পাকিস্তানে বন্যায় ৯৩৭ জনের মৃত্যু, জরুরি অবস্থা জারি
ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। তিন মাসের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৭ জনে। দুর্যোগকবলিত এলাকার তিন লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে 'জাতীয় জরুরি' অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এ বিধ্বস্ত অবস্থাকে জলবায়ু সংকট উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতি সৃষ্ট বন্যায় বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের অবস্থা নাজুক। পানিতে তলিয়ে গেছে হেক্টরের পর হেক্টর জমি।
পাকিস্থানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় শুধু সিন্ধু প্রদেশেই তিন শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। বেলুচিস্তানে মারা গেছেন ২৩৪ জন। খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১৮৫ ও পাঞ্জাবে ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজাদ জম্মু-কাশ্মিরে বন্যার কবলে ৩৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ বন্যায় গিলগিট-বালতিস্তান থেকেও মৃত্যুর খবর আসছে।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব দেশের বন্যা পরিস্থিতিকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেন। সরকার উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
অস্বাভিক বৃষ্টিপাতে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল আকস্মিক বন্যায় ভাসছে। এনডিএমের তথ্যমতে, পাকিস্তানে চলতি আগস্টে ১৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪১ শতাংশ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে মৌসুমি বন্যা ৭৮৪ ও ৪৯৬ শতাংশ বেড়েছে।
সিন্ধুর ২৩টি জেলাকে দুর্যোগ আক্রান্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। অব্যাহত বন্যায় তিন কোটি মানুষ আশ্রয়হীন, তাদের মধ্যে হাজারো মানুষ খাবারের কষ্টে ভুগছে। আশ্রয়হীনদের সহায়তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
টিটি/