সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কে পরিচয়পত্র প্রয়োজন নেই: দিল্লি হাইকোর্ট
পারস্পরিক সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখে জন্মতারিখ যাচাই করার বিষয়টি একেবারেই অনাবশ্যক, অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক বলে রায় দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
বুধবার (৩১ আগস্ট) এই রায় দিয়ে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছেন বিচারপতি জসমিত সিংহের বেঞ্চ।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তার সাবেক প্রেমিকা। দাবি করেছিলেন, নাবালিকা জেনেও তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগের পরেই গ্রেপ্তার করা হয় সেই ব্যক্তিকে। পরে দেখা যায়, ওই মেয়েটির আধার, ভোটার ও প্যান এই তিনটি পরিচয়পত্রেই তিনটি আলাদা জন্মতারিখ। আদালত এই রায় দিয়েছেন যে, আধার কার্ডে মেয়েটির জন্মসাল ১৯৯৮। সুতরাং সেই অনুসারে যে সময় শারীরিক সম্পর্ক ঘটেছে সেই সময় মেয়েটিকে নাবালিকা বলা চলে না। পাশাপাশি, অভিযুক্তের তরফ থেকে মেয়েটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের টাকা কেন পাঠানো হতো, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।
বিচারপতি জসমিত সিং বলেন, ২০১৯ সাল থেকে সম্পর্ক ছিল দু’জনের মধ্যে। সেই সময়েই শারীরিক সম্পর্ক হয়। তা হলে কেন এত দেরিতে অভিযোগ জানানো হলো? যৌনচক্রের ইঙ্গিত দিয়ে বিচারপতি বলেছেন, এই মামলায় যতটা বোঝা যাচ্ছে, বিষয়টি তার চেয়েও গভীর। এই ধরনের অভিযোগ অন্য কারোর বিরুদ্ধেও ওই মেয়ে করেছেন কি না তাও খতিয়ে দেখতে বলেন আদালত।
তবে, জামিন দিলেও অভিযুক্তকে আপাতত অন্য কোথাও যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এই মামলা নিয়ে কোনো আলোচনাতেও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আদালত।
টিটি/