বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার!

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট বিনামূল্যে নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে এবং সরকারে তার বিকল্পের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ সূত্রদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, টিউলিপের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অভিযোগের মধ্যে একটি হল, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে ফ্ল্যাট নেওয়া।

এমনকি তার বিকল্প হিসেবে কয়েকজন প্রার্থীর নামও আলোচনায় এসেছে। তবে কিয়ার স্টারমার তার প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র দাবি করেছেন যে, বিকল্প প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করার খবর সঠিক নয়।

এদিকে, নিজেকে নির্দোষ দাবি করে টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগের তদন্তের জন্য উপদেষ্টা লউরি ম্যাগনাসকে চিঠি লিখেছেন। তিনি চিঠিতে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর বেশিরভাগই ভুল এবং সেগুলোর সত্যতা যাচাই করার জন্য স্বাধীনভাবে তদন্ত হওয়া উচিত।

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে লন্ডনে কয়েকটি সম্পত্তি উপহার পেয়েছেন, এবং সেসব সম্পত্তিতে বসবাস করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, টিউলিপকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় এক আবাসন ব্যবসায়ী ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন। তার বোনও একই ধরনের একটি ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন। তবে টিউলিপের মুখপাত্র দাবি করেছেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং তার কোনোরূপ অপরাধ বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই।

এছাড়া, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বিএফআইইউ) তার এবং তার পরিবারের সাত সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।

যদিও দ্য টাইমস জানিয়েছে, টিউলিপের বিকল্প হিসেবে যাদের নাম উঠেছে তাদের মধ্যে লেবার পার্টির কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং মন্ত্রিসভার সদস্য রয়েছেন। তবে টিউলিপের নিজেকে অযথা সন্দেহের বাইরে রাখতে তিনি তদন্তের জন্য সব সময় প্রস্তুত।

Header Ad
Header Ad

গোপন ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিতে ভয় রাতে ঘুমাতে পারছেন না অভিনেত্রী  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইরানি অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি সাইবার জালিয়াতির কবলে পড়েছেন। ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে সামাজিক মাধ্যমে, অভিনেত্রীকে এমনই হুমকি দিয়েছেন এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলনাজ। অভিনেত্রীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এলনাজের ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ব্যবহার করার ফন্দি করেছিলেন সেই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিনেত্রী।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এলনাজ নরৌজি বলেন, “গত ১৮ জানুয়ারি অপরিচিত একজনের একটা ই-মেইল পাই। সাধারণত সব ই-মেইলে খুলি না। কিন্তু এই ই-মেইলে আমার পাসওয়ার্ড লেখা ছিল, যা দেখে এটি ওপেন করি।

পরের ঘটনা বর্ণনা করে এলনাজ বলেন, “ই-মেইলে বার্তাসহ আমি আমার ব্যক্তিগত একটি ছবি পাই। তাতে লেখা- ‘আমার কাছে আপনার ছবি আছে। অনলাইনে এগুলো ছড়িয়ে পড়ুক, এটা যদি না চান তবে যতটা দ্রুত সম্ভব উত্তর দিন। আর যদি জবাব না দেন, পরবর্তী ই-মেইলে আপনার ছড়িয়ে পড়া ছবির লিংক যুক্ত থাকবে।

এ ঘটনায় বেশ ভয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “এই ঘটনার পর থেকে আমার নিজের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতেও ভয় হচ্ছে। রাতে ঘুমানোর সময়ও চিন্তা হচ্ছে। মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছে আমাকে। মনে হচ্ছে, সব সময় আমার উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিটা মুহূর্ত আতঙ্কে কাটাচ্ছি।”

এলনাজ নরৌজি ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পরপরই জার্মানিতে পাড়ি জমান তার মা-বাবা। এ কারণে জার্মানির নাগরিক এলনাজ। মাত্র ১৪ বছর বয়সে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ভারতে চলে আসেন। ২০১৭ সালে উর্দু ভাষার ‘মা জোনা’ সিনেমার মাধ্যমে পাকিস্তানি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। আর ‘স্যাক্রেড গেমস’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হয় তার।

Header Ad
Header Ad

দ্বিতীয় স্বাধীনতা যাঁরা বলেন, তাঁরা স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চান: মির্জা আব্বাস  

ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানকে যারা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলছেন, তারা স্বাধীনতা দিবসকে ‘খাটো করতে চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুধবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে নতুন আস্বাদ পাওয়া গেছে। অনেকে এটাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে।

"আসলে আজকের স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করবে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই৷ যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়, সুতরাং একাত্তরের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা ছিল না।”

মির্জা আব্বাস বলেন, "এই স্বাধীনতাকে যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারে, সেজন্য পরম আল্লাহর কাছে আমরা দোয়া করব।"

তিনি বলছেন, স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে ‘হারিয়ে গিয়েছিল’, যেটা নতুন করে ফিরে পেয়েছেন ৫ অগাস্টের পর।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে বিএনপির এই নেতা বলেন, দলীয় আদর্শের ভিত্তিতে বর্তমানে দলগুলো আলাদা কথা বলছে। তবে প্রয়োজনের সময় বাংলার মানুষ ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে এক হয়ে যাবে’।

"অনৈক্য কিছু নাই, স্বার্থ সংঘাত আছে। প্রত্যেকটা দলে যার যার একটা মতাদর্শ আছে, যার যার মতাদর্শের জায়গা থেকে তারা কথা বলে যাচ্ছে। এটা অনৈক্য আমি বলব না।

"এমন সময় যদি কখনো আসে, জাতীর বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন হবে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য ঐক্যের প্রয়োজন হবে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব। এখানে কোনো ভুল নেই।"

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকদফা আভাস দিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ওপর বিএনপি আস্থা রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।

এর মধ্যে নির্বাচন না হলে বিএনপি কী করবে–এমন প্রশ্নে তিনি বলেন; "সময় এলে দেখা যাবে তখন।"

Header Ad
Header Ad

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈঠক  

ছবিঃ সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার প্রচেষ্টা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ফোনালাপ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে আমিরাত ভিত্তিক বার্তাসংস্থা ওয়াম। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনকলে গাজার অধিবাসীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন আল নাহিয়ান। এছাড়া, স্থায়ী শান্তির জন্য দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছেন তিনি।

গাজা সংকট সমাধানে ফেব্রুয়ারি মাসে এক বিস্ফোরক প্রস্তাব নিয়ে আসেন ট্রাম্প। ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা বানানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিবৃতি দেয় আমিরাতসহ আরব দেশগুলো। গাজা পুনর্গঠনে বিকল্প এক পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আসে মিসর। ৫৩ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে গাজাবাসীদের উৎখাতের প্রয়োজন হবে না বলে দাবি করা হয়। আমিরাতসহ আরব দেশগুলো এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

ট্রাম্প ও আল নাহিয়ানের ফোনালাপে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, ওয়ামের প্রতিবেদনে সেটা নিশ্চিত করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আমিরাতসহ একাধিক আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপন ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিতে ভয় রাতে ঘুমাতে পারছেন না অভিনেত্রী  
দ্বিতীয় স্বাধীনতা যাঁরা বলেন, তাঁরা স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চান: মির্জা আব্বাস  
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈঠক  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন  
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাজে সেজেছে গুগল    
এবার ঈদে গান শোনাবেন না মাহফুজুর রহমান  
একাত্তর আর চব্বিশ আলদা কিছু নয়: নাহিদ ইসলাম  
বড় বড় কথা বলা রাফিনিয়াদের মাঠেই চুপ করিয়ে দিলো আলভারেজরা  
শ্রদ্ধার ফুলে বীর সন্তানদের স্মরণ    
ডিএসসিসির রাজস্বে ভাটা, আদায় বাড়াতে ঈদের পর অভিযান
সারজিসের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা
ভারতকে কাঁপিয়েও গোল মিসের মহড়ায় ড্রয়ের আফসোস বাংলাদেশের
চুয়াডাঙ্গা শহরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা ২২ হাজার টাকা
এভারকেয়ারে নেওয়া হলো তামিম ইকবালকে
সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ চেয়ারম্যান মানিক গ্রেফতার
ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক পরিকল্পনা ফাঁস হলো যেভাবে
জাতির উদ্দেশে ভাষণ: রমজানে দ্রব্যমূল্য কমেছে, জনগণ স্বস্তি পেয়েছে – ড. ইউনূস
গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে: তারেক রহমান
৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান