লিবিয়ার ত্রিপলিতে তীব্র লড়াইয়ে নিহত ২৩
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে সেনাবাহিনী এবং সরকারবিরোধী মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও বহু আহত হয়েছে।
দেশটার রাজধানী ত্রিপলিতে এ প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর সেখানে অবিলম্বে লড়াই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, নিহতদের মধ্যে দেশটির একজন তরুণ কমেডিয়ান মুস্তাফা বারাকাও রয়েছেন বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিবিসি আরও জানায়, দুই হাজার এগার সালে নেটো সমর্থিত এক বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে লিবিয়া এক চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।
দেশটি রাজনৈতিক বিভেদ, সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং ঘন ঘন রাষ্ট্র নেতা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও, দেশটিতে গত দুই বছর ধরে তুলনামূলকভাবে বেশ শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। দুই বছর পর নতুন করে আবারও সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
শনিবার (২৭ আগস্ট) লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের পার্লামেন্টের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃত ফাথি বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়াদের একটি বহরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারের সশস্ত্র বাহিনী। বাশাঘার এই সরকারের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী।
ত্রিপলির বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। শহরজুড়ে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জরুরি সেবায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে, বেশ কয়েকটি হাসপাতালেও আক্রমণ করা হয়েছে।
সংঘর্ষের কারণে আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লিবিয়াতে জাতিসংঘের মিশন বলেছে যে যুদ্ধে ‘বেসামরিক জনবহুল এলাকার আশেপাশে নির্বিচারে মাঝারি এবং ভারী গোলাবর্ষণ’ হয়েছে।
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মিশন।
২০১১ সাল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীগুলো মধ্যে ঘন ঘন লড়াই দেশটির সেই স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়েছে।
এমএমএ/