রাশিয়ার দখলকৃত খেরসন অঞ্চল মুক্তির অভিযান শুরু: ইউক্রেন
রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন মুক্ত করতে রুশ প্রতিরক্ষা লাইন গুড়িয়ে দিতে অভিযান শুরু করেছে বলে দাবি করছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেনের এমন অভিযান দীর্ঘদিন প্রত্যাশা করছিলেন দেশটির নাগরিকরা। রুশবাহিনীর সরঞ্জাম পরিবহনের প্রধান রুট বিচ্ছিন্ন করতে হামলার কয়েকদিন পর অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের অভিযান শুরুর দাবির বিষয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি আরেকটি মিথ্যাচার।
মস্কো সমর্থিত ক্রিমিয়ার প্রধান সের্গেই আকসিয়োনভ বলেন, দক্ষিণ ও অন্যান্য দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ের দাবির সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসি।
২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরুর পর ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে বিশাল ভূখণ্ড দখল করেছে রাশিয়া।
সোমবার (২৯ আগস্ট) ইউক্রেনের কাখোভকা অপারেশনাল গ্রুপ জানায়, খেরসন অঞ্চল থেকে রুশ সমর্থিত বাহিনীর একটি রেজিমেন্ট তাদের অবস্থান ছেড়ে চলে গেছে।
তারা আরও জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে যারা প্রয়োজনীয় ব্যাক-আপ দিচ্ছিল সেই রুশ প্যারাট্রুপাররাও চলে গেছে।
ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে সূত্রের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে তারা রাশিয়া প্রতিরক্ষার প্রথম সারি ভেঙে দিয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর নারী মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, যেকোনো সামরিক অভিযানে নীরবতা প্রয়োজন। ইউক্রেনীয়দের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিযানের বিস্তারিত জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
টেলিগ্রামে একটি পোস্টে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, সোমবার তারা অঞ্চলটিতে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বেরিস্লাভে একটি কারখানা এবং উত্তর ক্রিমিয়া খালে রাশিয়ার একটি সামরিক ফাঁড়ি।
কিয়েভের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ডনিপ্রো নদীর তিনটি সেতু ধ্বংস করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত হিমার্স রকেট ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। এই হামলায় খেরসনে অবস্থানরত রুশ সেনাদের সাপ্লাই লাইন বিচ্ছিন্ন হবে।
টিটি/