রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বীরাঙ্গনা মা

মিহির তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মেধাবী ছাত্র। সেদিনও বরাবরের মতো সন্ধ্যার পড়া শেষ করে রাত দশটায় ঘুমাতে যায়। সাথে মা মরিয়ম বেগম। নানা গল্পে মিহিরকে ঘুম পাড়িয়ে অপেক্ষা করে মিহিরের বাবার জন্য। রাত এগারোটায় মিহিরের বাবা গঞ্জের বাজার থেকে ফিরে। বিদ্যুতের আলোয় ঘুমন্ত মিহিরের মুখটা ঝলমল করছে। বাবা ওদিকটায় চেয়ে আর চোখ ফিরাতে পারে না। পুত্রের কপালে স্নেহের চুম্বন এঁকে বলে, বেঁচে থাকো বাবা।’ খাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী গা এলিয়ে দেয় বিছানায়। রাতের কোনো একসময় বিশাদের ছায়া নেমে আসে সুখ-সংসারে। হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু হয় মিহিরের বাবার। ঘুমের মধ্যেই।

উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা মরিয়ম। কী করবে- ভেবে পায় না। অবশেষে সেলাই মেশিন চালিয়েই সংসারের হাল ধরেন। মিহিরের পড়াশোনার খরচও চলে এভাবে। মায়ের শত কষ্টেও এতটুকু কষ্টের আচঁড় পড়েনি মিহিরের। কিন্তু মিহির বুঝতে পায় মায়ের কষ্টের পরিধি। মায়ের চোখে তাকিয়ে তার কচি মন কেঁদে ওঠে। ও স্বভাবজাতভাবেই মায়ের বাধ্যগত। পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী।

সময়ের পরিক্রমায় আজ মিহির প্রাচ্যের অক্সফোর্ড-খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার চেতনাজুড়ে বড়ই তাড়া- পড়া শেষ করেই তাকে একটি চাকরি নিতে হবে, মায়ের কষ্ট ঘুচাতে হবে, মায়ের মুুখে হাসি ফুটাতে হবে, মায়ের সাধ পূর্ণ করতে হবে। হাজারো স্বপ্ন, হাজারো কল্পনার প্রজাপতি, রঙিন ডানা মেলে ওড়ে বেড়ায় মিহিরের হৃদয়রাজ্যে।
এরই মাঝে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। রাজপথ শ্লোগানে মুখরিত। পাকিস্তানি হায়েনাদের বুলেটে ঝাঁঝড়া হয় এদেশের শত যুবকের প্রাণ। কত মায়ের বুক খালি হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ। রাতের ঘন-অন্ধকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে হামলা হয়। অসংখ্য ঘুমন্ত ছাত্রের প্রাণ কেড়ে নেয় ঘাতকের বুলেট। সৌভাগ্যবশত সেদিন মিহির হলে ছিল না। মায়ের আহবানে ছুটে গিয়েছিল কলাবাগানের সেই ছোট্ট নীড়ে। পরদিন প্রত্যুষে ও খবরটা পায়। সূর্য ওঠার আগেই সোহেল আর নাফিজ চলে আসে মিহিরের বাসায়। উসকো-খুসকো চুল। পরনে লুঙ্গি। মিহির ঘুমঘুম চোখে দরজা খোলে হতবাক। ঢকঢক করে কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে কেঁদে ফেলে সোহেল। বলে, ‘মনে হয় হলের কেহ আর বেঁচে নেই রে মিহির। আমরা দু’জন কোনোরকমে জীবন নিয়ে পালিয়ে এসেছি। পাকিস্তানি মিলিটারির গুলিতে নিহত হয়েছে সবাই।’ চিন্তার চিকন রেখা ফুটে ওঠে মিহিরের কপালে। মিহির বলে, ‘শুনেছি দক্ষিণ পাড়ার কয়েকজন যুবক ইন্ডিয়া যাবে। সেখান থেকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। চল, আমরাও তাদের সাথে যোগ দিই।’ সোহেলের চোখে তখনও বিভীষিকার দৃশ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। সে কাঁপা কণ্ঠে বলে, ‘ঠিকই বলেছিস। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। চল, আজকেই আমরা ওদের সাথে যোগ দিব।’ মিহির বলল, ‘তোরা তো জানিস, আমার পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। যাব, তবে মাকে কিছু জানতে দেয়া যাবে না। মা জানতে পারলে কিছুতেই আমাকে যেতে দিবেন না। মা ভীষণ কষ্ট পাবেন।’ গোপন আলোচনায় হঠাৎ মরিয়ম বেগমের উপস্থিতিতে তারা আশ্চর্য হয়। সকলেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। মরিয়ম বেগম পাঁচটি এক হাজার টাকার নোট মিহিরের হাতে ধরিয়ে দেন। বলেন, ‘মিহির, তোমাদের সব কথাই আমি শুনেছি। না, আমি তোমাদের বাঁধা দেব না। এই টাকাটা রাখো। কাজে লাগবে।’ মরিয়ম বেগমের এহেন অনুপ্রেরণায় মিহির উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে। বলে, ‘মা, যদি আর ফিরে না আসি? মরিয়ম বেগমের চোখ জলে ছলছল, তিনি আচঁল দিয়ে চোখ মুছে বলেন, ‘কত মায়ের বুক ইতিমধ্যে খালি হয়ে গেছে। তাঁদের যে অবস্থা, আমারও না হয় তাই-ই হবে।’

মায়ের দোয়া নিয়ে মিহির চলে যায় ইন্ডিয়া। সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসে। সঙ্গে আরো অনেকে। ২৭ অক্টোবর ১৯৭১ সাল। রাত দশটায় মায়ের সাথে খাবার খাচ্ছিল মিহির। কমান্ডারের ফোন- ‘আজ শেষ রাতে বড়বাজারে একটি জরুরি অপারেশনে যেতে হবে। তুমি এই অপারেশনের নেতৃত্ব দিবে। অপারেশন সাকসেসফুল হলে পাক বাহিনীর মনোবল একেবারে ভেঙ্গে পড়বে। জলদি চলে আসো।’
মিহিরের আর খাওয়া হয় না।

মরিয়ম বেগম বাঁধা দেননি বরং বন্দুক এগিয়ে দেন। বলেন, ‘আর ছাড় নয়, এবার রুখে দাঁড়াও।’
মায়ের কপালে চুমু দিয়ে মিহির চলে যায়। মরিয়ম বেগম সারা রাত না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। ফজরের নামায পড়ে তসবিহ হাতে বসেছিলেন। এমন সময় দরজায় আলতো টোকা। চমকে ওঠেন মরিয়ম বেগম। পাকিস্তানিরা আবার তার বাসায় হানা দেয়নি তো? তিনি আস্তে আস্তে দরজা খোলেন। মিহির, সোহেল আর নাফিস দাঁড়িয়ে। আনন্দে মিহিরের চোখ চিকচিক করে ওঠে। ‘মা, অপারেশন সাকসেসফুল।’

মরিয়ম বেগম দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন, বলেন, ‘এখনো অনেক পথ বাকি বাবা। তোমরা ক্ষুধার্ত, একটু বসো। খাবার দিচ্ছি।’
ঘরে খাবার বলতে কিছু নেই। মরিয়ম বেগম খুঁজে খুঁজে কিছু মুড়ি পেলেন। তা-ই খেতে দিলেন। মিহির এক মুঠ মুড়ি মুখে দিবে এমন সময় আবার দরজায় টোকা। সবাই দরজার দিকে তাকাল। চোখে মুখে ভয়। এই অসময়ে আবার কে এল?
মরিয়ম বেগম বললেন, তোমরা বসো। আমি দেখছি।
বন্দুক তাক করে ঘরে ঢুকল পাকিস্তানি বাহিনী। মিহিরের কপালে একজন বন্দুকের নল ঠেকিয়ে বলল, তুই কি মিহির? মিহির, সোহেল, নাফিসের চোখে চোখ রাখে। সবার চোখেই আতঙ্ক। মায়ের পানে তাকায় মিহির। মায়ের চোখে অশ্রু নয়, দেখেছে প্রতিশোধের আগুন। মিথ্যা নয় সত্য বলার সিদ্ধান্ত নেয় মিহির, ‘হ্যাঁ, আমি মিহির।’

বড়বাজার হত্যা কা-ের সন্দেহজনক আসামী হিসেবে মিহিরকে ধরে থানায় নিয়ে গেল পাকিস্তানি বাহিনী।
অমানসিক শারীরিক নির্যাতন চলে তার ওপর। পায়ে রশি বেঁধে মাথা নিচে ঝুলিয়ে রাখা হয়। নখের নিচে সুঁচ বিঁধানো হয়। অসহ্য অত্যাচারেও মিহির দৃঢ় কঠিন প্রতিজ্ঞ। গোপন তথ্য ফাঁস করেনি।

মরিয়ম বেগম তাকে দেখতে থানায় আসেন। একটি আধো-অন্ধকার প্রকোষ্টে শুয়ে আছে মিহির। গায়ে কাপড় বলতে একটি প্যান্ট। মায়ের ডাকে ঘাড় উচিয়ে দেখে। এক বিধবা মা খাবার হাতে দাঁড়িয়ে আছে ওপাশে। ওঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি নেই মিহিরের। পায়ের হাড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অতি কষ্টে গ্রিল ধরে দাঁড়ায় মিহির। সারা শরীরের আঘাতের চিহ্ন। চোখের নিচে কালো দাগ। কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে তখনও। যে ছেলের শরীরে এতটুকু আচঁড় পড়েনি কোনো দিন, সে ছেলের আজ ক্ষত-বিক্ষত অব¯’া দেখে মরিয়ম বেগমের মন কালবোশেখী ঝড় ওঠে। কিন্তু চোখে জল নেই। প্রতিশোধের আগুন ঝরছে চোখ থেকে। ছেলের কপালে হাত বুলিয়ে মরিয়ম বেগম জানতে চায়।
-ওরা তোমার কাছে কী জানতে চায় মিহির?
-ওই অপারেশনে কে কে ছিল? কে কমান্ডার ছিল? কোথায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প- জানতে চায় ওরা।
-তুমি কিছু বলোনি তো?
- মিহির ডানে-বামে মাথা ঝাঁকায়। না।
-তুমি কিছুই বলবে না। ওরা তোমাকে যতই মারুক। তুমি কিছুতেই মুখ খুলবে না। মরিয়ম বেগম মিহিরের পিঠে হাত বুলিয়ে জানতে চান-ওরা তোমাকে খেতে দেয় বাবা?
- দেয় মা, ওরা দিনে একবার খেতে দেয়। পেট ভরে না মা। মিহিরের দু’চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি গড়িয়ে পড়ে। মায়ের চোখে মুখে হাত বুলিয়ে মিহির আবার বলে, কতদিন হল তোমার হাতের পিঠা খাই না মা। তোমার হাতের পিঠা খেতে বড়ই ইচ্ছা করছে। খাওয়াবে মা?
-হে বাবা, খাওয়াব। আমি কালই তোমার জন্য পিঠা নিয়ে আসব। মরিয়ম বেগম শাড়ির আচল দিয়ে ছেলের চোখ মুছেন।

পরের দিন সকাল বেলা। মরিয়ম বেগম পিঠা ভর্তি বাটি নিয়ে দারোয়ানকে মিনতি করে, ‘শুধু একটা পিঠা আমার মিহিরকে খাইয়ে চলে আসব। আমাকে পাঁচ মিনিটের জন্য অনুমতি দিন। অনুগ্রহ করুন।’
-অল্প কিছুক্ষণ আগে ওরা মিহিরকে হাত বেঁধে নিয়ে গেছে। দারোয়ান গোঁফের ফাঁক গলে ফিসফিসিয়ে বলে।
-ওরা কোথায় নিয়ে গেছে মিহিরকে? দারোয়ানের কথায় মরিয়ম বেগম হতবিহবল হয়ে পড়েন।
-বড়বাজার বালুর মাঠে।
মরিয়ম বেগমের মন কেঁদে ওঠে অজানা সঙ্কায়। তিনি এক মুহূর্ত দেরি না করে বালুর মাঠের দিকে হাঁটা দেয়। পাক-বাহিনী মিহিরসহ বহু যুবককে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। মাঠের ওপাশ থেকে মরিয়ম বেগম স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন মিহিরকে। হঠাৎ করেই মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। মুর্হূতেই ঝরে পরে বহু মিহিরের নিথর দেহ। মরিয়ম বেগম জ্ঞান হারায়। এক সময় জ্ঞান ফিরে আসে কিন্তু স্বাভাবিকতা ফিরে আসেনি।

মিহিরদের তাজা রক্তের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীন পতাকা এসেছে। কিন্তু মিহির ফিরে আসেনি। সেই থেকে মিহিরের মা মরিয়ম বেগম পাগল। তিনি এখনো শাড়ির আঁচলে পিঠা নিয়ে বসে থাকেন বধ্যভূমির গেটে। তাঁর বিশ্বাস, মিহির কোনোএকদিন পিঠা খাওয়ার বায়না নিয়ে ঠিকই ফিরে আসবে। মিহিরের নামানুসারে পাশের বাজারের নামকরণ করা হয়েছে মিহিরবাজার। এই বধ্যভূমির নামকরণ করা হয়েছে মিহিরবাজার বধ্যভূমি। বধ্যভূমিতে আগত লাখো জনতা আজও মরিয়ম বেগমকে দেখে মমতা ভরা চোখে। পরম শ্রদ্ধা ভরে তাকে ডাকে ‘বীরাঙ্গনা মা’ বলে।

 

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) অভিযোগ করেছে, বাজারে সিন্ডিকেট করে হঠাৎ করেই মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করার পরও মিথ্যা লোকসানের দাবি করছে ব্রিডার ফার্মগুলো।

সম্প্রতি তারা ৭৫০ কোটি টাকা লোকসানের কথা বললেও কোনো হিসাব বা এসংক্রান্ত তথ্য দেখাতে পারেননি। বরং সরকারিভাবে দেশে কোনো ফিড মিল বা হ্যাচারি না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন তারা৷ উৎপাদন ব্যয় না বাড়লেও হঠাৎ করেই বাড়ানো হচ্ছে মুরগির বাচ্চার দাম। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছেন বিপিএ সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।

তিনি বলেন, দেশের বৃহৎ ব্রিডার ফার্মগুলো ৭৫০ কোটি টাকা লোকসানের কথা বললেও তারা কোনো হিসাব তুলে ধরেনি। অন্যদিকে আমরা সব সময় অভিযোগ করে আসছি, তারা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২৮-৩০ টাকা হলেও অযৌক্তিকভাবে ৫২ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। একটি লেয়ার মুরগির বাচ্চা সর্বোচ্চ ৫৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করে দিলেও কোম্পানিগুলো সব সময় মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রয় করছে। এমনকি এখনও একটি লেয়ার মুরগির বাচ্চা ৭০-৮০ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।

সুমন হাওলাদার বলেন, তবুও তারা লোকসানের গল্প শোনাচ্ছে। এগুলো সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। কোম্পানিগুলো মিথ্যা লোকসানের গল্প বলার সুযোগ পাওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে বার বার সিন্ডিকেটের চিত্র উঠে এলেও সরকার তদন্ত করে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আবার সরকারিভাবে ফিড মিল ও হ্যাচারি না থাকার কারণে ৮-১০টি কোম্পানির কাছে দেশের পোল্ট্রি খাত জিম্মি হয়ে গেছে। যার কারণে মাঝেমধ্যেই ডিম-মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।

আমরা মনে করি, কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর কাছে সরকার, প্রান্তিক খামারি এবং ভোক্তা সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছি।

তিনি বলেন, সরকার সাভারে একটি ফিড মিল চালু করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত অজানা কারণে সেই ফিড মিল চালু হয়নি। অন্যদিকে সরকারি হ্যাচারিগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। তার মানে যতদিন সরকার নিজস্ব ফিড মিল এবং হ্যাচারির চালুর ব্যবস্থা না করবে ততদিন এই সিন্ডিকেট বন্ধ হবে না। একদিকে তারা অতিরিক্ত মুনাফা করছে অন্যদিকে সরকারকে লোকসানের গল্প বলছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, কর্পোরেট কোম্পানির মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী ব্রিডার ফার্মগুলো, নিজেদের বিপুল মুনাফা লুকিয়ে মিথ্যা লোকসানের দাবি তুলেছে। এসব করে সামনে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে।

বিবৃতিতে বেশ কয়েকটি দাবিও জানানো হয়। সেগুলো হচ্ছে;

১. ব্রিডার ফার্মগুলোর প্রকৃত লাভের হিসাব তদন্ত করে বের করতে হবে।
২. মুরগির বাচ্চা উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য প্রচার করতে হবে।
৩. মাঠ পর্যায়ের ডিলার ও প্রান্তিক খামারিদের তথ্য বিশ্লেষণ করতে হবে।
৪. কোম্পানিগুলোর ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
৫. সিন্ডিকেটের কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

একইসঙ্গে ভোক্তা ও প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় এবং দেশের পোল্ট্রি খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে বিপিএ কাজ করতে আগ্রহী বলেও মন্তব্য করেছেন সুমন হাওলাদার।

Header Ad
Header Ad

একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত

দুই বাংলার দুই জগতের জনপ্রিয় তারকা সৃজিত-মিথিলা। দাম্পত্য জীবনে ঠিকঠাক থাকলেও দেয়ালের ফাঁক গলে ভেসে আসে বিচ্ছেদের বার্তা। এসব খবর তারা দুজনেই মুচকি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকবার। তবুও প্রতিবছর নেটিজেনরা তাদের সম্পর্ককে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। আবারো বিশেষ এক কারণে সেই বার্তা চাউর হয়েছে।

কাজ আর ব্যক্তিজীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মিথিলা-সৃজিত। এরই মধ্যে হঠাৎ ভেসে আসে তাদের দাম্পত্য কলহের কথা। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মিথিলার সংসার ভাঙার গুঞ্জন।

বিয়ের পর মেয়ে আইরাকে নিয়ে বছর খানেক কলকাতাতে থিতুও হয়েছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। কিন্তু সেসব এখন অতীত।

আইরাকে ফের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন মিথিলা। ভর্তি করিয়েছেন এখানকার স্কুলে। বর্তমানে মায়ের পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন মিথিলাকন্যা।

বহুদিন ধরেই সৃজিত-মিথিলার দাম্পত্য নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে তাদের বিচ্ছেদের খবরও সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।

বৈবাহিক জীবনে এই তারকা দম্পতির মাঝে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে, সেটা সৃজিতের জন্মদিনে আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর নির্মাতার জন্মদিনেও তার পাশে দেখা মেলেনি মিথিলার।

টালিগঞ্জের অন্দরে বাইরে জোর চর্চা, সত্যিই নাকি বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন সৃজিত-মিথিলা। বহুদিন ধরেই আলাদা থাকছেন তারা। দুজনে মাঝে তৈরি হয়েছে দূরত্ব।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্বের জন্য মেয়ে আইরাকে খুব মিস করছেন সৃজিত। বর্তমানে দু’জন রয়েছেন কাঁটাতারের দুইপ্রান্তে। একজন বাংলাদেশে অন্যজন কলকাতায়।

Header Ad
Header Ad

আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা বারের তদন্ত কমিটির সবাই পদত্যাগ করেছেন। গত বুধবার ও তার আগে কমিটির সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বিষয়টি শনিবার জানাজানি হয়।

পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির প্রধান হচ্ছেন সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার। গত বুধবার তিনি সমিতির সভাপতির কাছে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর দুদিন আগে কমিটির চার সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আইনজীবী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ঘটনার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসন ও আদালতের কর্মকর্তারাও সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। আইনজীবীরা যদি ঘটনাটির তদন্ত করে তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, স্পর্শকাতর এ বিষয়টির সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক দিয়ে বিচারিক তদন্ত হওয়া উচিত। এই কারণে কমিটির সদস্যরা সবাই অব্যাহতি নিয়েছেন।’

উল্লেখ, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনার তদন্তে সমিতির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর নিহত আইনজীবী সাইফুলের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। একই দিন আলিফের ভাই বাদী হয়ে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির