নির্বাচনে জিততে ‘জুতা পেটা’ খেয়ে আশীর্বাদ নেন এক নেতা (ভিডিও)
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনে জিততে মানুষ কত কৌশলই না অবলম্বন করেন। তবে এবার যা ঘটল, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। ভারতের মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জিততে ‘জুতা মারা’ খেয়ে এক বৃদ্ধ ফকিরের আশীর্বাদ নিলেন স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা।
রোববার ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শুধু তাই নয়- এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- এক ফকিরের কাছে ‘জুতা পেটা’ খেতে সানন্দে গাল বাড়িয়ে দিচ্ছেন ওই নেতা। এক গালে জুতার বাড়ি খাওয়ার পর সাগ্রহে তাকে আর এক গাল বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়। পরপর বৃদ্ধের কাছ থেকে জুতার বাড়ি খাচ্ছেন কংগ্রেস প্রার্থী। তিনি নাকি শুনেছেন ফকিরের কাছ থেকে ‘জুতা মারা’ খাওয়া আশীর্বাদ।
In the Video, INCIndia MLC Candidate from MP, Paras saklecha is seen handing slippers to an elderly Kamal Raza (fakir baba) asking to be beaten (blessing).
November 18, 2023
Irony will be that this Congress leader will go and call others Andhbhakt! pic.twitter.com/wevoNyUMfF
কংগ্রেসের ওই প্রার্থী নাকি দাবি করছেন, এ জুতার বাড়ি যে সে জুতার বাড়ি নয়! এ আশীর্বাদ স্বরূপ। এই বৃদ্ধ এলাকার জনপ্রিয় ফকিরবাবা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ তার আশীর্বাদ নিতে আসেন। জুতার বাড়ি মেরেই নাকি সকলকে আশীর্বাদ করেন তিনি।
ওই প্রার্থীর নাম পরেশ সাকলেচা। গত ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিধায়ক চেতন কাশ্যপের বিরুদ্ধে লড়েছেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে সাকলেচা রাতলম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয় পান। তবে ২০১৩ সালে ওই আসন থেকে কাশ্যপের কাছে হেরে যান তিনি। ২০১৮ সালেও এই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন সাকলেচা।
ওই বৃদ্ধ ফকির সম্পর্কে পরেশ সাকলেচা আরো বলেন, উনি এলাকার জনপ্রিয় ফকির বাবা। স্থানীয়রা তাকে আব্বা নামেই চেনে। মোহ রোডে এক দরগায় থাকেন তিনি। খুবই শ্রদ্ধেয় এক ব্যক্তি। বহু মানুষই মাঝেমধ্যেই নিজের থেকে তাকে লুঙ্গি, জুতাসহ বিভিন্ন উপহার দিতে যান তার আশীর্বাদ পেতে। তবে খুব কম মানুষের থেকেই সেসব গ্রহণ করেন ওই ফকির। বাকিদেরটা ছুড়ে ফেলে দেন।
সূত্র জানিয়েছে, ভোটের আগের দিন সাকলেচা ফকির বাবার কাছে আশীর্বাদ নিতে যান এক জোড়া জুতা উপহার হিসেবে নিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফকির বাবা আমার দেয়া জুতা জোড়া গ্রহণ করেছেন। আমার গালে জুতা মেরে আসলে উনি আমাকে আশীর্বাদ করতে চেয়েছেন। তার এটাই আশীর্বাদের ধরন। কোনো মানুষের উপর যদি অশুভ ছায়া থাকে তবে এভাবেই তিনি তা দূর করে দেন। আমাকেও তেমনটাই করেছেন।’