ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে দাঙ্গায় নিহত বেড়ে ১৭৪
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলের মালাং শহরে ফুটবল খেলায় জয়-পরাজয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ১৪০ জনের মতো আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সময় শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় আরেমাকে ৩–২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পেরসেবায়ার কাছে এই প্রথম কোনো ম্যাচে হারায় আরেমা। খেলা শেষে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
ইন্দোনেশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, হারের পর স্টেডিয়ামে থাকা আরেমার দর্শকরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় হুড়োহুড়িতে অনেকেই পদদলিত হয়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আপাতত লিগের বাকি ম্যাচগুলো স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
জোকো উইদোদো দেশটির সকার অ্যাসোসিয়েশনকে বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত লিগা ওয়ান ম্যাচগুলো যেন স্থগিত রাখা হয়। গতকালের ঘটনাটিই যেন দেশের ‘সবশেষ ফুটবল ট্র্যাজেডি’ হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে পূর্ব জাভা পুলিশের প্রধান নিকো আফিন্তা বলেন, ‘এই ঘটনায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও মারা গেছেন। স্টেডিয়ামের ভেতরে ৩২ জন মারা গেছেন। বাকিদের হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে।’
ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী জয়নুদিন আমালি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখিত... এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা যা আমাদের ফুটবলকে এমন এক সময়ে ‘আহত’ করেছে যখন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাচের আয়োজন এবং সমর্থকদের উপস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করব। আমরা কি সমর্থকদের মাঠে খেলা দেখা নিষিদ্ধ করার দিকে ফিরে যাব? সেটাই আমরা আলোচনা করব এখন।’
আরএ/