আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
ছবি সংগৃহিত
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার সকালে ছয় দশমিক তিন মাত্রার ভূমিকম্পের পর পাঁচবার আফটারশক হয়েছে। এতে কমপক্ষে একজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। এরপর আরও চারটি আফটারশক আঘাত হানে এলাকাটিতে। রিখটার স্কেলে সেগুলোর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯।
প্রথমে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ২ বলে জানিয়েছিল ইউএসজিএস। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার গভীরে।
এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পরপরই মানুষজন ঘরবাড়ি-দোকানপাট ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইউএসজিএসের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, এই ঘটনায় শত শত প্রাণহানি সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে এবং সম্ভাব্য বিপর্যয় হতে পারে ব্যাপক।
ইরান সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হেরাত। আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয় শহরটিকে। সেখানে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বসবাস করে।
বশির আহমেদ নামে ৪৫ বছর বয়সী এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অফিসে ছিলাম। হঠাৎ ভবনটি কাঁপতে শুরু করে। দেওয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছিল এবং সেখানে ফাটল দেখা দেয়। কিছু দেওয়াল ও ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমি খুবই চিন্তিত এবং ভীত। এটি ভয়ংকর ছিল।’
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোল্লা জান সায়েক এএফপিকে বলেন, হতাহতের প্রাথমিক সংখ্যা কম হলেও তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে এটি আরো বাড়বে। কারণ গ্রামাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায়ও ভূমিধস হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুনে দেশটির পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারান এক হাজারের বেশি মানুষ। এটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।