বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৫১ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস

সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের নির্ধারিত ডিউটি শেষে চেম্বার করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে জেলা পর্যায়ে ১২টি এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩৯টি হাসপাতালে এই সেবা উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা বিকালে নিজ কর্মস্থলে বসে রোগী দেখবেন। আজ থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু করতে যাচ্ছি। এতে বিকাল ৩টা থেকে সাধারণ মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে সেবা নিতে পারবেন।

উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুপুর আড়াইটার পরে সরকারি চিকিৎসকদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। তারপর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তারা চেম্বার প্র্যাকটিস করতে পারবেন। তারা নিজ হাসপাতালে বসে রোগী দেখবেন, রোগীদের সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে পারবেন।

চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, অল্প সময়ের নোটিশে আজকে যেসব হাসপাতাল প্রস্তুত হতে পেরেছে, সেগুলোকে আজ যুক্ত করেছি। বিশেষ কোনো ‘ক্রাইটেরিয়া’র (বৈশিষ্ট্য) মাধ্যমে না। প্রথমে আমরা ২০টি উপজেলার কথা বলেছিলাম, এখন তা ৩৯টি হয়েছে। কারণ এরা সবাই প্রস্তুত, আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সব হাসপাতালেই এই প্রাতিষ্ঠানিক প্রাকটিস চালু করতে পারব।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ) প্রথম হাসপাতালেই চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ করে দেয়। স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠানের পর বেসরকারি বারডেমও একই পথ অনুসরণ করে। এখন সরকারি হাসপাতালেও একই ধারা চালু করল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য,গত সোমবার সচিবালয়ে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নীতিমালা ২০২৩’ সংক্রান্ত সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চিকিৎসক সপ্তাহে দুদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে রোগী দেখতে পারবেন। নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। এ ছাড়া বৈকালিক সেবা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফিও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ছবি: সংগৃহীত

৯৮টি ব্যাংক হিসেবে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ৬ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

এজাহারে বলা হয়, নসরুল হামিদ ২০০৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিজ নামে ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩ হাজার ৫৮ কোটি টাকা জমা এবং ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন।

এ ছাড়া আয়কর নথি অনুযায়ী নসরুল হামিদের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় মোট ১১ কোটি ৭২ লাখ ৬৭ হাজার ২৪০ টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অতিরিক্ত সম্পদের পরিমাণ পাওয়া গেছে, যা তাঁর আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ও দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে গত অক্টোবরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ ৩ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান দল।

সেসময় সংস্থাটি জানায়, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের প্রমাণও পাওয়া যায় তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ।

Header Ad
Header Ad

ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই তংগোঝিরি পূর্ব-বেতছড়া এলাকার ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মইশৈ ম্যা ত্রিপুরা (৪৮), তংগোঝিরি পাড়ায় বাসিন্দা জোয়াতিং ত্রিপুরা (৫২) ও মো. ইব্রাহিম (৬৫)।

এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে তংগোঝিরি পূর্ব-বেতছড়া এলাকার ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৬টি পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। পাড়ায় গির্জা না থাকায় বড়দিন উদযাপনের জন্য তংগোঝিরি নামের আরেকটি পাড়ার গির্জায় গিয়েছিলো পাড়ার লোকজন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাড়াবাসীর। অগ্নিকাণ্ডের পর বুধবার বিকেলে লামা থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন গঙ্গা মনি ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তি। মামলা পরে অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

গণভবন আর আদালতের মত সচিবালয় কেমন করে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতার খুব ভালো করেই জানা আছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পরে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে। িপ্রথমে জুডিসিয়াল ক্যুর চেষ্টা করা হলো। ছাত্ররা মাঠে নেমে সেটা রুখে দিলো। লীগ যখন আনসার হয়ে ফিরে আসছিলো, এই ছাত্ররাই তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মাঠে নেমেছে। এনসিটিবিতে বই না ছাপিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র হলো, সেটাও ছাত্ররা প্রতিহত করলো।

তিনি লেখেন, এখন যখন স্বৈরাচার হাসিনাকে সার্ভ করা দালাল মিডিয়া, সময় টিভির ক্যু রুখে দেয়ার জন্য ছাত্ররা এগিয়ে আসলো, তখনই চারদিকে শুরু হলো সুশীলদের আহাজারি । আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাস্তবতাবিবর্জিত মিথ্যা ছড়ানো হলো। আমরা বারবার বলেছি যে আমরা কোন সাংবাদিকদের লিস্ট দেইনি। অথচ এরপরেও পুরোপুরি বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমাদের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাফিয়ারা ক্যু করলো। যে সময় টিভি যুগের পর যুগ বিএনপি, জামায়াত সহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোর ক্যারেকটার এসাসিনেশন করেছে, শহীদ আলিফকে হিন্দু ট্যাগ দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছে, জুলাই আন্দোলনকে টেরোরিস্টদের উত্থাণ বানিয়ে হাসিনার ছাত্র হত্যাকে নর্মালাইজ করেছে , ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ করে ইমেজ নষ্ট করেছে, এমনকি বিএনপির প্রতিষ্ঠাকে ডিলেজিটিমাইজ করার এটেম্প্ট পর্যন্ত নিয়েছে, আজকে তাদের জন্য সুশীলদের মায়া কান্নার শেষ নেই। প্রতিবাদ করতে যাওয়া ছাত্ররা আমরা হলাম খারাপ, আর এদের কুকীর্তিকে সমর্থন দেওয়া সুশীলরা হয়ে গেল ভালো। এই সুশীলরাই কি গত ষোল বছর স্বৈরাচারের নুন-ঘি খেয়ে ফ্যাসিবাদকে পাকাপোক্ত করেনি? আমরা তো সেটার বিরুদ্ধেই কথা বলেছি।

হাসনাত আরও লেখেন, এখন ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা শেখ হাসিনার দোসরদের অপসারণ করে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের দায়িত্ব দেয়ার জন্য। কিন্তু সুশীলগিরি দেখিয়ে সরকার সেটি না করার পরিণতি গতকাল রাতে আমরা পেলাম। সরকারের কাছে অনুরোধ সুশীলগিরি ছেড়ে দোসরদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আসেন। স্বৈরাচারের দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচান। দেশের জনগণকে বাঁচান।

হাসনাত লেখেন এই সরকার দুই হাজার মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় বসা সরকার। এই সরকার সুশীলতার মধ্যে দিয়ে আসেনি, এসেছে ২ হাজার শহীদ আর ৩০ হাজার আহত ভাই বোনের রক্তের উপর দিয়ে। সেই রক্তের সাথে আপোষ করার কোন সুযোগ নেই। আমরা শেখ হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য, প্রশাসনলীগের হুমকি আর আগুন দেখার জন্য নয়। সরকারের কাছে অনুরোধ এদের হাত থেকে প্রশাসন মুক্ত করেন। যদি না করেন তবে গণভবন আর আদালতের মত সচিবালয় কেমন করে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতার খুব ভালো করেই জানা আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা