকাশ: মাহমুদ হাসান রিপন যেহেতু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, তিনি তো এলাকায় একটা নিজস্ব বলয় তৈরি করতেই পারেন।
ফারজানা রাব্বী বুবলী: তার সৌভাগ্য যে, তিনি স্কুল-কলেজে কোনোদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি না করেই, বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে সরাসরি সভাপতি হয়েছেন। তার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগ করত না। যখন বগুড়া আজিজুল হক কলেজে পড়ে, তখন তার আপন বড় ভাইয়ের সঙ্গে যে মেসে থাকত, সেটি ছিল ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের আস্তানা। তার বড় তাই সে সময় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। যেহেতু তিনি ওই ধারার কিছু লোকজন নিয়ে চলাফেরা করেন, তাই একটা গ্রুপ লালন পালন করেন। আর আপনারা অনেকেই জানেন না যে, তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা আমাদের পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে। তার তথাকথিত গ্রুপের ৯০ ভাগ লোকজন আসে ওইসব এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে। যাদের ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষ বহিরাগত মনে করে। আসলে ফুলছড়ি-সাঘাটার লোকজন রিপনকে কখনই আপন মনে করে না। তাকে মহিমাগঞ্জের লোক মনে করে। সুতরাং সে যদি এমপি হতে চায়, গোবিন্দগঞ্জে রাজনীতি করেও এমপি হওয়ার সুযোগ আছে।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে কতখানি আশাবাদী?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: একশত ভাগ আশাবাদী। আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করি। আমি মাসে প্রায় ২০ দিন গ্রামে থাকি। দুইটা উপজেলার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার বাড়িতে যখন-তখন আসতে পারে। তাদের সুখ-দুঃখ সবকিছুই আমার সঙ্গে শেয়ার করে। তারা আমাকে তাদের আপনজন মনে করতে শুরু করেছে আমি যখন বুঝতে শিখেছি। এখানে একটা বিষয় না বললেই নয়, আমার বাবা-মাসহ পুরো পরিবার যদিও ঢাকায় থাকত। কিন্তু আমার বাবা আমাকে আমার গ্রামের বাড়ি আমার দাদির কাছে রেখে আমাকে এসএসসি পর্যন্ত পড়িয়েছেন। তারপর আমি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শহীদ আনোয়ারা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পর্যন্ত পড়া লেখা করলেও আমার বাবার সঙ্গে আমি ঘন-ঘন গ্রামে যেতাম।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যেহেতু আপনার স্কুল-কলেজের প্রসঙ্গ এনেছেন, তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স ও আপনার স্বামী সন্তান নিয়ে কথা বলাটা মনে হয় অসমীচীন হবে না?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পরপরই আমি বিয়ে করি ২০০১ সালে। বর্তমানে আমি এলএলবি সমাপ্ত করার পথে আছি। বয়স আমার ৪১ চলছে। এখানে উল্লেখ্য যে, আমার বাবাও প্রথম এমপি হয়ছিলেন ৪০ বছর বয়সে। দুই ছেলে, স্বামী ও শাশুড়ি নিয়ে আমার সংসার। আমার স্বামী ব্যারিস্টার হিসেবে প্র্যাকটিস করার পর একজন বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে প্রায় ১১ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশে তো কোনো বিচারপতির স্ত্রী সরাসরি রাজনীতিতে নেই। এটা একটু বেমানান হলো কী?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমার জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে এবং আমার বুঝ হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমার সৌভাগ্য যে, আমার বিয়ে হয়েছে একজন মনে-প্রাণে রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বিচারপতি হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলন এবং পাশাপাশি ফুলছড়ি-সাঘাটা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মীদের সুখ-দুঃখের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমি বাংলাদেশের একজন স্বাধীন নাগরিক হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো কাজ রাজনীতিকে সেবা হিসেবে গ্রহণ করছি, যেটি আমাদের সংবিধান আমাদের বিশেষ করে নারীদের রাজনীতিতে আসার জন্য উৎসাহিত করছে।
ঢাকাপ্রকাশ: কী কারণে আপনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন? একইভাবে কী কারণে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ হাসান রিপন মনোনয়ন পাবেন না বলে মনে করেন?
ফারজানা রাব্বী বুবলী: ইতোপূর্বে আমি বলছি যে,তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও দিতে থাকব। দুই উপজেলাতেও আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পারব। কারণ সব বয়সী নেতা-কর্মীই আমার সঙ্গে উঠা-বসা করতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করে। যদি আমি এমপি হতে পারি তাহলে ফুলছড়ি-সাঘাটায় চিরতরে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি বিদায় নেবে। আমার ৪১ বছর জীবন আমি আমার বাবার পদবির কারণে বা স্বামীর পদবির কারণে একদিকে যেমন নিজেকে কখনো ভিআইপি মনে করিনি, অন্যদিকে বাংলাদেশের কেউ কোনোদিন প্রশ্ন তুলতে পারবে না যে, আমি কারো কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিয়েছি।
কিন্তু মাহমুদ হাসান রিপন সাহেব আমার পুরো উল্টো চরিত্রের মানুষ। তার সঙ্গে দেখা করতে হলেও মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়। অন্যদিকে দুদক তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য ২০১২ সালে মামলা করে, যা এখনো চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। তার শশুর ও চাচা শ্বশুর দুবাইতে দুইশত কোটি টাকা পাচার মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুর দুইজন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কুলাঙ্গার তারেক রহমানের বড় অর্থের যোগানদাতা। মাহমুদ হাসান রিপন মাঝে মধ্যেই দুবাই যাতায়াত করে থাকেন।
ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ফারজানা রাব্বী বুবলী: আপনাকে ও ঢাকাপ্রকাশ পরিবারকেও ধন্যবাদ।
এনএইচবি/এসএন