বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিখোঁজ ৮৭ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ভারতে উদ্ধার

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবে নিখোঁজ হওয়া ৮৭ মৎস্যজীবীকে ভারত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রবিবারই উদ্ধার হয়েছেন ২৭ জন। বাকিদের গত কয়েক দিনের ধরে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় এই সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিখোঁজ অন্যদের উদ্ধারে সাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

দুই দিন আগে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের কারণে নিখোঁজ হয়ে যায় বাংলাদেশের তিনটি মাছ ধরার ট্রলার। একটি ট্রলার উদ্ধার করা গেলেও বাকি দুটি ট্রলার সমুদ্রে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়।

রবিবার সকালে হলদিয়া ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের ২৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি একটি মাছ ধরার ট্রলার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মৎস্যজীবীদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত তারা সুস্থ রয়েছেন।

ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফট ও দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ গভীর সমুদ্রের বিচ্ছিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের ডিআইজি পঙ্কজ ভার্মা বলেন, ‘মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

‌এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগর থেকে ৬০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় ট্রলারের মৎস্যজীবীরা। এ ছাড়া উপকূলীয় রক্ষী বাহিনী আরও ২৭ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে ৮৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উদ্ধার হওয়া সব বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে। প্রশাসন ও মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পোশাক ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকজন অসুস্থ থাকায় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার রায়দিঘিতে ১১ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে আনা হয়। পরে রাতে কয়েক দফায় আরও ৪৪ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার বিকালে আরও ৫ জনকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপে আনা হচ্ছে। গত ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বাংলাদেশের একাধিক ট্রলার ডুবে যায়। নিখোঁজ হয় দুইশ’র বেশি মৎস্যজীবী।

এই নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের অনেকেই ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জল সীমানায় বাঘেরচর এলাকায় চলে আসে। ভারতীয় মৎস্যজীবী ট্রলার এদের উদ্ধার করে। এরা তিন থেকে চারটি ট্রলারের মৎস্যজীবী বলে ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে উদ্ধার করা মৎস্যজীবীদের।

কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‌আমাদের ট্রলার ও উপকূল রক্ষী বাহিনী তাদের উদ্ধার করেছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। প্রত্যেককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সুস্থদের ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে। সরকারিভাবে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

টিটি/

Header Ad

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক

হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তবে আটক হওয়া ওই চালক ও হেলপারের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। সমাবেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আইনজীবী আলিফ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

Header Ad

বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল

বক্তব্য রাখছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

একুশ শতকের স্পেশাল বৈষয়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নতি করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, মহড়ার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা যাচাই করা এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক বিষয় নির্ণয় করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুর বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক গোলা বর্ষণ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, বিমানবাহিনীর প্রধান ভূমিকা হচ্ছে দিগন্ত, স্থলে ও জলে যে কোন আঘাত প্রতিহত করা। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন সবসময় আমরা প্রস্তুত থাকি।

এদিকে, মহড়ায় শুরুতেই দেখানো হয় দুর্ঘটনা কবলিত পাইলটকে উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান। এতে দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ও একটি রেসকিউ হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এরপর মহড়ায় যোগ দেয় এফ সেভেন বিজিআই ও  মিগ ২৯সহ পাঁচটি যুদ্ধ বিমান।

এসময় গোলাবর্ষণ ও রকেট নিক্ষেপ করে প্রদর্শন করে নানা যুদ্ধ কৌশল। পরে মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান বিমানবাহিনী প্রধানকে সালামের মাধ্যমে মহড়ার কার্যক্রম শেষ করে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় দুই সমন্বয়ক অক্ষত রয়েছেন।

লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এএসআই আলিম।

এদিকে, ফেসবুকে ভাঙা গাড়ির ছবি আপলোড করে বিষয়টি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ।

পোস্টে তিনি লিখেন, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ