বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘আওয়ামী লীগকে কোথাও খুঁজে পাবেন না’

দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে। সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে কি না? আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে কি কি শর্ত পালন করতে হবে-ঢাকাপ্রকাশ-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি মনে করেন পরবর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে সরকার ইচ্ছে করে ঋণ নিচ্ছে। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে শেষ পর্ব।

ঢাকাপ্রকাশ: চলমান বৈশ্বিক সংকটে অস্থির পুরো বিশ্ব। আমরাও তার বাইরে নয়। বাংলাদেশের সামনে কী আরও গভীর সংকট আসতে পারে?

ড. রেজা কিবরিয়া: এই সরকার যাওয়ার সময় সব ফুরিয়ে যাবে। অর্থনীতিকে শেষ করে যাবে। এমন কিছু কাজ করছে তারা, যে কারণে সামনে যারা আসবে তাদের অর্থনীতি পরিচালনা করতে অসুবিধা হবে। এটা তারা ইচ্ছাকৃতভাবে করছে। এতে জনগণ কষ্ট পাচ্ছে, এটা তারা বোঝে না। এই সরকার বেশিদিন থাকলে এবং আমরা যদি শ্রীলঙ্কার অবস্থায় পড়ি তখন এটা থেকে উত্তোরনের মেয়াদ হয়তো ১৫-২০ বছর লেগে যাবে। এই সরকার তো সারাক্ষণ মিথ্যা কথা বলে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিরাট মিথ্যাচার চালিয়েছে। বৈদেশিক রিজার্ভ নিয়ে খুবই সন্দেহ হচ্ছে। বৈদেশিক রিজার্ভের পরিসংখ্যান যদি ঠিক হয় তাহলে তো আইএমএফ এর কাছে যাওয়ার কথা নয়। আইএমএফ এর হাতে দেশটা ঠেলে দিচ্ছে। এটা খুশির খবর না। একটা দেশের খুবই খারাপ অবস্থা না হলে আইএমএফ এর কাছে যায় না। তাদের শর্ত মেনে নেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে কি না জানি না।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনার কাছে কি মনে হয়েছে সরকার বিদায় নিতে যাচ্ছে?

ড. রেজা কিবরিয়া: তাদের কাজ দেখে তাই মনে হয়। তারা এমন লোন নিয়েছে যেটা সামনের সরকারের জন্য একটা বিরাট বিপদ। তারা যদি ভাবত তারা নিজেরা ক্ষমতায় থাকবে তাহলে এই ধরনের লোন তারা নিত না। অকার্যকর প্রজেক্টগুলো তারা নিত না। তারা এসব নিয়েছে সামনের সরকারের উপর মাথা ব্যথা করার জন্য। তারা জানে তারা বেশিদিন নেই। যা পারি দেশটাকে ক্ষতি করে যাই। যেন সামনের সরকারের অসুবিধা হয়। এটা আওয়ামী লীগের স্ট্র্যাটেজি হতে পারে, শেখ হাসিনা ওয়াজেদের স্ট্র্যাটেজি হতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: যে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিল, সেই আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করবে আপনি বিশ্বাস করেন?

ড. রেজা কিবরিয়া: হ্যাঁ, আমি করি। আওয়ামী লীগের পতন হলে ইতিহাসের পাতায় তাদের খুঁজতে হবে। আর কোথাও তাদের পাবেন না। মুসলিম লীগের মতো হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকার কি কোনো ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে?

ড. রেজা কিবরিয়া: নিশ্চয়ই। তারা তো কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে।

ঢাকাপ্রকাশ: এই সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় কী?

ড. রেজা কিবরিয়া: সরকারের ভেতরের অবস্থা জানা নেই। তারা নিশ্চয়ই খুবই দুরবস্থায় আইএমএফকে ডেকেছে। অনেক কিছু তারা মিথ্যা বলেছে। না হলে তারা আইএমএফ-এ যেত না। সেজন্য যে পরিসংখ্যান তারা দিচ্ছে সেটাতে মনে হয় না আইএমএফ এর কাছে যাওয়া এই মুহূর্তে দরকার ছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশে-বিদেশে ভাবমূর্তিতে একটা খারাপ প্রভাব পড়বে; কোনো সন্দেহ নাই। আইএমএফ বেল-আউট এটার অর্থনীতি বিপদে পড়ে গেছে। ওরা (সরকার) দেশের অর্থনীতি ঠিক মতো চালাতে পারে না। তাদের হাতে অর্থনীতি থাকলে আমরা বিপদে পড়ব, এটা অনেক আগে থেকেই জানি।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলছেন আইএমএফ টাকা দেবে না?

ড. রেজা কিবরিয়া: আমি সেটা জানি না। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি আইএমএফ-এ কাজ করেছি আমার অভিজ্ঞতা আছে। আইএমএফ কাগজপত্র স্টাফরা তৈরি করবে। আইএমএফ বোর্ডে তিন থেকে ৫ মাস পরে সেটা তারা উপস্থাপন করবে। তাদের প্রস্তাবনাটা ৩০ দিন সার্কুলেট করবে। তারপর প্রস্তাবটার উপরে ভোট হবে, সেই ভোটে যদি হ্যাঁ ভোট পড়ে ৫০ শতাংশ তাহলে আমরা লোনটা পাব। তাও কিস্তিতে পাব। একবারে পাব না। দিল্লী দূর আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যেহেতু আইএমএফ-এ কাজ করেছেন তাহলে একটু বলবেন ‘আইএমএফ’ এর কোন কোন শর্ত যেটা দেশের মানুষের ক্ষতি হতে পারে?

ড. রেজা কিবরিয়া: দেশের মানুষকে কষ্ট করতে হবে। এই বিপদে সরকার ফেলেছে কষ্ট তো করতেই হবে। আইএমএফ দেশকে ক্ষতি করার জন্য করবে না। আইএমএফ চাইবে গ্রোথ রেট কমানো, চাকরির বাজার কঠিন হয়ে যাবে। গ্রোথ রেট কমালে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। আমদানি রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে। অর্থনীতি তাদের (সরকারের) হাতে থাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তারা ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি কমাতে বলবে। এই সরকার তো দুর্নীতির উপরে চলে। তারা এই শর্ত মানতে পারবে না। আইএমএফও তাদের কথা বিশ্বাস করবে না। খরচ কমাতে বলবে, কর বাড়াতে বলবে। অর্থনৈতিক সংকট থেকে উঠে আসতে কিছু আত্মত্যাগ করতে হয়। এই মুহূর্তে আইএমএফ তাদের (সরকারকে) ধরতেও চায় না। সংস্কার না করলে লোন দিতে চায় না। আলোচনাতেই নামতে চায় না, তারা বলছে প্রথমে সংস্কার করেন। সরকার তো সংস্কার করবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেশ ঝামেলায় আছে, তার কারণে দেশটা ১০০ থেকে ৭০-এ চলে গেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার কাছে কোনো তথ্য আছে সরকারের কেউ টাকা পাচার করেছে?

ড. রেজা কিবরিয়া: আমার কাছে সেই কাগজগুলো নেই। সরকারে গেলে কাগজগুলো পাব। দেশকে বাঁচাতে এই সরকারকে সরাতে হবে। যদি এই সরকারকে আরও দেড় দুই বছর রাখেন, শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হলে ২০ বছর লাগবে সেখান থেকে ফিরে আসতে।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ড. রেজা কিবরিয়া: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশ-এর সকলকে ধন্যবাদ।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া