বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইউক্রেন ইস্যুতে যে কারণে সামরিক হস্তক্ষেপ করেননি বাইডেন

ইউক্রেন সংকট নিশ্চিতভাবেই বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সবচেয়ে গুরুতর সংকট। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ এমন অভিযোগে এর আগে ইরাক, আফগানিস্তান, ইউগোস্লাভিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে রাশিয়ার মতো এক পরাশক্তিকে মোকাবিলায় সামরিক হস্তক্ষেপ করা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে মার্কিন প্রশাসন।

সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে বাইডেন আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাশিয়া যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করতেও কোনো মার্কিন সেনা যে পাঠানো হবে না, সেটাও তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। এমনকি ইউক্রেনে যে অল্প কয়েকজন মার্কিন সামরিক উপদেষ্টা এবং পর্যবেক্ষক ছিল তাদেরও তিনি ফিরিয়ে এনেছেন।


সামরিক হস্তক্ষেপ না করার কয়েকটি কারণ সামনে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক বিশ্লেষণে। সেখানে বলা হয়, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জাতীয় নিরাপত্তা, বা অর্থনৈতিক স্বার্থ নেই। আর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

ইউক্রেন আমেরিকার ধারে-কাছের কোনো দেশ নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী কোনো দেশও নয়। আর ইউক্রেনে আমেরিকার কোনো সামরিক ঘাঁটিও নেই। ইউক্রেনের এ রকম বিশাল তেলের মজুদ নেই, যেখানে তাদের কোনো কৌশলগত স্বার্থ থাকতে পারে। আর ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সেরকম বড় কোন বাণিজ্যিক অংশীদারও নয়।

তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা এমন অনেক যুদ্ধে জড়িয়েছেন, যেখানে তারা অন্যদেশের পক্ষে অনেক রক্ত এবং সম্পদ ক্ষয় করেছেন। ইউগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, ১৯৯৫ সালে সেই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। ২০১১ সালে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে একই কাজ করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সেখানে ছিল মানবিক বিবেচনা এবং মানবাধিকারের দোহাই।

১৯৯০ সালে ইরাক যখন কুয়েত দখল করে নিল, তখন সেখানে যুদ্ধে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ তখন‌ ‘জঙ্গলের আইনের‌’ বিরুদ্ধে আইনের শাসনের কথা বলে এই যুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যখন শান্তি এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার নীতিকে রাশিয়া কীভাবে হুমকিতে ফেলছে, সে কথা বলছিলেন, তখন প্রায় একই ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন। তবে রাশিয়ার এই হুমকি মোকাবিলায় কোনো সামরিক অভিযানের কথা তারা বলছেন না, পরিবর্তে তারা কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাইডেনের সমর্থকরা প্রায়ই বলে থাকেন, তিনি সামরিক হস্তক্ষেপের নীতিতে বিশ্বাসী নন। অথচ গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে তার প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ১৯৯০ এর দশকে বলকান অঞ্চলে যে জাতিগত যুদ্ধ চলছিল, তখন সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপকে তিনি সমর্থন করেছিলেন। ইরাকের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের মার্কিন আগ্রাসনেও তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন।



অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। চীনের সঙ্গে কথিত বাণিজ্য যুদ্ধে নাকাল মার্কিন বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতিতে কম গুরুত্ব পাচ্ছে।

সাম্প্রতিক এক জরিপে (এপি-এনওআরসি‌র পরিচালিত) বলা হয়, ৭২ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের এই সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকাই নেওয়া উচিত নয়, বা নিলেও সেটা হওয়া উচিত খুবই গৌণ। মার্কিন জনগণ এখন তাদের নিজেদের পকেটের অবস্থা নিয়েই বেশি চিন্তিত। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়েই তাদের উদ্বেগ বেশি।

মার্কিন কংগ্রেসের সবচেয়ে কট্টরপন্থী বলে পরিচিত সিনেটর বা আইনপ্রণেতারা চান না আমেরিকা যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাক বা রাশিয়ার সঙ্গে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ুক। টেড ক্রুজের মতো কট্টর রিপাবলিকান সেনেটররাও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাতের বিরুদ্ধে। আরেকজন রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিও একই অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ কারও জন্যই ভালো হবে না।’

প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার ভাষণে একাধিকবার বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আর মার্কিন সেনারা পরস্পরের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে একটি বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করুক, সেটা তিনি চান না।

এর যুক্তি দিয়ে এনবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ‘এখানে তো আমরা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের মোকাবিলা করছি না। আমরা এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করছি। এটি খুবই কঠিন এক পরিস্থিতি এবং এ পরিস্থিতি যে কোনো সময় বিপজ্জনক মোড় নিতে পারে।’


উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সঙ্গে আমেরিকার এমন কোনো চুক্তি নেই যে, তাদের এ রকম একটা লড়াইয়ের ঝুঁকি নিতে হবে। ন্যাটো সামরিক চুক্তির আর্টিকেল পাঁচে বলা আছে, যে কোনো সদস্য দেশের উপর আক্রমণ সব দেশের উপর আক্রমণ বলে গণ্য করা হবে এবং চুক্তি-বলে প্রত্যেক দেশ আক্রান্ত দেশকে রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ; কিন্তু ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। তাদের বেলায় সে রকম কোনো দায় নেই।

তবে ইউক্রেনকে ঘিরে এই সংঘাতের মূলে রয়েছে ন্যাটো ইস্যু। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি–ইউক্রেন যেন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিতে না পারে, সেই নিশ্চয়তা। অথচ ন্যাটো বা মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেই নিশ্চয়তা দিতে রাজি নয়।

এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ওয়াল্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো যে এ রকম নিশ্চয়তা দিতে চাইছে না, তার কোনো মানে হয় না। কারণ তারা তো সামরিক শক্তি নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেও না।’

 

এসএ/
Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা আকবর হোসেন শিবলুর নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলাটি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।

পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পিষ্ট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন