বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে যুক্তরাজ্যের নার্সরা
বড়দিনের আগে যুক্তরাজ্যে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নার্সরা। বেতন বাড়ানোর দাবিতে আগামী ১৫ ও ২০ ডিসেম্বর এই ধর্মঘটের ডাক দেন দিয়েছেন দ্য রয়েল কলেজ অব নার্সিং (আরসিএন)।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই সময় জরুরি সেবা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে নিয়মিত সেবা বন্ধ থাকবে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুই দিন যুক্তরাজ্যে আরও অনেক খাতের কর্মীরাও ধর্মঘট করবেন। নার্সরা সেখানে যোগ দেবেন।
আরসিএন জানায়, এ ব্যাপারে মন্ত্রীরা আর কোনো কথা বলেননি। এরপর তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়।
আরসিএনের সাধারণ সম্পাদক প্যাট কুলেন, বলেন, মন্ত্রীরা ধর্মঘটকেই বেছে নিয়েছেন।
আরসিএনের সাধারণ সম্পাদক প্যাট কুলেন জানিয়েছেন, ‘নার্সিংয়ের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে কম বেতনে কাজ করছেন, কর্মক্ষেত্রে তারা নিরাপদ নন। তারা আর এসব সহ্য করতে রাজি নন।’
তিনি আরও বলেন, কম বেতন, অনিরাপদ স্টাফিং লেভেল নার্সরা যথেষ্ট সহ্য করেছেন। এসব কারণে তাদের দাবি অনুযায়ী নার্সরা ধৈর্যের সঙ্গে সেবা দিতে পারছে না।
কুলেন আরও জানিয়েছেন, সরকার আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও রাজি হয়নি। তারা দুই সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিলেন, দাবি না মানলে ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ কেটে গেছে।
তিনি বলছেন, ‘আমরা আমাদের সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তারা কি এই অন্যায় আচরণ মেনে নেবেন, না কি প্রথমবারের জন্য ধর্মঘটে যাবেন? সরকার চাইলে এখনও আলোচনায় বসতে পারে, আমাদের দাবি মেনে নিতে পারে।’
মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। তাই তারা বেতন বাড়ানোর দাবি করেছিলেন। ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের নার্সরা ধর্মঘটে অংশ নেবেন। এদিকে ধর্মঘটের বিষয়ে ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চাপে পড়বেন। গত মাসে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক এক শতাংশ; যা গত ৪১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। শুধু নার্সরা নয়, বিভিন্ন খাতের কর্মীরাও বেতন বাড়ানোর দাবি করছেন।
এসএন