২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু রাশিয়ায়
বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই কমেছে। এই সময়ে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৫৭৯ জন আর মারা গেছেন ১৩৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৮ লাখ ২৬ হাজার ৯১৭ জন আর সংক্রমণ বাড়ল ৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ১৫১ জনে।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী আরও জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ে দেশটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৯৪০ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমিত হলেন ২ কোটি ২৫ লাখ ৮৬ হাজার ২১০ জন আর মারা গেলেন ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮ জন।
রাশিয়ার পরেই অবস্থান তাইওয়ান, জাপান ও চিলির মতো দেশগুলোর। ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে সংক্রমিত হয়েছেন চারজন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমিত হলেন এক কোটি দুই লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জন আর মারা গেলেন ১৮ হাজার ৯৮৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৩২৪ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমিত হলেন ৩ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার ৭৮৫ জন আর মারা গেলেন ৭৩ হাজার ৭৪৭ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ হাজার ৪৪৬ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন। এই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় শনাক্ত ৯ হাজার ৩৬১ জন এবং মারা গেছেন তিনজন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৪১১ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমণ ১০ কোটি ৬১ লাখ দুই হাজার ২৯ জন এবং মারা গেছেন ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩০ জন।
এছাড়া বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ফ্রান্সে ৬ হাজার ২১১ জন, অস্ট্রিয়ায় এক হাজার ৮৬১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪২৬ জন এবং নিউজিল্যান্ডে এক হাজার ৬০৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এসআইএইচ