ব্রিকসে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব পেল তুরস্ক
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকস থেকে ‘অংশীদার দেশ’ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছে তুরস্ক। পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টার মধ্যে এই আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও, সম্প্রতি ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। ব্রিকসের বর্তমান সদস্য দেশগুলো হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়া, ইরান, মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গত মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আয়োজিত কাজানে ব্রিকস নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ঘোষণা দেন যে, তার দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসে যোগদানের পদক্ষেপ নিয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) তুর্কি সম্প্রচারমাধ্যম টিভি নেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত জানান, ব্রিকসে তুরস্কের সদস্যপদ বিষয়ে আলোচনা করা হলে তারা তুরস্ককে অংশীদার সদস্যপদের মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এটি ব্রিকসের গঠন কাঠামোতে একটি পরিবর্তনের প্রতিফলন।
আঙ্কারা ব্রিকস গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ হিসেবে দেখছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান উল্লেখ করেছেন, ব্রিকসে যোগদান পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিকল্প নয় বরং একটি পরিপূরক সম্পর্ক। তুর্কি কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন যে, ব্রিকসে সম্ভাব্য সদস্যপদ তুরস্কের ন্যাটো সদস্যপদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তবে তুরস্ক ব্রিকসের প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি বাণিজ্যমন্ত্রী বোলাত। এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন একে পার্টির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কাজানে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও অংশীদার দেশের মর্যাদা সদস্যপদের পূর্ণ মর্যাদার চেয়ে কিছুটা কম।