করোনা মহামারি সমাপ্তির পথে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনা মহামারি সমাপ্তির পথে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। একইসঙ্গে সংক্রামক এই রোগের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা মহামারি শেষ করার জন্য আমরা কখনোই ভালো অবস্থানে ছিলাম না। আমরা এখনো সেখানে নেই, কিন্তু করোনা মহামারির শেষ দেখা যাচ্ছে।’
টেড্রোস জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছেন এবং ৬০ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে গত সপ্তাহে এ সংখ্যা সবচেয়ে কমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা এখন এই সুযোগটি গ্রহণ না করি, তাহলে আমরা ভাইরাসের আরও ভ্যারিয়েন্ট, আরও মৃত্যু, আরও বিধিনিষেধ এবং আরও অনিশ্চয়তার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাব।’
এই পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে ভাইরাসের লাগাম টেনে ধরতে যা করতে হবে তা করতে সাহায্য করার জন্য ছয়টি সংক্ষিপ্ত নীতি প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। টেড্রোস বলেন, ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের জীবাণুগুলো প্রতিরোধের গৃহীতি নীতি বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ দেশের সরকারকে আরও কঠোর করতে হবে।
একইসঙ্গে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোতে ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়ার এবং ভাইরাস শনাক্তের জন্য পরীক্ষা চালিয়ে যেতেও দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন ও থেরাপি এই রোগের তীব্রতা রোধ করতে সাহায্য করেছে। আর তাই ভাইরাসের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক করার পাশাপাশি দেশগুলোকে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী হাতে রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এসএন