বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ব্রেন টিউমার কি ও এর লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন ?

ছবি সংগৃহিত

মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মস্তিষ্ক। আর সেখানকার সামান্য সমস্যাও মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। মাথাব্যথার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে প্রায়ই মাথাব্যথা হওয়ার কারণ হতে পারে বেশ গুরুতর। এমনকি ব্রেন টিউমারের কারণেও হতে পারে তীব্র মাথাব্যথা। যা বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ ভেবে ভুল করেন।

ব্রেন টিউমার কী:

ব্রেন টিউমার মস্তিষ্কে কোষের সংগ্রহ বা বস্তু। যখন কোষের বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় তখন ব্রেন টিউমার সৃষ্টি হয়। ব্রেন টিউমার দুই ধরনের হয়। এক হলো ক্যান্সারযুক্ত অর্থাৎ ম্যালিগন্যান্ট আরেকটি ক্যান্সারহীন অর্থাৎ বিনাইন। ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমার বৃদ্ধি পেলে তা মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বাড়িয়ে তোলে। এটা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
মস্তিষ্কে মাংসের অথবা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াকে ব্রেন (মস্তিষ্ক) টিউমার বলা হয়। যখন মাথায় এই টিউমার বৃদ্ধি পায় তখন মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

ব্রেন টিউমার যে কারণে হয়:

ব্রেন টিউমার বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। ব্রেন টিউমার তখনি হয় যখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষগুলির ডিএনএ-তে কোনো ত্রুটি থাকে। শরীরের কোষগুলো ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে যায় এবং মরে যায়। যার পরিবর্তে অন্য কোষ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে নতুন কোষ সৃষ্টি হয়ে যায় তবে দেখা যায় পুরনো কোষগুলো সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয় না। যার ফলে এই কোষগুলো জমাট বেঁধে টিউমারের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক সময় বংশগত কারণে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে। অর্থাৎ বাবা, মা বা আত্মীয় কারো ব্রেন টিউমার থাকলে।

সঠিক সময়ে ব্রেন টিউমার চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে আগে জানা উচিত ব্রেন টিউমার যে কারণে হয় এবং এর লক্ষণগুলো কী কী ?

১। অনবরত মাথাব্যথা

মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন কি ব্রেইন টিউমারের কারণে হচ্ছে নাকি অন্য কোনো কারণে হচ্ছে, তার পার্থক্য নির্ণয় করা ডাক্তারদের পক্ষেও কঠিন হতে পারে। সিটি অব হোপের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইক চেন বলেন, ‘ব্রেইন টিউমারের সবচেয়ে জোরালো নির্দেশক হচ্ছে দৈনন্দিন নতুন মাথাব্যথা চলে যাবে বলে মনে হয় না।’ তিনি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব মাথাব্যথা আরো খারাপ হতে থাকে এবং আপনি যখন সকালে ঘুম থেকে জাগেন প্রায়ক্ষেত্রে তা উপস্থিত থাকে, যখন কয়েক ঘণ্টা শায়িত থাকার কারণে ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেসার বা স্কালের মধ্যে চাপ বেশি থাকে।’ এই ব্যথা টিউমারের আকার বা বৃদ্ধির হারকে অগ্রাহ্য করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা মনিকায় অবস্থিত জনওয়েন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সলেশনাল নিউরো-অনকোলজি অ্যান্ড নিউরোথেরাপিউটিকসের প্রধান এবং নিউরো-অনকোলজিস্ট স্যান্টোশ কেসারি বলেন, ‘একটি ক্ষুদ্র ও দ্রুত বর্ধনশীল টিউমার একটি বড় ও ধীর বর্ধনশীল টিউমারের মতো তীব্র মাথাব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।’ একজন মানুষের ব্রেইন টিউমার আছে কি নেই, এটা অনুমান করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের মাথাব্যথা নেই। এটি বোঝার জন্য চাবিকাঠি হচ্ছে, নতুন অনবরত মাথাব্যথা হয় কিনা লক্ষ্য রাখা যা সাধারণত কোনো চিকিৎসায় (যেমন- ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ) সারে না।

২। সামান্য দৃষ্টিশক্তি হ্রাস

এই বিশেষ উপসর্গটি যাদের মধ্যে আছে তারা এটি সম্পর্কে মোটেই সচেতন নাও হতে পারে- এটি শুধুমাত্র ব্রেইন টিউমারের সঙ্গেও জড়িত হতে পারে। তারা তাদের দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারে না যতক্ষণ না পর্যন্ত বারবার কোনো কিছুতে ধাক্কা খায় কিংবা পৌনঃপুনিক গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। মেড স্কুল টিউটরসের মেডিক্যাল এডুকেশনের সহ-পরিচালক ক্রিস্টোফার ক্যারুব্বা বলেন, ‘বাইটেম্পোরাল হেমিয়ানোপসিয়া নামে এই বিশেষ উপসর্গ বা ইম্পেয়ারড পেরিফেরাল ভিশন পরিচিত। আমরা প্রায়ক্ষেত্রে পিটুইটারি টিউমারের সঙ্গে এই উপসর্গটি দেখি যা অপটিক কায়াজম বা ভিজুয়্যাল প্যাথওয়ে বা দৃষ্টিপথকে সংকুচিত করে।’ অনেক বিস্ময়কর রোগের একটি হচ্ছে, ব্রেইন ক্যানসার যা চক্ষু ডাক্তাররা প্রথমে নির্ণয় করতে পারে।

৩। দুর্বলতা ও ঝিমানো

ব্রেইনের মোটর কর্টেক্স সারা শরীরে পেশী আন্দোলন সূচনা করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে। ডা. চেন বলেন, ‘ডান মোটর কর্টেক্স আপনার শরীরের বামপাশ এবং বাম মোটর কর্টেক্স শরীরের ডানপাশ নিয়ন্ত্রণ করে।’ এই পথের কোথাও টিউমার হলে এসব সংকেত সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত হবে এবং এর ফলে কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি আপনার ব্রেইন টিউমার থাকে, আপনি আপনার হাত বা পায়ে ব্যথা অনুভব নাও করতে পারেন, কিন্তু আপনার বাম বা ডান পা বা হাত স্বাভাবিকভাবে আংশিক বা পুরোপুরি সাড়া নাও দিতে পারে। ভিটামিন ডি ঘাটতির জন্যও পা দুর্বল হতে পারে।

৪। তোতলামি বা অস্পষ্ট উচ্চারণ

ডা. ক্যারুব্বা বলেন, ‘কথা ও ভাষা বোঝার মোটর ফাংশনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্রেইনের অংশ ফ্রন্টাল লোব বা টেম্পোরাল লোবে টিউমারের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে ভাষাগত সমস্যা, যেমন- তোতলামি, বিভিন্ন জিনিসের নাম বলতে অসুবিধা কিংবা অন্যরা কি বলছে তা বুঝতে সমস্যা হওয়া।’ তিনি বলেন, ‘ব্রেইনের মধ্যে দুটি স্পিচ সেন্টার বা কথা কেন্দ্র রয়েছে যা বামপাশে অবস্থিত- একটি হচ্ছে ওয়ের্নিকে’স এরিয়া, যা আমাদেরকে কথা বুঝতে সাহায্য করে এবং অন্যটি হচ্ছে ব্রোকা’স এরিয়া, যা শব্দ সৃষ্টিকারী পেশীকে সক্রিয় করে।’ যখন ব্রেইনে টিউমার থাকে, উভয় ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়।

৫। মেজাজি অনুভূতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া আরভিনের নিউরো সার্জন সুমিত ভাদেরা বলেন, ‘ব্রেইন টিউমারে ভোগা রোগীদের মধ্যে বিষণ্নতা, ক্রোধ কিংবা উদ্বেগ বিকশিত হতে পারে, এমনকি তারা এসব মানসিক অবস্থা সাধারণভাবে প্রকাশ নাও করতে পারে।’ এটি টিউমার ইরিটেশন কিংবা আমাদের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী ফ্রন্টাল লোবের অংশের সংকোচনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রোগীদের আচরণেও পরিবর্তন আসতে পারে, যেমন- অধিক রেগে যাওয়া কিংবা উত্তেজিত হওয়া, অধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনধিকারচর্চা করা, প্রকাশ্যে যৌনাচরণ করা। ডা. চেন বলেন, ‘ফ্রন্টাল লোবে একটি বড় ও ধীর বর্ধনশীল টিউমার ব্যক্তিত্ব ও বিবেচনাবোধকে পরিবর্তন করতে পারে যা অপরাধমূলক আচরণ বা মানসিক সমস্যার আচরণের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।’

৬। শ্রবণশক্তি হ্রাস অথবা ভোঁ ভোঁ শব্দ

কপালের পেছনে কর্টেক্সের গোড়ার মধ্যখানে অবস্থিত টেম্পোরাল লোব শব্দ শোনার ক্ষমতা এবং ভাষা ও কথাবার্তা বোঝার ক্ষমতা প্রসেসিং করার জন্য দায়ী। ডা. ক্যারুব্বা বলেন, ‘যদি আপনি একপাশে না শুনেন বা কম শুনেন, অথবা অবিরত রিং বা ভোঁ ভোঁ শব্দ শুনেন, তাহলে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিবেন যিনি একজন নিউরোলজিস্টকে দেখানোর জন্য আপনার লক্ষণগুলো যথেষ্ট তীব্র কিনা তা নির্ধারণ করতে পারেন।’

৭। বন্ধ্যাত্ব

ব্রেইন হরমোন উৎপাদনসহ আমাদের শরীরের প্রায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ডা. চেন বলেন, ‘এটি তা করে থাকে ব্রেইনের তলদেশে অবস্থিত মটর-আকৃতির পিটুইটারি গ্ল্যান্ড নামক একটি এক্সটেনশনের মাধ্যমে।’ তিনি বলেন, ‘টিউমার দ্বারা প্রভাবিত পিটুইটারি গ্ল্যান্ড উচ্চ পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করতে পারে, অথবা টিউমার স্বাভাবিক গ্ল্যান্ডের কাজে বাধা দিতে পারে।’ এ কারণে ব্রেইন টিউমারে ভোগা নারীরা কনসিভ করতে বা সন্তান জন্মদানের পর দুধ উৎপাদনে অসমর্থ হয়।

৮। ভারসাম্যহীনতা

যেখানে ব্রেইনস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এমন অনেক অংশের একটি হলো মোটর ফাংশন। যদি আপনার হাঁটতে অসুবিধা হয়, বিশেষ করে অন্ধকারে এবং আপনি একপাশে হেলে পড়েন, তাহলে এটি ভারসাম্য ও সমন্বয় সাধনের জন্য ব্রেইনের অংশ সেরেবেলাম বা লঘুমস্তিষ্কে টিউমারের উপসর্গ হতে পারে। ভারসাম্য সমস্যা বহুবিধ স্কেলেরোসিসের নীরব উপসর্গও হতে পারে।

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া