একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে গিয়ে সরে গেলেন প্রেমিকা, প্রেমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
একসঙ্গে বেঁচে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। তাই ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য রেললাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এলেন প্রেমিকা। তাঁর চোখের সামনেই চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফিয়ে মারা গেলেন প্রেমিক।
বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) রাতে ভারতের রাজস্থানের বালোতারা জেলার খেদ রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ বছর বয়সী প্রেমিক রাজু ভাটের।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজু ভাট (৩৪) নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং আট ও পাঁচ বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে একই গ্রামের রাভিনা (২০) নামের এক যুবতীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাজু। তবে নানা কারণে তারা বিয়ে করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে রাজু ও রাভিনার মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়, পরে তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এদিন চলন্ত ট্রেনের সামনে রাজু ঝাঁপ দিলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পিছিয়ে যায় রাভিনা।
ঘটনার পর ট্রেনের গার্ড ও স্টেশনের অন্যান্য কর্মীরা রাজুর মরদেহ বালোতরা স্টেশনে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজুর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের ভাই বীরমারাম অভিযোগ করে বলেন, 'রাজু এর আগেও প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে রাজুকে মহিলার পরিবার খুন করেছে এবং তার মৃতদেহ ট্র্যাকের উপর রেখেছিল যাতে মনে হয় সে আত্মহত্যা করে মারা গেছে'।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজস্থানের বালোত্রা জেলার পাচপাদ্রা থানা এলাকার এই ঘটনার পর রাজুর পরিবার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে মেয়েটিকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে তারা। জানা গেছে, রাজু ভাট শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।