সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিষন্নানন্দ

হঠাৎ নিরবতায় আশ্চর্য ওরা। কী হয়েছে পিশাচগুলোর? এদেরও থপ থপ হাঁটাহাঁটি থেমে গেছে। ওরা একই সমতলে। জীবন বিষময় হয়ে গেছে পুরোপুরি।প্রথম দিকে কয়েকজন মৃত্যু বরণ করতে পারলেও পরে আর সম্ভব হয় নি। ওদের গায়ে কোনো কাপড় থাকে না এখন।

ফাঁক ফোকড় দিয়ে আলো ঢোকায় কাজলি বুঝতে পারলো এখন দিন। এই সময় ওদের নাস্তা নিয়ে আসে সশস্ত্র রাজাকার দুটো। ইচ্ছের বিরুদ্ধে ক্রমাগত যৌন নির্যাতন চলতে থাকায় খাদ্য না খেয়ে থাকা যেতো না। প্রথমদিকে কয়েকজন খেতে না চাইলে জোর করে খাইয়ে দিয়েছে।

কাজলি এগিয়ে গেলো দরজার দিকে। দরজা বাইরের দিকে তালাবদ্ধ। ধাক্কা দেয়ায় দুই কপাটের মাঝখানে খানিকটা ফাঁক হলো। সেই ফাঁক দিয়ে বাহির দেখার চেষ্টা করছে। কেউ কোথাও নেই! রাজাকার বা পাকিস্তানি হানাদারগুলোর কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। হায়েনাগুলোর বুটের আওয়াজ যত কাছে আসতো, ততো ওদের বুকের কাঁপুনি যেতো বেড়ে।

আরো ভালো করে সামনের আশপাশটা দেখে ফিরে দেখে সবাই তাকিয়ে আছে ওর দিকে। তের জন।

একজন বললো, কী দেখলা? আইতাছে? অহন কার পালা হইবো?

আরেকজন বিষন্ন কণ্ঠে বললো, আমি আর পারছি না রে!

আরেকজন দুই হাতে মুখ ঢেকে কেঁদে দিয়ে বললো, আমাকে নিতে মানা কইরো তোমরা। আমার মাসিক হইছে।

কাজলি কিছু না বলায় একজন এগিয়ে গেলো দরজার দিকে। দরজায় ফাঁক দিয়ে বাইরে কিছু লোককে ছুটাছুটি করতে দেখে আঁতকে উঠে সরে এলো।

নিশ্চয়ই পাক হানাদার আক্রমণ করেছে গ্রামে। আবার কতগুলো অবলা নারীকে এখানে ঢুকানো হবে ইচ্ছেমতো যৌন-অত্যাচার করার জন্য।

কাজলি ওকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি ভয় পেয়ে সরে এলে কেনো সাফিয়া? কী দেখেছো?

সাফিয়া বললো, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ফের গ্রাম আক্রমণ করেছে। গ্রামের লোকজন ছুটাছুটি করছে।

কাজলি পড়ে গেলো দ্বিধায়। ক্যাম্পের হানাদারগুলোই কী গ্রাম আক্রমণে গেছে? রাজাকারগুলোও সাথে করে নিয়ে গেছে? এভাবে ক্যাম্পকে অরক্ষিত রেখে? ব্যাপারটা দেখতে হবে ভালো করে।

কাজলি এগিয়ে গেলো ফের দরজার দিকে। বাইরে তাকিয়ে বাস্তবিকই গ্রামের লোকদের ছুটাছুটি করতে দেখছে। তবে ওরা ভয়ার্ত না-চোখে-মুখে আনন্দ। ব্যাপার কী?

কাজলি সাফিয়াকে বললো, লোকগুলোর চোখেমুখে আনন্দ খেলা করছে। পাক বাহিনী আক্রমণ করলে এমনটা হতো না। আমার মনে হয় পাক হানাদার পালিয়ে গেছে এই ক্যাম্প ছেড়ে। আশেপাশে নিশ্চয়ই মুক্তি বাহিনী আছে।
সাফিয়া একটু উল্লসিত স্বরে বললো, তাহলে আমরা ওদের ডাকি! তালা ভেঙ্গে আমাদের এই বদ্ধ ও অভিশপ্ত ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাক!

আরেকজন দুই কদম এগিয়ে এসে বললো, আমাদের গায়ে কোন কাপড় নাই।

সাফিয়া চমকে বললো, তাই তো!

এতক্ষণ ঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ওদের কথাবার্তা শুনছিলো সবাই। একজন এগিয়ে এসে বললো, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কী আছে! ওরা এলে বলবো আমাদের আগে পরনের কাপড় দেও। তারপর দরজার তালা খোলো।

সাফিয়া বললো, এই সহজ কথাটা আমাদের কারো মাথায় আসছিলো না কেনো রোকেয়া আপা?

রোকেয়া কিছু না বলে এগিয়ে গেলো দরজার দিকে। বাইরে লোকজনের ছুটাছুটি আছে; কিন্তু কেউ এদিকে তাকাচ্ছে না! রোকেয়া চিৎকার দিয়ে ডাক দিলো ওদের, এই যে ভায়েরা! এদিকে আসেন! আমরা এখানে বন্দি হয়ে আছি!

কেউ ওর চিৎকার শুনেছে বলে মনে হলো না। রোকেয়া কয়েকবার চিৎকার দিয়ে ব্যর্থ হয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো, আমার একার চিৎকারে কাজ হচ্ছে না। সবাইকে একসাথে চিৎকার করতে হবে এবং সাথে সাথে দরজায় ধাক্কা দিতে হবে।

তের জন এগিয়ে এলো দরজার কাছে। দরজা ধরে নাড়ানোর সাথে সাথে চিৎকার করতে থাকলো উল্লসিত লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।এভাবে অনবরত চিৎকার করতে থাকায় একটি বালক এগিয়ে এলো এদিকওদিক তাকাতে তাকাতে।

বালকটি কাছাকাছি এলে রোকেয়া বললো, তোমরা দৌড়াদৌড়ি করছো কেনো? কী হয়েছে?

বালকটি বললো, হুনতাছি দ্যাশ স্বাধীন হয়া গেছে। খুব আনন্দ!

কথাটা শুনে বিড়ম্বিতা নারীগুলোর মুখের বিষন্নতা ছাপিয়ে স্বস্তি ও ভরসার হাসি ফুটে উঠলো-বিষন্নানন্দ। ওরা একে অপরকে কোলাকোলি করতে লাগলো।

রোকেয়া ফের জিজ্ঞেস করলো, এই ক্যাম্পের হায়েনা পাক বাহিনী আর কুত্তা রাজাকারগুলা কই গেলো জানো কিছু?

ছেলেটা বললো, সকালে পালানোর সময় মুক্তিরা ওদের ধইরা ফালাইছে। অহন এদিকে লইয়া আইতাছে।

রোকেয়া স্বস্থির নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো, তাহলে আর চিন্তার কিছু নাই। তুমি এক দৌড় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বলো আমরা এখানে আটকা পড়ে আছি।

জ্বী আইচ্ছা।

ছেলেটা দৌড়াতে লাগলো। এরা খুশিতে ও মুক্তির আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কাঁদতে লাগলো।

জয়বাংলা জয়বাংলা শ্লোগান শুনতে পেয়ে সবাই তাকালো দরজার ফাঁক দিয়ে বাইরে।

ওরা আসছে স্কুলের দিকে। সামনে সারিবদ্ধভাবে মাথার উপর দুই হাত তোলা অবস্থায় রাজাকারের পরে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। ওদের পেছনে স্ট্যানগান ও রাইফেল উচিয়ে বাংলার দামাল মুক্তিযোদ্ধাগণ। পরনে হাটু অব্দি গুটানো পেন্ট, কারো গায়ে গেঞ্জি, কারো গায়ে শার্ট-দুটোই ময়লা; ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল ও এলোমেলো মুখভর্তি দাড়ি।

মুক্তিযোদ্ধাগণ সামনে এসে শূয়রগুলোর দিকে অস্ত্র তাক করতেই দাঁড়িয়ে গেলো মাঠের মাঝ বরাবর। মোট পনেরো জন মুক্তিযোদ্ধা। চারজন সরাসরি আসছে ঘরটার দিকে। ঘরটার চারিদিকে একবার দেখে দরজার সামনে দাঁড়ালো চার মুক্তিযোদ্ধা।

একজন রাইফেলের বাট দিয়ে তালা ভাংতে চাইলে ভেতর থেকে রোকেয়া বললো, তালা ভাংবে না মুক্তিযোদ্ধা ভায়েরা!
মুক্তিযোদ্ধাটি রাইফেল নামিয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে বললো, কেনো? আপনারা বের হতে চাচ্ছেন না?

আমাদের গায়ে কোনো কাপড় নেই। এ অবস্থায় বের হওয়া কি ঠিক হবে?

মুক্তিযোদ্ধাটি লজ্জা পেয়ে বললো, সরি! আমি এখনই হানাদারদের ক্যাম্প থেকে কিছু কাপড় নিয়ে আসছি। আপনারা কত জন?

কাজলি দ্রুত বললো, না না! এই হায়েনাদের কাপড় আমরা পরবো না! আপনারা পাশের গ্রাম থেকে শাড়ি ছায়া ব্লাউজ লুঙ্গি যা পারেন নিয়ে আসেন। আমরা তের জন।

চার জনই ছুটে চলে গেলো। ওদের মাঝে আজ বিজয়ের শক্তি ও অপার আনন্দ। গ্রামে ঢুকে কয়েকটা বাড়ি থেকে শাড়ি ছায়া ব্লাউজ লুঙ্গি যে যা দিয়েছে তাই নিয়ে ওরা চলে এলো ক্যাম্পে। দরজার ফাঁক দিয়ে একটা একটা করে কাপড় ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা বললো, এবার আপনারা এগুলো পরে ফেলুন।

কাপড় পরা শেষ হলে আমাদের বললে তালা ভেঙ্গে ফেলবো।

রোকেয়া শান্ত কণ্ঠে বললো, একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে যে মুক্তিযোদ্ধা ভায়েরা।

অপর একজন মুক্তিযোদ্ধা বললো, কী সমস্যা বুবু?

রোকেয়া বললো, মাঠের মাঝে মাথার উপর হাত তোলে দাঁড়িয়ে থাকা হায়েনাগুলো মাসের পর মাস আমাদের উপর যৌন নির্যাতন করেছে। ওদের সামনে আমরা যেতে চাই না।

কী করতে বলেন আমাদের বুবু? আপনাদের কথা আমরা রাখতে চেষ্টা করবো।

এবার রোকেয়া ঘৃণামিশ্রিত স্বরে বললো, ঐ কুত্তাগুলোকে আপনারা মেরে ফেলুন! যদি না মারেন তাহলে এই কাপড় গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করবো! এমনিতেই এ অবস্থায় আমাদের সমাজে ঠাঁই হবে কিনা জানি না!

মুক্তিযোদ্ধাটি বললো, এ বিষয়ে আমাদের কোম্পানি কমান্ডারের সাথে কথা বলতে হবে।

তাই করুন মুক্তিযোদ্ধা ভায়েরা। একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের এখান থেকে জোর করে বের করতে পারবেন না! আমরা ভেতর থেকে দরজার খিল আটকে দিচ্ছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা সবাই একসাথে ঘরের ধন্নার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করতে থাকবো!

এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ভাবেনি এই চার মুক্তিযোদ্ধা। ওরা অস্ত্র উঁচিয়ে দৌড়ে চলে গেলো মাঠের মাঝখানে কোম্পানি কমান্ডারের কাছে। কোম্পানি কমান্ডারকে কথাগুলো বললে মূহুর্ত মাত্র না ভেবে সিদ্ধান্তঃ নিয়ে ফেললেন কোম্পানি কমান্ডার।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু