নতুন পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণের ভাবনা জাপানের
নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। বুধবার (২৪ আগস্ট) তিনি এই মন্তব্য করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
২০১১ সালে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জাপান নিজেদের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করেছিল। সেটির আলোকে নতুন কেন্দ্র নির্মাণের পথে হাঁটলে তা হবে দেশটির জন্য বিতর্কিত নীতিগত পরিবর্তন।
কিশিদা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে জ্বালানির উৎসে বৈচিত্রময়তা আনার প্রয়োজনীয়তা।
তিনি আরও বলেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার যে লক্ষ্য জাপান নির্ধারণ করেছে তা অর্জনের জন্য দেশটির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রয়োজন হতে পারে।
জ্বালানি নীতিবিষয়ক এক বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর গড়ে তোলার বিবেচনার পাশাপাশি সরকার বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু ও সেগুলোর কার্যকাল বাড়াতে নজর দেবে।
২০১১ সালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামিতে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরগুলো ডুবে গেলে জাপানে পারমাণবিক জরুরি পরিস্থিতি দেখা দেয়। তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার কারণে ওই অঞ্চল থেকে দেড় লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক আণবিক জ্বালানি সংস্থার তথ্য অনুসার, জাপানের ৫০টি সক্রিয়া বিদ্যুৎ রিঅ্যাক্টর ছিল। কিন্তু ওই দুর্ঘটনার পর ৪৬টি বাতিল করা হয়।
২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৯টি রিঅ্যাক্টর পুনরায় চালু হয়েছে এবং অপর ১৪টি পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে।
টিটি/